২৫১১ ভারতীয় আর্ধ্য আদিম অবস্থ! টি হুগ্রি নন্ধ্যাল স্কুলের প্রধান প রী ॥ টে বা সি জ্রীলালমোহন বিদ্যানিধি ভট্টাচার্য্য প্রণীত “প্রাংশুলভ্যে ফলে লোভাছুদ্ধাহারিব বামন$” কলিঙ্ীন। স্পট (08) ডি বন ঘন) 72717707৮10) 9877 0৮ |780181৭ 87 2845 চ% 1,১60 &াঘ ৬1) &খি] রা [দল 1750ঘ 81584 মাহ৬0 2ম] মত], স 02৫ 8]। 9071001, সপ্পএে ৫8 কলিকাতা ২৪, গিরিশ-বিদ্যরত্বদ্‌ লেন, 2 বিদ্যারত্ব যন্ত্রে ০ শত 070০1, 1)7517)10ঞ770 2 10 917 &])7131010 0110) উ, 8৪ 010 1)876010)" 0/ 1১40110 17317101107) 1367001 &০০.-&6, 11010006081, 1১০111019 01 যা (7০2690 01) (100 1)11010170 50509 0 10016). 81781)3 চ010 80 70001151160 17 009 চ্যে০ 1১৪0108 139787] [1 2281705--5708087800) 04 £781)0009780110,.5 11056 2)0% 00100110160 01)0 000)- 1151)60 0110 01111) 10517630116 0010 26 0006 0210086 1000036 01 80109 ০01 2] 00000860 200 096০012000. 11101103, 371 ড001)01100 06 610 1000 01 000 30100] 10008. (10191 11082600196) 200 1) এ ])0101)10 801%1)0 11 [1)0 57100, 10 636900] 2170 010610109 1010101] 10 6058703 00. 730৮ হু 10650 70111) 1010 10]) 1 000) 200896]7 81107 06 1101) 03910. 11) 11101 1 1010 00) 1100 100 1108501 0)2৮ ৪ 671)069, 110 1)1171019 506৮01) 13 11101 60 199 2000])660) মা)০] 06260 ফা)0]। ৪ 018:910] 1)086) ] ৮6)16010 60 800)70801॥ ০৪ ৮101) 01105 946) 010) 12910 21)0 0110796100, ].:161021)) 15631990660 ৪11 :00050157 ০০ 1036 0)611606801)0100]6 80০80 এ ৪009, 1891 [৮৮07 &ম ড084810ঘ]) 1262৫ £07/211, ৰ 78801 8০৮71827091. উত্নর্গ-পত্র। মহামহিম মাঁনাবর শ্রীল শ্রান্কত মহামতি নার আল্ফেছ্‌ ক্রক্ট এম. এ দি. আই. ই, শি্গাবিভাগের অধ্যঙ্গ মহোদয় সমীপেষু যাবি হতসক্মানপুরঃদরপবিনয়নিবেদনম-- মাহাদয় মতগ্রণীত “ভারতীর আর্মাজাহির আদিম অবস্থা এই শীর্ঘক প্রবন্ধের কিয়দংশ আর্ধ্যদর্শনে ও কিয়দংশ বঙগদর্শনে প্রকাশিত হইয়াছিল। এক্ষণে উহা পুস্কাকারে মুদ্রিত হওয়া আবশ্তক জ্ঞানে কতিপয় উদারচেতা অভিজ্ঞ মহাত্মার অনুরোধের বশবর্তী হইয়। কতক গুলি নৃন প্রস্তাব লিখনপু্পক গ্রবন্ধের উপক্রদণিকা-ভাগের সাগ্গতা মম্পাদন করিলাম। আপনি বঙ্গদেশীয় রাজকীয় শি্গাদমাজের অধিপতি। আমি ভবদীয় অনুগ্রহের একান্ত অধীন ও নিতান্ত আশ্রিত। আপনাকে আমার সম্মান করা অবশ্য কর্তব্য । কিন্তু যাদ্বারা আপনাকে যথাযোগ্য সন্মান করিতে পারা যায়, আমার এমন কোন বস্ত্র নাই। তবে শরণাগত ব্যক্তি শরণ্য জনকে আন্ত রিক যত্্রের সহিত সামান্য বন্ত নিবেদন করিলেও সদাশয় ও মহামনা ব্যক্তিবর্গ শরণাগত জনের মনোবাঞ্া পূরণ জন্য উহ! রীতি প্রদত্ত বিয়া প্রদুক্টচিতে ও প্রস্রাবে গ্রহণ করেন।, [19০ ] এই মৃহাজন-রীতি অনুসরণ করিয়া মদীয় সামান্য লেখা ভবদীয় কপা-সমীপে উপায়ন-স্বরূপ সমর্পণ করিলাম । মদীয় লেখা মনোহারিণী না হইলেও ভারতীয় আর্ধ্য- জাতির অবস্থা-রূপ অপুর্ব শ্রী অতিপুজ্যা। সেই পুজনীয়| আদ্য! এক্ষণে সহারশূন্যা। মহামতি আপনি সরস্বতীর বর- পুত) মহোদয় অন্ধীবান্‌ হইলেই তাহার ছুরবস্থা দুরীকৃত হই- বার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা । একান্ত বশংবদ ৃ শ্রীলালমোহন শর্মা ট চূড়া ণঁ জুন, ] হুগ্রি নন্খ্যাল স্কুল । সুচীপত্র | বিহয় পৃষ্ঠ | বিষয় পৃ অনাথ-শরণ ৫৭ ; গর্ভাধান ২০৫।২১০ অনুক্রমণিকা ১. গাহস্থ্য আশ্রম ১৬৭ অন্নাশন ২১৭ ৰ চিত্রনৈপুণ্য ১৪৯ অপ্রাপ্তব্যবহারাশ্রম ৫১ র চুড়াকরণ ২১৮ অভিযোগ বিষয় ৮৩ ূ জাতক রণ ২১৩ আতিথ্য ২৫৩ | জালকারীর দণ্ড ১২১ আত্মা ও পরমাত্ম! ২৭৮ | জ্যেষ্টত্ব ও কনিষ্টত্ব ১১৭ আধ্যাত্মিক ভাব ১৮৩ : ? ২২৬ আঁরাধনার ফল ২৮১ | আশ্রম ১৫৫ | আশ্রম-গ্রহণের ক্রম ১৬৪ ঈশ্বরের মনষ্যাবতার ২৭৩ উপক্রমণিকা ১৯. উপনয়ন-সংস্কার ২১৯ ধ উপনয়নের কাল ১৫৬ র নামকরণ উপাধি ও সম্মীন ৯৬ ৰ নিজ্ঞামণ উপাদন। ২৫৭ | পঞ্চ মহাষজ্ঞের ফল উপাসনার ভ্রম ২৪৪ । পরিবারবর্থের সহিত, কন্য।বিক্রযদোষ ২০১ বিবাদ অযৌক্তিক কলিযুগের নিষিদ্ধ আচার. | পারবেদন'দৌষ ব্যবহার ১৬৯ | পুংসবন কুনীদ বাঁ বৃদ্ধি! 4৪ | পুজা কোধাগার বিষয় ৫« | পূর্তকার্ধ্য ১৩৭ ১৬৮ ২১১ ২৭৯ ১৭৪. 1 বিষয় পৃষ্ঠ গ্রমাদ- গ্রহণ ২৮৩ গ্রায়শ্চি্ত ২৭১ প্রার্থনা ২৮২ বলি ও পুজা ২৭৭ বহুগত্তীর বিষয় ১৬৫ বাল্য-বিবাহ ১৯৮ বরহ্মনিরপণ ২৮৫ ভৃত্যগণের ভূতি ও বেতন ৭৯ ভোজ দ্রব্য ১১৪ মন্্রিগণের কাষ্কিতাগ মধ্যাদা | ১১৬ মলমাঁস ২৩৭ মিথা সাক্গা ১২০ লেখ্য-ভেদ ৭২ লৌকিক ব্যবহার ১৪৭ বিচার ৪ বিচারদর্শনের কাল নিগ্ধারণ ৬৯ বিধবাবিবাহ ১৬১ বিবাদ-বিষয় ১২৯ 'বিধাহ ১১৮ বিবাহ-বিধি ১২২ বিবাহ-বিষয়ক আচার ১৪২ ৪১৭ সং নমাজের ক্ষমতা সমাবর্তন বিষয় বিবাঁহযোগ্যা কন্যা বিবাহ-সংঙ্কার বিবহের কাল বাধসায়বিভাগ ব্যবহার বিষ শাদন-গ্রথালী মনুয়সমূখান মাঁকাঁর ও নিরাকার মাক্গি প্রকরণ নাক্গি বিষয়াদি সাক্ষ্য গ্রহণ-কালাদি সা্বিকাদি ক্রিয়া নাধবী ভার্ধয। সীমন্তোন্নয়ন সুষ্টিগ্রক্তিয়া ্রস্বাধীনতা হলসামগ্রীকথন পৃষ্ঠ ১৭ ১৪ ১৯৩ ১০৯ ১৪৪ ৩৩।৬২ ২৭০ ২৮৭ ২৫৫ ১৭৮ ৭৫ ২২৩ পীত্রীদুর্গা শরণম্‌। মঙ্গলাচরণ। পূজ্যগাদ স্বগীয় ৬কৃষ্ণানন্দ বিদ্যাবাচস্পতি ভট্টাচার্য্য জোষ্ঠতাত মহাশয় শ্রীচরণকমলেু তাত! আমি নিতান্ত ক্ষুদ্রমতি,চপলতাবশতঃ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা-রূপ মহাবিদ্যার অর্চনা আর্ত করিয়াছি। আপনি আমার গুরু ও পরম দেবতা। পুজার সন্কপ্লী করিবার পরেই সর্বাগ্রে গুরুপুজা অবশ্ঠকর্তব্য। তদন্থদারে ভবদীয় শ্রীচরণ বন্দনা করিলাম । এই ব্যাপারে অধ্যাপকবর্গের পাদপন্ম ধ্যান করা! আমার সর্বাতোভাবে উচিত । তদন্ুদারে পুজ্যপাদ প্রাত:- স্মরণীয় সুর চীর্য্যকন্ন স্বর্গীয় জয়নারায়ণ তর্কপর্ধানন ভট্টাচার্য্য, তথ! ভরতচন্ত্র শিরোমণি ভট্টাচার্য্য, তথা প্রেমচন্ত্র তর্কবাগীশ ভট্টাচার্য, তথ! তারানাথ তর্কবাচম্পতি ভট্টাচাধ্য, এবং অশেষ- বিদ্যাধ্যাপক পজ্যপা্দ মহামতি শ্রীলশ্রীযুক্ত ঈশ্বরচন্ত্র বিদ্যা সাগর মহোদয়দিগের পাদপদ্ের অমৃতান্বাদনে পৃত হইয়া মহাবিদ্যার পুজায় প্রবৃত্ত হইলাম। আপনি আমার অধ্যাপক- বর্গেরও পুজ্য ও সন্দেহভঞ্রনের একমাত্র পাত্র ছিলেন বলিয়। আপনকার পুক্া সর্বাগ্রে করিলাম। পুজ্যপূজাব্যতিক্রম-. [0%০ ] দোষ, মহাবিদ্যার অর্চনার অঙ্গহীনতা ও অন্ঠান্ত নানতা যেন আপনাদিগের শ্রীচরণপ্রসাদাৎ পরীহার হয়। এই স্বস্ত্যয়ন দ্বারা আঁমার সর্ধবিদ্নবিনাশ, গাঁপক্ষয় ও সন্বপ্পসিদ্ধি হইবে। ভবদীয় ৭ই ো্ট, ] গ্রণত সেবক ও বংসল ত্রাতৃপুত্র সংবৎ ১৯৪৮ ্রীলালমোহন শর্মা মহেশপুর । মুখবন্ধ। ভারতবর্ধই বর্ণতুষ্টয়ের সৃতিকা গৃহস্বরূপ | জাতিচদুষটয়ের মধ্যে ব্রাহ্মণ, হষত্রিগ্ন ও বৈশ্ঠ দ্বিজাতিপদবাচ্য। চতুর্থ অর্থাৎ শৃ্জাতি একজ | এই চারি জাতি ব্যতীত অপর জাতি নাই। বাঙ্গণাদি বর্ণত্রয়ের সাধারণ নাম আর্ধ্যজাতি। শূদ্রজাতি (চতুর্থ অর্থাৎ একজ) সামান্যতঃ অনার্ধ্য সংজ্ঞায় অভিহিত হয়। আর্ধ ও অনার্ধ্য উভয়েই ভারতের আদিম 'অধিবাসী। ভারতবর্ষ ব্যতীত অন্য কোন বর্ষে বর্ণবিভাগ নাই। নরগণ পূর্বজন্মের স্থকৃত ও ছুদ্ধুত কর্মের ফলে উত্তম বা অধম যোনি প্রাপ্ত হন। ভারতবর্ষ কর্মৃভূমি বলিয়া! শাস্ত্রে কথিত আছে। অন্ত বর্ষগুলি কর্ধফলের ভোগস্থান । (১) খধিগণের অধস্তন সন্তান-পরম্পরা যখন একান্ত বিষয়াসক্ত, তখন তাহার! গৈডৃক আবান ও তপস্যার স্থান সুমের পর্বত পরিত্যাগপূর্বক ভারতের উর্ধর-ক্ষেত্রে অবতীর্ণ হয়েন। নিষ্পৃহতাদির হেতুভৃত সত্বগুণপ্রভাবে ব্রাঙ্গণগণ ভূভাঁর (১) অত্রাপি ভারতং শ্রেষঠং জদুদ্বীপে মহা মুনে। যতো! হি কর্মতুরেষ। ততোইন্! ভোগভৃময়ঃ ॥ ২২॥ . ইতঃ সবর্সশ্চ মোক্ষশ্চ মধাম্চান্তশ্চ গম্যতে। ন খহত্র হি মর্ত্যানাং কর্শভৃমৌ বিধীয়তে | ৫। বর্ণব্যবস্থিতিথিহৈব কুমারিকাখ্ শেষেছু চান্তাজজন| নিবসন্তি। বিষ্কপুরাণ। ২য় অংশ।১ অ। ইহৈৰ কর্দমণো ভোগঃ পরত্র চ গুভাগুভম.। কর্ধো পার্জনযোগাঞ্চ পুণাক্ষেতর ভায়তম, | : রঙ্ষবৈধর্ত। ১২ অ। ২” ঝো। গণেশখণ্ডে [8০ ] গ্রহণ করেন মাই; তীহা'র! ক্ষমাগুণের আঁধাঁরন্বরূপ পরমতন্ব- রাজ্যের অধীশ্বর হইয়াছিলেন। ক্ষল্রিয়জাতি সাত্বিক ক্ষমা- বিরহে অহঙ্কারের হেতৃভূত শারীরিক বীর্ধ্য প্রভাবে অর্থাৎ বাহুবলে সর্ধত্র রাজ্য বিস্তার করেন। তাহাদিগের মধ্যে বাহার অপরাধ হেতু দণ্ডভোগ জন্য ভারতবর্ষ হইতে বহিচ্ভত হইলেন, তাহার! সংক্রিয়ার অনুষ্ঠাননিবন্ধন প্রথমতঃ জাতি- রষ্ট হয়েন নাই। পরে সগররাজের প্রতি কুব্যবহার ও অবা- ধ্যত। প্রকাশ করায় বশিষ্ঠকর্তৃক ধর্মষ্ট হয়েন। ধর্মত্রংশতা নিবন্ধন ব্রাঙ্গণগণের অদর্শন হইতে লাগিল; ব্রাহ্মণের সহায়তা ব্যতীত বৈদিক ক্রিয়ার অনুষ্ঠান ও সংস্কার হয় না। সুতরাং দ্বিজধর্ষ্ের লোপ হইল । ধর্ম্মলোপ হেতু জাঁতি- ভ্রংশতা ঘটে। জাতিভরষ্ট ও ধর্নরষ্ট মানবগণ জীবন্ম.তসদৃশ। সগররাজ মে সকল ক্ষত্রিয়কে ধর্মন্রষ্ট করিয়া নির্বাসন করেন, তীহাঁদিগের মধ্যে পৌগু* ওডু, দ্রাবিড়, কাশ্োজ, যবন শক, পারদ, পহ্নব, চীন, কিরাত, দরদ ও খস জাঁতি বিশেষ প্রনিদ্ধ। কোল, ভীল, পুলিন্দ, শবর, হন, কেরলাদি অন্তাজ শৃদ্রগণও শ্লেচ্ছনংজায় অভিহিত। (মহাভারত ও রামায়ণ দেখ ।) (২) (২) শনবৈস্ত ক্রিয়ালোপাদিমা; ক্ষত্রিয়জাতয়ঃ। বৃষলত্বং গত! লৌকে ব্রাঙ্গণাদর্শনেন বৈ ॥ ৪১ ॥ পৌওু,কাশ্টৌডর্বাবিড়াঃ কাঁথোঁজা যবনাঃ শকাঃ। গারদাঃ পঙ্নবাশ্টীনাঃ কিনাতা দরদাঃ খা: ॥ ৪8 মনু। ১* অ। মুখবাহ্‌রপজ্জানাং যা লোকে জাতয়ে! বহিঃ। ম্নেচ্ছবাচণ্টার্যাবাচঃ সর্ব তে দসাবঃ স্থৃতাঃ ॥ 9৫1 মন্গু। ১৫1 %/০ এ বিদেশীয়গণ পরমুখে রসাস্বাদ করিয়া! অনুমান ও কল্পনার উপর নির্ভরপুর্ধক ব্রাঙ্গণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্ত এই জাতিত্রয়কে ভারতের আদিম নিবাদী কহিতে নিশ্চয়ই সম্ধৃচিত হন। কিন ভারতবাসীরা অসঙ্কুচিতচিত্তে এবং একমত্য অবলম্বন-পুরঃসর কহিবেন যে, দ্বিজাতিত্রয় ও শুদ্রজাতি সমবেতভাবেই সথমের হইতে অবতরণপূর্বক ভারতে চিরকাল বাস করিতেছেন ।) মনুর সন্তান মানব । ভরত রাজ মন্ুর অবতারবিশেষ । ভরতের বাঁজ্য ভারতবর্ষ । স্ৃতরণং ইহ! আধ্য ও অনার্ধ্য এই উভয়ের পৈতৃক বস্তু । ভারতবর্ষ আর্ধ্য.ও শৃদ্রগণের সমানাধি- করণে নিজন্ব। আর্যেরা পরশ্বাপহারী দস্থ্য নহেন। (৩) (৩ পি বশিষ্ঠস্তাং স্তথেতুক্ত।1 সময়েন মহান্নন। নগরং বারয়ামাল তেষ|ং দত্তাভয়ন্তদ! ॥ সগরন্ত প্রতিষ্তান্ত গুরোর্বাক্যং নিশম্যচ 1 ধর্দং জঘান তেষ!ং বৈ বেশাগ্যত্বঞ্ককার হ। যবনানাং শিরঃ সর্ধ্বং কাম্বোজানাং তথৈব চ। পারদা মুক্তকেশাশ্চ পবা শু ক্কধারিণঃ ॥ নিঃস্বাধ্যায়বষট্কারাঃ কৃতায্তুন মহাত্মন!। শকা যব্নকাদ্বেজাঃ পহবাঃ পারণৈঃ সহ | ল! মৌধ্ধ্যা মাহিষকা দর্তাশ্ৈব খলাপ্থ|। সর্বে তে ক্ষতরিয়গণ! ধর্মান্েধাং নিরাকৃতাঃ1 বর্ধাগুপুরাণ। তরণাত্ত, গ্রজানাং বৈ মনুর্ভরত উচ্যতে। | নিরুক্তবচনাচ্মৈর বর্ষং তৎ ভারতং স্মৃতম, ॥. বামনপুয়াণ। প্রিয়ং মা কৃণু দেবেধু প্রিয়ং রাহ মাকৃপু। ও বি রা ধর ট্ত শু উত আর্ধে ॥ ১. র্বেদদংহিত]| ১৯ অধ্যায় । হা ৩ রি পৃষ্ঠ ৪৪ ৮৫৩ ১২ ২২৪ ১৯০ ২৪৩ ২৫০ ৫২ ৬২ শুদ্ধিপত্র। পড্ক্ি অশুদ্ধ শুদ্ধ ৬ জ্ঞানের বিষয়কে জ্ঞানকে ৭ গান্ধব্ৰ গান্ধর্কব ২৩ রা ভিন্ন উপনয়ন (গ্রহণ করা আব. সংস্কার তত্তিনন রহ্ষচর্যয ১৮১৯ উপাগাহি উপাগোহি ১৭ করে করেন ১৬ শ্রোত আরো , ১৬ বোঝায় বুঝায় ৭ নিশ্রেয়স নিঃশ্রেয়স ৭ সত্ৃগুণাযুক্ক সত্তগুণযুক্তর ২ পরিচারক পরিচায়ক ২৯৫ হৃতপথে ঈখপদ্ধে অজি জাঠিন অবস্থা অনুক্রমণিক | কেহ কেহ অনুমান করেন, ভারতীয় আধধ্যগণ ভারতের আদিম নিবাঁদী নহেন। ইহারা এসিয়ার মধ্যতৃভাগের লোক। তথা হইতে আসির। ভারত অধিকার করেন। ব্রান্ষণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য এই তিন জাতি আধ্যকুলসন্ভৃত। শুদ্রগণই ভারতের প্রকৃত আদিম অধিবাসী । ইহারা আধ্যসন্তানের নিকট পরা- ভূত হইকাশূদ্র বা দাস উপাধি ধারণ করেন। যাহারা! বশ্যতা স্বীকার করে নাই, তাহার দস্থ্ারূপে বর্মিত হইয়াছে । অবাধ্য কোল, ভিল, পুলিন্দ, শবর, শক, যবন, খশ, দ্রাবিড়, য্েচ্ছ প্রভৃতি অসভ্য জাতি দক্থ্যপদবাচ্য। আর্ধাগণের . পরাক্রম-. প্রভাবে এই দলের কতকগুলি রণ, কতকগুলি গিরিগহবরে ও কতকগুলি ভারতের সীর্মাুমিতে ভ্রমণ করিতে থাকিল। সেইহেতু তাহাদিগের মন্প্রীয়-বিশেষের নাম কিরাত হইল। আধ্যগণ ভারতে আদিয়াই কৃষি, বাণিজ্য শিল্প, ধর্দনীতি, রাজনীতি ও কাব্যকলা প্রত্থুতির বিকাশ করিলেন। তাহা- দিগের যাবতীয় কাথ্য ধরতে নিবন্ধ ই সমস্ত সি ধর মহিত সঃ থাকার. কুল ব্যক্তিবে | ১ ভারতীয় আর্্জাতির আদিম অবস্থা । করিতে হইত।. ভারতের আধ্যগণ যৎকাঁলে পরম জ্ঞানী, তৎকালে পৃথিবীস্থ অধিকাংশ মনুষ্য বর্বর বলিয়া খ্যাত ছিল, আধুনিক ভারতীয় আর্ধ্যসস্তানি বর্বর বলিয়া খ্যাত না হউন, কিন্তু হীনবল, হ্বীনসাহপ, হ্বীনপ্রভ বলিয়। অন্যের নিকট তাড়িত ও তিরস্কৃত হইতেছেন। শ্ববৃত্বিকার্্যে পটুতা লাভ : করিয়৷ পুর্বপুরুষদিগের আচার, ব্যবহার, বুদ্ধিমত্তা ও কল্পনা শক্তির মহিম| বিস্থৃত হইয়। গিয়াছেন। বিদেশীয় ব্যক্তির লিখিত বিষয় ও কথিত উপদেশ পরম পদার্থ জ্ঞান করেন। আমরা এ প্রস্তাব বাহুল্য করিতে প্রয়াস পাইৰ না) ত্র ক্রমে ভারতীয় আর্ধজাতির আচার, ব্যবহার, শিল্প, বিজ্ঞান, ধর্মনীতি ও রাজনীতি প্রভৃতির বিষয় বর্ণন করিব। তাহা দেখিলে অবশ্ঠই আর্্জাতি কি ছিলেন, এক্সথে পূর্বতন আর্যগণের অধন্তন সন্তানপরম্পরার কি হূর্দশা হইয়াছে, ইহ! অনেকাংশে বোধগম্য হইবার সম্ভাবনা । একজন বিদেশীয় সভ্য লিখিয়াছেন, সষ্রি-প্রক্রিয়! দেখিয়! নিশ্চয় বোধ হইতেছে যে, অত্তি ক্ষুদ্র জীবপরম্পরার ক্মোন্র- তিতে একজাতীয় বানরের লেজ খসিয়া পড়ায় মানুষের উৎ- পন্ভি হইয়াছে। মন্ত্রষোর পরবর্তী অবস্থা ঈঙ্বরত্ব গ্রাপ্তি। অর্ধ শিক্ষিত ও অশিক্ষিত যুবকের নিকট ইহা পরম পবিত্র ও হিত- জনক বিজ্ঞানমূলক উপদেশ বলিয়া বোধ হইল। . পাঠক, দেখ, কতদিন পূর্বে ভারতীয় আর্ধ্গণ কি ভাবে কি বিষয় কেমন বর্ণন করিয়াছেন। তাহার মর্দন ভেদ কর, বুধ কল্পন! বোধ হইবে না । ০০০০০ পু হৃহি-পরত্রিয়া। প্রকৃতি সংযোগে ঈশ্বরের তিন গুণ হইতে ব্গা, বিষ ও মহেশ্বর, এই তিন দেবের উৎপত্তি হয়। ইহারা যথাক্রমে রঃ) সত্ব ও তমৌগুণান্বিতি। এই ত্রিবিধ মৃত্তিতে জগতের সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয় হয়। শুঁতরাং এই ভ্রিবিধ গুণের মধ্যে রজোগুণের র্যা সি, সত্বগুণের কার্ষ্য পালন) তমোগুণের কার্য্য নাশ। পরমেশ্বর তরিগুণাত্বক। অহ্গা। বিষুট ও মহ্ষের, এই রগ জগণীশ্বরের অবস্থান্তর মাত্র। পরমেশ্বর সর্ধভূতেই অবস্থিত অর্থাৎ ক্ষিতি, অপ্‌, তেজঃ, মরুৎ। ব্যোষ, চনত, কুর্ধ্য প্রভৃতি স্বাবরজঙ্গমাদি প্রকৃতিতে ও প্রাণিগণের জীবনে অবস্থান করেম। কেহ কেহ আপত্তি করিতে পারেন যে, ঈশ্বর হস্তগদাদি- বিহীন নিরাকার নিগুণ, তিনি কিরূগে সাফার হইলেন ও জগনিন্মী করিলেন; ইহা কি সন্তব ছইভে পারে? এইজন্য আর্ষগণ ঈশ্বরের একেই তিন, তিনেই এক, এবং সর্বশক্তিমত্ত! ও চৈতন্ত স্বীকার করেন, প্রন্কৃতিকে জড়ম্বয্নপ জ্ঞান করিয়া থাকেন। প্রকৃতি ও পুরুষে অর্থাৎ ঈশ্বরের শক্তি জড়ে সংযুক্ত হইলে জগতের সৃষ্টি হয়। প্রকৃতির পুষ্টি হইলেই জগৎ বর্ধিত হয়) তখন উহাতে মীয়ার আবির্ভাব হয়। জড়ের চৈতন্ঠের নাম মায়।। মায়-গুণের ধংস হইলেই সৃটস্তর শক্তি যায়| টিপি প্রন্ৃত মহামায়া-ংযুক্ত | যেখানে তমোগুণের সমাবেশ হইয়াছে, সেইখানে লয়। ্ মন, রঃ ও তমোগুণের যাবা প্রকৃতি কোন হা ৪. ভারতীয় মার্যযজাতির আদিম অবস্থা । করেন না। এই অবস্থায় ঈশ্বরকে নিগুণ ও নিরাকার বলে। প্রকৃতি মায়াবিশিষ্ট সত্বগুণৌদ্রিক্ত হইয়া মহন্তত্বকে প্রসব করেন। উহ! হইতে অহঙ্কারের উৎপত্তি হয়। অহঙ্কারে সত্বগুণের উদ্রেক হইলে জ্ঞানেন্দ্রিয়, কর্শেন্দ্িয় ও মনের জন্ম হয়। বজো- গুণোদ্রিত্ত অহঙ্কার হইতে পঞ্চতন্মাত্র জন্মে । পঞ্চতন্মাত্র হইতে পঞ্চ মহাঁতৃতের জন্ম হয়। পঞ্চ মহাভূত ও শব্ধতন্াত্র হইতে আকাশের উৎপত্তি হয়। আকাশের গুণ শব । শব্বতন্মাত্র ও ম্পর্শতন্মাত্র হইতে বাযুর উদ্ভব হয়। বায়ুর শব ওস্পর্শ আছে। শব্তন্মাত্র, স্পর্শতন্মাত্র ও রূপতন্মাত্র হইতে তেজের উৎপত্তি হয়। তেজের শব, স্পর্শ ও রূপ, এই তিন গুণ আছে। শবতন্যাত্র, স্পর্শতন্মাত্র, রূপতন্মাত্র ও রসতন্মাত্র হইতে জলের উৎপত্তি হয়। জলের গুণ, শব, স্পর্শ রূপ ও রস। এই চারি তন্মাত্র ও গন্ধতন্মাত্র হইতে পৃথিবীর কৃষ্টি হয়। পৃ্থীর রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ ও শব, এই পঞ্চবিধ গুণ আছে। পুরুষ ও প্রকৃতির রজোগুণান্বিত পঞ্চতন্নাত্রের অবস্থা" বিশেষকে বিধাতা শব্ষে উল্লেখ করা হইয়াছে। বিধাতার মানস পুত্র প্রথম সাত. পরবর্তী তিন। যথা মরীচি, অভ্র, অঙ্গিরা, পুলস্ত্য, পুলহ, ক্র, .বশিষ্ট, ভূত, নারদ ও দক্ষ। মরীচির পুত্র কশ্তপ। কশ্তপ হইতে সমুদয় প্রজা! স্থষ্ট হয় ॥ এক্ষণে দেখ, কশ্তপ বলিতে কাহাকে বুঝায়? যিনি দেব, দানব, দৈতা, কাদ্রবেক়্ ও বৈনতেয় প্রভৃতির পিতা। কণ্ঠপের পরীর নাম কাশ্যপী. কাশ্যপী শব্দে পৃথ্থিবীকে বুঝায়। কশ্যপ আকাশরূপী মহাভূতসমন্থিত সত্বগুণবিশিষ্ট পুরুষ অর্থাৎ ভীবাত্মা; পৃথিবী পঞ্চমহাভূতসমন্থিত রজোখুণমম্পন্ধ দশ অবতার ও ডারুইন সাছেবের মত। ৫ প্রকৃতি, (অর্থাৎ জড়পদার্থ), সুতরাং কশ্যপপত্বী অদিতি, দিতি, কদর, বিনতা। দ্ধ প্রভৃতি পৃথিবীপদবাচ্য । অতএব (আকাশ) বর্গ ও পৃথী সংঅবে* সর্ববিধ প্রাণীর জন্মবিষয়ে আর অসম্তা- বনাকি? মংস্য কুম্মাদি দশাবতারে ঈশ্বরের আবির্ভাব হইয়াছিল, তাহাতেই বা কি বিপর্যয় উপস্থিত হইতেছে, উহার বূপকাংশ পৃথক কর, অবিশ্বাস হইবে না। (সিএস দশ অবতার ও ডারুইন সাহেবের মত। “্যস্যালীয়ত শন্কসীয়ি জলধি! ষ্ঠ জগন্মগুলং, দংস্টায়াং ধরণী, নথে দিতিস্তাধীশঃ, পদে রোদগী। ক্রোধে ক্ষত্রগণঃ, শরে দশমুখঃ পাণৌ প্রলম্বান্থরো, ধ্যানে বিশ্বমসাবধার্থিককুলং কন্মৈচিদন্মৈ নমঃ ॥৮ পাঠক ! তুমি অবপ্ঠ শুনিয়াছ যে ডারুইন সাহেবের মতে মন্নষোর! বানরের অবতারবিশেষ। সে কথায় তোমার যদি বিশ্বাম হয়, তবে মন্থর পরে অবশ্ঠ তদপেক্ষা অধিকতর- শক্তিম্পন্ন অন্ত কোন জীব জন্মিবে, স্বীকার করিতে হয়। কিন্ত ভারতবর্ধীয় আধ্যজাতিরা সেরূপে এক বস্ত্র অবয়ব দ্বারা অন্য কোন উতর যোনির সৃষ্টি কল্পনা করেন না । ইাদিগের কল্পনা অন্ঠ- প্রকার, তাহার আধার পরমেশ্বরের ক ই্দং। দ্যাবা পৃথিবী ন মত্যমন্ত পিতর্মাতর্যদিহোপক্রবেবাম্‌। ধথেদনংহ্িতা, ১ম মওল ১৮৫ শুক্তঃ ১১ খকু। হে পিতঃ দে, হে মাতঃ পৃথিবি। এই যল্পে আমরা! যে স্তব করিতেছি, তাহ। সত্য অর্থাৎ সফল হউক। ৬ ভারতীয় আর্ধ্জাতির আদিম অবস্থা । ইচ্ছা । ইহীদিগের মতে পরমেশ্বরের ইচ্ছাতেই জগতের উৎ- পত্তি, স্থিতি ও ধ্বংস হয়। বানরের লাঙ্গল খসিয়া পড়িলে মানুষের স্থষ্টি হয় না । তাহা যদি হয়, তবে উল্লুকের লাঙ্গুল নাই, সুতরাং তাহাকেও মন্ধুষ্যের অগ্রজ বলা উচিত । এসন্বন্ধে আমরা ডারুইনের সঙ্গে এ্কমত্য অবলগ্বন করি বাঁ না করি, কিন্তু এই কথ! একান্তই বল! কর্তব্য যে ডারুইন সাহেবের মত আশ্ধ্যজনক নহে । ভারতবর্ষীয় আর্ধ্য-জাতির পুরাণরচয়িতৃগণ ও তান্ত্রিক মহোদয়বর্সের অভিপ্রায়গুলি দেখিলে উক্ত মহোদয়ের মত ইহা দিগের মতের ছায়াস্বরূপ বোধ হইবে । পৌরাণিকর্দিগের মতে ভগবান্‌ প্রথমে মহন্ত অবতার হন; তাহার দ্বিতীয় অবতার কৃর্ম; তৃতীয় অবতারে বরাহ; চতুর্থ অবতারে তিনি নৃসিংহরূপে অবনীতে আবিভূতি হন। এইটী তাহার অর্দপশ্ু ও অর্দমনুষ্যাকৃতি । ইহারই সংস্করণে এক- কালে তিনি বামন অবতার হন। ইহাকেই ত্রিবিক্রম মূর্তি কহ যায়। এইটাত্তে তিন খানি পা৷ দেখাইলেন। ষষ্ঠে পরশ্ু- রামের জন্ম । এই রূপটাই একেবারে মন্তৃষ্যের প্রকৃত রূপ । প্রিয়দর্শন পাঠক! তুমি মনে করিয়াছ পৌরাণিকদিগের রচন। রূপক ও করনাতে পরিপূর্ণ, সুতরাং প্রকৃত বিষয়ের মূল পাওয়া বড় ভার। বিবেচন! করিয়া দেখিলে, ইহা তাদৃশ . নির্দুল বলিয়া কদাঁচ বোধ হইবে না। ইহাদিগের মতে মত্ন্ত-সবতার বেদের উদ্ধার-কর্তা। জগৎ্কারণ পরমেশ্বর বেদের উদ্ধীর জন্ত কেনই বা মতন্ত-রূপ ধারণ করিতে গেলেন? স্থকীয় চিন্ময় রূপে কি বেদের উদ্ধার দশ অবতাঁর ও ডাঁরুইন সাঁছেবের মত। ৭ হইতে পাঁরিত না? অবশ্ত হইতে পারিত। তবে কেন মীন: ্প ধারণ করিলেন, তাহার নির্ণয় করিবার চেষ্টা করা উচিত। পৌরাণিকেরা কহেন, “জগন্মগুল' প্রলয়-পয়োধি-জলে নিলীন হইলে, ভগবান মীন-রূপ ধারণ করিয়া অপৌরুষেয় বেদের রক্ষা করেন।” এখন দেখ_বিদ ধাতুর অর্থ জ্ঞান, জ্ঞানের বিষয়কে বেদ বলা যাঁয়। সৃষ্টির প্রথমে জলের আবি- ভাব, অতএব জলীয় জগতে যে প্রাণী আরাম বিরাম করিয়া জীবিত থাকিতে পারে, জগদীশ্বর তাহারই স্থষ্টি করিলেন । জীবমাত্রেরই চৈতন্য আছে, খী চৈতগ্ঘকেই সুখছুঃখাদি-বোধ- বিষয়ক জ্ঞান কহী যাঁয়। দেই বোধকেই বেদ-শবে নির্দেশ করা যাইতে পারে। প্রলর-কালীন জলে তাবৎ জীব নষ্ট হইয়া ূ গেল। এখন জলীয় জগতের মধ্যে কোন্‌ প্রাণীর প্রতি জ্ঞান রাখা যাইতে পারে ? দেখা গেল, মত্গ্তগণই জলীয় জগতের । উপযুক্ত জন্ত। তাহাদিগকেই এ জগতে বুদ্ধিমান্‌ প্রাণী ধরা | যায়। জলের পরে মৃত্তিকাঁর উৎপত্তি। এখন পার্থিব জীবের স্থষ্টি ওয়াই সম্ভব, তদন্থসারে জল ও স্থলচরের কির্ঘাণ হইল । এবার কৃর্ম আসিলেন। পৌরাণিকমতে ভগবান্‌ কুন্মাবতারে মেদিনীমগ্ডলকে প্রলয়-পয়োধি-জল হইতে উদ্ধার করিয়া! নিজ- ৃষ্টভাগে ধারণ করিয়া আঁছেন। এবারে জলীম্ব পরমাণু পার্থিব পরমাণুর সহিত মিশ্রিত হইয়া ঘনীভূত হইল । কাজে কাজেই এবারকার অবতারকে বলিষ্ঠ ও কঠিন করা প্রয়োজন জানে পার্থিব-পদার্থের দ্বারা তাহার অবয়বের অধিকাংশ নির্মিত হইল। পৃষ্ট'ভাগ এমন দৃঢ় যে, উহার উপরি অত্যন্ত গুরু বস্তু রক্ষা ক্রিলেও ভাঙ্গে না। কৃর্মাকে ভারসহ জ্ঞানে ৃ 1 ী ৮ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । ভগবানের দ্বিতীয় অবতার কল্পনা করা হইল। এই কালে যে: সকল জীবের সৃষ্টি হয়, তাহারা এতদপেক্ষা বলিষ্ঠ হয় নাই। : ভগবান্‌ খন বরাহ-ূর্তি ধারণ করিলেন, সে সময়ে পার্থিব: জগতের দ্বিতীয় অবস্থা। এ অবস্থায় পৃথিবীর উৎপাদ্দিকা শক্তি অত্যন্ত অধিক । বিশেষতঃ জল-প্লাবন দ্বারা পৃথিবীর | উপরিভাগে বন ও জঙ্গলের উৎপত্তি শীঘ্র শীত্ব হইতে লাগিল। এমন অবস্থায় কাহার উৎপত্তি সম্তভব্পর ? পৌরাঁণিকের| দেখি- লেন, বনে বরাহাঁদি জীবের স্থষ্টি ভিন্ন অন্য প্রাণীর স্থা্টি হইতে পারে না। জ্ুতরাং তৃতীয় অবতারে বরাহ-রূপই সঙ্গত। তখন পৃথিবীর উপরিভাগ পুর্াপেক্ষা আরও কঠিন হইয়াছে। কাজেই দন্তজীবীর স্থ্টি না করিলে বৃক্ষলতাদির ছেদন ভেদন সম্ভব নয়, সুতরাং বরাহ-ূর্তি দ্বারা মেদিনীমগ্ডলের উদ্ধীর সাধন হয়। সে সাধন আর কিছুই নহে, পৃথিবীর এ অবস্থায় বরাহ প্রভৃতি দন্তজীবী ও নানাপ্রকার শৃঙ্গীর স্থ্টি হয়। পুরাণের মতে এই বরাহের এক একটা কেশর গিরি-শিখর-তুল্য | পদার্থ- বিৎ প্ডতাদগের মতে কেশর ও শৃঙ্গ এক পদার্থ, তদন্ুসারে বল! যাইতে পারে যে, এই স্থষ্ি দ্বার দ্তজীবী ও শৃক্গীর স্যষট দেখান হয়। কৃর্সের স্থষ্টি দ্বারা নথীর স্থষ্টি দিদ্ধ হইয়াছে । পৃথিবী চতুর্থ অবস্থায় মন্ুষ্যের আবাস-যোগ্য হইল বটে, কিন্ত তখনও আম মাংস ও যদৃচ্ছালব ফল মূল ভোজন ব্যতীত পৃথিবীতে মন্্যাদির জীবন-ধারণ সাধ্য নয় জ্ঞানে অন্দপন্ত ও. অর্মনুষ্য ভাবাপন্ন জীবগণের স্থ্টি হইল। তাহার উদীহরণ- স্বরূপ নরসিংহ-মূর্তির আবির্ভাব দেখা যাঁয়। এই অবস্থায় দৈত) দানবাদির প্রাণসংহারের সংবাদ পাওয়া গেল। তদবধি দশ অবতাঁর ও ডাঁরুইন সাহেবের মত। ৯ (লাকে ইতিবৃত্বকথনের শৃত্রপাত হইল। এই অবতারে ্লাণি-দংহারাদি পঞ্ুবৃত্তি ও হিংসার গ্রাবল্য দেখা যায়। এই অবস্থায় মন্ুষ্যুগণ দৈত্য-দানব-তয়ে কম্পিত-কলেবর ছিলেন। দৈত্যেরাই প্রায় হর্তা কর্তা বিধাতা ছিল। পঞ্চম অবস্থায় এই ধরাধাম মনুষ্যাদি জীবগণের পক্ষে অপেক্ষারৃত সুখাবাসের স্থান হইল। এই মময়ে মন্নষে রা আম্মদল-বল-সহকারে হিংস্র জীব জন্তর প্রাণ-সংহার করিতে লাগিলেন । হিং জীবগণও মন্ুষোর দৌরাস্ম্য সহা করিতে না পারিয় নিবিড় কাননে আশ্রয় লইল, তদবধি হিং জন্থগণের মনে ভয়ের সঞ্চার হইল। ইহার পর যে অবতার কল্গিত হইয়াছে, তাহার রূপ ত্রিবিক্রম মূর্তি। এই সময়ে সংসারের 'অনেকথানি শ্রীবৃদ্ধি হইল, অর্থাৎ মন্ুষ্য-শক্তির পরিচয় পাওয়া গেল। মন্থষ্যের বুদ্ধিবলে আত্মঙ্ঞান-প্রভাবে ইচ্ছা, করিলে ্বর্মমর্ভয পাতাল সর্বত্রই যাইতে পারেন । তাহাই প্রদর্শম জন্য ভগবান্‌ ক্ষুদ্র-কলেবর বামন-অবতার ও সেই অবস্থাতেই ত্রিবি- ক্রম-্র্ূপ মহাবিরাট্আকার ধারণ করিয়। বলির প্রতিশ্রুত ও অবশ্যদেয় ত্রিপাদপরিমিত স্থানের গ্রহণ জন্য স্বর্গে ও মর্ত্যে পাদ-বিক্ষেপ করিলেন। আকাশের নাম বিঞুপদ, হুতরাং বলিরাজার তাহাতে কোন অধিকার নাই। এই হেতু তিনি উহা দিতে অসমর্থ হইলেন। ত্রিপাদ ভূমির মধ্যে পাতাল ও মর্তয এই দুইটার দান সিদ্ধ হইল। আকাশ বিজুর পাদ বিশেষ, অতএব বলির প্রতিজ্ঞা তঙ্গ হইল। : এক্ষণে মন্থষ্যেরা পরমে- খবরের অস্তিত্ব" বুঝিতে পারিলেন। ভীহাদিগের অস্তঃকরণে : শ্বরের সবার উপলদ্ধি হইল। : আঁকাশস্থ সমস্ত উজ্জল ১৪ ভারতীয় আর্যযজাতির আদিম অধস্থ!। পদার্ঘকে পরমেশ্বরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অথবা স্বরূপ জ্ঞানে উপাসনায় দত হইলেন। এখানেই ডারুইন সাহেবের লাঙ্ুলতরষ্ট মনথযাঁ-জীবের সৃষ্টির আরম্ভ হয়। যদি মনুষ্যকে ত্রিপাঁদবিশিষ্ট ধরা যায়) আর তাহাকে গর যুগে না দেখা যায় তবে অবশ্য বলী যাইতে পারে যে) উারুইন সাহেব মহোদয় হিনু'দিগের পুরাণের ছায়। লইয়াছেন। এক্ষণে দেখা যাইতেছে ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম। ইহার অন্ত্র কুঠার। মন্ুযাসকল যখন নিতীস্ত অসভ্য নয়)ও প্রয়োজনীয় বস্ধ নির্মাণ করিতে শিখিয়াছে, তখনি তাহার জন্মের কল্পন!। ইনি সর্বাবয়ব-সম্পন্ন মনুষ্য-দেহে আঁবিভূতি হইলেন। তদবধি একেবারে-ঈশ্বরে মন্থুষ্য-ধর্্ম অর্পণ করাইয়। এখানে পৌরা- ণিকত।ার যৌবন-কাল ধর! যাইতে পারে। পৌরাণিকদিগের মতে ঈশ্বর মনুষ্য-দেহে অবস্থীনপূর্বক পাপ পুণ্যের বিচার করিয়া স্যটি) স্থিতি ও প্রলয় করিতে পারেন । | এক্ষণে আর একটী কথা বলা উচিত থে, মছামছোপাধ্যায় ডারইন সাহেব মহোদয় যে মত এক্ষণে প্রচার করিয়াছেন, পৌরাণিকদিগের মত লকল শুষ্মানুহক্রূপে পর্য্যালোচন। রিলে তাহাকে ভারতবর্ধীয় আর্য্যজাতির মতের অনুকারী তিন আর কি বলা যাইতে পারে ?-তবে তিনি যে' সমরের লৌক) তীছার ধতদূর জানালৌক গাইবার সম্ভাবনা, আর্ধ্য- জাতির পক্ষে তাহার পরমাণু-পরিমীণ মাত্রও পাইবার সম্ভীবন। ছিল না। তথাপি ইহ্ার৷ বুদ্ধিবলে সংসারের খাঁদৃশী শ্রীবৃদ্ধি করিয়াছেন, তাদৃশী শ্রীবৃদ্ধি ফোন জাতি তখন করিতে পারে দশ অবতার ও ডাফুইন মাছেবের মত । ১৯ মাই । জ্ঞান-কাণ্ডে ইহাদিগের অদ্ভূত শক্তি। ধন্য আর্ধ্গণ ! (তোমাদিগের শ্রীচরণে কোটি কোটি প্রণাম । তোমরা মাকর্তেয- পুরাণে যাহা কহিয়ান্, তাহার মশ্গ্রহ কে করে? | দেখ, জগৎ যে কালে একার্ণবে মগ্ন ছিল, তৎকালে মধু ও (কৈটত নামে ছুই অন্তর বিষ্ণুর কর্ণমল হইতে জন্ম গ্রহণ করিল। জগৎ ঘে সময় জলে মথু ছিল, তখন কীট পতঙ্কাদিরই স্পট সম্ভাবনা? স্থত্বরাং তহাদিগেরই কল্পনা দেখা যাইতেছে । মধু ও কৈটভ _এক্ষণে ব্যুৎপত্তি অনুসারে বিচার করিতে গেলে ইহা৷ প্রতীত্বি হইবে যে, কীটভ (কীটবৎ ভাতি যঃ সং কীটভঃ) শবধের উত্তর স্বার্মে প্রত্যয় করিলে কৈটত্‌ পদ হয়) মধু একপ্রকার কীট-বিশেষ (অর্থাৎ যাহার! মধুগান করে)। তাহার প্রমাণ জ্বন্য কালিকা-পুরাণের বচন উদ্ধৃত্ত কর! গেল গতিধকর্ণ মল-চুর্ণেত্যো মধুনামান্থরোহতরখ। উৎপন্ন; সচ পানার্থং যন্মাৎ মৃগিতবাম্মধু। অতস্তস্য মহাদেবী মধুনামাকরোত্তদদা ॥ মধুশবে জল, যথা “মধু ক্ষরস্থি সিশ্ববঃ” ইত্তি মধুসক্রমূ। ভগবান্‌ বিষ পঞ্চনহুত্র বর্ষ পর্য্যন্ত এই ছুই অন্থুরের সঙ্গে ঘুদ্ধ করিয়াছিলেন। তংপরে তাহাদিগকে বিনাশ করেন। বিনাশ-কালে তাহার! বিষ্ণুর নিকট এই প্রার্থনা করে যে, আমর! য়েন পৃথিবীর উপরি ভোমার হস্তে নিধন প্রাপ্ত হই” | এন্ণে বিঢার-মার্গে ইহাই যুক্কি-যুক্ত বোধ তব য়ে, কালে পৃথিবীর উপরিভাগে জল ছিল, ভংকালে কেবল কীটগতকাির স্ব হয়। যখন অবনীসখল পাঁচ কার, বৎয়র জাতির ১২ ভারতীয় আর্ধ্জাতির আদিম অবস্থা | : করিল, তখন জল কমিয়া গেল-মৃত্তিকা ঘনীভূত হইল। এ সময়ে কীট পতঙ্গ প্রায় বিনষ্ট হইয়। আদসিল। এইজন্যই বোধ হয় মধুটকটভগ্থয় মৃত্তিকার উপরিভাগে আপনাদের মৃত্যু-কাঁমনা করে। দেখ দেখি পৌরাণিকেরা কেমন নিগুঢ়ভাবে-কেমন রূপকে- দার্শনিক মত সংস্থাপন করিয়াছেন। ডারুইন মহোদয়ও কহিবেন, জলীয় জগতের প্রথম স্থট্টিকালে কেবল কীট পতগ্গেরই উৎপত্তি হইয়াছিল। ডাঁকইনের মতে আর্ধ্য- দিগের মতের ছায়া স্পষ্ট উপলব্ধি হয়। আমাদিগের কোন কুতকী পাঁঠক কহিতে পাঁরেন, তাহারা ব্রন্নাকে পর্ধান্ত ন্ট করিতে উদ্যত হইয়াছিল এবং বাহযুদ্ধও করিয়াছিল। ব্রহ্গা তেজোময় পদার্থ। জলকে বিষ্ণুশকে নিদ্দেশ করাযায়। দংশমশকাদি ক্ষুদ্র প্রাণিগণ কীট শবে নির্দিষ্ট হইয়াছে। স্তরাং জলরূপী নারায়ণকে অর্থাৎ বিষ্ণু কেও সেইপ্রকার স্বহাস্তে মৃধু--জলীয় কীট ও কীট-সদৃশ প্রাণী জর্থাং পতনদিগকে-নাশ করিতে বাধ্য হইতে হইয়াছিল। ক্রমে যখন ক্ষে ণীদেবী হৃষট, পুষ্ট ও বলিষ্ঠ হইয়া! আসিতে লাগিলেন, তখন তিনি ক্রমে ক্রমে অপেক্ষাকৃত বৃহত্তর প্রাণী প্রসব করিতে লাগিলেন, সেই সময়ে মহিষানুরের সঙ্গে আদ্যা- শক্তির যুদ্ধ বর্ণিত আছে। দেবাস্ুরের যুদ্ধ একশত বৎসর ব্যাপিক়্া হয়। তৎপরে মহিষান্থর আদ্যাশক্তিকর্তৃর নিধন প্রাপ্ত হয়। মহিষান্্ররের নিধন-প্রাপ্তির পূর্বে চিক্ষুর, চামর, বিড়ালাক্ষ ও মহাহন্থ প্রভৃতি মহিষাস্থুর-সেনা মহাশক্কি হস্তে বিনষ্ট হইয়া” ছিল। তৎপরে মহিষালুর স্বয়ং লয় প্রাপ্ত হয়। মহিষাস্তরের উৎপত্তির পর গজের ্ৃ্টি হয়্। পাঠক! তুমি মার্কণেয় চ্তী দশ অবতার ও ডারুইন সাঁছেবের মত। ৯৩ পাঠ কর, অবশ্ত ইহার তাৎপর্য্য বুঝিতে পারিবে। দেখ, কীটপতঙ্গের জন্মের পর কত শত বৎসর অতিক্রান্ত হইলে মহিষের জন্ম হয়। তংপুর্বে উদগ্র, চিক্ষুর, চামর, বিড়ালাক্ষ প্রভৃতি জাবের জন্ম হয়। স্ৃষিপ্রক্রিয়। দেখিয়া! বোধ হয়,মহিষের পূর্বে সিংহ ও হস্তির জন্ম হইয়। থাকিবে । পুরাণান্তরে যে- প্রকার অর্ধপন্ত ও অর্মনুষ্য স্বরূপ নৃসিংহের রূপ-কল্পনা, এখানেও সেইপ্রকার অর্ধপন্ত অর্ধমানবাক্কৃতি মহিযাস্থরের আকার দেখা যাইতেছে । উভয় পক্ষেই সমানত্বের জাজ্জল্য- মান দৃষ্টান্ত অনায়াসে নিদ্দেশ করা যাইতে পারে। মহাহ্‌নকে হনুমান কহা যাঁয়। সুতরাং ইহা বলিতে কদীচ লজ্জা! হইবে না যে, বানর হইতে মনুষ্য নয়; কিন্তু অন্ধ পশুর অবস্থা হইতে মনুষ্যের অবস্থা । সেইরূপ যদি কোন পাঠক কহেন, এ সকল সৈম্ত ও সেনা- পতিগণ চতুরগ্গ বলের আশ্রয়ে যুদ্ধ করিয়াছিল, স্থুতরাং এসকল অগভ্য অবস্থার কথা৷ হইতে পারে না। তাহার মীমাংসায় ইহা অবশ্য বল! যাইতে পারে যে, যেমন বৈদিক-মন্ত্রসকলে--. সয্যকে হরিতবর্ণ সপ্ত মঙ্খে বহন করে, ইন্ত্রকে মেঘ(জল) বহন করে, অগ্নিই পরমেশ্বরের স্বরূপ এবং সমস্ত পিতৃলোক. ও দেব- লোকের মুখস্বরূপ, পরমেশ্বর দেবগণ ও. পিতৃগণ অগ্নিদ্বারী তোজ্য গ্রহণ করিয়। সংসারের স্থষ্টি, স্থিতি ও প্রলয় বিধান করিতেছেন আরও দেখা যাইতেছে যে. সুয্য জড়পদার্ঘৎ অথচ কিরণগুলিকেই. তাহার অঙ্বস্থরূপ কল্পন! কর! হইয়াছে মেঘ এবং আগ্নিও জড়পদীর্থ, নতরাং তাহাদের, গুণ ভিন্ন আর কি বলা যায়? বেদ, স্থৃতি। পুর ॥ ও তন্রাদিতে রঃ ১৪ ভারতীয় মাধ্যজতির আদিম অযস্থা । এ সমুদয় বস্তরই এঁশী শক্তি বর্ণিত আছে। ইহাদিগের আকার নানাবিধ, পরিবার ও সন্তানাদিও অনেক । উপাসন' দ্বারা যাহার ইহাদিগকে প্রন্ন করিতে পারেন) এ ষকল বস্ত তীহা- দিগের পক্ষে কল্পতরুশ্বরূপ হুইফা' উঠে। (প্রকৃতিকে বশী- ভূত করিতে পারিলে সমুদয় কার্ধ্য সিদ্ধ করা যাইতে পারে)। গাঠক ! এখন দেখ, চামর এই শৰের ব্যুৎপত্তি কি। চখর ' আছে. যার এই অর্থে চামর হইতে পারে। এক্ষণে ইহা অনা- যাসে ্রাতীতি হইবে যে, মহিষের সমকাঁলে চমরী প্রন্থৃতি তীক্ি হয়। বিড়ালাক্গ পশুগণের স্ৃষ্টির প্রক্রিরা৷ দেখিলে বোধ হয় যে, সিংহ, ব্যাত্ব, বিড়াল ও ভৎসদুশ নয়নবিশিষ্ট পশ্ত- বর্ণের উৎপত্তিও মহিষের সমকালে অথবা অব্যবহিত পরবর্তী কালে হইয়া! থাকিবে। হস্তীর পর অর্ধননুষ্য অর্থাৎ হন্ুমানা- দির জন্ম হয়। এক্ষণে প্রিয়দর্শন পাঠক ! তুমি জিজ্ঞাসা করিতে পার, কত কাল পরে ও কত দিনে কেমন_ভাবে পৃথিবীর উৎপত্তি হয়। তাহা যদি জিজ্ঞাসা কর, সে প্রস্তাব প্রসঙ্গতঃ বলিলে চলিবে মণ) উহা ম্বতন্ব বল। আবগ্তক। এক্ষণে এই মাত্র জানা আবপ্তক ঘে,যে সমস্ত বৎসরের নামোল্পেখ করা গিয়াছে, উহা! দেব- লোকের ও ব্র্ধীর বর্ষ । মন্নুষাদিগের এক বর্ষে দেবতাদিগের এক দিন হয়। দেবতাদিগের কালমধ্যে চারিটা যুগ আছে । সমস্ত যুগের গরিমীণ ১২৯০* দ্বাদশ সহ বংসর-স্সত্যের সীম. ৪৮০) ত্রেতার সীমা ৩৬**,দ্বাপর়ের মীমা ২৪০০, কলির সীমা +২০* বার শত বর্ধ। এই যুগ লমষ্টির বার হাঁগার বর্ম ব্রহ্মার এক দিন হয়। দশ অবতার ও ডাঁরুইন সাহেবের মত। ১৫ যে অনুমান-প্রমাণ অনুগারে ডারুইন মহোদয়ের মতকে আধ্যজাতির মতের ছারা-স্বরূপ কহ যাইতেছে, তাহার প্রমাণ- সংস্থাপন জন্য কয়েকটীমান্র বচন উদ্দত করাগেল। * ৬ বিষু যে জলে ছিলেন তাহার প্রমাণ :- আগো নারা ইতি প্রোক্তা আপে! বৈ আন তা যদস্যায়নং পূর্ববং তেন নারায়ণ জীব-মনে জ্ঞানের সত্তা ূ জানমন্তি সমস্তদ্য জন্তোবিষয়গোর্ট। ঘতকাঁল জন ছিল-- ূ পঞ্বর্ধনহ্াণি বাহ-প্রহরণো বিভূঃ ॥ ৯৪8 ২ চত্ীর প্রথম মাহাস্বয। জল-ভাগ শুপ্ধ হইলে কীটপতঙ্গাদি নষ্ট হয়_- শ্রীতৌ স্ব্তব যুদ্ধেন শ্ল।ঘান্তং মৃত্ারা বয়োঃ। 'আবাং জহি ন যত্রোববী সলিলেন গরিদত1॥ ১০৪। চতীর প্রথম মাহাত্বা। দৈবপরিশিত ১০৭ বর্ষ অর্থাৎ মনুষোের ৩৬৫৭ বর্ষ পর্যন্ত বন ও জঙ্গল ছিল-- | দেবাহরমতূঢ্যনধং পূর্ণমন্দশতং পুরা মহিষে হরাণামধিপে দেবানাঞ্চ পুরনূরে | ২॥ | চ্তীর হিতীয় মাহাত্মা। চমরী গ্ভৃতি ক্ষুরবিশিষ্ট পশুদিগ্রের জন্মের কথ। এবং যাহাদিশ্বের লোম অসিতুলা সুই পণুষিগের বিষয় মহিষযাহথরদেনানী চিক্ষরাখ্যো মহাহরঃ ৪* ॥ ঘুযুধে চামরশ্চামৈশ্তুরঙ্গবলাফিত;॥ ৪১। ১৬ ভারতীয় আর্ধ্যজাঁতির আদিম অবস্থা । মহিষাস্থুরের যুদ্ধের পর মনুষ্যারুতি দানবগণের যুদ্ধ দেখা যায়। পৃথিবীর পৃষ্ঠদেশ একাঁলে একেবারে শ্রুক্ক। প্রিয্দর্শন পাঁঠক! আমি তোমাকে পৌরাণিকদ্দিগের এট দ্বিতীয় মাহায্ম্য।, ত্যাজ হি রূপং মোহপি ৰদ্ধো মহামৃধে | ততঃ সিংহোহভবৎ সদো। যাবৎ তসান্বিকাশিরঃ ॥ চণ্ভীর তৃতীয় মাহাত্ম্য। মনুষাকার পশ্ত, গণ্ডারাদি খড়গ ও স্কুল-চম্মর জন্মধিষয়ক প্রমাণ-- উচ্ছিনতি তাবৎ পুরুষ? থগ্াপাণিরদৃশ্যত ॥ ৩০ ॥ তত এবাশু পুরুষং দেবী চিচ্ছেদ সায়কৈ?। তং খড়গ-চর্দণ৭ সার্ধং ততঃ সোহভূন্মহাগিজঃ 1 ৩১ ॥ চত্তীর তৃতীয় মাহাআ্বয। পুনর্বার মহিষের জন্ম অর্থাৎ মহিষ উভচর, জল ও স্থল উভয় স্থলে থাকিতে পারে-- ততো! মহাহথরে। ভূয়ো! মাহিষং বপুরাস্থিতঃ | তখৈব ক্ষোভয়ামান ব্রৈপাকাং সচরাঁচরম ॥ ৩৩ ॥ চত্তীর তৃতীয় মাহাত্মযু। অর্-পশু ও অর্ধমনুষাবস্থার বিববণ-- | ততঃ সোহপি পদাক্রান্তত্তয়। নিজমুখাতততঃ | অর্থ-নিষ্কাস্ত এবাতি দেবা! বীর্ষোগ দংবৃতুঃ ॥ ৪ ॥ অর্ধ-নিষ্কান্ত এবাসৌ যুধ্যমানো মহাহরঃ। | চ্তীর তৃতীয় সাহাম্বা। দশ অবতার ও ডাঁরুইন সাহেবের মত। ১৭ সমুদ্র-মন্থন-বিষয় দ্বারা এ বিষয়ের আরও কিছু বলিতে ইচ্ছা করি। মনোষোগপূর্বক তাৎপর্য্য গ্রহণ কর। ।_ দেখ, সমুদ্রমস্থন-কালে ভগবান্‌ নারায়ণ কৃর্-পৃষ্টে দণ্ডায়মান হইয়া মন্দর পর্বতকে মন্থন-দগড ও বাস্থকিকে রঙ্জু স্বরূপ করিয়া ক্ষীর-সমুদ্র আলোড়ন করিতে লাগিল্নে। সমুদ্রমন্থন কালে রত্বাকর হইতে যে মকল মহারতব উর্্ুত হইল, তন্মধ্যে বক্ষ্যমাঁণ নিধিগুলিই অগ্রাগণ্য। অগ্রে সেইগুলির নামমাত্র করিয়া, পরে তাহাদিগের বিষয় ও তাৎপর্য লেখা গেল। ৃ প্রথমে চন্ত্র, দ্বিতীয়ে লক্ষী । সুরাঁদেবী (বারুণী) ইহাদিগের তৃতীয়া । কৌস্তভ মণি চতুর্থ । পঞ্চমে কল্পতরু পারিজাতের উত্থান। যষ্ঠে অশ্ব-রই্ উচ্ৈঃশ্রবাঃ। সপ্তমবারে মহাগজ এরা. বতের উত্থান হয়। অষ্টমে অমুতভাঁগুসহ ধন্বন্তরি মহামহে" পাধ্যায় উখিত হইলেন। এত রত্র পাইয়াও দেবগণের মনস্তষটি হইল না। তাহার! ছুরাকাজ্ষার বশবর্তী হইয়া এবার ঘোরতর- রূপে মন্থন আরস্ত করিলেন । শেষে কালকুট উ্থিত হইল। সেই হলাহল উত্তেজিত হইয়া সংসার দগ্ধ করিবার উপক্রম করিল। তখন দেবগণের অভ্যর্থনায় অনাদি অনন্ত দেব-দেব মহাদেব মহাবিষ ভক্ষণ পূর্বক সংসার স্থির করিয়া সনি অচেতন হইলেন। তখন অভিন্ন-দেহ অভি্নাত্মা! সর্বশক্তিমতী মহাশকি- প্রভাবে বিষের শক্তি নষ্ট হইয়। গেল। তগবতীর প্রভাবে বিষের শক্তি তাঁহাতেই লীন হইল। এই সময় মৃত্যু গাত্রো- খান করিয়া স্বীয় পূর্বভাব গ্রহণ করিলেন। উর রন প্রস্তাব পাঠ করিয়া খং ভসথযান হয় যে, আমর | 1 ১৮ ভারতীয় আর্ধ্যজাঁতির আদিম অবস্থা) যখন তন্ত্র হুর্ধযের উদয় দেখি, তখন যেন উষ্ঠার। সমুদ্র হইতে উথিত হইতেছেন, এবং উদয়গিরি-শিখরে আরোহণ করিতে- ছেন। সুর্্ু্িগুলিকে উহীর অশ্ব-শৰে নির্দেশ করা হয়, এবং পরান্র শবে ইন্্নও বুঝায়। তংপরে জগতের শোভা বদ্ধিত হয়ক্ইহাকেই লক্মীর আবির্ভাব বলা ঘায়। তখপরে দিকের গ্রকাশ | বারুণী শবে পশ্চিম দিক্‌ বুঝায়। ক্ষীর-সমুজরের কৌস্ত্রভনিধি নণিমু্া [দিবোধক। তৎপরে কল্পতরু (সামুদ্রিক উদ্ভিজ্জরাজী) অর্থাৎ মহৌষধির আবিষ্কার হইল। পরে অমৃত সহ ধ্যন্তরির জন্ম। ইনি সম্পূর্ণ মনুধাভাবাপন্ন । পরে মহা- দেবরূপ পুরুষ সমস্ত সাংসারিক ক্লেশরূপ বিষপানে অচেতন হইলে মূলপ্রকতি তাহাকে সুস্থির করেন । পাঠক! পদার্থবিদ্যাবিৎ পঞ্ডিতের! যাহ! কহেন, তাহার সন্ধে মিল কর, দেখিবে, বৃহত্তেজের আবির্ডাবে তনিকটবর্থী দ্র ক্ষুদ্র তেজ তাহাতেই অন্তর্নান হইয়া যায়। আর্ধাজাতীয় গৌরাধিকগণ ইহা অবগত ছিলেন। কি চমৎকার বুদ্ধি ও অনুমান ! টি অনুমান থণে তোমাদিগের কি অদ্ভূত বুৎপ্তি! | এই গ্রস্তাবের উপক্রমণিকা ভাগ দৃষ্টি করিলে আ দাত সামাজিক অবস্থার সারভাগ বুঝা ঘ। বে | ভারত আর্ধজাতির আন জুটি ০০৮০০ উপক্রমণিকা। আরধ্যজাতির আদিম অবস্থার বিষয় বলিতে হইলে আর্ধ্য- জাতি শবে কাহাকে বুঝায়,তাহাই প্রথমে নির্ণয় করা আবশ্ক। ভারতবর্ধীয়দিগের ধর্ণশাস্্ানুসারে ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় ও বৈগ্ঠ, এই তিন জাতি আব্যজাতির মধ্যে গণ্য। শুদ্রজাতি অনার্ধ্য বলিয়! ধ্যাত। আর্ধজাতি যে স্থলে বাস করিতেন, সেই সেই স্থল পুণ্যময় ভূমি। তীহারা কুল-ক্রমাগত যে আচার অবলম্বন করিয়া অ লা রা সদাচার। উহা! শাস্ত্রাপেক্ষা পরম মান্ত। ইহারা যাহা অন্পৃপ্ত ও অণ্ডচি কহিয়াছেন, উহা আবহ- মান কাল ঠা চলিয়া আলিতেছে। ইহীরা ধর্ধশাস্ত্ের নিয়মান্ুনারে চলিয়া থাকেন। আর্ধ্যজাতির ধর্শাস্ত্ের মূল, বেদ। বেদ নিতা ও অপৌরুষেয়__এইরপ বিশ্বাম। বেদ চতুর্বিধ-স্ধক্‌, যু, সাম ও অথর্ক। বেদকে শ্রুতিও কহিয়া থাকে। লোক-পরম্পরায়শ্রত হইয়া রক্ষিত হইয়াছিল বলয়াই ইহা রতি নামে পরিগণিত্। ধিগ শুতি স্মরণ করিয়া যে সক নি প্রি করিয়া গিয়ছেন, তয় তি বাঁ ২০ ভারতীয় আর্ধজ।তির আদিম অবস্থা ধর্শশান্ত্র। খযিদিগের মং বাহার! ধর্মশান্ত্রকাঁর বলিয়া মান্(১), সুক্লুলের স্কিসর্বকালে আদরণীয় নহে; যুগে যুগে খবিবিছটে্মিত বিশেষ বিশেষ কার্যে মাননীয় (২)। তাহারা ফৌর্িবরি ইতিহাসনমা 1 কাব্য রচনা করিয়া গিয়াছেন, তৎসমন্তও শ্রুতি স্থৃতির অষ্ঠ্রূপ চলিতেছে । সেগুলির নাম পুরাগ বাঁ-উপপুরীগ । কালক্রমে, দেব-দেবী-প্রণীত বলিয়া কতকগুলি পার বিদ্ৃত হইয়াছে, সে গুলিকে তন্ন বলা যায়। এগুলি বঙ্গবাঁসী ধার্্িকসম্প্রদায় বিশেষের আদরের স্থানে অধিষ্টিত দেখ] যাঁয়। | উপরি-কখিত শাস্ত্রগুলি দৈব বা আর্ষ বলিয়৷ সকলেই শ্রদ্ধা সহকারে মানত করেন, তদ্দিষয়ে কাহারও মতদ্বৈধ প্রায় নাই। যে বিধানগুলি শ্রুতিদন্মত নয়, তাহাতেই লোকের দলাঁদলি দেখা যায়। সুতরাং ভিন্ন মতাবলদ্বীরা ভিন্ন সশ্রদায়ের লোক ও তদীয় অবলঙ্ষিত ধর্মশীস্্রের দোযোদেবাষণ পূর্বক এ দলকে (১) মন্বত্রিবিষুহারীভযাজ্দবন্থোশনোহজগি রাঃ । যমাপন্তম্বনংবর্ত! কাত্যায়নবৃহম্পততী ॥ 8॥ পরাশরব্যাসশঙ্খলিখিত দক্মগৌতমৌ । শাতাতপো বশিষ্টশ্চ ধর্শান্্র প্রযোজকাঃ ॥ ৫. যাজ্জবন্ক্যসংহিত! প্রথম অধ্যায় নারদ ও বৌধায়ন প্রভৃতিও ধর্মশান্্রকার মধ পরিগণিত | (২) কৃতে তু মানবো ধর্ন্ত্তায়াং গৌতমঃ স্থৃতঃ। দ্বাপরে শাঙখলিখিতঃ কলো পারাশরং স্বতঃ | ২৩। .. পরাশরসংহিভ। প্রথম অধ্যায়। উপক্রমণিক।।] ২১ অপাগ্ক্ের করিতে পরাঘুখ হন না । এই সুত্রে আর্্য-সমাজে দ্বেষ, হিংসা! গ্রতৃতি কুপ্রবৃত্তি অনায়াপ্্স্থান প্রাপ্ত হইয়াছে। [ আর্ধ্যজাতিরা ধর্মশাস্ত্রে নাস বশবর্তী; ধর্ম ইা- দিগের জীবনের সার বস্তু, স্থুতত্নাং:কেহ কাহারও 'অবলম্থিত ধর্মের প্রতি কটাক্ষ করিলে হৃদয়ে শেল বিদ্ধ হয়। তখন তাহার সঙ্গে আহার ব্যবহার করা দূরে থাকুক, বাক্যালাপ পর্যন্তও করেন না। এইরূপে ক্রমে ক্রমে পরস্পরের সঙ্গে পরম্পরের আহার ব্যবহার রহিত হয়। ইহাই একতা-ভঙ্গের অন্যতম কারণ। অনৈক্য ভাবই আর্ধ্যজাতির পতনের মূল । আর্ধ্জাতি কোথায় প্রথম বাসস্থান গ্রহণ করিয়াছিলেন, কতকাঁলই বা একত্র ছিলেন, তৎপরেই বা কোথায় গেলেন, তাহার নির্দারণ হইলে ইহাদিগের আদিম অবস্থার বিষয়ে অনেক সংবার্ প্রাপ্ত হইতে পারা যায়। অতএব প্রথমে ত্াহা- দিগের বাসস্থুলের সীমাদি নির্দেশ করা উচিত। _.. ইহীরা প্রথমে উত্তর দিকে আবাঁস গ্রহণ করিয়াছিলেন। ক্রমশঃ দক্ষিণাভিমুখী হন। যখন যে স্থলে অধিবাস করিতে লাগিলেন, অমনি তত্তৎ স্থলের'প্রশংসাপূর্বক সেই সেই দেশ আধ্ধ্যকূলের আবাসযোগ্য বলিয়া বিধান করিয়া রাখিতে লাগিলেন। মূল বাঁসস্থল যে উত্তর প্রান্তে ছিল, তদ্বিষযয়ে কোন সন্দেহ নাই। সকল বাঁক্তিই উত্তর টা ভাষা শিক্ষা করিতে যাইাতেন ।*্ঙ দিক্‌ বাক প্রস্থতি (৩) (৩ ফৌধীতকী ত্রাণ হইতে ৮ ব্তরদাটী দিশং _ ীজানাদূ বাগ্‌ বৈ পা, সবিতা উদীচাং. দিশি প্রজ্ঞাততরা বা দযাতে। উদ উ এব যাস্তি বাছং শিক্িতুহ। বা তত আগচ্ছতি তদ্য ব| শ্তশ্রমন্তে ইতি সআহ। এবা হি বাঁে। দিক প্রজ্জাত| |. ২২ ভারতীয় আধ্যজীতির আদিম অবস্থা । আঁর্যজাতি প্রথমে কোন্‌ প্রদেশে আগিয়াছিলেন, তাহার প্রমীণে এইমাত্র জান! যায় যে, ইহীরা উত্তর হইতে প্রথম পাদবিক্ষেপে ব্রহ্গাবর্তে বাসস্থল মনৌনীত করিক্মীছিলেন। যে দেশ সরস্বতী 'ও দৃর্স্বতী এই ছুই দেবনদীর মধ্যবর্তী, তাহারই নাম ব্রহ্গাবর্ত (আধুনিক পঞ্চনন গ্রদেশ)। ব্রন্ষীবর্তে যে আচার কুলক্রমাগত চলিয়া আসিয়াছে, তাহাই সর্ধবর্ণের সাচার বলিয়া নির্দিষ্ট ছিল (৪)। ইহাদিগের বংশবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সীমা-নির্দিষ্ট স্থল অতিক্রম করা আবন্তক জ্ঞান হইলে, অধস্তন ধংশ্তের! ক্রমে দক্ষিণাতি- মুখী হইতে লাগিলেন । তীহা'রা যে স্থলে আসিলেন, তাহার নাম ব্রন্দর্ষিদেশ | ইহাই দ্বিতীয় প্রস্থানের সীমা । ব্রন্র্ষিদেশ চারি ভাগে বিভক্ত । কুরুক্ষেত্র, মৎস্য, পাঞ্চাল ও শূরসেনক। রক্মাবর্ত অপেক্ষা, ব্রহ্র্ষিদেশ গৌরবে কিঞ্চিৎ স্টীন। তথাচ এতদেশ প্রস্থত ধিগ্রজাতির নিকট হইতে, আপন আপন জাতি এটর্জাদুদাবে” -সদাচার ও সচ্চরিত্রতা শিক্ষার উপদেশ, সকল ব্যক্তিকেই হণ করিতে হইয়াছিল। ইহাতে বোঁধ হয়, ব্রহ্র্ষি- গণ» রি স্ববেই*্তি করিয়াছিলেন ; নতুবা প্রাচীনদেশস্থ ্রানুুণকে পরিত্যাগ করিয়া, কেন অপেক্ষাকৃত আধুনিক ্ ্া্মণগণের! নিকট শিষ্টাচার শিক্ষার আদেশ হইল? ংকালে কার্যাগোষ্ঠীর সম্তানপরম্পরা উক্ত দেশসমস্তে নট ৮৮. রি ৪) মরজ্তীদৃষদ্ধত্যেদেঁবনদে্যার্যদত্তরমূ। | ভ? দেবনির্সিতং দেশং ত্রন্ধাবর্তং প্রচক্ষতে | ১৭ তশ্মিন্‌ দেশে য আচার: গারম্পর্যাক্রমাগতঃ | বর্ণানা সান্তরালানাং স মদাচার উচযতে ॥ ১৮ উপক্রমণিকা। ২২ ব্যাপ্ত হইয়! পড়িলেন, এবং স্থান সমাবেশ হয় না দেখিলেন, ভংকালে তৃতীয় প্রস্থানের সদয় উপস্থিত হইল। এইবারে মধাদেশ গ্রহণ করিলেন। হিমালয় ও বিন্ধ্যপর্বতের মধ্যবর্তী, | ৃ | 'কুরুক্ষেত্রের পূর্ববর্তী, গ্রয়াগের পণ্চিমবর্তী তৃতাগকে মধ্যদেশ কৃহী যায় (৫)। যংকালে আর্ধ্কুলের অধিক বংশবৃদ্ধি হইতে লাগিল, মধ্য- দেশ পধ্যন্ত ইহাদিগের দ্বারা সম্যক অধুাষিত্ত হইল, তথায় আর স্থান সঞ্ধুলন হয় না, প্রভাত শ্বচ্ছন্দে বাস করা অতি কষ্টকর হইল, তংকালে চতুর্থ প্রস্থানের আবাস-ভূষির গ্রয়োজন। মনে করিলেন, এই প্রস্থানে আর্ধাজাতি যতদূর অধিকার করিবেন, ভতদ্রই তাহাদিগের পক্ষে নিবসতির পর্যাপ্ত স্থান হইতে ঘারিবে। তরস্থুমারে আর্ধ্যাবর্তকে চতুর্থ প্রস্থানের আবাস স্থির রুরিলেন। আরধ্যাবর্তের পুর্ব সীমা পুর্ব সাগর, গশ্চিম সীমা পশ্চিম সাগর, উত্তর লীম। হিমালয়, দক্ষিণ নীমা বিদ্ধ্যগিরি (১) (8) কুকের মংনযান্চ পাঞচালাঃ পুরসেররী ৮. ্ রও র্‌ এ ২৪ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । এই বিস্তীর্ণ ভূথগ্ডও যখন আর্ধ্যকুলের পক্ষে অল্পমাত্র স্থান বলিয়! নির্দারিত হইল, অর্থাৎ পূর্বব দিকে ব্রদ্ধ রাজ্য, পশ্চিমে পারস্য রাজ্য, উত্তরে হিমালয়, দক্ষিণে বিশ্বাগিরির মধ্যবর্তী স্থান আধ্যগণের পক্ষে সন্কীরণ স্থান বলিয়া বোধ হইলে, ইহাদিগের প্রভৃতা সর্বত্র বিখ্যাত হইল, শৌরধ্য, বীর্ধ্য ও পরাক্রমে শ্রেষ্ঠ হইলেন, এবং অন্যের নিকট দুর্দান্ত হইলেন, তখন বিবেচনা করিলেন, এক্ষণে এজপে আর নিবসতির সীম! নির্দেশ করা উচিত নয়, বাসের যোগ্য স্থান দেখিলে তথায় বাঁদের বিধান দেওয়া কর্তব্য । এমন নিয়ম করা উচিত, যাহাতে সকলে একেবারে যথেচ্ছাচারী না হয়, অথচ নিয়মটাতেও কিছু নৈপুণ্য থাকে; এরূপ কোন বিধান করাই শ্রেয়স্কর। তাদন্ুদারে পরম সুকৌশলপুর্ব নিয়ম স্থিরাক্কৃত হইল। সে নিয়মটা এই--কৃ্- সার মৃগ স্বভাবতঃ বে দেশে বিচরণ করে, সে দেশ ঘজ্িয় দেশ, তথায় ৪ অনায়াসে বাস করিতে পারেন ॥ যেখানে কষ : রি নানার দেশ যেছেদেশত্ততঃ পর; | ২৩. এতান্‌ ছ্বিজাতয়ে। দেশান্‌ [ সহশ্রয়েরন্‌ প্রযত্ততঃ। শৃত্স্ত যন্সিন কন্মিদ্‌ বা নিবসেন্ভিকর্ষিতঃ | ২৪ |... যন্থ। ২এ। উপক্রমণিক! | ২৫ জন্ত সর্ধত্র বাস করিতে পারিবে । দ্বিজ্গণ শাস্্ীুসারে পবিত্র দেশে পবিত্র আচার ও ব্যবহার অবলগ্ধন করিয়া চলিবেন। তাহার অন্যথা করিলে দ্বিজগরণ শূত্রত্ব প্রাপ্ত হইবেন। উচ্চ জাতি হইতে নিকৃষ্ট জাতি মধ্যে গণনীয় না হইতে হয়, এই ভয়ে সর্বদা সকলে সদাটার ও সীমা অতিক্রম করিতেন না। ইহাতেই শু গ্রণের জীবন-রক্ষার উপায় হয়। কলিযুগের ধর্-বক্তা পরাশর খষি মনে করিলেন, ই লোকসথ্যা অধিক হইবে, তৎকালে এতাদৃশ স্বর-পরিমিত স্থলে অধিবাসপূর্বক দ্বিজগণের জীবিকা নির্বাহ করা অতিশয় কঠিনকর; অতএব ইহাদিগের জীবন-রক্ষার উপায় করা নিতান্ত কর্তব্য। দ্বিজকুলের পরম-হিত-জনক সে উপায় ও আদেশটী এই-_দ্বিজাতিরা যেখানেই কেন বাম করুন না, তাহারা স্বজাতি-সমূচিত সদাচার কদাচ পরিত্যাগ করিবেন না। দ্বিজীতি সমুচিত সংক্রিয়ার স্ষঠানে রত থাকিবেন। ইহাই ধর্মমীমাংলা। ০ মনুর নিয়মানুসারে দ্বিজগণ-নিষেবিত স্থল রী অন্যত্র বাসে দিজাত়ির ক্রিয়া-কলাপে অধিকার কে না না? কিন্তু কলি- ধর্মুবিৎ খষির নিয়মানুদারে দ্বিজাতিগণ: সদাচার ও. সংক্তিয়া ্ সম্পন্ন থাকিলেই যত্র তত্র বাস করিঝে নিষিদ্ধ নন।. এই বচনটা আর্ধ্জাতির উন্নতির একতম কারণ বলিয়া পরিগণিত হইতে পারে (৮), (৬) গরাশর-াহহিতা--.. রি পপি পিপিপপসস ২৬ ভারতীয় আঁধ্যজাতির আদিম অবস্থা! । আর্ধ্গণ যেমন ভারতবর্ষের সমুদয় উত্তম স্থলগুলি অধিকৃত করিলেন, তংসক্ষে সঙ্গেই শাসন-প্রণালী উদ্ভাবন করিলেন । ইহীরা৷ আপনাদিগের শীসনতার রাজার হস্তে অর্পণ করিলেন । পরাক্রমশালী ক্ষত্রিয়কে রাজপদ. প্রদীন করিতেন । নুপর্তডিত ব্রাহ্মণগণের হস্তে মন্্রণার ভার দিশ্বা নিশ্চিন্ত থাকিতেন। বৈশ্ঠ- গণের প্রতি বাণিজ্য, কৃষি ও প্পালন ভার নিক্ষেপ করিয়া” ছিলেন। ইহাদিগের দাদি নির্বাহ জন্য কেবল শূদ্রজাতি- কেই বশীভূত করিয়াছিলেন । আধ্যজাতি রাজশাসনের বশীভূত। ইহীরা রাজাকে ইন্দ্রাদি দরিকূপাঁলগণের অংশে অবতীর্ণ জ্ঞান করেন। এমন কি, জুরাজাকে সাক্ষাৎ ধর্শস্বরূপ জ্ঞান করিয়া চলেন। বিচারক ও নৃপতিকে কদাচ ভিন্ন মনে করেন ন।। বিচারাসন ও ধর্ম্মামন আধ্ধ্যগণের পক্ষে সমান। বিচাবগৃহ ও ধর্মামন্দির ইহবাদিগের নিকট তুল্য মান্য । নুপতি ও দেবতা ইহাদিগের নিকট অভিন্ন। দেবগণ নৃপদেহে অবস্থানপূর্বক লৌক পালন করেন। স্থৃতরাং নৃপতি বালক হইেও. তাহাকে অবজ্ঞা করা অনুচিত, ইহাই ইহাদিগের এক্লাস্ত বিশবীস ॥ সত্যই ইহাদিগের পরম ধর্ম। একমাত্র ধর্ম ব্যতীত আধ্যগণের অন্য শ্রেষ্ঠ সহন্‌ নাই। পরকালেও ধর্মরূপ বন্ধু সঙ্গী হন (৯)। ) ইজ্্রানিলযমার্কাণামগ্রেশ্চ বরণন্য চ। | চন্্রবিত্বেশয়োশ্চৈব মাত্র), নিত্য শাঙ্বতী;॥ ৪ ॥ যন্মাদেযাং নুরেন্রাণাং মা্াত্যো নির্মিতে। নৃশঃ। তন্মাদিভবত্যে সর্বসূতানি তেজসা) ৫। ৬১২৫ স্ব । ৭ অ। উপক্রমণিকা। ২৭ ডূগত্তিকে এতাদৃশ প্রধীন মনে করেন বটে, তথাপি তাহার অচ্ছিক নিয়ম কদীঁচ মান্য করেন না। রাজাকে প্রজাপাঁলন নিমিত্ত বিধান-সংছিতা। মানিতে হয় ॥ তিনি বিধি-নিষিদ্ধ কোন কর্ম করিতে সমর্থ নন। প্রজাপালন জন্য তাহাকে প্রাচীন খষিদিগের অনুষ্ঠিত জাচার ব্যবহার অন্থসারে চলিতে হয়। তাহারা রাজ্যশীসনের যে সমুদয় ব্যবস্থা করিয়। গিয়াছেন, সেই পদ্ধতিগুলিকে শিরোধারধ্য ভান করিয়া যে নৃপতি প্রজা" পাঁলন করেন, তিনিই প্রব্ৃতিপুঞ্জের প্রিয় হন । রাজা সদগুণশালী না হইলে রাজসিংহাসনে স্থায়ী হইতে পারিতেন না। প্রজাবর্গ ষড়যন্ত্র করিয়া অন্য রাজার দন্গে দোহস্ভবতি বাযুশঠ মৌহরকঃ সোমঃ স ধর্শরাটু। নস কুষেরঃ নল বরুণঃ স মহন্ত প্রভাবতঃ॥ ৭| বালোইপি নাবম্ত ব্যো মনুষ্য ইতি ভূমিপঃ। মহতী দেবতা! হোষ! নররূপেপ তিষ্ঠতি ॥ ৮? | . মন্ু। ৭আ। এক এব মুসধর্দো নিধনেইপ্যনুযাতি বঃ। শনীরেণ দমং নাশং সর্সনা্ধি গচ্ছতি8.১৭। | অন্থু। ৮অ। নাস্তি তাযমমো ধর্থো নসন্ধযাছিদাতে পরম্‌। নহি তীব্রতরং বি এ দি বিদযতে। ॥ ১৯৫. /॥ রাহন্‌ রাহ হপং বঙ্গ, পা, ০ খরঃ। র্‌ বহাভারত ড আিপর্ | সম্ভব শাহুন্তবে [ ২৮ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । বিবাদ বিসংবাঁদ ঘটাইক্বা দিত। ভূপতিগণ তাঁহাতেই স্থশাসিত হইয়া আসিতেন। ভৃপালবর্গ শাস্তের নিয়ম লঙ্ঘনপূর্বক : অন্যায় আচরণ করিতে পারিতেন না। পৃথিবীপতি বলিয়াই যে তিনি দমাঁজকে অগ্রীহথ করিয়া চলিবেন তাহার সে স্যোগ ছিল না। তিনি কুক্রিয়! ও অন্যায়াচরণ জন্য সমীজের নিকট বিশেষ দায়ী ও দণ্ডনীয় ছিলেন । পাঁপকারী নরপতিকে সিংহা- সনচ্যুত এবং তাঁহার বিশেষ শাস্তি প্রদানপুরঃসর অন। রাজাকে রাজোর অধিনায়ক করিয়! তদীয় শাদন মান্য করিতেন, তখাঁপি অরাজক রাজ্যে কদাচ বাস অথব! পাপাত্বার হস্তে আত্মসমর্পণ করিতেন ন! (১০)। | রাজ! রাজ্যের অধিকারী ছিলেন বটে, কিন্ত কোন বিষয়েই তিনি সর্বস্কষ ক্ষমতাঁশালীট হইতে পারিতেন না। তীহাঁকে মন্ত্রিপরিবেহিত হই! রাঁজকাধ্য পর্য্যবেক্ষণ করিতে হইত। রাজ্য-রক্ষার কখা দূরে থাকুক, শাঁসন-কার্ধযও কেহ একাকী নির্ধাহ করিতে অধিকারী ছিলেন না। বিভিন্ন কার্ষ্যে বিভিন্ন ন্তিবর্গের সহায়তা গ্রহণ করিতে হই । (১০)| বহযোহবিনয়ানিষ্টা যাজানঃ সপরিচ্ছদাং। বনস্থা অপি রাজ্যানি বিদয়াত প্রতিগেদিরে ॥ ৪* ॥ বেণে। বিনষ্টোছবিনয়ারবশ্চৈর পার্থিকঃ। হদ[সৌ খাঁষমিশ্ৈব সমুখে| মিমিরেষ (৪১ পৃথুস্ত বিনগ়াপ্াজ্যং প্রাগুবান মদুরেব চ। কৃষের্চ ধনৈতবর্াং ব্রণ কৈব গাধিজঃ 1 ৪২॥ ০ | কও . অন্। ৭জ। - উপক্রসণিকা। ২৯ কাজা স্বচক্ষে মুদায প্রত্্ষপর্বক রাজা: শাসনে অপারগ বলিয়! স্থানে স্থানে ও কার্ধ্য-বিশেষে পৃথক পৃথক্‌ শ্রতিনিধি নিযুক্ত রাখিতেন। তাহাদিগের কাধীকলাপ পরিদশনি নিমিত্ত তন্বাবধায়ক, দূত, গুপ্তচর ও ছন্মবেশধাঁরী পুরুষ নিযুক্ত করি- তেন। ঈর্ময়ে সময়ে সসৈন্যে নিজেই অধীনবর্ণের কার্যিকৃশলতা! সন্দর্শন করিতেন । আধ্যজাতির শাসনকাঁলে ক্ষত গ্রামেও রাজার প্রতিনিধি থাকিত। কোন ব্যক্তিই অন্যায় আচরণ করিয়। পরিত্রাণ পাই- তেন না । ক্ষুদ্র বা গগগ্রামের সংখ্যাহুসারে স্থানে স্থানে গুল্স- (পঞ্চায়ত)সংস্থাপন করিতেন । তথায় সসৈন্য অমাত্য থাকিতেন। তাহার অধীনে কারাগার থাকিত। গ্রামের শুর ক্ষুদ্র শাসন- কার্য গ্রামীণ মণ দ্বারা নিপক্ন হইত। তিনি আপন ক্ষমতার অসাধ্য কাধ্য দশগ্রামীণের নিকট বিজ্ঞাপন ' করিতেন। দৃশ- গ্রামাধ্যক্ষ বিংপতীশের অধ্বীনতায় আবদ্ধ থাকিতেন। | বিংশতীপ আবার শতগ্রামশান্তার নিয়ম-বশীভৃত থাকিতেন। শতগ্রাম- নিয়ন্ত। সহতগ্রামাধিপতির দকাশে শ্বকীয় শীসন-কার্যের দোষ গুণ বিজ্ঞাপন করিয়া তদীয় অলাধ্য-্কার্ধ্ের জুমিয়ম কযাইযবা লইতেন। এইরূপ ক্রমশঃ নিয়পদন্থ ব্যক্তি কি. অপেক্ষাকত নিম্ন. তরের প্রতি আধিপত্য করিতেন খুব রুপ, ৫ এ লোকের অধীন, হইছেন।. - সহরুগ্ায়াধিগতি ? ঠা অধীন হইয়া কার্য, করিতেন ।-ক্োহার-খাকি।রাজ্যশাসনের অনেক ভার সমর্পি বই 7 ফাটল 1 7৪ ১) যোজন দন দি তথা প্রামশতানা নান সংগহমূ। ১১৪ ॥ মহ: ৭ ৩০ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । ইহারা কেহই রাজকোঁষ হইতে বেতন পাইতেন না । ইহী- দিগের জীবিক1 জন্য রাজ! নিষ্ধর ভূমি দিতেন । | আর্ধ্কুলের গ্রজাগণ প্রতিদিন রাজার উদ্দেশে অন্ন, পানীয় ও ইন্ধনাদি রাজপ্রতিনিধি-দমীপে আনয়ন করিতেন। তৎ- সমস্ত দ্রব্য গ্রামমগল আপন জীবিকা জন্য গ্রহণ নিতে | ইহাই তাহার ধর্মান্থসারিবৃত্তি। | দশগ্রামীণ আপন জীবিকা নির্বাহের ১ ই হলকর্মনষোগ্য ভূমি নিষ্ধর উপভোগ করিতে নিষিদ্ধ নন। ইহা তাহার যথার্থ বৃত্তি। চারি বৃষভে এক হলকর্ষণ হ্য়। আট বৃষভের কর্ষণ-সাধ্য তুমিই ছুই হলের যোগা বলা যায়। “উহার নাম কুলতৃমি। _ বিংশতীশ আপন ভরণপোষণ রাহ হ নয: নি গ্রহণ করিতে পারিতেন। অর্থাৎ চত্বারিংশং বৃষতে: কর্ষণ-সাধ্য ভুমি নিফর ভোগ করিতে পারিতেন। ইহা, তাহার পক্ষে নিষ্পাপবৃত্তি। গ্রামন্যাধিপত্তিং কুর্যাদশগ্রামপতিত্তথা রা বিংশভীশং শতেশক্ক সহস্রপতিষেব চ |) ১১৫ গরমে দোবান্‌ সমূংগন্মান, গ্রামিকঃ শন: ্বযু। শংসেদ্ামগশেশায় দশেশো বিঃ্শতীশিলম্খ ১১৬1 বিংশতীশন্ত তত সর্ধং শতেশায় নিষোদয়েং। খংদেদ্গামপতেপন নহজখতরে ময়মৃ॥ ১১৭। | ম। ৭ উপক্রমধিক1। ৬১ গ্রামশতাধ্যক্ষ একখানি গ্রাম নিষষর উপভোগ করিতেন। তাহাই তীহার জীবিকার জন্যে ধর্মাবৃত্তি বলিয়া নির্দিষ্ট ছিল। _ স্হশগ্রামাধ্যক্ষ, স্বকীয় জীবিকা জগ্ত একখানি, নগর নিফর ভোগ করিতেন। ইহা! তদীয় ধর্মজনকবৃত্তি। ইহাদিগের কার্ধ্য পরিদর্শন জন্য নগরে নগরে এক একজন র্বার্থচিন্তক থাকিতেন, তিনি. ইহাদিগের অসাধ্য কার্য্যর মীমাংসা করিতেন। যদি তিনি কোন্রূপ অন্যায় আচরণ করিতেন, উহা রাজার কর্ণগোঁচর হইত) অবশেষে তিনি অবিচার জন্ নৃপতি হইতে শাস্তি গ্রাপ্ত হইতেন। আধা ভুপালগণ অসঙ্গত অথবা! অত্যুথিক কর্‌ বা ক গ্রহণ করিতেন না। * ইহীরা বাণিজ্যের নিয়ম ির্ধারপপু্ূক শুক লইতেন। ব্যক্তিবিশেষকে করভার হইতে নিষ্কৃতি দিতেন (১২) _ কার্ধ্যকর্তার আয়, ব্যয়, ক্ষয় ও বৃদ্ধি বিবেচনায় পণ্য- বযের আগম ও ি্দমের দুরতা, এবং দ্রব্যের প্রয়োজন অনু- স্)ে। ) যানি রাজপরদক়ানি | প্রতাহং আমবাসিভিঃ। 'অক্নপানেন্বনাঁদীনি_ খামিকস্তাসতবাধু |১১৮॥. দশী কুলসব সুধী বিংশী পৃ্ণ কুলানিচ। . .. শ্রামং গ্রামশতাধ্যক্ষঃ লহঙবাধগতি: পুরম্‌ ॥ ১১৯ ॥ তেষাং ্াম্যাদি কার্ঘ্যাণি পৃথক কার্যাণি চৈব হি। বাজনা; সচিবঃ রিনি গলদা .১২। ্। ৭ক্জ। ৩২ তারতীয় মাধধ্যঞ্জাতির জাদিম অবস্থা । সারে মূল্য নির্ঘারপপুর্বক পরিমিত শুন্ধ লইতেন। যাহা গৃহীত হইত, উহা! দ্বারা! বাণিজ্যের আসার প্রসারের কোন ব্যাঘাত সম্ভাবনা থাকিত, নাঃ এবং প্রজ্াপালনে রি হইত। আধ্ধাজাতি তিবর্ষের নুলান- যোগ্য ধান্য সঞ্চয় রাখিতেন | অন্যান্য শদ্যের স্থায়িত্ব-্ঞানে সংবৎদর, দবিবর্ষ, ৰা | ত্রিবর্ষের ব্যয়-যোগ্য সংস্থান রাখিতেন। কি মধ্যবিত্ত কি ্গতিগর সকলেই সঞ্চয়ের গু অবগত ছিলেন | | যেনকল পণ্যের মূল্য অচিরস্থারী সে সমুদয় বস্তর ম্‌ল্য নির্ধারিত পঞ্চ রাত্রি অতিক্রান্ত হইলেই রাল্াঙ্ঞায় হট্রাদির মধ্যে সর্বদমক্ষে নির্ধারিত হইত । যে বস্তর লা অপেকষা্ৃত স্থিরতর, তাহার মূল্য পক্ষান্তে নির্ণীত হইত... . বাজারের মানদ এবং পরিমাপক পাত্র প্রতি যাগ্াদিকে পরীক্ষিত হইয়৷ দ্বিতীয় যাগ্নাসিক পর্য্যন্ত অবধারিত থাকিত। পূর্বোক্ত কাধ্যের কোন বিষয়ই জার অশতপুর্ অথবা অজ্ঞাতপূর্ব থাকিত, না। | রাজকোষ ও আতর ব্যয় প্রত্যহ পরীক্ষা করিতেন। দূত- গণের নিকট হইতে প্রত্যহ, বারতা গ্রহণ, ক্রিতেন। চরের কথা গোপন রাখিয়া রাজোর, মুয়ন্ত বিয়ে তন তন করিয়া অন্থপন্ধান লইতেন :..জআর্ধাজাওি ূ গতি কিরূপ ব্যক্তির হস্তে কেমন ভার সমর্পণ করিয়াছিলেন, তাহা দেখিলে তীয় শাসন- প্রণালী জানা যায়। (১5) শপীপিপাপাপতিপাপিশিশীপপশিলীপিপপাপপাপী পদ (১৩) করয়বিঞসধানং ভক্ত সপরিবায়মূ। সোগক্ষেম্চ সপ্তক্ষ্য বশিজে। দা পদ্গেং করাদ্‌। ১২৭ শাঁসন- প্রণালী। | আর্্যগণ ভারতবর্ষের উৎরষ্ট স্থানগুলি অধিকার কন্ধিয়া প্রথম অবস্থায় কিছুকাল রাজ্য-বিস্তার-চেষ্টায় বিশুখ রহিলেন। অধিকৃত রাজ্যস্থ প্র্জাবর্গের স্থশাসন- -ম্পাদনই সে বিরতির কারণ। ইহীর! নিশ্চয় জানিতে গারিয়াছিলেন যে, রাজ্য- মধ্যে স্ুনিয়ম না থাকিলে রাজার ্তৃতা থাকে নাঁ। প্রভুসম- খিত তেজ যাবৎ রাজ্যমধ্যে বিস্তৃত ন| হয়, তাবৎ প্রজার অন্তঃকরণে পাপে ভয়, ধর্মানুষ্ঠানে প্রবৃত্তি জন্মে না। যথাশান্ যুক্তিযুক্ত রাজার দণডনীতি গ্রজাবর্গের মনোমধ্যে দে্দীপ্যমান না থাকিলে তাহাঁদিগের হৃদয়ে পাপরূপ পিশীচের একাধিপত্য হয়। পাপের বৃদ্ধিতেই সংদারে নানাবিধ অনিষ্ট ঘটে। প্রজীর পাপে রাজা নষ্ট রাজার পাপে রাজ্য নষ্ট হইয়া থাকে। স্থতরাং সংসার ক্রমশঃ দুঃখের স্থান হইতে পারে--অতএৰ এই যখ! ফলেন ঘুজোত রাজ। কর্তা চ বর্দপাম |. তথাবেক্ষা নৃপো৷ রাষ্ট্রে ক্পয়েং মত্তং করান॥ ১২৮1 ন্। খ। রি আগমং নিরগমং স্থামং তথা বু । বিচার্য রবপগ্যানাং কারয়েৎ ভয়বিকুযো 2১ ॥ পঞ্চরানে, জে পরের গতে। | সার তাকান গুনং ৃপঃ ৩৪ ভারতীয় আর্্যজাতির আদিম অবস্থা। বেল! স্ুনিয়ম করা যাউক। সুনিয়ম থাকিলে ভারত -সংসার ুণ্যভূমি বলিয়া পরিগণিত হুইতে পারিবে । (১) ভাঁরতবর্ষকে পৃথিবীর পুণ্যাশ্রম করাই আর্ধগণের প্রধান উদ্দেশ্ত ছিল বলিয়াই যাবতীয় সাংসারিক বিষয়ের সঙ্গে ধর্ম শাস্ত্রের ংশ্রব রাখিয়াছিলেন। ধর্মশাস্ত্রের সহায়ত ব্যতীত কাহারও এক পাও চলিবার সামর্থ্য ছিল ন1। পূর্র্বকালে ধর্শান্ত্রের সঙ্গে যাহার পরম্পরা-সন্বন্ধে সংশরব ছিল, উত্তর্কালে সেই স্থলগুলি অপ্রাচীন ধর্মশাস্ত্রের হর্ভেদ্য সুদৃঢ় গ্রশ্-গ্রন্থি দ্বারা অত্যন্ত সন্কট হইয়া! উঠিল। তদবধি (১) দে হি স্মহত্তেজো ছুর্দরশ্চাকতাত্মভিঃ ধর্মাদ্িচলিতং হস্তি নৃূপমেব সবান্ধবমূ ॥২৮॥ অতে৷ ছূ্গঞ্ণ রাষ্্রঞ্চ লোকঞ্চ সচরাঁচরম্। অন্তরীক্ষগতাংশ্চৈব মুনীন্‌ দেবাংশ্চ গীড়ন্বেখ। ২৯ সোইলহায়েন মুঢ়েন লুন্ধেনাকৃতবুদ্ধিনা। ন শকে) ম্যায়তো নেতৃং সক্তেন বিষায়ধু চ ॥ ৩০ ॥ .. মন্থা। ৭অ। তত্রাপি তারতং শ্রেষ্টং জদুদ্বীপে মহামুনে । | ঘতো হি কর্মতৃরেষা ইতোহস্তে সি ॥ ১১॥ অত্র জন্মসহক্রাণাং সহ্ৈরপি মত্তমম্‌1 কদাচিলপভতে জন্তর্মনুষাং পুপ্যপঞ্চয়ম্‌ ॥ ১২। গায়স্তি দেবাঃ কিল গীতকাঁমি ধন্যাস্ত ঘে ভারতভূমিভাগে। ঘবর্গাপবশী্ত চ হেতুড়ুতে | ভবস্তি ভূয়া; পুরুষাঃ হুযত্বাৎ | ১৩. রং" বিপু । ।২ অং ৩ অ। শাসন-প্রণালী। : ৩৫ আধ্য সন্তান্গণের মানসিক প্রতিভা, ও স্বাধীন প্রবৃত্তি এসকল সঙ্কট স্থলে ক্রমশঃ প্রতিহত হইতে থাকিল। বারংবার 'প্রতি- ঘাত দ্বারা আর্ধ্য সন্তানগণের হৃদয় পর্যন্ত জর্জরিত হইয়া গেল। অধস্তন সন্ততিবর্গ যদি পূর্বাচরিত গ্রণালী অনুসারে চলিতেন, নূতন নিয়মের একাস্ত অন্ধুরক্ত না হইতেন, পরি বর্তসহ স্থলে স্ুনিয়মক্রমে বিধির পরিবর্তন করিয়া সাবধানে চলিতেন ও একেবারে মূলোচ্ছেদের চেষ্টা না গাইতেন, তাহা হইলে ভারতসংসার চিরকাল সর্ধজাতির নিকট পুণ্যা শ্রম বলিক। ঘে পূর্ব পরিচিত থাকিত্ত, তৃদ্ধিষয়ে কোন সংশয় নাই। পূর্বকালে আর্ধজাতিব্ শাসনভার রাজার হস্তে সমর্পিত ছিল। এক্ষণে দেখা যাউক, আর্ধ্যগণ কাহাকে রাজা শবে নিদ্দেশ করিতেন । স্থুল দৃষ্টিতে ইহাই বোঁধ হইবে যে, অধি" কত রাজ্যে ধাহার স্বামিত্ব আছে, যিনি মন্ত্রিগণ-পরিবৃত্ত হই | প্রজাপালন করেন, বাহার সহিত অন্ত ১৬ নি মণিমাণিক্যাদিতে পরি হার নিলেন অন্যান্ত ক্ষুত্ ক্ষত্র তূম্বামী আছেন, ধিনি আপন অধিকার-মধ্যে প্রজার ধন প্রাণ ও মান রক্ষা জন্ত সৈন্য সামন্তাদি পরিপূর্ণ দুর্গ প্রতিঠিত করিয়াছেন, হিনি কাম-জোধাদি-রিপু-পরতন ন! হন এবং সর্বদা প্রজারঞ্জন নিমিন্ত রত থাকেন, ছুষ্টের দণ-বিধান ও শিষ্টের পালন করেন, তিনিই, রাছা-তেমন লোক ৃ বাতীত কাহাকেও রাঙ্কা উপাধি দেওয়া যায়. না... দই সা রাজ। হৃপতির প্রকৃতি এইপ্রকাঁর বর্ণিত আছে। এক্ষণে তীয়. ৩৬ ভারতীয় আর্যাজাতির মাদিম অবস্থা! | | ব্যবহার, অমাত্যবর্গের কার্য, সুহৃত্লক্ষণ, কোষাগারে অর্থ- দঞ্য়াদি, শ্বরাজায ও পররাজোর বার্তী-গ্রহণ এবং ছুর্গ-রক্ষণা- দির বিষয় প্রক্রান্ত বিষয়ের যথাযথ স্থানে ক্রমে ৪৪ হইবে। (২) আর্ধ্যগণ মনে করিলেন, মুনিদিগেরও মভি-বিভ্রম রি থাকে। বিষয়াসকত ব্যক্তির বুদ্ধিত্রশ হইবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা । রাজ্য-পালন-তার কেবল রাজার হস্তে সমর্পণ করিলে নান! অনিষ্ট ঘটিতে পারে। অতএব তাহাকে এককালে নিরহুশ না করিয়া অন্যদীয় সাহাধ্য সাপেক্ষে রাজ্য শাসনের'ভাঁর অর্পণ কর! মন্দ নয় । প্রজ্াবর্গ-মধ্য হইতে এমন মন্ুষ্য নির্বাচন কর! আবশ্তক, যাহার প্রতি দৃষ্টিমাত্র সর্বলোকের ও রাজার ভক্তি জন্মে) তীহাকেই রাজার সহায়স্বরগ করিয়া দেওয়া উচিত। যেহেতু, ভক্তির পাত্র ব্যতীত কেহই মন্দেহ ধ্যান বিষয়ে পরামর্শ জিজ্ঞাসা করে না। | এক্ষণে দেখা যাউক কাহার প্রতি কলের ভক্তি জন্মে। প্রথম দৃষ্টিতেই ইহা৷ একপ্রকার পনি হইবে যে, যিনি জাতি- (২) স্থাম/মাত্য সথহৎ কোষ রাই বলানি চ। দঃ শাততি শুদ।ঃ সর্বা দও এবাতি রক্ষতি। ওঃ হতডেযু জাগন্তি দ ধর্ং বিছুব্‌ ধাঃ॥ ১৮1 ন রাজ। পুরুষে দণ্ড স নেতা শাসিত! চ সঃ চতুর্ণামা শ্রমাণাঞ্চ ধর্দস্য ্রতিতুঃ স্ৃতঃ॥ ১৭॥ মশীক্ষ্য স ধৃত: সম্যক্‌ সর্ব রপ্লয়তি প্রজাঃ। অনমীক্ষ্য প্রীতন্ত বিনাশরতি সর্্বকঃ ॥১৯$ সন! আগ। পরে সপ্ত, বঙ্গের 'ধার্টিক, নিষ্পৃহ; সত্যবাদী, নির্গোভ, ছিতেজিবা রি গোপন 21878 ক ধিনি গুণের উলাহাডা; রি ও খাসি, ছু লাক- ব্যবহীর শ-বার্ডা-শান্ত্রের যথার্থ তত্বজ্ঞ ; ধিনি দোষের উচ্ছেদ কর্তা এবং সৎকর্শের অনুষ্ঠান বিষয়ে একান্ত উৎসাহী, পক্ষপাতশূনা, শক্ত ও মিত্রে সমদর্শী, তাঁহারই প্রতি সমস্ত লোকের ও রাঁজার আস্তরিক ভক্তি জন্দে। ভক্তিতাঁজন ব্যক্তিই নৃপতির মন্ত্রীর যোগ্য। এইরূপ গুণবান্‌ ব্যক্তির প্রতিই মন্তরিত্ব-তার সমর্পণ করিলে রাজ্যের মঙ্গল হইতে পার়ে। সচরাচর এমন ব্যক্তি কোন্‌ জাতির, মধ্যে অধিক দেখা যায়? বিচার দ্বারা দেখা গেল, ব্রাহ্মণ ব্যতীত একাধারে এত গুণ কোন জাতির নাই। স্মৃতরাং বিপ্রজাতিকে প্রধান মন্ত্রী পদে মংস্থাপিত কর! উচিত জ্ঞানে সেন্াাপতিত্ব, দণ্ডনেতৃত্ব ও র্ধাধাক্ষত্ব ইঙারই হস্তে রাখা কর্তবা। ক্ষতিয়ের মধ্যে পৃর্ধবোক্ক গুণাবলীর অধিকাংশ আছে বটে, কিন্ু নিশ্ৃহতা ও কষমাপ্ণ না থাকাতে তজ্জাতীয় অমাত্যকে দ্বিতীয় ইঞটিজ জধ্যে গা করা উচিত। বৈষ্ট জাতির মধ্যে ্্রিয় অপেক্ষা, গুণের ভাগ হাঁস ইইয়া গিয়াছে পবা অর্থ- নি্পৃহ নহে, পরত কুদীদ ব্যবহার বারা পীপসঞ্চয় করে অতএব চা ব্ী | ৬৮ ভারতীয় আর্ধাগতির বঅধদিম অবন্থ]। ্রবৃদ্িদন্সিবাঁর সম্পূর্ণ সম্ভারনা | .এই হেডুবশতঃ ক্ষমতাঁসন্কে ও কার্াদক্ষতার পরিচয় পাইজেও ভাঁহাদিগের প্রতি যর্রণ! অথব।.. বিচারের ভার . কদাচ..অর্পিত হইত ন|। (৩)-কেছ কেছ অনুমান.করেন শূত্র জাতির প্রতি এতাদৃশ স্বণা-প্রদর্শনই আর্ধ্যজাতির পতনের একত্র কারণ। মরি বসি ৰা সভ্য তাহা বলা যায় না। . 'রিচারাসন্দ ও মন্ত্রণীর ভার সর্বাগ্রে চি ব্রাঙ্গণ জাতির প্রতি বন্তিল। : বিপ্রজাতির অভাবে ক্ষত্রিয়ের প্রতি, (৬ . গুচিন! সত্যাসঙ্ধেন যথাশান্তানুসারিণ!। র গ্রণেতৃং শক্যতে দণ্ড; সবসহায়েন ধীমত1 | ৩১॥ মনু। 9? অ। সৈনাপতযক রাজ্য দণডনেতৃতুমেব চ। সর্ধলোকাধিপতাঞ্চ বেদশাস্তিদর্থতি ॥ ১৯, ॥. ১ ১২অ।, শ্রতাধ্যয়নসম্পন্নাঃ কুলীনাঃ সত্য বাদিনঃ। রাঙ্জা সতাসদ: কার্য]: শতো। মিত্রে চ যে সমাঃ॥ | ব্যবহারতত্বধৃত কাত্যারসবচন। অমাত্যং মুখাং ধর্দজং প্রাজ্ং দান্তং কুলোদগতম্‌ | স্বাপর়েদাননে তশ্মিন্‌ খিল কার্যোক্ষণে নৃখাম্‌। ১৪১ ॥ অনু। ৮ আ। সুতি ক্ষম। দমোহন্েয়ং শৌচমিজ্রিয়নিগৃহঃ | ৰ ধীবিদ। সত্য যন্তোধে। দশকং ধর্মুলক্ষণম্‌ ॥ »২। মন্থ। *অ ) ক্ষজিয়াখাং বং তেজো ত্রাঙ্মণানাং ক্ষমা! বয় | ২৭৪. | মহাভারত, জাবিপর্ব, বসি বিষাদ -ং বাদ। সৃঙানাং ও প্রাণিমঃ জেষ্ঠাঃ প্রাণিনাং দ্ধিজীবিনঃ 1. বুদ্ধি নরাঃ ষ্টাঃ নরেযু ঙ্গণাঃ শ্ৃতাঃ॥ ৯৬ বরীক্ষণেহু তু বিহাংল। দিব কষততুদধযঃ। কৃতবুদধিনু কর্তার; কর্ৃুত্দবেদিরঃ ॥ ৯৭ ॥. অঙ্গ (১. সপ্ণন্ব বা বোপ রিনি | জাতিবিবন রা? গেল। তখন থাকিলেন। তদবধি অদ্যপর্যযস্ত ত্রাঙ্মণগণ সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত আছেন | জাতিনন্্যাদা বু বংশগৌরবে মন্রিত্ব প্রার্থির নিয়ম কেবন যে ভারতবর্ষেই ছিল এমত নহে । কিয়ং পরিষাথে এ রীতি সর্বদেশে ছিল এবং অনেক দেশেও কাছে । ইংলতের হৌস্‌ অব্‌ লর্ড স্‌ ইহার এক জাজ্জন্যমান প্রমাগন্থরূণ আদ্যাপি বর্তমান । তবে নিয়মটা সপ্তগন্বের পরিবর্তে জাতি- মাত্র অবলম্বন করাতেই, দোষের কারণ হইল। ইংলগডে সর্বদা গুণবান্‌ ব্যক্তিগণ কমন্দ শ্রেণী হইতে নীত হইয়া লর্ডদ্‌ স্রেখি” ভুক্ত হন, অর্থাৎ সে দেশে গুণশালী শূনদ্রকে ব্রাহ্ণত্ব অর্থাৎ ্রে্ঠত্ব প্রদত্ত হইয়। থাকে । পুরাকালে ভারতে যে সকল নিরষ প্রচলিত ছিল, কলিকালে তাহার ব্যতিক্রম ঘটায় নেক বিশৃঙ্খলা উপস্থিত, হইয়াছে । :. পূর্বে এই নিয়ম: ছিল হে নিগুণ ব্রাহ্মণও, শৃদ্রত্ব গ্রাঞ্ত হইত এবং সপ্ণ শৃরও করসে বিজন প্রান্ত হইত (৪). সুর এন্ধপ নিয়মের কসত্বাবেই আমিয়ায় তারতর্ এ এবং কনা [কো ঈদূশ কারণে ইউরোপে রী ভিরু ক্মাদিন অবস্থা | ঝবাজ্যশামন করিবেন না) ইহাই শাস্ত্রের আদেশ, ($)শ মন্ত্রীর প্রতি এইরূপ ব্যবহার 'সাধুনিক- ইংলণ্ের রাঁজ্-শীস- দেরনিরম। .ন্ত্রীর মতের বিরুদ্ধাচারিণী “হইয়া ইহলগেঞরী' দ্যংকোন কার্য করিতে পারেন না।. অনেক যুদ্ধ, প্রাণি" সংহার, রাজবিষপ্লব, নম্মুজবিপ্লবের পর ইংলতীয়েরা' এই কী স্থির করিয়াছেন। আমাদিগের . পূর্বপুরষগণ কফেবজ "ল্য মানসিক শক্তির গুণে অন্ন তিন'সহআ বৎসর টি ৬ সংস্থাপিত করিয়াছিলেন । | ক্লাজ্যে জুনিয়ম সংস্থাপন ও প্রজাপালন, জন্য-রাজা সাত অথবা আটটা মন্ত্রী রাখিতেন। যে ব্যক্তিযে কার্যে মিপুগ ও তত্বজ্ঞ, তধিষয়ে অগ্রে তদীয় পরামর্শ গ্রহণ করিতেন । কফর্তবা বিষয়ে পৃথক পৃথক্‌ ভাঁষে অথবা সমুদয় অমাঁত্যকে একত্র সমবেত করিয়। পরামর্শ জিজ্ঞাস! করিয়া! আত্মবুদ্ি অনুর ুক্তি অনু- সারে ও শাস্ত্র অনুসারে তদীয় মতের বলাবল বিবেচনাপুর্বক স্থীয় মত সংস্থাপন করিতেন (৬)। ইহাই ইংলগের কাবিনেটের দ্বারা 109 সর্বোধান্ত বিশিষ্টেদ ব্রাঙ্গাবেন বিশন্চিত।। । ... মস্ত্য়েত পরমং মন্্রং রাজ! ব্রোহানতহতন্৫৫। অ৭।যন।. (৬ সি মৌলাম্‌ শাস্্বিদঃ পুরান ম্লান রুলে।থেতান্‌। :চিবান্‌ স্ত চা বা প্রকৃতি গরীকিা 1৫5) অ ৭1 বনু ভেষাং শং বমি প্রারমুপতা পৃথক পৃথক. : সমগ্তানাষ্চ কার্থোযু বিগধ্যান্ধিতমা বন: ৫৭ জ ৭। মনু । - ফেবলং পানুাজিভা ব কর্তবেধ বিনিরবরই বি (খুকি? স্ায়ঃ সচ লোকব্যবহথীর ইতি বাবহারথাকুকা! 'কারণেবে উন নি খ্বংস- হইয়া আসিক্তে লাগিঙ্স “তাহির করা সাফান্য ব্যাপার নহে যে দিন হইতে আয জাতি যুক্তি-মার্স পরিভষ্ট হইলেন, সেইদিন অবধি ইহাদদিগেন পৃত্তন্বের কথক্চিৎ সুত্রপাতি ধর! বাইতে পাতে । : ---.৮- মান্ত্রগণের. কাধ্য ৪ &. বিাতিখে মতিজ় বিচাঁরাসনের "ভর - গ্রহণ করিয বাজায় সতায় উপস্থিত থাকিততন। : রাঙা ধন “বিনীত বিচারকার্ধয সম্পাদন করিতে বনিতেন, তৎকালে তীহার! সহা- য়ত। এডি, টাচ টা রর নকল অমাতাকে ৪২ ভারতীয় 'জার্াজা 'আাদিগ অবস্থা । নিধিকে প্রীড্বিবাক শঙ্ষে নির্দেশ কর! যায়। উপরি-কখিষ্ত মন্িত্রয়ের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি আসনের ভাঁর প্রাপ্ত হইতেন। শ্রেষ্ঠ ত্যক্কির অতাবে ক্রমশঃ -ক্িতীয় ও" তৃতীয় মন্্ী'রাজ- প্রতিনিধি হইতেন। প্রাড্বিবাঁক আবার অন্য তিনজন মন্ত্রীর সঙ্গে একত্র সমাঁমীন হইয়! বিচারকার্ম্য নির্ধ্াহ করিতেদ। বিচারকালে অন্তান্য সত্যও উপস্থিত খাকিতেন। তৎকালে কুলশীল-দন্পনন ও বয়োবৃদ্ধ লোববৃত্ব-ততবজ্ঞ এবং বার্তীশান্দর্ণ বণিক্‌ সভায় উপস্থিত থাকিতেন। (৭) রি বিচারকালে সভায় লমাঁপীন সভ্যবর্গের নিট ল্গেহ- ভষ্জন জন্য কুট প্রশ্নের পরামর্শ ভিজ্ঞাস! করা হইত) সভ্যেয়া অকুতোতত্ে যথাশান্ত্র ও ন্যায্য কথা কহিতেন। রাজা ও বিচারক তদনুপারে কাধ্য করুন বা নী করুন, সত্যেরা ত্ি- ষয়ে দৃক্পাতও করিতেন ন1। তাহারা ধর্ম, যুক্ষি গু সত্য পথের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয্াই পরাষর্শ দিতেন । বিচারক ব্যতীত (৭) বাবছারান দিদৃক্ষুপ্ত ত্রাঙ্মণৈঃ সহ গার্থিবঃ$ মন্তরজৈর্মান্ত্রতিশ্চৈব বিনীতঃ এ্রবিশেখ সভাম্‌॥ ১৪ ৮$.মন্ু। ধদা স্বগং ন কুর্ধযাত্ত, বৃপতিঃ ক্কার্যাদর্শনমূ। তা নিষুদদ্ি্বামং ্রাক্মণং কাধ্যদর্শনে ॥ ৯॥ & 5 সোইস্য কারধ্যাণি মম্পশে/ৎ মট্োরেব জিন্ভিবুতঃ) - সভাষেব প্রবিশ্যাপ্রযামাপীনঃ স্িত এব বা ॥১॥ ই কুলপীজবয়োবৃততবিত্তদন্তিন্নধিতি মূ: : : যপিগৃতিঃ সাং কতিপটর? কুলবৃদ্ধৈরর্ধিতিউম্‌ & ব্যবহারতত্বধৃত কা্টারনধটন। বিটায়াপনের “অন্য সহায়দিগঞফেও সভ্য শবে নির্দেশ করা বাইত। ইতারাই এর্ষপকাঁর জূরী (585) (৮) বিজ্ঞ ব্রাহ্মণের অভাবে ক্ষত্রিয়, তদভাবে বৈশ্ত বিচার হসিতেন কেহই একাকী বিচার ক্ষরিতে অনুমত ছিলেন না। ইহারা 'প্রায়ই' বিচায়াসনে আমীন হইয়া অথবা'সভার অগ্রে দগডায়মান থাকিয়! অগ্ঠান্ত অমাত্য ও সভ্যে পরিবেষ্টিত" ভাবে ধঙ্গীধিকপ্ণের কাধ্য করিতেন। (৯) সভ্যবর্গের মধ্যে ধাছারা অর্থী প্রভার্থীর বাক্যের বলাবলাঙসারে বিচারাসনে বিচার ও নৃপতিকে বিচারমার্গে আনয়ন করিতেন, তাহাদিগকেই ধ্যক হারাজীব (উকীল) শব্ষে নির্দেশ করা যাইত । দূতও মন্্রিপদকাচ্য। তদীয় নিয়োগ গুণাহুলায়ে হইত। সত্বংশসভ্ভৃত, সর্ধশাস্ত্রের মর্গ্রাহী, আকার, ইঙ্গিত ও চেষ্টা দ্বারা অন্যের হদগত ভাব ও কাধ্যের ফল অস্থূমানে- সমর্থ, অন্তঃগুদ্ধি ও বহিঃশুদ্ধিসম্পন্ন, ধর্দজ, বিনীত, কাঁর্ধ্যকুশল, নান। তাষ! ও কার অভিজ্ঞ ব্যক্তি দৃতপদে প্রতিষ্ঠিত হইতেন। দূতের মতাস্থুসারে মিত্র তূপতির সঙ্গে সন্ধিবন্ধন, বিজ্বেতব্য চউ (৮. সত্যেনা বন্টবন্তব্যং ধর্তার্থমহিভহ বং. শৃখেতি যদি নো রাজা স্যা, সভান্তদানৃগঃ | ০ ব্যারহারতত্বধৃত কাতার বচৰ ২. (৯) বদ না াধ্যবশীজা বগল এ রর 8৪ ভারতীয় ঘার্ঘ্যকংতির আদি ববদ্থা। রাজাদির.প্ুতিপরাক্রমের উদ্দাম. ও যুদ্ধযাত্র! প্রভৃতি' কার্ধা হইত। তাহাতেই আস্মবরাজ্যরঙ্গা ও শক্রগণের উপদ্রাব পি হা আদিত। % ্ মেনাপতিও মনত্িমধ্য গণ্য । দওনীতি ও রা সামন্ত রি মমন্ত তাহারই আয়্। .দগুনীভি যাবৎ পৃথিবীম্জলে বিয়াজিত থাকিবে ভাবৎকাল প্রজাগণ স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়! বিন* স্বাদি সদগুণ শিক্ষায় মনোনিবেশ করিবে । দগুনীতি, সৎ" পুরুষে রাখা বিগহিত। তদনুসারে দগুনীতির ভার সেনাপতির হস্তে স্তষ্ত হয়। (১২) . ভারতবর্ষীয় মুনলমানের। ইছার অনুকরণ শ করিম দনীতি ফৌজদারের হাতে রাখিয়াছিলেন। ব্রিটেনীয় ভারতবর্ষের যে সকল প্রদেশকে “বিধিচ্যুত” (০)-:6%11869) বলা নী তাহাতে-এ নিয়মের একটু ছায়া আছে । ত্রিবেদবিৎ কুলপুরোহিতও নৃপতির সভায় অমাত্য-মধ্যে গণা। বিচার-দর্শন-স্থলে তাহারও মত প্রবল বলিয়! পরি. গণিত হইত। তিনি রাজার নিজকর্তব্য বেদবিহিত যাবতীয় গৃহ কর্ম সম্পাদনে একান্ত বাধ্য ছিলেন। গৃহসথত্রানুসারী ধর্ম কার্ধ্য নিশপাদন নিমিত্ত উক্ত কুলপুরোহিতকে রাজা একবার (১) দূতকৈৰ শ্রী ত সর্বশাক্্বিশারদয়ূ। ... ইনসিভাফারচে্টাজং চিৎ দক্ষ কুলোহগকম্‌ঃ ৬৩ (যম ৭ | সম অযাতে। কও জারকে| ঘওে বৈদন্ধিকী কিয়া । : সুগতৌ.ক্বরাষ্টরে চ দুতে সন্ধিবিপর্যযয়ৌ ॥ ৬৫1 জ ৭1 মনু ৃ নতি গাখেড বার্থ মীত্র বরণ করিতেন । তাহাই তীহার গঙ্ষে দি, বরণ স্বরূপ ব্য (১১): | তত্ব্যতীত অন্তান্ঠ কাধ্য বিষয়ে যেব্যন্কির যাহাতে পারগতা। রর তাহাকে তদ্বিষয়ের ভারাক্রান্ত ব্যক্তিবর্গের তথ্বাবধান- কার্যে নিযুক্ত করিতেন । তর্থাবধায়কদিগকেও তত্তৎকারধ্যের অধ্যক্ষ শব্দে নির্দেশ করা যাইত। যিনি চিকিৎসা-শান্ত্ে পারদর্শী ও পঞুতত্বজ্ঞ, তিনি -ভিষক্বর্গের উপরি অধ্ক্ষতা করিতেন। তাহার পরামর্শক্রমে হন্তী, অশ্ব ও গবাদি পশুর রক্ষণাবেক্ষণ ও সেনার চিকিৎসা! হইত । | যিনি খনিজ ভ্রব্যের গুণাগুগ-নির্ণয়ে সমর্থ ও আঁকরিক বস্তর মূল্য নির্ধারণ বিষয়ে পটু, তীয় পরামর্শ অস্থুমারে আক- রিক কার্যের অনুষ্ঠান হইত। আকরিক কাধ্যে প্রেষ্যবর্শের গ্রতি তীহাঁরই সর্বতোসুখী গ্রভৃত! থাকিত । (১২) অন্তঃপুর- রক্ষার নিয়ম নির্দারণের ভারও মন্ত্রীর প্রতি অর্পিত হইত । (১১) -পুর়োহি হজ কুব্বীত বৃণুয়াদেব চত্রি জস্‌। তেহন্য গৃহাপি কর্শখি কষ্বৈতালিকানি চ॥৭৮এ আ৭। মন! অধ্যক্ষান্‌ বিনিধান্‌ কুাত্তত্র তত্র বিপশ্চিতং । ভেহসা সর্ব্াপাথেক্ষেরগ ণাং কাযাণি কুর্বতাম্‌। ৮১। অ ৭ | মনু (১২) মণিমুক্তা প্রবালানাং লোহানাং তাত্তবল্া চ1 গণ্ধানাঞ্চ রদানাঞ বিদযাদর্যবলাবলম্‌ | ৩২৯ ॥ অজ »। মনু | ৃ টে তি শচীন, পনির, ৪১ ভারতীয় আধ্যজাতির নাদিম অবস্থা । ইত্যাদিপ্রকারে স্থনীতিবিষয়ে আধুনিক সভ্যতাভিমানী অতিদিগের স্তা্স প্রত্যেক বিষয়ে পৃথক পৃথক্‌ অধ্যক্ষ বিনিয়োগ- পুরঃসর রাজা ধর্্মকার্ধ্যে মনোনিবেশ করিতেন । প্রজাপালনই রাজার প্রধান ধর্ম, তদন্গদারে তিনি নিশার শেষ গ্রহরে শষ্য পরিত্যাগ করিতেন । শৌচ-ক্রিয়। সমাধানপুর্ববক পরিস্ত দ্ধৰেশে পরিশুদ্ধ স্থলে উপবিষ্ট হইয়। পরত্র্ের উপাসনা! দ্বারা চিত্ত স্থ্র্য সম্পাদন করিতেন । উক্ত কার্ধ্য করিতে করিতেই সুর্ষ্যোদয় হইত। দিনমণির আগমনের প্রথম ক্ষণেই আঙ্ধি- কাদি সন্ধাবন্দন ও গৃহ্যোক্ত যাবতীয় দৈনিক কাধ্যের পরি- সমাপ্তিপুর্বক ত্রিবেদজ্ঞ বৃদ্ধ ব্রাঙ্ষণগণের আশ্রয় ও উপদেশ গ্রহণ জন্য রাজপ্রাসাদ হইতে নির্গত হইতেন। তাহাদিগের সকাশে খক্‌ যজুঃ ও সাম, এই বেদত্রয়ের উপ- দেশ গ্রহণ হইত। (১৩) | তৎপরে দগুনীতি-ঘটিত কার্ধ্য-কলাপের জটিল ব্ষিয়ের সন্দেহ নিরান নিমিত্ত বার্তাশাস্ত্রতত্বজ্ঞ মহাজনদিগের সমীপে উপস্থিত হইতেন। তথায় ক্ষণকাল বিশ্রামানন্তর আহীক্ষিকী] বিদ্যার অভ্যাসার্থ তদ্ধিষয়ের মথার্থ মর্দজ্ঞ ব্যক্তির সঙ্গগ্রহণ (১৩) ত্রাহ্মণান্‌ পর্যধযপাসীত প্রাতরুখায় পার্থিবঃ। তৈবিদাবৃদ্ধান্‌ বিদুষদ্িষ্ঠেত্েষাঞ্চ শাননে ॥ ১৭ ॥ তৈবিদোভাত্য়ীং বিদাত দণনীতিঞ% শান্বতীম্‌। আহ্বীক্ষকীক্ত্ববিদ্যাং বার্তারস্তাংশ্চ জোকতঃ 1 ৪৩। : উতথায় পশ্চিমে থামে কৃতশৌচঃ সমাহিত$। : হকাগিবান্ধ |াংস্টায প্রবিশেষ ন শুতাং মভাষ1১৪৫ মনুণ। অ। বিচার । হী করিতেন। তদীয় সাহায্যে তর্কবিদ্যা, আত্মত্ত্বিজ্ঞান ও ব্রক্ষ- তত্বনিকূপণ হইত | তদবসরে লোকবৃত্ব-পর্যযালোচনায় ব্যাসক্ত হইয়া লোকাঁচারদর্শী বিপশ্চিতের সহিত সাক্ষাৎ করিতেন । তদনস্তর কৃষি, বাণিজা, বার্তী, পশুপালনাদি সাধারণ বিষয়ের তব্জিজ্ান্্ হইয়া তন্তং.বিষয়ে কৃষক, বণিক্‌; কার্য্যদচিব ও পশ্ুরক্মকের মত পরিজ্ঞাত হইয়া বিনীতবেশে সভারোহণ করিতেন। চি বিচাঁর। রাজদভায় ও বিচারগৃছে যেরূপে কার্য নির্ণয় হইত, উহ পর্ধ্যালোচন! করিলে জানা যায় যে, রাজা স্বয়ং অথবা তর্দীয় গ্রতিনিধি প্রাড্বিবাঁক ধর্মাসনে বিনীতভাবে সত্যগণের সঙ্গে একত্র উপবেশনপূর্ধ্মক,আগ্রে বাদীর (অর্থীর) প্রার্থনা শ্রবণ করি- তেন। অভিযোগ উ্থাপনের প্রাক্কালে বাদীকে সত্য শ্রাবধ করান হইত । মিথ্যাবাদ উত্থাপনে দণ্ড থাকা হেতু প্রায় কেহই মিখ্যাভিযোগ করিত ন!। বিচারক বাদীর বাঁদ-বাঁক্য লিখন- পূর্বক প্রতিবাদীকে জিজ্ঞাঙ্য বিষয়ে অগ্রে সত্য শ্রাবণ বরাইয়! বাদীর সম্ুথে সমস্ত অভিযোগের কারণগুলি তাহার হৃদয়ঙদম করিয়া দিতেন। ইহাতে যদি তত্বনির্ণয় ছইত, তবে সাক্ষী গ্রহণ হইত না। রঃ নানীর অথবা এগ ব্যক্তির না বি মানা বা উচিত। ঘাীর ৪৮ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । কোন বিষয় অপলাপ করিলে গ্রতিবাদীর পক্ষে সাক্ষী গ্রহ করা রীতি ছিল। উভয় পক্ষে সাক্ষীতে যদি সন্দেহের কোন কারণ থাকিত, তবে সাক্ষিগণকে অগ্রে দও্ডবিধানপূর্বক অর্থা প্রত্যর্থীর বাক্যের বলাবল বিবেচন। অন্্ারে শান্তর ও যুক্তি এবং উভয় পক্ষের সত্যাসত্য নির্ধারণপুরঃসর প্রামাণিকরূপে জয় পরাজয় নিরূপিত হইত। যিনি বিচার করিতেন, তাহাকে প্রা্বিবাক কহা যাইত। নিতান্ত পক্ষে, এক বিষয়ে এই কার্যবিধির আইন আধুনিক কার্যবিধির আইনের অপেক্ষা ভাল । আগ্রে মিথ্যাবাদী গাক্সীর দগডবিধান হইত | (১৪) য়ে ব্যক্তি জরী হুইত সেব্যক্তি জয়পত্র পাইত। জয়পত্রে বিচারঘটিত সমস্ত বিষয়ই লিপিবৃদ্ধ হইত, কোন বিষয় পরি- ত্যক্ত হইত না। ইহাতে অভিযোগের কথা, তাহার কারণ, বাঁদী প্রতি- বাদীর নামাদি, উহাদিগের বাদ প্রত্বিবাদ, সাক্ষীর ও গ্রতি- (১৪) রাজা কার্য্যাণি নংগঞ্ঠেৎ প্রাডবিবাকোছথব! দিনঃ | প্রাড্বিবাকলক্ষণমাহ। বিবাদে পৃচ্ছতি প্রশ্বং প্রতিপন্নং তখৈব চ। পরিপূর্বং প্রাগৃবদতি প্রাড়বিবাকত্তুতঃ শ্বতঃ | .... ব্যবহারতত্বধৃতবৃহস্পতিবচন | তথা কাত্যান়ম্ঃ। ধাবহারাশ্রিতং প্রশ্নং পৃচ্ছতি প্রাড়িতি স্থিতিঃ। বিবেচয়তি বন্তশ্বিন্‌ প্রাডুষিবকস্ততঃ শ্মৃতঃ। ' 'মপ্রাড বিবাকঃ সামাতাঃ সব্রাহ্মধপুয়োহিতং। জ্রং সরাজ। চিপুষাত্েষীং আন্বপরাজয়ৌ। বিচার | | ৪৯ সাক্ষীর নামগোতরাদি, এবং তদীয় বচন 'প্রতিবচন, রাজা অথবা প্রাড়বিবাঁকের প্রশ্ন ও বিচার, সভ্যগণের পরিপৃচ্ছা ও পরামর্শ, অর্থী প্রত্যর্থীর মধ্যে কোন্‌ পক্ষে জয়, কি হেতু অন্যপক্ষে পরা- জয়, কিয়ংসংখ্যক মন্ত্রিসমবেত সভায় ও কাহার দ্বার! তত্তবনির্ণয়- পূর্বক বিচাঁরকার্ধ্য সমাধা হইল, কোন্‌ সময়ে অভিযোগের কারণ ঘটে, কোন্‌ সময়ে অভিযোগ উপস্থিত হয়, এবং কোন্‌ সময়ে বিচার নিষ্পত্তি হইল ইত্যাদি তাবদ্বিষদ্ধ এ জয়পত্রে 'লিখিয়া দেওয়! বিচারাসনের অবশ্ঠ কর্তব্য কর্ম মধ্যে পরিগণিত ছিল। (১৫) ইংরেজেরা নিজের বিচার-প্রণালী সম্বন্ধে এত প্লাঘী করেন কিজন্য, তাহ! বুঝিতে পারি না। প্রাচীন ফয়- শালা, আধুনিক ফয়শালা অপেক্ষা সর্ববাংশে উৎরুষ্ট। (১৪) িক্লমাহ বৃহম্পতিঃ। প্রতিজ্ঞা ভাবয়েদ্াদী প্রাড্বিবাকািপূজনাৎ। : জয়গত্রস্ত চাদানাৎ জমী লোকে নিগদ্যতে ॥ জয়পত্রস্ত লিখন প্রকারমাহ সএব। যদ ত্তং ব্যবহারেধু পূর্ধবপক্ষোত্তরাদিকমূ। ক্রিয়বধারণোপেতং জয়পত্রেহখিলং লিখেৎ ॥ পূর্ব্বেণেকরক্রিয়াযুক্তং নির্য়াস্তং যা নৃপঃ | প্রদদ্য/জ্জয়িনে পত্রং জয়পত্রং তহ্চ্যতে ॥ তথ। কাত্যায়নঃ | অর্থিপ্রত্যর্থিণাক্নি প্রতি দাক্ষি বচস্তথা । নি্য়স্ত তথা তশ্ত যথাচারধৃতং যম ॥... এতদঘথাক্ষরং লেখ্যং যথাপূর্ধবং নিবেশয়ে | সভাসদশ্চ যে তত্র ধর্শান্্বিদন্তথা। ছি ৫০ ভারতীয় আর্্যজাতির আঁদিম অবস্থা! কোষাগার বিষয়। রাঁজ! কাহাকেও রাঁজকর হইতে মুক্তি দিবেন না, এইটা সামান্য নিয়ম । বিশেষ বিশেষ নিয়ম দ্বার| বিশেষ বিশেষ স্থলে অনেকে সাক্ষাৎ সম্বন্ধে করভার হুইতে মুক্ত ছিলেন। কোন কোন স্থলে কোন কোন ব্যক্কি একেবারেই করভাঁর হইতে নির্মুক্ত ছিলেন। কোধষাধাক্ষও মন্ত্রিমধ্যে গণ্য | ব্রাহ্মণগণ তপস্যাদি যে সমস্ত সঙ্ুকার্য্ের অনুষ্ঠান দ্বারা পুণ্যসঞ্চয় করেন, রাঁজ। উহার ষষ্ঠাংশের ফলভাগী। এই কারণে বেদবিৎ ব্রাহ্মণকে রাজকর দিতে হইত না । বরং রাজ] নিজে ক্লেশ পাইতেন, তথাপি ব্রাহ্মণের অন্নসংস্থানের পক্ষে অযস্কুবান্‌ হইতেন না । অধিকন্ত অন্ধ, জড়, মূক, কুক, আতুর, সপ্ততি- বর্ধীয় মনুষ্য, স্থবির ব্যক্তি, অনাথ স্ত্রী, অপোগণ্ড বালক, ভিক্ষুক ও স্‌ংসারাশ্রমত্যাগা প্রতৃতি জনগণ রাঁজকর হইতে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত ছিলেন। (৯) আবশ্যক হইলে রাজকোষ হইতে অন্নাচ্ছাদন পাইতেন। বিদ্বান্‌ ব্রাঙ্ষণ যদি কোন স্থলে মৃত্তিকাভ্যন্তরে নিহিত, নিধির সন্ধান পান, উহ রাজদ্বারে বিজ্ঞাপন করিয়াই আত্মসাৎ করিতে পারেন। বিদ্বান, ব্রাহ্মণের দৃষ্ট নিহিত নিধির বিষয়ে পাপা (১) মনু। আ্িয়মাণোহপ্যাদদীত ন রাজ| শ্রোত্রিয়াৎ করছু। নচ ক্ুধাহদ্য সংসীদেচ্ছোত্রিয়ে। বিষয়ে বলন্‌ ॥ ১৩৩। ৭ অ। অন্ধোজড়; পীঠসপাঁ সপ্ত হুবিরশ্চ বঃ। ৃ আোতিয়েষুপকৃর্ধবংশ্চ ন দ।প্য।; কেনচিৎ করমূ। ৩৯৪1 ৮ত্ব।. কোঁষাগাঁর বিষয় | €১ যাঁজীর কিঞ্চিৎ মাত্র অধিকার দেখ! যাঁয় না। বাঁজা যদি স্বয়ং কোন গুপ্ত নিধির সন্ধান পাইতেন তবে তাহার অর্ধাংশ বিদ্বান্‌ ভূঁদেববর্ণমধ্যে বিতরণপুর্বক অবশিষ্ট আত্মসাৎ করিতে শ্টমতাপন্ন রে । অর্ধেক ব্রাঙ্গণসাৎ না করিলে পাপের ভাগী হইতেন' (২ রাজা অথব| অন্য কোন রাজপুরুষ কর্তৃক যদি কোন গুপ্ত নিধির আঁবিষ্াাঁর হয় এবং পশ্চাত্যদি কোন ব্যক্তি আসিয়া এই বস্ত আমাঁর বলিয়া! সর্ঠাবা পূর্বক প্রার্থনা করে, তবে রাজা এঁ ধনের যষ্ঠাংশ মাত্র গ্রহণ করিতে যোগা, অবশিষ্ট অংশ বাদ-সমু- থারী ব্যক্তির হয়। কিন্তু পরে যদি জান] যায় সে বাক্তি মিথ্যা করিয়া লইয়াছে, তবে তাহার দণ্ডবিধানপূর্বক সমস্ত ধনই ্রাঙ্মণসাৎ করিতেন, এপ স্থলেও রাজী ষষ্ঠটাংশের অধিক পাই- তেন না ।(২) অস্বামিক ধন প্রাপ্ত হইলে এঁ ধনের প্রকৃত উত্তরাধিকারী নির্ধারণ নিমিত্ত তিন বর্ষ পর্য্যন্ত কাল দেওয়া যাইত। ইংরেজি নিয়ম ছয় মাস, কিন্ত প্রাচীন নিষ্মটাই উৎক্কই বলিয়া! বোধ হয়। এ কাল মধ্যে পর্বদা সর্বস্থলে অস্বামিক ধনের উত্তরাধিকারীর অন্বেষণ জন্য ঘোষণ! প্রচার করা রীতি ছিল। তিন বর্ষ মধ্যে প্রকৃত স্বামী অথব| প্রকৃত উত্তব্বাধিকারী উপস্থিত ন! হইলে তখন এ ধন রাজকোষ-পরিভূক্ত হইত । ইতিপূর্বে উহা স্থাপিত ধনের ন্যায় বিবেচ্য থাকিত। তিন বদর মধ্যে অন্বামিক ধনের প্রার্থীর স্থিরতা হইলে এঅস্বামিক ধনের প্রত্যর্পণ কালে তাহার প্রমাণ প্রয়োগ গ্রহণাদি দ্বারা তদীয় ধন বলিয়া প্রতীতি হইলে তাহাকে সমর্পিত হটুত। প্রনষ্ট ধনের উদ্ধার-কালে €হ ভারতীয় আঁর্ধজাতির মাদিম অবস্থা । প্রনষ্টাধিগত-ধন-স্বামী রাঁজাকে স্থল ও বস্ত বিবেচনায় কোথাও বা ষষ্ঠাংশ, কোথাও বা দশমাংশ, কোথাও বা ছ্বাদশাংশ তাহার প্রাপ্য বলিয়! প্রদান করিত। এ অংশ প্র বস্তুর রক্ষণ) প্রত্যর্পণ ও অধিকারি-নির্ণয়ূপ রাঁজধর্দ্ের রাঞকরস্বরূপ ছিল ৷ রাজ কোন স্থুলেই ষষ্ঠাংশের অধিক লইতেন না। প্রবর্চক উত্ত নিধির অষ্টমাংশ তুল্য দণ্ড ভোগ করিত। স্থল-বিশেষে দ্রব্য বিবেচনায় দণ্ডের ন্যুনতা ছিল। (২) যে সকল ব্যক্তির ক্ষেত্রের সঙ্গে সংঅ্ব ছিল না» অথচ অর- ধ্যের ভ্রম, মৃগয়ালন্ধ মাংস, বন হইতে আহত মধু, গোষ্টোত্পন্ধ ঘ্বত, সর্ধগ্রকাঁর গন্ধদ্রবা, ওষধি বৃক্ষারদির রূস, পত্র, শাক, ফল, মূল, পুঙ্গ, ও তৃণ, বেণুনির্শিতি পাত্র, চর্্মবিনির্মিত পাত্র, মৃগ্ময় পাত্র এবং সর্ধপ্রকার পাঁধাণময় দ্রব্য বিক্রয় দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করিত, তাহারাও রাজাকে কর দিত। ইহাদিগের নিকট হইতে রাজা তন্ততদ্রব্যোৎ্পন্ন লাভাংশের ষষ্ঠভাঁগ গ্রহণ করিতেন। ইহাই প্রাচীন লাইসেন্স টেক্স 1 (২) যে ব্যক্তি বাণিজ্য কার্যে পটু, সর্বপ্রকার বস্তর অর্থ সং- স্থাপনে সমর্থ, শুল্ক গ্রহণ সময়ে অগ্রে তদীয় সহায়তায় পণ্য দ্রবোর মূল্য নির্ধারণ হইত? সেই দ্রব্য বিক্রয় দ্বারা থে পরি” মাঁণে লাভ সম্ভাবনা জ্ঞান হইত, তাহারই বিংশতি ভাঁগের এক ভাগ শুন্বস্বরূপ রাজকর আদায় করা পদ্ধতি ছিল। মহার্ঘ বস্ততেও কদাচ তদপেক্ষা অধিক গ্রহণ করিতেন না । (২) যাহারা পশুপাল অথব! মণিমাণিক্যাদি বস্ত' বিক্রয় দ্বার! আত্মপরিবারের ভরণ পোষণ পূর্বক সংসারযাত্র নির্বাহ করে, সেগ্রকার জনগণের সমীপে-ততত্দ্রব্যোত্পন্ন লাভাংশের পঞ্চাশৎ কোঁধাগাঁর বিষয় | ৫৩ ভাগের একভাগ রাজার প্রাপ্য । তাহাই রাজকরম্বরূপ। (২) ক্ষেত্রবিশেষে, ফলবিশেষে, কৃষকের পরিশ্রম বিবেচনায় ক্ষেত্রস্বামীর ব্যয় অনুসারে লভ্যের পরিমাণ বিবেচনায়, ধান্যাদি শস্যের প্রতি কোথাও লাভের ষষ্ঠাংশ কোথাও ব! দ্বাদশ ভাগের এক ভাগ রাজাকে রাজস্ব-স্বরূপ প্রদত্ত হইত। রাজ! ষষ্ঠাংশের অধিক গ্রহণ করিতে সমর্থ ছিলেন না৷ (২) বিশ্বাংস্ত ব্রাঙ্গণো দৃষ্ট। পূর্ববোগনিহিতহ নিধিম্‌। অশেষতোইপ্যাদর্ধীত নর্বস্াধিপতির্থি সঃ ॥ ৩৭ ॥ ৮ অ। যন্ত পশ্ঠেন্নিধিং রাজ! পুরাণং নিহিতং ক্ষিতৌ। তক্মাদ্বিজেত্যো দতবার্মর্ধং কোষে প্রবেগগ্ণেৎ॥ ৩৮ | আদদীতাথ বড্ভাগং প্রনষ্টাধিগভং নৃপঃ | দশমং দ্বাদশং বাপি সতাং ধর্মমনুন্মরন্‌ ॥ ৩৩ ॥ এ । মমায়মিতি যো ব্য়ান্িধিং মতোন মানবঃ। তস্যাদদীত ষড়ভাগং রাজ! ছ্বাদশমেৰ বা ৩৫॥ এ । প্রনষটপ্ামিকং রিক্খং রাজা ত্রান্ধং নিধাপয়েৎ। অর্ধাক ত্র্যব্াস্ধরেৎ দ্বামী পরেশ নৃপতিহ্্রেৎ | ৩৯ ॥ . আদদীতাথ বড্তাগং দ্রমাংসমধুদর্পিষামূ। গদ্ধোষধিরসানাঞ্চ পু্পমূলফলন্ত চ ॥ ১৩১॥ *অ। পত্রশাকতৃণানাঞ্চ বৈদলন্ত চ চ্দর্ণামূ | মৃশয়ানাঞ্চ ভাণ্ডানাং সব্ধন্যাশুময়স্য চ॥ ১৩২ এ । গুনস্থাদেহু কুশলাঃ মর্ধধপপাবিচক্ষণাঃ | কুর্য রর্থং যথাপণ!ং ততো বিংশং নৃপো। হরে ৩৯৮ ॥ ৮অ। পঞ্চাশভাগ আদেয়ে! রাজ পশুহিরপায়োঃ। াসঠানামষ্টমে। ভাগ ধঠো ছাদশ এব বা। ১৩ | ৭ অ। ৫৪ ভারতীয় আর্ধ্জাতির আদিম অবস্থ]। কোন গ্রামেই সমস্ত ভূমি প্রজা-বিলি হইত না। যথা কিঞ্চিন্নাত্র ভূমিও পতিত থাকিবার সম্ভাবনা থাকিত না, তথায় অগ্রে গোচারণ নিমিত্ত উর্ধর ভূমি বাদ রাখিয়া প্রজা পত্তন হইত। এঁ গোচারণ ভূমির চতুঃসীমায় যাহাদিগের ক্ষেত্র থাকিত, তাহারা স্ব স্ব ক্ষেত্রের পার্থে বৃতি সংস্থাপনপূর্বক ক্ষেত্র- কাধ্য সম্পাদন করিত। গোচাঁরণ ভূমি চতুঃসীমার প্রত্যেক সীমা শতধনু পরিমিত রাখিবাঁর রীতি ছিল। চারি হস্তে এক ধনু হয়। ক্ষুদ্র গ্রাম হইলেও এতদপেক্ষা অল্প রাখিবার প্রথা ছিল না । গগযগ্রাম বাঁ নগরের পক্ষে তিনগুণ অধিক পরি- মিত ভূমিথগ গোচারণ নিমিত্ত পরিত্যক্ত হইত । ব্যক্তিবিশেষের প্রতি সাক্ষাৎসঘন্ধে কর গ্রহণ করা রীতি ছিল ন! বটে, কিন্তু কোন না কোনরূপে সে ব্যক্তি অবশ্ঠ দেয় রাজস্বের নিঙ্্ুয়ন্বরূপ আত্মপরিশ্রম দ্বারা তৎসাধ্য রাজ- কীয় কার্ধ্য সমাধা করিত। তন্বার৷ রাজার সাংসারিক কার্য্যের ব্যয়ের অনেক লাঘব হইয়া আসিত। এ পদ্ধতি অদ্যপি অনেক স্থলে প্রচলিত আছে। সেপ্রকাঁর কার্যে কাহার! ব্রতী ছিল তাহ! দেখিতে গেলে ইহাই জানা যাঁয় যে স্পকার, কাংস্তকার, শঙ্খকার, মালাকার, কুস্তকার, কর্মকার, স্ুত্রধর, চিত্রকর, ন্বর্ণকার, লেখক, কারুক, তৈলিক, মোদক, নাপিত, তস্তবায় প্রভৃতি ব্যক্তিবর্গ, যাহার! শারীরিক পরিশ্রম দ্বার! অর্জন করে, তাহাদিগকে রাজা প্রতিমাসে' এক এক দিন বিনা বেতনে আপন কাধে নিযুক্ত করিতেন। উহাদিগের পরিশ্রমের মূল্যকেই রাজন্বস্বরূপ জ্ঞান করিতে হইবে । বাস্তবাটার উপর বার্ধিক কর গ্রহণ করিতেন। ইহারা স্কল- ঃ কোঁষাঁগাঁর বিষয় । ৫৫ বিশেষে ব্যক্তিবিশেষকে করভাঁর হইতে নিষ্কৃতি দিয়াছেন বটে, কিন্তু বিবেচন! করিয়া দেখিলে পরম্পরা সম্বন্ধে কেহই করভার হইতে মুক্ত নন। ব্রাক্মণগণ সাক্ষাৎ সম্বন্ধে রাজস্ব দিতেন ন! বটে, কিন্তু ইহারা সকল কার্ধ্যের আগ্রে রাঁজপুজ| করিতেন । এ রাজপুজাই করস্বূপ। আরও দেখা যায়, ইহারা পিতৃযজ্ঞের অনুষ্ঠানকালে অগ্রে ভূম্বামীর পুজ1 করিয়া থাকেন। তৎ্পরে হ্বীয় অভীষ্ট পিতৃদেবের অর্চনা করেন। (৩) যদি কেহ বলেন, ভূম্বামীর উদ্দেশে ব্রাঙ্গণগণ যে দাস্থ করেন, তাহ! ভূপতিকে দেওয়া হয় না; তাহার মীমাংসা- স্থলে শাস্ত্রকারেরা কহিয়াছেন, বেদজ্ঞ ব্রাঙ্গণে যাহা দান করা যায়, তাহাতেই রাজা পরিতুষ্ট হন। বিশেষতঃ ইহা! একপ্রকার "স্থির সিদ্ধান্ত যে, সমুদ্রে পাদ্য অর্থ দেওয়া অপেক্ষা, যথায় দিলে উপকার হয় তথায় দেওয়া উচিত। সুতরাং শ্রাদ্ধের অল্পপরি- মিত বস্ত্র রাজনমীপে বস্তমধ্যে গণ্য হইতে পারে না, কিন্ত (৩) মনু। ধনুঃশতং গরীহারে। গ্রামন্য স্যাৎ সযস্ততঃ | শম্যাপাতান্ত্রয়ো বাপি ত্রিগুণো। নগরস্ত তু ॥ ২৩৭ ॥ ৮ অ। সাংবৎসরিকমাপৈশচ রাষ্্রাদাহারয়েছ্ছলিমূ। ্তা্টায়।য়পরো লোকে বর্তেত পিতৃবন্ুযু| । ৮*॥ ৭ অ। যংকিঞিদপি ্ন্ত দাপয়েও করসঙ্গতিম্‌। | ব্যবহারে লীবন্তং রাজা রাষ্টে পৃধগ্জনমূ। ১৩৭1 এ। কারুকান্‌ শিল্পিনশ্চৈধ শুর্াংশ্চান্সোপিছীধিমং | | এবং করিয়ে কর্দ সাসি সামি মহীপতিত॥ ১৩৮ ॥ ই। ৫১ ভারতীয় মার্ধ্যজাতির মাদিম অবস্থা । নিরন্ন ব্রাহ্মণের নিকট উহা! উপাদেয় বস্তমধ্যে পরিগণিত হইতে পারে, তন্ধারা তাহার তৃপ্তি সম্পাদন হয়। ভূপতি কেবল এই দেখিবেন প্রজাগণ তাহার প্রতি অনুরক্ত কি বিরক্ত । যখন পিভৃষজ্ঞ-করণকালেও ভূত্বামীকে ম্মরণ কর! রীতি, তখন অবশ্ঠ বলিতে হইবে, ইহার! পরম্পরা সম্বন্ধে রাজকর দিয়া আত্ম- নিষ্কৃতি সম্পাদন করেন । | রাজ। জলৌকাপদৃশ ব্যবহার অবশলশ্বন করিয়া অল্পে অল্পে করগ্রহণ করেন, স্ৃতরাং কেহই অধিক করভাবাক্রাস্ত হইলাম ইহা মনে করেন না। রাঁজা যে কেবল করগ্রহণেরই অধিকারী ছিলেন এমন নহে । তিনি প্রজার ধন, মন, প্রাণ ইত্যাদি সমু- দয় বিষয় আত্মনি ধিনির্বিশেষে রক্ষা করিয়া! প্রজাবর্ণের নিকট পিতার তুল্য মান্ত হইতেন। আচার ব্যবহার বিষয়েও তাহার পরামর্শ জিন্ঞাগা করা রীতি ছিল। রাঙ্গা প্রজাকে আত্মপুত্র- সদৃশ জ্ঞান করিতেন । অপ্রাপ্তব্যবহারাশ্রম | রাজ! কেবল আত্মরক্ষ|! করিয়াই নিষ্কৃতি গাইতেন না। তাহাকে মৃতপিতৃক শিশুজনের যাবতীয় বিষয় বিভব, ধন, মান, জাতি, আচার, ব্যবহার, বিদ্যাশিক্ষা সংক্রিয়৷ প্রভৃতি ভাব-: দ্বিষয়ের ভার গ্রহ্ণপুর্বক তদীয় অপ্রাপ্তব্যবহার কাল পর্যস্ত সমুদায় শ্বচক্ষে প্ররত্যক্ষপূর্বক তদীয় ধন আত্মধননির্বিশেষে অনাঁথশরণ | ৫৭, বাবে করিতে হইত । মুতপিতৃক শিশু যাবৎ বয় প্রাপ্ত ও জ্ীনবাঁন্‌ না হয়, তাঁবতকাঁল নৃপতি উক্ত শিশুকে পুর্ননির্বিশেষে বিদ্যাভ্যাস করাইবেন । মুতপি ইক তরুণ ব্যক্তি ধে সময়ে আঁপন বিষয় বুঝিয়! লইতে ক্ষমতাপন্ন হইত, তখন রাজ! সর্বসমক্ষে তদীয় হস্তে যাবতীয় গচ্ছিত ধর্ন বৃদ্ধিসমেত প্রত্যর্পণ করিতেন। অতএব আধুনিক “00787 ০1 ঘা0% ইংরেজদিগের স্থষ্টি নহে । ইংরেজের! স্বার্থপর হইয়াই অপ্রাপ্ত বাবহার ভূম্বামীর তন্বাবধারণ করেন, তাহাদিগের রাজন্বের গতি না হর । ভারতবষার রাজগণের সে উদ্দেশ্ত নহে। দ্বিজীতি-সন্তাঁন স্থলে সমাবর্ভনবিধি পর্য্যন্ত রাজার অধীর্নে থাকিত। অন্য জাতির পক্ষে প্রাপ্তবরস পর্যান্ত সীমা । বেদ বেদাঙ্গের অভ্যাসে ফল জন্মিলে বিবাহের পূর্বে গুরুর নিকট পাঠ-সমাপ্তির বিদায় গ্রহ্ণম্বরূপ যজ্ঞাঙ্গ ম্নান-. বিধিকে সমাবর্তন কহা বায়। (৪) অনাথ-শরণ। অনাথাস্ত্রীজনের প্রতিও রাজার দৃষ্টি ছিল। আর্ধ্য ভূপতি-* গণ যতকালে ইন্জিয়ন্থধকে একান্ত তুচ্ছ জ্ঞান করিতেন, যখন (9 মনছু। বারদায়াদিকং গিক্থং তাবদ্রজামুগালয়েখ( যাব ল ন্যাৎ ধমাবৃত্ত। যাবচ্টাতীতশৈশবঃ॥২৭॥ ৮অ।”+ ৫৮ ভারতীয় আর্ধজাতির জাদি অবশ্থ!। প্রজারপগ্নকে পরম পুরুযার্থ জ্ঞান করিতেন, তখন ইহারা আত্ম- জর্দাঙ্গস্বরূপ সহধর্দিণীকে ও তুচ্ছ জ্ঞাম করিয়া প্রজার ন্ুখবৃদ্ধি ঘেবং আপনার কুলমর্য্যাদা রক্ষী ও নিজের স্থুযশের দিকে ধাবিত ছিলেন। অনাধান্ত্রীজাতিও রাজার শাদন হেতু দুশ্চরিত্রা হইতে পারিত নাঁ। উদ্ধত যুব পুরুষ্ড অনায়ামে আত্মন্থী বিসর্জন দিতে পারিত না। ইহার বিস্তার পরে প্রদর্শিত হইবে) এক্ষণে প্রক্রান্ত বিষয় আধন্ত কর গেল। বন্ধ্যাত্ব নিরব্ধন বিরাগ হেতু যে স্ত্রীর স্বামী দারীস্তর পরি* গ্রহ করিয়া তদীয় গ্রাসাচ্ছাদননির্বাহযোগ্য ধন দানানস্তর বন্ধা বনিত|কে পৃথক্‌ করিয়! দিয়াছে, সে স্ত্রী অনাঁথ-শরণের অধিকারভূঁক্ত । যে স্ত্রীলোক অনুদ্দিষ্টপতিক ও পুক্রাদিরহিত, ঘে স্ত্রীজন প্রোধিতভর্ভক, যে বিধবার পিতৃকুল, মাতৃকুল, স্বুরকুলে অভিতাবক নাই, অথবা যে স্ত্রী রোগাদি হেতু বশতঃ কাতরা, কিংবা সামর্থ্যবিহীনা,কিন্ত সকলেই ধর্্মশীলা ও লাধবী, তাছাদিগের ধন, মীন, আচার, ব্যবহার ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় ভূপতিই মৃতপিতৃক বাঁলকধনের ন্যাঙ্ধ রক্ষী করিবেন । ধর্ম শাস্ত্রের ইহাই নিদেশ, ইহার অন্তথা আচরণ করিলে রাজা মহাপাতকীর মধ্যে গণ্য । উন্মত্ত, জড়, মৃক, অন্ধ, আতুরাদি ব্যক্তিবর্গ রাঁজীর অবশ্ঠ' '“পোষ্যবর্ণ মধ্যে পরিগণিত ছিল । সুতরাং তাহাদিগের বিষয়ে আর বিশেষ নিয়ম করিতে হয় নাই। তাহাদিগের মধ্যে যদি! কাহারও ধন থাকিত, উহা মৃতপিতৃক শিশু-ধনের সদৃশ জ্ঞানে তৎপুক্রাদি উত্তরাধিকারীর বয়:প্রান্তিকাল পর্যযস্ত রাজার অধীনে: থাকিত। ইংরেজদ্রিগের রাঁজ্যে এসকল নাই। কেবল যে, অনমাথ-শরণ। ৫৯ তাহাদিগের রাঁজস্বের দায়ী, তাহারই বিষয়ের রক্ষণাবেক্ষণ কোট অব ওয়ার্ডন্‌ হইতে হয়। মেরাজন্বের দায়ী নহে, সে মরুক বাঁচুক, সেজন্য সরকারের কিছু ক্ষতি বৃদ্ধি নাই । আর্যাগণ সেরূপ ভাবিতেন না। তাহার! প্রজার মঙ্গল-কামনায় নানা- বিধ স্ুনিয়ম সংস্থাপন করায় রাজা শব্দটা আর্ধ্গণের কর্ণে অতি সুমধুর হইয়া আছে । আর্ধগণ উপরিকথিত নিয়ম- ক্রমেই রাঁজার প্রতি ভক্কিমন্ত আছেন। ইঙ্ীরা কদাচ কোন- বূপেই রাজভন্তি বিস্বৃত হন নাই । অদ্যাপি ইাদিগের এমনি সংস্কার বদ্ধমূল আছে যে, রাজদর্শনে পুণ্য সঞ্চয় হয়। আর্ধাগণ সত্য, ত্রেতা, দ্বাপরাদি যুগকে কেবল কাঁলবিজ্োষ জ্ঞান করেন না। আর্ধ্যগণ রাঁজাকেই কখন সত্য যুগ, কখন ত্রেত', কখন দ্বাপর, কখন কলি যুগ বলিয়া! নির্দেশ করি- যাছেন। (৫) | রাজা ষখন অসলসভাবে কায়িক, বাঁচিক ও মানসিক বৃত্তি পরিচাঁলনপুর্কক স্বরং সমস্ত বিয়য় মীমাংসা পূর্বক ধর্ীনুসারে স্বহস্তে রাজকার্য নির্বাহ করিতে থাকেন, তখন তীহাকে সাক্ষাৎ সত্যঘুগ কহ! যায়। সত্য, ত্রেতা। দ্বাপরাদি যুগ আর কিছুই নহে। রাজার অবস্থা ও কা্য্যবিশেয দ্বার! তাহাকে ৃন্তিমান্‌ যুগস্বরূপ জান করা গ্রিয়া থাকে) পপ (৫) মন্থু। বন্ধ্যাইপুত্রান্থ চৈবং ন্যা$ রক্ষণং নিফুলাঙ্গ চ। : পতিব্রতাঙগ চীফ বিধবায্াতুরাছ চ॥২৮॥ ৮অ। কৃতং ভ্রেতাধুগঞকৈব স্বাপরং কলিরেব ট। বাজে বৃত্ধানি সর্বাণি রাজ! হি যুগমূচাতে | $+১॥. ৯ অ। $০ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা। নৃুগতি খন আত্মকর্তব্য বিষয়ের পরিসমাপ্থি বিধানে অভ্যুদ্যত, কিন্তু শারীরিক বাাপাঁর বিরহিত, তখন তীঁহাঁকে ত্রেতাধুগ শব্দে অভিহিত করা যাঁয়। | যখন কর্তব্য কর্মে ভূপতির মনোযোগ ও প্রক্রান্ত বিষয়টিও অন্তঃকরণে জাঁগরূুক আছে সত্য, পরন্ত কায়িক ও বাচিক ব্যাপার বিষয়ে তদীয় উৎসাহের অভাব দেখা যায়, তখন এ অবস্থায় ভূপতিকে দ্বাপরযুগের স্বরূপ জ্ঞান করা যায়। রাঁজ। যখন স্বয়ং কোন কার্ধ্য দেখেন না, আলস্যে কাল: হরণ করেন, তদীঘ্ব রাঁজকার্ষয অন্যদীয় সাহাষ্য সাঁপেক্ষ থাকে, এবং অন্যের মন্তরণা ব্যতীত সুসম্পন্ন হয় না, তদবস্থায় তাহাকে সাক্ষাৎ কলিধুগ কহ। য়ায়। (৬) এই প্রথা! অন্ুপারেই আধ্যগণের মধ্যে ধাঁহারা' আলম্তাদি- পরতন্ব হইতেন, তাহাদিগকে আর্য্যেরা পাপাত্বা অথব সাক্ষাৎ কলি বলিয়! নিন্দা করিয়াছেন। সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলিযুগ শব্দের তাৎপর্য্য কি? সতাযুগে লৌক সকল সত্বগুণের কার্যে আসক্ত থাকিত। ধর্ম (৬) মনু । কলি; প্রন্প্তো ভবতি সজাগ্রন্দাপরং যুগষ্‌। রর্ন্ুদ্যতস্ত্রেতা বিচরংস্ত কৃতং যুগম্‌ ॥ ৩*২॥ ৯ অ। চতুষ্পাৎ সকলো! ধর্শঃ নত্যঞ্চেব কৃতে যুগে নাধন্মেণাগম৪ কশ্চিন্মনুষ্য।ন্‌ প্রতি বর্ভতে ॥৮১॥ ১অ। ইতরেঘাগমাদ্ধার্মঃ পাদশত্ববরোপিতঃ। চৌরিক|নৃতমায়াতির্মশ্চাপৈতি পাদশঃ1৮২ ॥ ১অ। তমমে! লক্ষণং কামো রজনন্তর্থ উচ্যতে | নন্বদ্য লঙ্গণং ধর্ম শরে্টমেযাং থোত্বরমূ॥৩৮॥ ১২অ। অনাথ-শরণ | ৬১ কর্মের অনুষ্ঠান দ্বারা সত্বগুণের লক্ষণ অনুমান করা যাঁয়। ত্রেতাযুগে রজোগুণ প্রবেশ কবিল। তখন অর্থচিস্তা জন্য ধর্ম একপাদ অন্তরে গেলেন। অধর্শ রজোগুণের সহায়তায় ত্রেতাযুগে লোকের অন্তঃকরণে একপাদ স্থান প্রাপ্ত হইল। দ্বাপরে তমোগুণ আসিল, তত্পাহাঁধ্যে লোকের মনে অধিক- রূপে কামপ্রবৃত্তি জন্মিল, তখন ধর্ম দ্বিপাঁদ অন্তরে থাঁকিলেন। কলিযুগে তমোগুণেয প্রাধান্য হেতু অসৎপ্রবৃত্ির আতিশয্য হইল, তজ্জন্য ধর্মকে ত্রিপাদ অন্তরে অপস্থত হইতে হইল। এই কারণেই খষিগণ রাজকে যুগচতুষ্টয স্বরূপ কহিয়াছেন। আঁধ্যগণ কোন্‌ জাতির পক্ষে কিরূপ কার্ধ্যকে পরম ধর্ম কহিয়াছেন, তাহার নির্দীরণে এই দেখা যায় যে, ব্রাহ্মণের পক্ষে একমাত্র তত্বজ্ঞান-লাভই তপস্যা ও শ্রেষ্ঠ ধর্ম। রাজ্যরক্ষাই কষত্রিয়ের পক্ষে পরম ধর্ম । বার্ডাগ্রহণই বৈশ্ঠের পক্ষে পরম- পুরুষার্থ গ্রধান ধর্শু ও কার্য । শূদ্র জাতি একমাত্র সেবা দ্বার পরমার্থ পদ প্রাপ্ত হইতে পারেন। সুতরাং জ্ঞানার্জনই ব্রাহ্মণের, রাজ্যপালনই ক্ষত্রিয়ের, বার্তাগ্রহণই বৈশ্তের, ও মেবাধর্মই শৃদ্রদের, তগস্তা বলিয়। নির্দিষ্ট হইয়াছে। অতএব স্বীয় স্বীয় জাতিধর্্ম অবস্ত কর্তব্য; অকরণে প্রত্যবায় ও পাঁপ জন্মে। জাতিধর্ম ক্রমশঃ দেখান ঘাইবে | () | 25575595554 (৭) ব্রান্কণনা তপে! জানং তগঃ ক্ষত্রস্য রক্ষণম |... বৈশাসা তু তগো বার্তা তগঃ শুত্রমা মেবনম্‌ 1২২৬। মন। ১১ অ] ৬২ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । শাসন-প্রণালী | তাঁরত-ভূমির অদৃষ্ট যে কালে সুপ্রসন্ন ছিল, তৎকালে ইহার যে দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করা যাইত, সব্ধদিকই স্থন্দর দৃশ্যে পরি- পূর্ণ বোধ হইত। পুরাকালে ভারতীয় আধ্যসস্তানগণ সমস্ত ধরাঁতলে অগ্রগণ্য ছিলেন। সভ্যতার বুদ্ধির সঙ্গে যেমন পাপের আধিক্য হইতে লাগিল, অমনি তাহার নিবৃত্তি-চেষ্টায় সকলেই তম্মনস্ক হইলেন। ভিন্নদেশীয় ও আধুনিক সভ্যজাতির চক্ষে যাহা জামান] দোষ বলিয়া গণ্য, ভাঁরতবর্ষীয়দিগের নম্বনপথে সেগুলি সে- গ্রকার সামান্য অপরাধ বলিয়৷ উপেক্ষার যোগা নয়। ইসা দিগের নিকট অকার্ধ্য-চিন্তা, কুকর্ম, কুপরামর্শ, কুসন্স, কুব্যব- হার মাত্রই দৌষজনক | দোষমাত্রই পাপো্চপত্তির মূল। হীরা পাপে রত্ব না হইতে পারেন, এই কারণে শান্ত কারেরা আত্ম ও মনকে সকল কার্যোের সাক্ষী স্বরূপ কহি- য়াছেন। (২) এই জাতির ধর্মোপদেশকগণ মনুষ্যদিগকে শান্ত্রের নিয়মাধীন করিয়। সংসার-রক্ষার নিমিত্ত সমীজবঘটিত যে সকল নিয়ম করিষাছেন, তাহার কতকগুলি অদ্য প্রদর্শিত হইতেছে । ইহীদিগের বিচীরপ্রণালীর কতিপয় বিষয় পূর্বেই বল গিয়াছে, এক্ষণে ব্যবহার-সংহিতার নিয়মান্থদারে কোন্‌ কাধ্য নিষিদ্ধ, ও তন্ততকী্য্য জ্ঞানপূর্বক করিলে অথবা! অজ্ঞানকৃত হইলে কিরূপ দোষ ঘটে, ও সেই দৌষ গুলি কিপ্রকাঁর পাতকে পরিণত হয়, এবং তাহার দ্ডই বা কতদূর হইয়! থাকে, ইত্যাদি ডা ১) আত হযান্থনঃ সাক্ষী গতিরা্মা তথাত্বনঃ |. মাবসংস্াঃ দ্বমাজানং বৃণীং সাক্ষিণমুত্বমম্‌ ॥৮৪। মন ।৮ অ। শামন-প্রণালী । ৬৩ বিষয় নির্ধারণ করিতে পাঁরিলে দণ্ডনীতিঘটিত বিষয়ের তাবৎ ্র্ধ্য ও শাঁসনপ্রণালী জানা যায় । কেহ কেহ মনে করিতে পারেন, বিচার প্রণালীর বিষয় একপ্রকার বঙ্গী হইয়াছে । কিন্তু মকদ্দমার আপীলের কথা কিছু বল! হয় নীই। তীহাদিগের বোধ-সৌকর্যযার্থ আপীলের কথা গ্রে স্পষ্টাক্ষরে নির্দেশ করা যাইতেছে। বিচাঁরকালে যদি অভিষৌক্তী অথবা প্রতিযোগী ব্যক্তির পক্ষে প্রমাণ প্রয়োগাদি পরিশুদ্ধরূপে গ্রহণ না হইয়া থাকে, তাহ! হইলে পুনর্বিচার হইতে পারে। প্রাড্বিঘুকাদিকর্তৃক নিষ্পাদিন বিচারের প্রকূত দোষ প্রদর্শন করিতে না! পারিলে গুনর্বিচার-স্থলে অভিযোগটা পুনর্নিপপাদনযোৌগ্য বলিয় গ্রাহ্য হইত না। পুনর্বিচার দর্শন কালে রাঁজীকে বিচাঁরাঁ্নে উপ- স্থিত থাকিতে হইত ( তাহার অনুপস্থিতি-কাঁলে পুনর্বিচার স্থগিত থাকিত। প্রথম ধর্মাধিকরণের নিষ্পন্ন বিচারে দোষ দষ্ট হইলে দ্বিতীয় ধন্মাধিকরণের মতানুসারে নৃপতিকর্তৃক প্রথম বিচারকের দণ্ডবিধান কর! রীতি ছিল। (২) €২) অদদ্বিচারে তু বিচারাস্তরমাহ নারদ: | অসাক্ষিকন্ত যদৃষ্টং বিমার্গেণ চ তীরিতম্‌। অসম্মতষতৈৃ টং পুনদর্শনমহতি ॥ অসাক্ষিকমিত্য প্রামাণিকোপলক্ষণস্। তথ! বাঞ্জবন্ধাঃ।- ুৃষ্টাংস্ত পুনর্ৃষটি। ব্যবহারাহ্গপেণ তু। সভা; সঙ্গয়িনো! দণ্ড] বিবাদাদ্থিওণং দৃমম্‌ | তীরিতক্চানুশি্ক যত কচন যন্তবেৎ | ৬৪ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আাদিম অবস্থা । সুবিচার না করিলে রাজদ্বার হইতে তিরস্থৃত, ঈপ্তিত, লোকমমাজে দ্বণিত এবং পরকালে নরকভাগী হইতে হইবে এই ভয়ে অধিকাংশ বিচারকই জ্ঞানগোচরে কদাঁপি অবিচার করিতেন না। সেই হেতুই ইহীাদিগের কৃত নিষ্পত্তির বিরুদ্ধে অধিকাংশ স্থলে প্রায় আঁপাল হইত না । সুতরাং পুনর্বিচারের কথা অল্পপরিমাণে দেখা যায় । আঁপীলের ভাগ অতি অল্ন হইবার আরও একটা বিশেষ গুরুতর কারণ লক্ষিত হয়। সেটা এই-_বাদী প্রতিবাদী কিপ্রকার অবস্থার লোক, তাহাদিগের কেমন বিষয়ে, বাদ প্রতিবাদ ও কিবিষয়ক অভিযোগ, কি- প্রকার সাক্ষী আছে, উহা! আগ্রে পরীক্ষিত হইত । তৎপার খি.৭০প।ঞপারে সেটা বচারযোগ্া কি না জ্ঞান হইলে তাহার মীমাঁংসাঁজন্য বিচাঁর/সনে অর্পিত হইত। বিশেষতঃ বিবাদমাত্রই ষে ধন্দাধিকরণ দ্বারা নিপন্ন হইত তাহা নয়। কুল, মিত্র, শ্রেণী, পরিবাররক্ষক পিতা, মাতা, এবং গুরুপুরোহিতাদি দ্বারা অনেক স্থলে বিবাঁদ তঞ্জন করা রীতি ছিপ বলিয়া অধিকাংশ স্থলে গ্রকৃতরূপে সুপদ্ধতি অনুসারে মীমাংসা হইয়া আসিত, তন্নিবন্ধন পুনর্বিচারের স্থল থাকিত না। আরও একটী বিশেষ কথা এই যে, আর্ধ্যজাতির সমাজবন্ধনগ্রন্থি সমস্ত এমন দৃঢ় হইয়া রহিয়াছে ষে, সত্যকালে যাহা,নিষিদ্ধ ছিল উহ! ত্রেতাদি তিন ঘুগে নিষিদ্ধ ও ভাদৃশ পাপজনক না! হইলেও ইইাদিগের আবহমান কালের সংস্কার অনুসারে চিরকালই উহা কৃতং ভন্ন্মতো বিদয তড়ুরে! নিবর্তয়েং ॥ ২৩৩। মনু।.* জ। অমাত্যাঃ প্রাভ্বিষাকো! বা বং কুযু্ঃ কাধ্যমনাথা। তং খয়ং নৃপতি; ু্াৎ তান্‌ সহঅঞ্চ দওয়েৎ | ২৩৪ ॥ মনু। অন। শীসন-প্রণাঁলী। ৬৫ নিষিদ্ধ বলিয়। জ্ঞান হইয়া আসিতেছে । সুতরাং ইহাদিগের সমাজের এক জন দোষ করিলে, সমাজের সমস্ত লোককে দৌষী ও পাপলিপ্ত জ্ঞান কর! যায়। ইহারা এমনি তেজস্বী ও ধার্ট্িক ছিলেন যে, মন্দ কর্শামাত্র ইহাদিগের দ্বার বিষয় ছিল। কুকর্শের অনুষ্ঠান করা দূরে থাকুক, পাঁপচিস্তাকেও মনে স্থান দিতেন না। এমন এককা'ল গিয়াছে, যে কালে পাপী ব্ক্তির সঙ্গে কথোপকথনেও ভারত- বর্ষায় আর্ধ্যজাতির অধঃপতন ও নরকভোগ জ্ঞান হইত । এখন মে কাল কোথা গেল !--দ্বিতীয় যুগে পাপীর সংস্পর্শে মনুষ্যের পাপ লেখে। ক্রমে লোকের সংস্কার পরিবর্তিত হওয়াতে তৃতীয় যুগে পাপীর অন্নতক্ষণে পাঁপজননের বিধি হইল । চতুর্থ যুগে কুকর্খ্মকরণ দ্বারাই পাপোৎ্পত্তির বিধি থাকিল বটে, কিন্তু সংস্কারের গুণে, উপদেশের গুণে, সমাজের গ্রখান্থদারে, পাপীর সঙ্গে কখোঁপকথনাদি চতুর্ত্ধ বিষয়ই সর্বকালে আর্ধ্জাতির নিকট পাঁপজনক -বলিয়! নির্ণীত আছে। ভারতবর্ষীয়ের! পাপ- কার্ধ্যকে এবূপ ভয় করেন, পাঁপপস্ক ইহাঁদিগের শরীর ও মনকে এরূপ কলুষিত করে, বোধ করেন যে ইহারা পাপক্রিয়ার ধ্বনি শুনিতেও ইচ্ছা করেন ন!। ইহীদিগের অস্তরাত্মাই ইঙ্াদিগের পাপপুণ্যের সাক্ষী | সত্যকালে দেশমধ্যে কোন ব্যক্তি পাঁপপন্কে পতিত হইলে ধার্মিক লোৌকেরা সে দেশ পরিত্যাগ করিতেন । ত্রেতাযুগে পতিত ব্যক্তি যে গ্রামে বাম করিত সে গ্রামে ধার্ম্িকগণ বাঁস করিতেন নাঁ। দ্বাপরে পাপী ব্যক্তি ও তৎসংস্্ লোকমাত্রকেই পরিত্যাগ করিয়ী অন্যত্র বাঁ করা রীতি ছিল। কলিতে কথোপকথনে তাঁদুশ দোষ না হউক, কিন্তু গারগপক্ষে ৬৬ ভারতীয় আর্ধ্যজাঁতির আদিম অবস্থা । সখ্য, আদান, প্রদান ও অন্নভোজনে দোষ জন্মে, এরূপ দৃঢ় বিশ্বাস আছে। এস্থলে শাস্ত্রের বচন সঙ্কুচিত বলিতে হইবে। পাপীকে এই প্রকারে দ্বণা করাতে আর্ধ্যসমাজে দোষ প্রবেশ করিতে পারিত না। সুতরাং বৃথা অভিযোগ হইত না। সত্য অভিযোগের সত্য মীমাংসা হইত বলিয়া আপীলের স্থল থাকিত না। (৩) অভিযোগের পূর্বে যে প্রকারে শপথ ও দিব্য করান হইত, তাহার নিয়মে এই জানা যায় যে, স্বল্পকারণে কোন অভিযোগ উপস্থিত হইলে, পুত্রবান্‌ পুরুষ, সবন্ধু ব্যক্তি ও পুক্রব্তী নারী- দিগকে পুত্রের মস্তক স্পর্শ অথবা! প্রিয়ব্যক্তির অঙ্গ স্পর্শ করিয়। শপথ করিতে হইত । বৈশ্তজাতিকে শপথ করাইতে হইলে, গোরু, শস্য ও কাঞ্চন দ্বারা শপথ করানই গ্ররুত শিষ্টাচার ছিল। ক্ত্রিয়জাতিকে শপথ করাইতে হইলে, সত্য বল, মিথ্য। ৰলিও না, পাপ হইবে, এইরূপ কহিতে হইত । ব্রাঙ্গণকে শপথ করাইবার সময় কি জান, যথার্থ বল, এইমাত্র বলিলেই তাহার পক্ষে যথেষ্ট হইত । শূদ্র ও স্ত্রীজাতির পক্ষে সর্বগ্রকার পাক দ্বারা শপথ করান রীতি প্রচলিত ছিল। দিব্যবিষয়ে- দেবতা, ব্রাঙ্গণ, বাহন, অস্ত্র, গো, বুষ, বীন্ (৩) কৃতে পততি নস্তাঘাৎ ভ্রেতায়াং ম্পর্শনেন তু। দ্বাপরে তক্ষণে তস্য কলৌ পতিতকর্মণা ॥ ২৪1 ত/জেদেশং কৃতধুগে ত্রেতায়াং গ্রামমুৎস্জেৎ। ঘাপরে কুলমেকস্ত কর্তারঞ্চ কলৌ যুগে ॥ ২৫। কৃতে তু লিপাতে দেশগ্লেতায়াং গ্রাম এব চ। র বাপরে কুলমেকস্ত কল কর্তা বিলিগ্যতে ॥ ২৬ পরাঁণর ১ অ।. শাসন- প্রণালী । ৬৭ ও স্মুবর্মাদি দ্বারা দিব্য করান যাঁয়। লেোকসমাঁজে ও বিচারা- সনের সম্মুথে এইরূপে অভিহিত হুইয়! ধর্মের অপলাপ পুরঃসর কোন্‌ ব্যক্তি অসত্য কহিতে সাহসী হন? ধিনি মিথ্যাকথনে অথবা ছলে সাহদী হন, তাহারও আঁকার, ইঙ্গিত, চেষ্টা, মুখ- ভঙ্গী ও বিকৃত স্বরাদি দ্বারা তাহার মিথ্যাকথন প্রকাশ পায়। মিথ্যাবাদী ব্যক্তি সংসারমধ্যে অতি অপদার্থ বলিয়া গণ্য হয়। মিথ্যা অভিযোগের দণ্ড আছে, সে দণ্ড স্থলবিশেষে অতি ভয়া- নক; বিশেষতঃ হিন্দুজাতিরা লঘু পাপেও গুরুদণ্ড করিতেন বলিয়া কেহ নিতান্ত মর্মান্তিক পীড়া ন1। পাইলে কাহারও বিরুদ্ধে বৃথা অভিযোগ করিত না। শপথ ও দিব্য অদ্যাপি পল্লীগ্রামমাত্রে প্রচলিত আছে। উহ! দ্বারা স্ত্রীলোকের কলহ, বাঁলকগণের বিবাঁদ ও অস্তর- লৌকের বৈষয়িক কার্য্য সম্বন্ধীয় বিবাদের মীমাংস! হইয়া থাকে । ধর্মাধিকরণে অতিযোগ উপস্থিত হয় না? (৪) বিচারকার্য্য সুচারুরূপে, যথার্থরূপে ও ন্তায়ানুারে না (৪) গোবাজকাঞ্চনৈর্বৈশ্ঠং শূত্রং সর্বস্ত পাতকৈঃ। পুত্রদারম্ত বাপ্যেবং শিরাংবি শ্র্শয়েৎ পৃথক্‌॥ দেবব্রাঙ্গণপাদাংশ্চ পুত্রদারশিরাংসি চ। | এতে তু শপথাঃ প্রোস্ত! মনুন। হ্বল্পকারণৈঃ। নাহমেঘপি শাগে চ দিষ্যানি তু বিশোধনম্‌॥ শপথপ্রকারমাহ নারদঃ | | সত্যবাহনশত্রাণি গোবীজকনকানি চ । ম্পৃশেচ্ছিয়াংদি পুত্রাণাং দারাণাং ছহদাতথা ॥ দিব্যতত্বধৃন্তবচন । বৃহস্পৃতি-লংহিত! | ৬৮ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা। হইলে পাপ জন্মে, এ পাপ চতুর্ধ। বিভক্ত হইয়! প্রথম পাদপরি- মিত অংশ রাজার স্কন্ধে নির্ভর করে। দ্বিতীয় পাদপরিমিত ভাগ বিচারকের শরীর ও মনকে স্পর্শ করে। তৃতীয় পাদাংশ সাক্ষীকে আক্রমণ করে। চতুর্থ পাদপ্রমাণাংশ অভিযোক্তীকে আশ্রয় করে। সুতরাং দেখা যাইতেছে, বিচারকার্যের দোষে প্রকৃত পাপকারীার স্কন্ধ হইতে পাপের $ অংশ বিচারক, নৃপতি ও সাক্ষীর স্কন্ধে পতিত হইতেছে। এই জ্ঞানটা সুদৃঢ় থাকাতেই সর্ধত্র স্থুবিচারই দেখ। যাইত, অবিচার প্রায়ই দেখা যাইত না । (৫) আধ্যজাতির মতে ব্যবহারকাও্ড চারিভাগে বিভক্ত | ইহার প্রথম পাদ পূর্বপক্ষ। উন্তরপক্ষকে দ্বিতীয় পাদ ধরা যায়। ক্রিয়াকে তৃতীয় পাদ কহা' গিয়। থাকে । নিণয় দ্বার! ব্যবহার- কাণ্ডের চতুর্থ পাদ নির্ধারিত হর । এক্ষণে দেখা যাইতেছে যে, বাদীর কথাগুলি পূর্পক্ষ, প্রতিষেগী ব্যক্তির প্রতিবচনগুলি উত্তর্পক্ষ, লেখ্য ও সাক্ষীর বচন প্রমাণাদি ক্রিয়াপক্ষ। নিষ্প- ত্তিকে নির্ণয়পক্ষ কহ গিয়া থাকে । (৬) (৫) পাদোহিধর্্স্ত কর্তীরং পা; সাক্ষিণনিচ্ছতি। গাঁদং সভাসদঃ সর্্বান্‌ পাে। রাজানমিচ্ছতি ॥৮॥ মনও অ। রাজ! ভবত)নেনাস্ত মু্ন্তে চ সভানদঃ | এনে গচ্ছতি কর্তার নিন্দা বত্র নিন্দযতে ॥ . ব্যবহারতত্বধূত মনু নারদ বৌধায়ন হাঁরীত বচন । (৬) পূর্বপক্ষ: স্বতঃ পাদে! দ্বিতীয়শ্চেতিরঃ স্বৃতঃ। বৃহম্পতিসংহিত। | বিচারদর্শনের কাল নির্ধারণ | দিবসের প্রথম যাঁম অকিক্রান্ত হইলেই বিচার কার্য) আরস্ত হইত্ত। চতুর্থ যাম পর্যন্ত বিচারদর্শনের সীমা। ইহা" দ্বার এক প্রকার স্থির সিদ্ধান্ত হয়, বে, দিবা ছুই প্রহর অতি- বাহিত হইলে সেদিন আর নূতন অভিযোগের বিষয় শ্রুত হইত না। কিন্তু কার্য্যবিশেষে, স্থলবিশেষে ও বিষয়বিশেষে নৃতন অভিযোগ উত্থাপিত হইতে পারিত। কার্য্ের লাঘব, গৌরৰ ও অবস্থা বিবেচনায় সেদিন উহা উপেক্ষিত না হইয়া তৎক্ষণাৎ সন্বাগ্রে উহার বিষয় বিবেচিত হইত । পূর্োপস্থিত বিষয় বাঁলয় তাহার প্রতি পক্ষপাত হইত না। ইহীাদিগের বিধান সংহিতায় সামান্ত নিয়ম ও বিশেষ নিয়ম উভয়ই আছে। ইহীরা স্থণ বিশেষে নিয়ম সঙ্কোচ ও বিস্তার করিতে পারিতেন। (১) তামার্দি (অর্থাৎ কালাতিক্রম দোষ) সত্ব হিন্দজাতিরা স্বশপ- কালে কোন বাক্তির শ্বত্ব ধ্ংদ করিতেন না। ধন-সন্বন্ধের অভিযোগে নানকল্লে দশ বৎসর অতিক্রান্ত না হইলে কাললাত্যয় দোষ ঘাটত না। ধনস্বামীর সমক্ষে কোন ব্যক্তি নির্বিবাদে দশ বৎসর কাল ধনীদি উপভোগ না করিলে তাঁহাতে তাহার ্বত্ব জন্মিবার কোন সস্তাবনা ছিল না। ভূমিবিষয়ে স্বামীর সমক্ষে নির্ববাদে বিংশতি বর্ষ পর্যন্ত উপভোগ হা না করিতে গারিলে ৃমিবিষয় উগতোক্তার স্মিত জন্মিত পিক (১) দিবস ভাগং মু ভাগতয্ত বৎ। ন কালে ব্যবহারাপাং শাসদৃষ্টঃ পরঃ স্ব: ॥ কাতান / . অষইটদযামাদ্যত্রহরং ভাঁগত্য়ং গ্রহরঘূরপর্যদ্ব | বাধহারতত্ব |. ৭০ ভারতীয় আর্য্যজাতির আদিম অবস্থা । না। সুতরাং ভূমিবিষয়ে বিংশতি বর্ষ পরিমিত কাল অতি- ক্রান্ত হইলে উপপভোক্তার স্বত্ব হইবার অন্তাঁবনা থাকিত। বিংশতি বর্ষের পূর্বে অভিযোগ ঘটিলে যাহার ভূমি তাহারই ইইত। (২) পরোক্ষে যদি কোন ব্য তাহার তিন পুরুষ গীত কোন ধাক্তির ধন এবং ভূম্যাদি উপভোর্গ করিয়া থাকেন, যাহাদিগের বন্ত তাহারা যদি তিন পুরুষ মধ্যে কোন বিবাদ উত্থাপন না করে, তবে তর বস্তুতে উপতৌক্তারি স্বত্ব হয়। পরন্ত জ্ঞাতি, বন্ধু লকুল্য, জামাতা, শোত্রিয়, রাজা ও রাঁজমন্ত্রী যদি বহুকাল উপভোগ কাবন, তখাঁপি আনোর বস্ততে ইহাদিগের শ্বামিত্ব জন্মে না। যাহার বস্ত তাহারই স্বত্ব থাকে । এপ ব্যক্তির উপ- ভোগে প্রক্কত ধনস্বামীর স্বত্বধ্ংস হয় না। (৩) | (২) গশ্তোহঙ্কবতে! হানিতূ মৈর্বিংশতি বার্ষিকী । গরেণ ভুজা মানস্য ধনস্ত দশবার্ধিকী ॥ রা ভূক্তিস্ত্রপুরুষী নিধোৎ পরোক্ষ! নাত্র সংশয়ঃ | অনিবৃত্তে সপিওত্বে সকুলযানাং ন সিধ্যতি ॥ বিবাহাশোতিরৈতু জং রাজামাত্যৈত্তথৈব চ। স্থদীর্ঘেগাপি কালেন তেষাং সিধোৎ ন তদ্ধনম্‌ ॥ অশক্তালনরো গার্তবালভীত প্রবানিনাম্‌। ্‌ শাদনাবূঢমনে।ন ভূক্তাভুক্তং ন হীয়তে ॥ বৃহম্পতিসংহিত। সনাভিবান্ববৈর্বাপি তুজ্তং যৎ ন্বজনৈস্তথ। তোগাৎ তব ন পিদ্ধিঃ হ্যাৎ ভোগমন্যেযু ক্পয়েৎ | ন ভোগ; কলয়েত স্ত্রীতু রা | সি (৩ বিচাঁরদর্শনের কাঁল নির্দারণ। ৭১ _ অশক্ত, জড়, রৌগার্ড, বালক, ভীত ব্যক্তি, প্রবাসী জন এবং রাজকার্য্ে নিয়োগ হেভু ভিন্নদেশস্থিত ব্যক্কিবর্গের মমক্ষেই হউক অথবা পরোক্ষেই হউক,উপভোগ দ্বার! সকল ব্যক্তির বস্তুতে উপভোক্তার,স্বামিত্ব জন্মে না। কিন্তু এতত্বাত্তি- রিক্ত স্থলে ধনস্ব'মীর সমক্ষে যদি উপভোগ প্রমাণ হয়, তবে উপেক্ষা নিবন্ধন সে বস্ততে উপতৌক্তারই স্বামিত্ব হয়, গ্ররূত নস্বামীর স্বত্ব লোপ পাইয়। থাকে । স্থাবর ও অস্থাবর বিষয়ে কিপ্রকারে ভোৌঁগাদির দ্বারা স্বত্ব নাশ হয়, উপভোক্তার স্বামিত্ব জন্মে, ইহা নির্ণাত হইলে বিচারপদ্ধততির নিয়ম স্থিরীক্কৃত হইতে পারে। নিধান-সংহিতা পরিশুদ্ধ ও সুপ্রণালীষুক্ত হইলে বিচারকার্য্যের সুবিধা হয়, এই কারণে প্রথমে বিধান-সংহিতার স্থল স্থূল নিয়মগুলি বল! উচিত। তদন্ুসারে অগ্রে লিপির বিষয় ৰিবেছনা বর! আবশ্কক। দেখ, মানুযমাত্রেরই ভ্রান্তি জন্মিয়া থাকে; বিশে! অলিখিত বিষয় যাগ্নাষিক কাল পর্য্স্ত আলোচিত না হইলে উহ! বিশ্বৃতির গর্ভে লীন হয়। এই কারণে ধর্মাশাস্ত্রকারের। বিধাতার স্ষ্ট অক্ষরকেই বাক্যের গরতিনিধি করিয়াছেন। অক্ষর দর্শন মাত্র সর্ববিষয় শ্মরগপগে উদ্দিত হয়। অক্ষর দ্বারা সমস্ত বিষয়গুলি চিত্রিত ছবির ন্যায় দেদীপ্যমান দেখা যাকস। য়ত- রাল লিখিত পত্রগ্নানি গাকে। তারৎকালমধ্যে মে বিনয়ের নান নিক্ষেগোনিধি ্িা 1. রারন্বং পোজিরস্ব্চ ম.ভোগেন টি বাসা). ৭২ ভারতীয় আর্য্যজাঁতির আদিম অবস্থা | কোন অঙ্কের বিকলন্তা ঘটিতে পারে মা । কোন বিষয়েই বিচ্যুত হইবার সম্ভাবন! থাকে না, সেই কারণে আর্ধ্যগণ বর্ণ বলীর নাম অক্ষর রাখিয়াছেন। অক্ষর শবের বুঙপত্তি ধরিলে ইছাই বোধ হয় যে, যাহার ক্ষপ্ন নাই তাহাকেই অক্ষর শবে বির্দেশ করা যায়। | পত্রারূঢ লেখ্যই প্রমাণ বলিয়া গ্রাহথ। পত্রশন্দে তূ্পত্র, তালপত্র, তাড়িত পত্র ধরা গিয়া থাকে। লেখ্া-তেদ। বাঁজদন্ত ব্রঙ্গোত্তরদানপত্র তাম্রফলকে লিখিত হইত। তাহাকে তাত্রশামন অথর তাত্্পত্র বল! গিয়া থাকে । এ দীন- পত্রে দাত। ও গৃহীত। উভয়েরই নাম, গোত্রাদি এবং পূর্ব পুরুষের কীন্তিজনিত যশোগীত, দানের কাল, গরিমাণ ও সীমাদির উল্লেখ থাকে । তাত্রফলকের অভাবে তৎ্পৰিরর্তে পটে লিখিত হইত। বোধ হয় এ পট আর কিছুই নহে, কাষ্ঠ” ময় ফলকবিশেষ। যেহেতু বিচার নিষ্পত্তি কালে জয়পত্রের পাঞুলেখ্য কাষ্টময় ফলকে লিখনপুর্বক সভ্যগঞ্ক্র্তৃক বিবে- চিত হুইত) কাঠফলকের ব্যবহার অদ্যাপি ব্যবনাদার লোকের মধ্যে প্রচলিত আছে (সীপৃড়ি)। প্রস্তরফলকে দেব” গ্রতিষ্ঠাদির বিষয় ক্ষো৭দিত হইত, এক্ষণেও হইয়। খাকে | (৪) (৪) বাগ্সাসিকে তু সময়ে ত্রাস্তিঃ সঞ্জায়তে যতঃ| ধাত্রাক্ষরাণি সানি পঞ্জারান্ততঃ পুরা ॥ | র্ * বৃহষ্পতিসংহিত্ব| |. পাগুলেখ্যন ফলকে ভূমৌ বা প্রথমং লিখেং। র্যুনাধিকন্ত সংলোধ্য পচাৎ পঞ্জে দিবেশয়েৎ ॥ ্ ২ রা, র্যাসমং 1 উ& 87 লেখ্য-তেদ । 93 মৌথিক বাক্য অপলাঁপ হইতে পাঁরে, লিখিত বাক্য সহজে অপঙ্ৃব কন্পিবাঁর সাধ্য থাঁকে না স্তৃতরাঁং ব্যবহার- বিষয়ে লিখিত প্রমাণই মৌখিক বাক্য অপেক্ষা গৌরবাৰিত ॥ দানলেখ্যের সাধারণ নাম দানপত্র; তাঅফলকে লিখিত ভইলে শাসনপত্র কহ যায়| নৃপতি কোন ব্যক্তিরিশেষের প্রতি অথবা! কোন বীরের প্রতি তাহার শৌর্ঘযাদিগুণে পরিতুষ্ তইয়। যাহা দান করেন এবং পরিতোধিক দানের প্রমাণস্বরূপ যে লিখিত পত্র দেন, তাহাকে প্রনাদপত্র কহা যায়। ইহাকেই এক্ষণকার চ6810॥ ধরা যাইতে পারে । বিচার নিশত্তি করি! জয়ী ব্যক্তিকে যে লেখ্য দেওয়া গিয়া থাকে, তাহারই নাম জয়পত্র। দায়াদগণ অথব! যাহার সঙ্গে বিভাগের সম্ভাবন! থাকে, ত্বাহার। পরম্পর যে লেখ্যকে বিভাগ-ক্রিয়ার প্রমাণস্বরূপ বলিয়া অভিহিত করেন, তাহাকে বিভাগপত্র কহা যায়। ক্রয় বিক্রয় স্থলে উভয় পক্ষের যে লেখ্য প্রস্তুত হয়, উহার প্রথম পক্ষ লেখাকে ক্ররলেখ্য, দ্বিতীয় পক্ষ লেখ্যকে বিক্রয় বা সম্মতি লেখ্য কা গিয়া থাকে | বন্ধক রাখিয়া উভয় পক্ষ হইতে যে লেখ্য আদান প্রদান হয়, উহার মধ্যে উত্তমর্ণের দত্ত লেখ্যকে সম্মতি. পত্র, অধমর্ণের প্রদত্ত পত্রকে আধিলেখ্য নামে কহা যায় । (৫) সার (৫) দৃত্ধা তৃদ্যাদিকং রাজা ভাত্রপত্রেথব। পটে। শাদনং কারয়েৎ ধর্মাং স্থানবংশাদিমংযুতম্‌| নেবাচ দীরধ্যাদিনু! তুষ্ট প্রনাদলিখিতন্ত তৎ। বন্ত্ব বাবহারেযু পূর্ববোপক্ষোত্বরাদিকম্‌। জিয়াব ধারখোপেতং জয্পতে ংখিলং লিখেখ। 48 তাঁরতীয় আর্্যজাতির আদিম অবস্থা । প্রজাবর্গ রাজশীসনের বশবর্তী হইয়া রাজার নিকট যে সকল প্রতিজ্ঞা-পত্র দেয়, তাহার নাম সংবিৎপত্র। প্রভুর সেবা শুশ্রষা করিবে বলিয়া দাস প্রতৃর নিকট যে লেখ্য প্রদান করে, তাহার নাম দাস-লেখ্য। ,অধমণ খণ লইয় উত্তমর্ণকে যে লেখা দেয়, তাহার নাম কুসীদ-লেখ্য অথবা খণ-লেখ্য। রাজ! প্রজাকে, প্রভূ ভূত্াকে এবং উত্তমর্ণ অধমর্ঁকে যে লেখ্য দেন, তাহার নাম সূন্মতি-পত্র। কুপীদ বা বৃদ্ধি। তামাদি-ঘটিত কথার সবিশেষ উল্লেখ করিতে হইলে অগ্রে উত্তমর্ণ, অধমর্ণ, খণ, স্থদ, গচ্ছিত এবং লেখন-প্রকারাদি নির্ণয় ০০ ভ্রাতর? নংবিভক্তা যে অবিরোধাৎ পরম্পরম্‌। বিভীগপত্রং কুর্বন্তি ভাগলেখাং তছুচ্যতে ॥ গৃহক্ষেত্রাদি কং ত্রীত্ব! তুল্যুল্যাক্ষরান্বিতম্‌। পত্রং কারয়তে যত্ত, ক্রয়লেখ)ং তদুগাতে ॥ জঙ্গমং স্থাবরং দত্ত! বন্ধং লেখাং করোতি ঘখ। গোপ)ভোগ্যক্রিয়াযুক্তম আধিলেখ্যং তছুচ্যতে ॥ রা তূমিং দত্বা তু বঃ পত্রং কুর্ধ্যাৎ চন্রার্বকালিকম্‌। অনাচ্ছেদামনাহারধ্যং দানলেখ্যহ তদুচ্যতে ॥ গ্রামো দেশশ্চ ষঃ কুর্যাৎ মতং লেখ্যং পরম্পরম্‌ | রাজাবিরোধিধর্্ার্থে নংবিৎপত্রং বদপ্তি্চ ॥. ধনং বৃদ্ধ) গৃহীত তু শ্বয়ং কুষ্যাচ্চ কারয়ে। উদ্ধারপত্তং তৎ প্রোক্ং গুণলেখাং মদীধিতিঃ রিল টু কুসীদ বা বৃদ্ধি। ৭৫ করা আবশ্তক। খণদাতাঁকে আর্য জাতির ভাষায় উত্ভমর্ণ কহা যায়। খরণী বাতির উপাধি অধমর্ণ। যাবৎপরিমিত বস্তু খণ দেওয়! যায়, তাহার নাম মূল। যাহ! বুদ্ধি হয়, তাহার নাম সুদ অথবা কুসীদ। কুসীদ শব্দে মন্দ পথ বুঝায়। শান্গানুসারে খণের বৃদ্ধি গ্রহণ অতিশয় নিন্দনীয়, এই কারণে স্থদের নাম কুলীদ হইয়াছে । সুদ ব্যবসায়ীকে কুসীদজীবী নলে। এই ব্যবসায়টা বৈশ্য জাতির নিজস্ব স্বরূপ, ইহাতে এ জাতির পাপ জন্মে না। পুরাকালে অর্থ-ব্যবহাঁরে কদাচ দ্বিগুণের অধিক বুদ্ধি ছিল না। কিন্তু ধান্য বৃদ্ধি পক্ষে তামাদি কালের পূর্বদিন গর্যযন্ত সুদের বৃদ্ধি ধরিলেও প্রত্যেক বর্ষে শতাংশের পাচ অংশের অধিক পাইতেন না। শেষ কল্পে মূল ও বৃদ্ধি উভয় ধরিয়! দ্বিগুণের অধিক দেওয়া যাইত না। ধাহারা বর্ষে বর্ষে অথবা গাসে মাসে বৃদ্ধি গ্রহণ করিতেন, তাহার! চক্রবুদ্ধি অথবা কাল- বুদ্ধি পাইতেন না। বুদ্ধির বৃদ্ধিকে চক্রবৃদ্ধি শবে নির্দেশ করা বার়। খনণী ব্যক্তি স্বীকারপূর্বক না লিখিয়া দিলে উত্তমর্ণ নিজ ইচ্ছায় চক্রবৃদ্ধি গ্রহণ করিতে অধিকারী ছিলেন নাঁ। কায়িক শ্রম দ্বারা ষে বৃদ্ধি পরিশোধ হয়, তাহার নাম্‌ কাষিকা। মাসে মাসে দেয়'সদকে কালিক] বল! যায়। সময় বিশেষে নির্দিষ্ট কাজে যে খণ শোঁধ হয়, তাহার নামও কালিকা। ইহাকেই কিন্তিবন্দি বল! যাঁয়। (৬) (৬) কুসীদবৃদ্ধিছৈ গুণঃং নাতোতি সন্কদান্ধতা। ধান্তে নদে লবে. বাস্ছে নাতিক্ৰামতি পঞ্চতাম্‌। ১৫১. ৭৬ ভারতীয় আর্্যজাতির আদিম অবস্থা । আপতকাঁল ভিন্ন চত্রবৃদ্ধি কদাপি গ্রাহ্থ নহে । এই বৃদ্ধির অঙ্গীকারপত্র বিলক্ষণরূপ প্রমাণাদি দ্বারা দু়ীক্ত না হইলে কোন ব্যক্তিই দ্বিগুণের অধিক স্বুদ লইতে পারগ হয়েন না। কিন্তু খণী কর্তৃক লিখিত প্রমাণ থাকিলে অধমর্ণের নিকট হইতে তদস্ীকৃত পরিমাণে বুদ্ধি গ্রহণ সিদ্ধ হইতে পারে । ৭) বাবসার স্থলে মূলধনের পরিমাণ ও সুদের কথা। লাভের অৎশের উল্লেখ ন! থাকিলে ধনস্বামী লাভাংশের অশীতিভাগ ও শ্রমকারী লাভাংশের বিংশতি ভাগ গ্রহণ করিতে পারেন ॥ যাহারা বাবসায়ে স্থদ গ্রহণ করে, তাহার! ধন্মান্ুসারে শতাংশের ছুইতাগ স্ুদস্বরূপ গ্রহণ করিতে পারে। (৮) শিটিশা পিপাপাশ পাশা শিস কৃতানুসারাদধিক1 ব্যতিপিভা1 ন দিধাতি। কুমীদপথমানন্তং পঞ্চকং শতমর্তি ॥ ১৫২ | নাতিসাংলৎসবীং বৃদ্ধিং ন চাদুষ্ং পুনর্থরেৎ। চক্রবৃদ্ধিঃ কালবদ্ধিঃ কারিত] কায়িক চ যা ১৫৩ ॥ মনু | ৮ অ। কায়িকা কায়নংযুক্তা মানগ্রীন্থা চ কালিকা। বৃদ্ধেবৃদ্ধিশত্রবৃদ্ধিঃ কারিতা ধণিনা কুতা ॥ ভাগে যদ্দিপণাদৃর্ধং চক্রবুদ্ধিশ্চ গৃহতে | পুর্ণে চ সোদয়ং পশ্চাৎ বার্দ,ষাং তদ্দিগর্হিতম্‌ ॥ বৃহস্পতিনংহিভ|) ধণিকেন কৃত! নৃদ্ধিরধিকা সংপ্রক্গিত|। আপতকালে কতা নিত্যং দাতব্য কারি তথা । অন্থাকরিত! বৃদ্ধির দ|তনা। কথন ॥ কাত্যায়দ। বশিষ্ঠে। বিহিতাং বৃদ্ধিং হজেদ্বিত্ববিবর্দিনীমূ। অন্দতিভাগং গুরীয়ান্মাসানার্বিকং শতে ॥ ১৪*॥ পি স্প্রী সি (৮ সপ আতুরাবন্থায় বেতন ও বৃদ্ধি। ৭৭ প্রণয়হেতু প্রিয় ব্যক্তিকে খণ দিলে যাবৎ বৃদ্ধি গ্রহণের উল্লেখ না হইবে তাবৎকাল বৃদ্ধি থাকিবে না। যখন বৃদ্ধি যা্রা করিবেন তদবধি বৃদ্ধি পাইতে পারেন। যদি উত্তমর্ণ যাচ্ক। করিয়াও সুদ প্রাপ্ত না হয়েন, তবে ধর্মীধিকরণের বিচারে বার্ষিক শতকরা পাঁচ টাকার অধিক বৃদ্ধি পাইতে পারেন না। (৭) কথাপ্রপঙ্গে আর একটা কথার উল্লেখ করা অতীব আবশ্তক জ্ঞান হইল। আর্ধ্যজাতির নিকট কাহারও চাকুনী ভাম'দি হইত কি না? বেতনগ্রাহী কর্মচারী অন্থস্থতা অথবা বা্ধক্যাদি হেতু বশতঃ কার্যে অক্ষম হইলে বেতন পাইতেন কিনা? ত্াহাদিগের কর্মে তাহাদিগের পুক্রাদির উত্তরাধি- কারিত্ব জন্মিত কি না?--তাহার নিদ্ধারণে এই জানা যায় যে বিশ্বস্ত ও প্রিয় কার্যকারী বাক্তি যে কেবল পীড়া-কালে বেতন পাইত এমন নয়, অক্ষম অবস্থায় পূর্ণ মাত্রায় যাবজ্জীবন বুক্তি ভোগ করিত। সম্ভাবনা স্থলে পুত্রপৌত্রাদিক্রমে চাকুরী ও নি্ষর ভূমি উপভোগ করিতে পাইত । (১২) পাঠক মনে করিবেন আর্্যজাতি ধন্দীধিকরণ সংস্থাপন মন পাপা পান শশা ০ পপ স্বিলং শতং বা গৃহীয়াৎ সতাং ধর্ঘমনুক্মরন। দ্বিকং শতং হি পৃহানো ন ভবত্যর্থকিবিধী ॥ ১৪১1 মনু ।৮ অ। (৯) প্রীতিদত্তং ন বর্ধেত যাবন্ন প্রতিযাচিত্তম্‌। যাচামানং ন দত্কেদ্বদ্ধতে পঞ্চকং শতম । বিফুষচন | (১) আার্তন্ত কৃরধযাৎ স্বন্ঃ সন্‌ বখাতাফিভমাদিতঃ |. ৭৮ ভারতীয় আর্্যজাতির আদিম অবস্থা | করিয়াই: নিশ্চিন্ত ছিলেন; তাহা নহে। পাঠক, তুমি সভা হইতে ইচ্ছা কর? যাহারা রাজপথ কুৎসিত করে তাহা" দিগকে দণ্ড দিতে মাঁনন করিয়াছ? স্থলবিশেষে কাহারও কি দোষ মাঙ্জনা করিতে অনুরোধ কর? তুমি হাতুড়ে বৈদোর ও গণ্ডমূর্খের চিকিৎসা নিবারণ করিতে উদ্যোগী হইয়াছ? ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী(ফড়ে)দিগকে শাস্তি দিতে কি বাসনা কর? কেন না তাহারা উংকৃষ্ট দ্রব্য মধ্যে অপকুষ্ট দ্রবা মিশাল দিয়া মন্দ করে, তত্বারা লোকের পীড়া জন্মে । তুদি যাহার জন্য এত দ্বঃখিত, সেগুলি আর্ধ্যজাতির চক্ষে আগ্াই দোষ বলিয়া পতিত হইয়াছিল । গর্ভিণী, রোগী, ও বালক বাতীত অন্ত ব্যক্তি যদি অনাঁপৎ- কালে রাঁজমার্গ অপরিষ্কৃত করিত) তাহা হইলে তাহাকে আগ্রে রাজপথ পরিষ্কৃত করিতে হইত, তৎপরে স্থলবিশেষে তাহার ছুই পণ বরাটক (কৌড়ী) দণ্ড হইত | গর্ভিণী, বালক ও কোঁগার্ড ব্যক্তি এ প্রকার কুব্যবহার আর না করে, এজন্য তিরস্কৃত হইত। (১১) চিকিৎসকের দ্বারা পণুসম্বন্ধে অমঙ্গল ঘটিলে প্রথম সাহস, মানবের পক্ষে অমঙ্গল ঘটিলে দ্বিতীয় সাহা দণ্ড হইত । অর্দ- যিত দ্রব্য দুষিত করিলে দোষকারীর প্রথম সাহস দণ্ড দেওয়া ১১) অমুৎহ্জেদ্রাজমাগে বন্তমেধামনাপদি | স দ্বৌ কার্ধাপণৌ দদ্যাদমেধ)ফাপি শোধবেে॥ ২৮২। আপদগতোহথব। বুদ্ধ! গর্ভিণী বাল এব বা। ভূৃত্যগণের ভূতি ও বেতন। ৭৯ রাতে ছিল। প্রথম সাহস দণ্ডের নাম উত্তম সাহস, ইহার পনিমাণ এক হাজার আী পণ (অর্থাৎ ৬৩০ কাহন কৌড়ী।। উহার অদ্ধেকের নাম দ্বিতীয় বা মধ্যম সাহস দণ্ড। তদদ্ধের নান তৃতীয় বা অধম সাহন দণ্ড । (১২) ওপস্পাস্পপাপাশিসিস ভূত্যগণের ভূতি ও বেন । পাঠক, ভোথাকে পুর্বে বলিয়াছি বিচান প্রণালী, সাক্ষীর বিষয় ও সমাজ-প্রথ| আমূল বিজ্ঞাপন করিব | এক্ষণে এই তিন বিষয়ের কিছু কিছু শ্রবণ কর। তত্তানুসন্ধান পূর্বক পাঠ কর, দেখিবে ভারতবর্ধীয় খষিগণ কোন বিষয়েই অন্যের নিমিত্ত কিছু অবশিষ্ট রাখিয়া যান নাই । তুমি সভ্য জাতির নিকট যাহা শিক্ষা করিতে চেষ্টা করিতেছ,উহা কত কাল পূর্বে আর্যা- জাতরা অভান করিয়াছেন । সাক্ষীর লক্ষণ, ব্যবসায়, আচার, বাবহার ও জাতি প্রন্ততি অবগত হইলে বুঝিবে, খষিগণ এ বিষয়ে কতদূর অভিন্্রত| প্রদর্শন করিয়াছেন। তীাহাদিগের অন্থদরণে কত ব্যক্তি কৃতার্থ হইয়াছেন, হইতেছেন ও হইবেন। (১২) চিকিংসকানাং নব্বেষাং মিথ্যা প্রচরতাং দম: | অমানুষেষু প্রথম মানুষেযু চ মধ্যমঃ ॥ ২৮৪ ॥ অনৃষিতানাং দ্রব্যাণাং দূষণে ভেদনে তথ! । মণীনামপরাধে চ দঃ প্রথমসাহনঃ॥ ২৮৬॥ মনু । ৯ অ। সাশীতপণসাহস্ত্ো দও উত্তমসাহসঃ। তদর্ঘং মধামঃ প্রোক্ত্তদ্ধমধমঃ শ্বৃতঃ। ৃ | কাযশ্ষিজভদ্ধধত বাঁজবহঃরচন | ৮০ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । প্রিষদর্শন, অদ্য আমি তোমাদিগকে বিচারকের কর্তবা বলিব । তুমি আধ্যজাতিকে স্বার্থপর বলিয়া বৃথা অপবাদ দিয়া থাক, তোমার সে ভ্রম দুর করিবার ইচ্ছা হয়। দেখ, আধ্যভূপতিগণ কাহাকে ও নীতিবিরুদ্ধ কার্ধ্ে প্রবৃত্তি দিতেন না। যেব্যক্তি স্বতঃপ্রবন্ত হইত তাঁভাীকেও অসং- কাধ্য হইতে বিনিবৃন্ত করিতেন। ধন্ীধিকরণের অথবা বিচারাদিব বারসম্কুলনার্থ কোনপ্রকার কৌশলাদি দ্বার! প্রজা- পীড়ন পূর্বক অর্থ গৃহীত হইত না। (১) আর্ধ্যজাতির নিকট কোন বাক্তি বিচারপ্রার্থী হইলে 'াঁহ!কে প্রতিজ্ঞাপর্ধের (কাগজেল) মূলা (0787৮ 17668) দিতে ভইত না। প্রতিবাদীকেও উত্তরপক্ষ সমর্থন নিমিত্ত উত্তর- পত্রের আলেখা জন্য পত্রশুক্ধ দেওয়ার কোন প্রমাণ দেখা যার না। ইহীাদিগের নিকট হইতে পদাতিকের বেতনাদির সম্বন্ধেও কোন উল্লেখ নাই । রাজকীয় সমস্ত ভূত্যই রাজকোষ হইতে বেতন, ভৃতি,অন্না- চ্চাদন এবং স্তলবিশেষে চিরস্ারী বুন্তিও ভোগ করিত | আর্যা- জাতির নিকট যেব্যক্তির কার্য সুখকর, হিতকর ও প্রিয়তর বোধ হইত) সে বাক্তি বৃদ্ধাবস্থা অথবা অন্য কোন হেতু বশতঃ প্রভুর কার্ধ্য সম্পাদনে অক্ষম হইলে তীয় পূর্বানুষ্ঠিত কার্্য- কলাপের পুরস্কার প্রাপ্ত হইত। ৃ (১) শ্রুতিক্ষৃতিবিরদ্ধঞ্চ ভূতানামহিতঞ্চ বং । ভূত্যগণের ভূতি ও বেতন | ৮১ পুরস্কার বা পেনসান(২)--এ বিষয়টা রাজার প্রসন্নতা অথবা ইচ্ছার উপর অধিক নির্ভর করিত না। রাজনীতির নিয়মানু- সারেই বাধ্য ভৃত্য ও কর্মচারী মাত্রেই রাজদন্ত সম্মানের সহিত বৃন্তি উপভোগ করিতে অধিকারী ছিলেন । সুতরাং কেহই অর্থী প্রত্যর্থীর নিকট কিছু গ্রহণ করিতে সমর্থ ছিলেন না। যে ব্যক্তি উৎকোচ গ্রহণ করিত, এবং বিশুদ্ধ ও হিতকর বস্তু অবিশুদ্ধ ও অহিতকর করিত, রাজা তাহার সর্ব লু্ঠন পূর্বক তাহাকে স্বরাজ্যবহিষ্কত করিতেন । যিনি রাজোপাধি পাইতেন, তিনি ভূমিশূনা ভূপতি হইতেন না । রাজার নিকট সৎকাধ্যের পুরস্কার ও অসৎকাঁধ্যের তির- স্কার মাছে বলিয়াই অতি তুচ্ছ পদস্থ বাক্তি অর্থাৎ পদাতিকে- রাও অর্থী প্রতার্থীর নিকট কিঞ্িন্মাত্র লালস! রাখিত নী। (৩) রাজভূত্য যদি তাহাদিগের ভরণপোষণ জন্য বিচারকের নিকট অভিযোগ করিত, ধর্মীধিকরণ অমনি মুক্তহস্তে তাহার পক্ষে অনুকূল নিষ্পন্তি (ডিক্রী) দিতেন । আধ্যেরা জানিতেন তৃত্যবর্গ অবাধ্য হইলে রাষ্ট্রবিপ্লব ঘটিবার সম্ভাবন] । স্তরাং বেতনাদির বিষয়ে বড় গুণনিষ্ট ছিলেন। সামান্য ভূত্যেরা জিপ ত ০৯ পপি ০ ০১০ এ শপ স - পাপ সী তপতি পপপশীপাপাপাশাপপি শিপ শিসপপী পাপা (২) কচ্চিৎ পুরুষকারেণ পুরুষ; কর্ম শেভয়ন্‌। লভতে মানমধিকং ভূয়ো বা তক্তবেতনম্। ৫৩॥ মহাঁভারত--সভাপর্ধ, ৫ অধ্যায় । (৩) উৎকোচক্তাশ্চোপধিকা! বঞ্চকাঃ কিতবান্তথ]। | মঙ্গলাদেশবৃত্তাশ্চ ভত্তরা্চেক্ষণিবৈঃ সহ ॥ ২৫৮ ॥ মনু ।৯ অ। গ্রামধাতে হিতাভঙ্গে পথি মোষাভিদ্শনে। শক্তিতে নাভিধাবস্তো নির্বাসযাঃ মপর্রিচ্ছদাঃ ॥ ২৭৪ ॥ মন্তু। ৯। ৮২ ভারতীয় আর্ধ্জাতির আদিম অবস্থা। শাস্ত্রের নিয়মানুসারে দাস্যবৃদ্তির নিষ্রুয়স্বরূপ উৎকৃষ্ট ও অপরুষ্ট ভেদে ছয় পণ হইতে এক পণ পর্যন্ত দৈনিক বৃত্তি পাইত। উভয় ব্যক্তিই বর্ষ মধ্যে দুইবার পরিধেয় পাইবার যোগ্য বলিয়া অভি. হিত,তাহাদিগের অন্ন-সংস্থান জন্য প্রতি মাসে ধান্য প্রদানের ও ব্যবস্থা আছে। শাস্ত্রের নিয়মানুসারে উতৎকষ্ট ভৃত্য ছয় মাস অন্তে ছয় জোড় কাপড় ও প্রত্যেক মাঁসে ছয় দ্রোণ পরিমিত ধান্য গ্রহণের অধিকারী; অপকষ্ট ভৃত্য মাসিক এক দ্রোণ পরিমিত ধান্য এবং ষাগ্ািকে এক জোড় বস্ত্র পাইত। চারি আঢ়কে এক দ্রোণ হয়। এক আটীর পরিমাণ চারি পুষ্কল। আট কুষঞ্চিতে এক পুষ্চল কহা যায় । কুঞ্চির পরিমাণ অষ্ট মুষ্টি। বঙ্গভাষায় কুঞ্চির পরিবর্তে কুণিকা! (থুচি) হইয়াছে। (8) ুষ্টির পরিমাণকে নৃনকল্পে এক ছটাক ধরিলেও এক দ্রোথে এক মণ পঁচিশ সের ধান্য ধর! যায়- বোধহয় মৃষ্টিমধ্যে এতদ- পেক্ষা অধিক ধান্য ধরে। প্রিয়দর্শন,টুমি মনে করিতেছ উৎকৃষ্ট অপরষ্ট এই ঢুই শ্রেণী দাস ছিল. মধ্যবিধ ভুত্য ছিল না। তুমি কেন ভাব না, নান সংখ্যার পরিমাণ এক পণ, এক জোড় বন, ও এক দ্রোণ ধান্য ; উদ্ধী সংখ্যার পরিমণ ছয় পণ) ছয় জোড় বন্থ ও ছয় দ্রোণ ধান্য পধ্যন্ত বিচারাসন হইতে অনুকূল নিদেশ পপপাশিপপপাপাতশী শীত পাশ পিপিপি দাপিশিাতিপ পাপাপিপপপ পিসি সপ পপি পপি. ৮০০০৮ এ (৪) পণো দেয়োইবকৃষ্টস্য যড়,তকৃষ্ট্য বেতনম্‌ | ধাগ্নাসিকণ্যথাচ্ছাদো ধান্যস্্োণন্ত মালিক ॥ ১২৬ | মনু । ৭ অ। অইমুহির্ভবেৎ কুকি; কু্চয়ো ইষ্টো চ পুক্ধলম | ্‌ পুষ্কলানি তু চত্বারি আটক: পরিকীর্তিচঃ ॥ অভিযোগ বিষয়। ৮৩ (ডিক্রী) পাইত, বস্ততঃ মধ্যবিধ কিস্করের প্রতি মধ্যবিধ নিয়ম ছিল। ভূত্যগণের পরিচয় স্থলে উচ্চতম কর্ম্রচারিবর্গের উল্লেখ করা নিতান্ত দোষাবহ; এজন্য উহা! এখানে পরিত্যক্ত হইল। স্ুলবিশেষে লিখিত হইবে । বিচার-প্রণালীর কথ প্রসঙ্গে ভূত্যের কথ! উঠিয়ান্ছে, হুত- রাং প্রসঙ্গ পরিত্যাগ করিতে পারি না। পদাতিক, তুমি পর- স্পরা সম্বন্ধে বিচারাসনের সামান্য সহায় মধ্যে গণ্য, কাজেই তোমাকে আসরে নামাইলাম, তুমি রাগ করিও না। এক্ষণে তোমাদিগের দোষে বিচার যত মষ্ট হয়, বোধ হয় পূর্বে তাহার সহ্কআাংশের একাংশও সেপ্রকার হইত না। পদাতিক, তোমরা রাজার গুঢ চর ও চক্ষু; তোমরা স্থুশীল হও, এই ইচ্ছা ; অন্ধ হইও না। অভিযোগ বিষয় । অভিযোগ উপস্থিত করিবার সময় ৰাদীকে অগ্রে দৌষ- নিমুক্ত প্রতিজ্ঞা, সংকারণান্থিত সাধ্য, ও লোকপ্রসিদ্ধ পক্ষ সমর্থন করিতে হয় । ইহার বিপরীত হইলে অভিযোগ গ্রাহ হুয় না। প্রতিবাদীকেও উত্তর পক্ষ সমর্থন নিমিত্ত আহবান নাকরা বিচারাসনের রীতি ছিল না। ব্যবহার-প্রকরণে প্রতিজ্ঞা-পত্রই সার বস্তু; উহ! সদোম হইলে রাদী নিশ্চয়ই ক্ষতিগ্রস্ত ও পরাস্ত হন । (৫) .. সপ নে শা শবযাগণ হি বন) তদ্ধানৌ হীবতে-রাদী ততভ্বামুঝনে! ভৃবেধ॥ . নায়দরচন। ৮৪ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা] বিচারক প্রথমতঃ দেখিবেন বাদী যে সকল কারণ নির্দেশ করিতেছে সেগুলি প্রতিজ্ঞা-পত্রে নিঃসন্দিগ্করূপে লিখিত, পূর্বাপরসংলগ্ন, বিরুদ্ধকাঁরণবিনিমুক্তি, বিরোধিবাক্যের প্রতি- রোধক, অন্য প্রমাণে অকাট্য এবং লেখনটা অতি নুন্দররূপে ও স্বপ্লাক্ষরে বিরচিত হইয়াছে, তবেই গ্রহণমোগ্য জ্ঞান করিবেন । এবংবিধ পক্ষ গ্রহণানস্তর প্রতিবাদীকে উত্তরপক্ষ সমর্থনজন্য বিচারাসন হইতে লেখ্য প্রেরণ দ্বারা আহ্বান করিবার রীতি নিদ্ধারিত আছে । (৬) বাদী ঘে সকল বাদ উত্থাপন করে সেই সকল বাদবাক্যের নাম প্রতিজ্ঞা, প্রতিজ্ঞী-বাক্যের অর্থের নাম পক্ষ, বিচার্য্য (৬) উপস্থিত বিবাদে তূ বাদী পক্ষং প্রকাশয়েৎ। নিরবদ্যং সৎপ্রতিজ্ঞং প্রমাণাগমনম্মতম্‌। দেশকালং সমাং মাসং পক্ষাহোজাতিনাম চ। দ্রব্যংখোদয়ং পীঁড়াং ক্ষমালিঙঞ্চ পেখয়েৎ। বিষুধর্দোত্তরে । নিবেশয কালং বর্ষঞ্চ নাসং পক্গং তিথিং তথ1। বেলাহ প্রদ্শেং বিষয়ং স্থানং জাতাকৃতী বয় | নাধ্যপ্রমাণং দ্রব্যঞ্চ সংখ্যাং নাম ত্বথাজ্বনঃ | রাজাঞ্চ ক্রমশো নাম নিবাসং সাধানাম চ। ফ্রমাৎ পিত্ুগাং নামানি লেখয়েৎ রাজসন্িধৌ॥ কাত্যায়নসংহিতা। গ্রতিজ্ঞাদোষনিমুক্তং সাধ্যং ম€কারণাস্থিতম্‌ | নিশ্চিতং লোকসিদ্ধচ পক্ষং পক্ষবিদো বিদুঃ॥ কাত্যায়ন ও বৃহম্পতি, স্বলীক্ষর; প্রভৃতার্ধো নিঃসন্দিষ্ষো নিরাকুলঃ। বিরোধিকারণেমুজে বিরোধিপ্রতিরোধকঃ॥ ষদা ত্বেরংবিধঃ পক্ষঃ কল্িত; পূর্বববাদিন1। দূ তৃৎপক্ষদপ্বদ্ধং প্রতিবাদী তদোত্তরম ] কাত্যারন। অভিযোগ বিষয়। ৮ বিষয় সার্থক বা নিরর্থক বিবেচনা অনুসারে দেখা কর্তব্য, তদনুসারে বাদ উত্থাপন-কাঁলে দেশ, কাল, পাত্র, বর্ষ, মাঁস, কোন্‌ পক্ষের কোন্‌ তিথি, দিন, সংখ্যার নাম, উভয় পক্ষের নম গোত্রাদি এবং যেরূপ পীড়ন হইয়াছিল; তৎপরে প্রতি- বাদী অভিযোগ নিবারণ জন্য বাদীর প্রতি ক্ষমাপ্রার্থনার লক্ষণ প্রকাঁশ করিয়াছিল কি না, ইত্যাদি বিষয় সমস্ত; বিশেষতঃ. সাধ্য, প্রমাণ, দ্রব্যসংখ্যা ও কিবিষয়ক অভিযোগ তৎসমুদায় প্রকাশ করিবে; এবং এ পত্রে উভয় পক্ষের বাসস্থান, জাতি, বন্নঃক্রম ও কাহার অধিকারে বাস, তৎসমস্ত পরিষ্কৃতরূপে ক্রমান্বয়ে লিখিত থাকিবে । (৭) : প্রতিবাদী যাবৎকালপধ্যন্ত উত্তর প্রদান না করে, তাঁবৎ- কালমধ্যে বাদী নিজরুত ভাষাপত্র সংশোধন করিতে অধি- কারী। (৮) | উত্তর প্রদান হইলে ভাষা-পত্রের ানাধিকয পির করি- বার কাহরও ক্ষমতা -থাকে নাঁ, প্রতিপ্তাপত্রকেই ভাষা-পন্র কহা যাঁয়। ভাষা-পত্রের লেখক কায়স্থ ব্যক্তি । উপদেষ্টা বান্ধণ। ৰাঙ্গণজাতি নিরাপৎকালে অক্ষর বিক্রয় করিতে নি'যব্ধ। পরীক্ষক উদাসীন বিজ্ঞ ব্যক্তি। যে ব্যক্তির সঙ্গে কোন পক্ষের কোন সংস্রব নাই তাহাকেই উদামীন কহা যাঁয়। শান্ত্রকারেরা কহেন শতরঞ্চাদি দাতক্রীড়ায়, ব্রত, মন্জবর্শে সপ পারা পাাপপিপিপীসপ (৭) বচনসা প্রতিজাবং তাদ্ চ পক্ষতা। 'অনন্বরেণ বক্তব্যং ব্বহারেমু বাছিভিঃ ॥. (৮) শবধয়েখ ক বিকার) | 8 ”৬; ভারতীয় আর্ধ্যজ।তির আদিম অবস্থা । ঃ ব্যবহারাদি বিষয়ে কর্ণকর্ডা নিজে ভাগ মন্দ বুঝিতে পারেন 1। উদ্দাসীন ব্যক্তির তত্তাবং পুঙ্থান্থপুত্ন্নপে দেখিতে [ান। তাহাদিগের দর্শনপথে ও বুন্ধিমার্গে অন্যের দোষ গু [তিতহয়। অতএব রাজদ্বারে অর্থী হইয়া উপস্থিত হইবার গ্রে বিজ্ঞ ও উদাসীন ব্যক্তিকে ভাষা-পত্র দেখাইতে হইবে। দীয় পরামর্শে ভাষা-পত্র পরিষ্তন্ধ করা কর্তব্য । (৯) প্রিযদর্শন ! তুমি এখাঁনে একটী কথ! দ্বিজ্ঞাসী করিতে পার, যে, স্থলবিশেষে বাচনিক অভিযে।গ হ্ইত্ত কি না? এবং তাহার সম্বন্ধে কিপ্রকার নিয়ম দ্বিল? পাঠক, এরপ স্থলে কি. ইইত তাহ কি তুমি বুঝিযাছ? এখানে প্রাড়বিবাক নিলেই, অর্থার স্বতাবোক্ত বাক্যগুলি শুনিয়া লিখনপূর্বক ভাষা-পত্রের প্রতিজ্তা, পক্ষ ও সাধ্য প্রভৃতি সংস্থাপন. করিতেন । (১০) বাচ-: নিক অভিযোগের বিষয়গুলি অগ্থে পা গুলেখ্য্বরূপে কা্ঠফলকে লিখিত হইত, তংপরে তাহা অভ্িযোদ্তাকে গুনান হই ইহাই প্রসিন্ধ রীতি । উহা! শ্রবণ করিয়া! অভিযোস্তা! যদি স্বকীয়; অন্ুপ্লিখিত ও বিস্থৃত বিষয়গুলি সন্গিবিই এবং অপ্রাসঙ্গিক বিষয় পরিত্যাগ করিতে ইচ্ছা করিত, তবে তৃদ্ধিষয়্ের সামন্ত বিধানপুর্জক ফলকস্থিত পাঁওুলেখ্যের বিবয়গ্তরি যথাক্রমে. &) শুচীন্‌ প্রাজন্‌ ধরন কুর মুজ/করাহিতান্‌। লেখকানপি কারন্‌ জেখ্যকৃতাবিচক্ষণান্। ১০ ৃ গরাশর--আচার-প্রকরণু।- ছাতে চ ব্যবহারে প্র্রতে য্জকর্ীণি( চি যানি পশ্যস্তাদাসীনাঃ কর্তা তানি ন পশ/তি ॥ ব্াদসংহিত!। (১) পূর্বগক্ষং স্বভাবোতং প্রাড্বিবাকৌইথ লেখে পাুলেখেন ফ্কে পশ্চাৎ পঞজে নিষেশয়েৎ॥। : কাঠ্যায়ন ॥ অভিযোগ বিষয় ৯৭ ভ্রতিলিপি হইত। ভদৃষ্টে প্রাড় বিবাককে ্বহান্তে তাঁষা-গল্জ ঈম্পয় করিতে হইত । যে বিচারক অর্থিবাক্যের প্রতিকুণ বাকা লেখেন অথব! প্রত্যর্থীর উত্তরবাক্য বিরুদ্ধ ভাঁবে অর্থীকে জ্ঞাপন করান, স্থলবিশেষে উতর পক্ষেরই বিপর্যয় কথ! লেখেন, তিনি আর্ধাজাতির শাসন অন্থুসারে চৌরসদৃশ পাপী ও দণ্ডনীয় ব্যভি) রাজ এরপ ব্যক্তিকে চৌধ্যাঁপরাধের শাস্তি প্রদান করিতেন। লেখক, তোমাদিগকে একটী কথ! বিজ্ঞাপন করিতে ইচ্ছা করি । তোমরা যদি সভ্যত।ভিমানে মত না হও, তবে মন্গ্রহ করিতে পারিবে। দেখ; আর্যযজাঁতির বিচারকার্ঘ্য কখন্‌ বিচারকের হস্ত হইতে নৃপতিসন্লিধানে উপস্থিত হইত | (৯১) তোমরা প্রথম বিচারাপিনকে নিম্ন আদালিত বলিয্প! থাঁক.। দ্বিতীয় স্থীলকে উচ্চ আদালত ব। আপীল আদালত বল। তৃতীয় হথলকে সর্ধোচ্চ কিংবা তৎপরিবর্তে প্রধীন বিচারস্থীল নামে নির্দেশ করিয়া থাক। এইপ্রকারে ক্রমশঃ দবেশশীসনকর্থা হুইত্বে রাজা বা রাজী পর্য্যন্ত ক্রমান্বয়ে উচ্চ, উচ্চতর, ও উচ্চ- ভূম কহিয়! থাক, লেখকেরও সেপ্রকাঁর বলিবার পথ আছে । মনু ও নারদ একমন্ত্য অৰলম্বনপূ বিক কহিয়াছেন, বাদী ও প্রতিবাদীর অতিষোগের বিচার-নিষ্পত্তি প্রথমে স্বজনের দিকট ছওয়া উচিত, ইহাই প্রথম কল্প। দ্বিতীয় কল্পে ৪৪১4 (১১) অন্যদুক্সং লিখেদ্যোইন্যৎ অর্ধপ্রত্র্থিনাং বচঃ। চৌরবৎ শানয়েত্তস্ ধার্সিকঃ পৃথিবীপতিঃ॥ কাত্যায়ন। কুলানি খ্রেপয়শ্ঠৈব গণাবধিকৃতা নৃপাং। | প্রতিঠ। বট বহ।রাণাং গুরোরেবোত্িযোসম্‌ 1 মন্তনারদৌ । ৮৮ ভারতীয় আর্য্জাতির আদিম অবস্থা । মধাস্থবর্গ দ্বারা বিচারনিশত্তি হইয়া থাকে। তৃতীয় কল্পে স্িদ্যাসম্পন্ন বিপ্রজাতির সভায় বিচার্ধ্য বিষয় নিক্ষিপ্ত হওয়া উচিত, তীহাদিগের দ্বারা যাহা স্ু-সম্পন্ন না! হয় তদ্বিষয়েই প্রাড়বিবাক সদন্তপরিবৃত হইয়া বিচারদর্শন সমাধা কারবেন। সর্বশেষে নৃপতি স্বয়ং অমাত্যপরিবৃ্ত হইয়া বিচারদর্শন কার্য সম্পন্ন করিবেন। এই সমুদয় সভ] বা বিচারাসনের প্রত্যে- কের নাম যথাক্রমে কুল, শ্রেণী, গণ, অধিকৃত ও নৃপতি শষ নির্দেশ করা যায়। ্রিকপদর্শন, তুমি অভিজ্ঞ, তোমার বুদ্ধি-বিবেচনাঁয় আর্ধ্য- জাতির ধর্্শান্্রকারদিগকে আধুনিক সভ্য জাতির প্রসিদ্ধ প্রসিদ্ধ সচিব অপেক্ষা প্রগাঁঢবুদ্ধিসম্পন্ন বলিয়া! বিশেষ অন্থুভব হয় কি? অথব1 সমকক্ষ বা তোমার মতে হীনকল্প বলিয়া! বোধ হয়? তাহাদিগকে তুমি ঘাহাই জ্ঞীন কর, কিছু ক্ষতি নাই। তাহাদিগের পরামর্শ শুন, ততকৃত মীমাংসা দেখ, অবশ্ত তোমার ভক্তি হইবে। নৃপতি অথ্থবা বিচারক অগ্রে বাদী প্রতিবাদীর ভ্রমপ্রমাদ-জনিত কথিত বিষয়গুলি নিরাস করিতেন । তৎপরে যথার্থ তত্বের মীমাংসায় প্রবৃণ্ত হইতেন। সর্দোষ, অপ্রসিদ্ধ, নিশ্রয়োজন ও নিরর্থক বাদের থণ্ডন না করিস্বা কদাঁচ মীমাং- সায় প্রবৃত্ত হইতেন না । পাঠক, তুমি এক্ষণে ইহা জিজ্ঞাসা করিতে পার যে, সদৌষ, অপ্রসিদ্ধ, নিশ্রয়োজন ও নিরর৫থক বিবাদের লক্ষণ কিপ্রকার। তাহা এই যথা । (১২) (১২) অপ্রনিদ্ধং সদোধঞ্চ নিরর্৫ঘং নিপ্ায়েজনস্‌। অদাধ্যং বা বিরুদ্ধং বা-রাজ। পক্ষং বিবর্জরে ॥ বৃছম্পতি | অভিযোগ বিষয়। ৮৯ যে বিষয় দ্বারী বাদীর কোনপ্রকার অনিষ্ট অথবা মাঁন- হানির সম্ভাবন! নাই, তত্রপ ব্যঙ্গ্য বাক্যকে সদোষ বাদ কহা| যায়। যেমন, অমুক আমার প্রতি হাঁস্য করিয়াছে । যাহা কখন ঘটে নাই, ঘটিবার সম্ভাবনাও নাই, তদ্দরপ বাক্যে বাদ উথ্থাপন করিলে তাহাকে অপ্রসিদ্ধ বা অসম্ভব বলিয়া গণ্য কর! যায়। যেমন, কেহ কহিল, আমার একটী গর্ভ ছিল, অনুক তাহার শৃঙ্গদ্বয় ভগ্ন করিয়া লইয়াছে। এ বাক্যকে কে অগ্রসিদ্ধ ও অসস্ভব না বলিবে? স্থলৰিশেষে ব্যক্তিবিশেষের এপ্রকার কুম্বভাব দেখ যায় থে, তাহাদিগের নিজের ক্ষতি ঘটবার আশঙ্কা না থাকিলেও কালান্তরে অন্যের ক্ষতি হইবার সম্ঠৰ বলিয়া বিবাদ করে; তদবস্থায় যে বাদ প্রতিবাদ, তাহাকে নিশ্রয়োজন কহ! গিয়া থাকে । সংসারে এমন ব্যক্তিও অনেক আছেন যাহারা নিজকুত আ্বপরাধকে কদাপি দোষ বলিয়া ভ্রমেও গণ্য করিতে জানেন না, এবং অভিমানের বশবর্তী হইয়া ব্যক্তিবিশেষকে ভৎসন', তাড়না! ও গ্রহারাদি করিয়া থাকেন, এবং তাহার প্রতি- ফলস্বরূপ সামান্ত লোক হইতে গ্লামিস্থচক অপবাদ অথবা অল্প আঘাত গ্রাপ্ত হই! ক্রোধের বশবর্তী হইয়। অভিযোগ করেন) ন কেনচিং কৃতে। ষস্ত সোহপ্রসিদ্ধ উদাহতং। কার্ধাবাধবিহীনণ্চ বিজ্বেয়ে! নিশ্্রয়োজনম্‌ ॥ অমাপরাধটানারে। নিরর্্ক উদাহতঃ | ার্ধযবাধবিহীন শত ধিজেয়ে। নিশ্রযোজনঃ | হৃহস্পতি | ৯০ ভারতীয় আর্্যজাতির আদিম অবস্থা । তদবস্থায় প্ররূপ অভিযোগকে শাস্ত্কারেরা নিরর্থক বাদ বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন । বিদ্যাবতী স্ত্রীজাতিকে লেখক কি বলিয়! সম্বোধন করিবে, তাহা স্থির করিতে অসমর্থ, তোমরা তাহাতে রুষ্ট হইও ন। তোমরাও লেখকের কথা শুনিয়া স্থলবিশেষে ও কার্য্যবিশেষে 'বিচার করিতে পার, স্থতরাং তোমাদিগকে যদি এখানে আহ্বান ন। করা যায়, তবে সভ্য, অভিজ্ঞ, প্রি়দর্শন পাঠক- গণ লেখককে অনপহ্ৃদয় কহিবেন। তাহাদিগের মনস্থষ্টি ও তোমাদিগের মধ্যাদ।বৃদ্ধির জন্য তোমাদিগকেও আহ্বান কৃরিবে। তোমরা কোনরূপ শঙ্কা করিও নাঁ। তোমাদিগকে বশিষ্ঠের অরুন্ধতী ও অক্ষমালা, নলের দরময়ন্তী, কৃষ্জের কুজ্সিণী, সত্যবানের সাবিত্রী, এবং অন্যান্য বিচক্ষণ! সাধবী স্ত্রীলোকদিগের তুল্য জ্ঞান করা যায়। তাহারা পুরুষদিগের রি সঙ্গে কোন কোন বিষয়ে সমকক্ষভাবে বিচার করিতে পারি- তেন,. সময়ে সময়ে তাহারা পুরুষ অপেক্ষাও বুদ্ধি-বৈচিত্রয প্রদর্শন করিতেন। তাই তোমাদিগকে ন্মরণ করা গেল। কাম সীতাকে বনবাঁস দিয়াছিলেন বলিয়াই তোমাদিগ্রকে সীত।র কমান বলিতে বাসনা হইল না। সেই জন্য তোমারদিগকে স্লীতা পৰে আখ্যা দেওরা যায় নাই। লন্ষমা অতি চঞ্চলা বলিয়া তাহার নঙ্গে উপমা দিতে ইচ্ছাও করে না। সরস্বতী কহিলে উপমার স্থল থাকিবে না এক্জন্য সেটা বাদ দেওয়া গেল। সতী ও গোরীর সমান বলিলে পাছে তাহাদিগের স্বামীর ছুর্দশা দেখিস: ছঃখিত হও, সেই জন্য শ্রী ছুই মহাশক্তির সহিত উপমা দিতে: অভিকূচি হয় না। ইহাদিগের স্বামী শিব নিগুণ, নির্বি _সাক্ষি গ্রকরণ। ৯৯ কার ও জড়ম্বরূপ। তোমাদিগের স্বামী ওরূপ হওয়া উচিত নহে; সতেজ, সগুণ, ও সজীব হওয়া আবশ্যক । পাঠক, তোমাকে পৃর্ব্বে কহিয়াছি সাক্ষীর বিষয় আদে্যো- পান্ত বলিব, এক্ষণে আরস্ত করিলীম। ভারতবর্ষের খষিগণ এ বিষয়ের যতদূর নির্ণয় করিয়। গিয়াছেন, তৎসমুদীয় কতিব; তুমি দেখ ভীহারা কোন্‌ কথা সভ্য জীতির নিকট শিক্ষা প্রাপ্তির জন্য অবশিষ্ট রাখিয়া গিয়াছেন। সাক্ষিগ্রকরণ। কোঁন ঘটনাস্থলে কোন ব্যক্তি কোন বিষয় স্বচক্ষে দর্শন ও স্বকর্ণে শ্রবণ না৷ করিলে তদ্বিষয়ে সাক্ষী হইতে পারে না, অতএব সাক্ষী হইবার অগ্রে স্বচক্ষে দর্শন ও স্বকর্ণে শ্রবণ অতা- বশ্যক। যিনি সাক্ষিধর্ম অবলম্বন করেন, তাহাকে সত্য বল! উচিত । ত্য কথায় ধর্ম ও অর্থ কিছুই ক্ষয় প্রাপ্ত হয় ন! বরং বন্ধিত হয়। সত্য সাক্ষ্য দ্বারা সাক্ষীর উদ্ধতন ও অধস্তন সপ্তপুরুষ অক্ষয় স্বর্গ ভোগ করে। মিথ্যা সাক্ষ্য দ্বার তাহারা নরক গমন করে। যথাদৃষ্ট ও যথাশ্রুত বিষয় কহিবে, কিন্তু ধর্মাধিকরণে আহূত বা পরিপুষ্ট না হইলে কদাচ স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া সাক্ষ্য দিবে না, তাহাতে পাঁপ লিখে। স্থলবিশেষে ও কাধ্যবিশেষে হ্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়! সাক্ষ্য দিবার বিধি দেখা যায়, তথায় স্বেচ্ছাওবৃদ্ধ সাক্ষ্য দানে অধর্ম হয় না। বিধি ৯২ ভার হীয় আর্য্যজাঁতির মাদিম মবস্থা। ও নিষেধ স্কুলে সাক্ষী সাক্ষ্য ব্যতিক্রম করিলে দণ্ড ও পাপ ভাগী হন। (৯৩) | সাক্ষ্য গ্রহণ-কালাদি । আঁর্য্যের] সাক্ষ্যগ্রহণের যে কাল নির্দেশ করিয়াছেন, তাহাতে ইহাই স্পষ্ট অনুমান হয় যে, যখন জগতের সমস্ত গ্রাণী ুস্থভাবে থাকে, সেই সময়কেই খধিগণ সাক্ষ্যগ্রহণের প্ররূত কাল বলিয়! নির্ণয় করিয়াছেন । সে সময়ের নাম পূর্বাহ | (১৪) ক পপি (১৩) সমক্ষদর্শনাঁৎ সাক্ষী শ্রবণাচ্চৈ দিধ্যতি। তত্র নত্যং ক্রবন্‌ সাক্ষী ধর্মর্থাভযাং ন হীয়তে ॥ ৭৪ ॥ যত্রানিবদ্ধেশপীক্ষেত শূণুয়াদ্থাপি কিঞ্চন। পৃ্টস্তত্াপি তদ্ব্নয়াৎ যথাদৃষ্টং যথাশ্রুতম্‌ ॥ ৭০ ॥ ননু।পঅ। যঃ সাক্ষী নৈব নির্দিষ্টো নাহুতে। নৈব দেশিতঃ বরয়াং মিথেতি তথ্যং বা দও)ঃ সোহপি নরাধিপৈহ ॥ মিতাক্ষরাধৃত যাজ্ঞবক্ষাবচন। (১৪) দেবব্রাহ্মণসানিধো সাক্ষ্যং পৃচ্ছেদৃতং দ্বিজান্‌। উদজুখান প্রাুখান্‌ বা পুর্বাহে বৈ শুচিঃ শুচীন্‌ 1 ৮৭॥ মভান্তঃ সাক্ষিণঃ প্রাপ্তানর্থি প্রতা ধিসন্নিধৌ । গরাডুবাকোংনুযুগ্তীত বিধিনানেন সান্তবয়ন্‌॥ ৭৯॥ সত্যং সাক্ষী ক্রবন্‌ সাক্ষো লোকানাপ্পোতি পু্লান্‌ । ইহ চানুভূমাৎ কীর্তিং বাগে ব্হ্মপূর্জত। ॥ ৮১ ॥ সাক্ষ্যেহনৃতৎ বদন্‌ সাক্ষী পাশৈর্বধোত বারুণৈঃ। বিরূপং শতমায়াতি তম্মাৎ সাক্ষী বদেদৃতমূ॥ ৮২ ॥ আত্বৈ হ্যাজ্বনঃ দাক্ষী গতিরাত্ম তথাত্মনঃ। মাবমবস্থাঃ হ্বমাত্বানং নৃণীং সাঙ্গিণমুত্তমম॥ ৮৪ ॥ সাক্ষিগ্রকরণ1।] ৯৩ সাক্ষ্যগ্রহণ ধর্মাধিকরণের মধ্যেই হইত | দেব ও ব্রাঙ্গণ মমীপে অর্থা প্রত্যর্থীর সমক্ষে গ্রাড্বিবাক অথবা রাজা স্বয়ং স্াক্ষীকে জিজ্ঞাসা করিতেন। সাক্ষী ব্যক্তি পূর্ব বা উত্তর মুখ হইয়া যথাৃষ্ট ও যথা্রুত বিষয় সত্যপ্রমাণ কহিত; সাক্ষ্য- গ্রহণসময়ে প্রাড্বিবাক ও সভ্যগণ সাক্ষীর নিকট সত্যের প্রশংসা! ও মিথ্যার দোষ প্রখ্যাপন করিতেন । সাক্ষীকে সাত্বন।- বাক্যে প্রশ্ন করা হইত। কেহ জ্ঞাতব্য বিষয়ের আভাস দ্বার! সাক্ষীকে সহায়ত করিতেন না, অথবা বারংবার এককথা জিজ্ঞাসা করিতেন না । সাক্ষী সত্য সাক্ষ্য দিলে স্বর্গে গমন করে, এবং ইহ জগতে অতিশয় যশঃ লাভ করে। কিন্তু মিথ্যাবাদী সাক্ষীর বড়ই দুর্দশা; সর্পপাশে বদ্ধ হইয়া তাহাকে শত জন্ম কষ্ট পাইতে হয়। আত্ম। সকলের বর্শসাক্ষী। তিনি সকলি দেখিতে পান। পাপীরা মনে করে; আমাদের কৃত কাধ্য কেহ দেখিতে পাঁয় না। সেটা তাহাদের ভ্রম । কাহার সাক্ষী কে, ইহা তোমাকে বলি নাই। প্রিয়দর্শন, তুমি নিশ্চয় জানিবে, জাতি, বয়, ধর্শ, ব্যবসার, শ্রেণী, কুল ও মধ্য অনুসারে বিশেষ বিশেষ ব্যক্তি হি রি যোগ্য বলিয়া পরিগণিত হয়। পাষণ্ড, নাস্তিক, মিথ্যাবাদী, অপোগও বালক, ছলকারী, মন্যন্তে বৈ পাপকৃতে! ন কণ্চিৎ পশাতীতি নঃ। তাংস্ত দেবা; প্রপশান্থি গস্যৈবান্তরপূরুষঃ ॥ ৮৫ ॥ মনু ।৮ অ। স্বভাবোক্তং বচন্তেবাং গ্রাহং যদ্দোষবধ্তিত 1 ৰ উদ্তেপি সার্্িণে সা! ন পর্ব: পুবঃপুন:॥ নারদসহিতা। ৯৩ ভারতীয় মার্ধ্জাতির আদিম অবশ্থা। জটাধারী, ছন্সবেশী লৌক, স্্ীজাতি) ধূর্ত, বলীব, অঙ্গহীন গ্রতৃতি খাবতীয় মন্দনংসর্গী ব্যক্তি, মহাপথিক, অযাজ্যযাঁজী, নট, নটী, সন্যাসী, একস্থানস্থায়ী, শক্র, মিত্র, ও অবিভক্ত ভ্রাতা প্রভৃতি সংসহায় বা অসহায় ব্যক্তিবর্গ খণদানাদিরূপ স্থিরতর কার্যে সাক্ষী হইতে পারে না। কিন্তু চৌর্যয, হত্যাদি রূপ সাহপিক বিবাদে সকল ব্যক্তিই সাক্ষী হইতে পাবে । অন্তরূপ বিবাদে স্নেহ, ওুঁদাসীন্য ও শক্রতাদ্দি রূপ হেতু বশতঃ মিথ্যা-কথন মন্তব বলিয়! আত্মীয় ব্যক্তি, তপন্থিজন ও শক্রকে সাক্ষী হইতে নিষ্কৃতি দেওয়া হইয়াছে । শীস্ত্রানুসারে খধিগণ, রাজা, সন্ন্যাসী, বিদ্বান্‌ ও অতিবৃদ্ধ- ঘর্গ সাক্ষ্যদান হইতে নিক্কৃতি পাইয়াছেন ) কেহ সাক্ষী মানিলে ইহাদিগকে সাক্ষী হইতে হইত না । এতসব তীত জনগণের মধ্যে কাহাকেও কেহ সাক্ষী মানিলে সাক্ষাদান- বিরহে সাক্ষীর ভং'ননা ও নিগ্রহ হইত । (১৫) ইহা দগুবিদির প্রকরণে দেখান যাইবে । ্রিয়দর্শন, এখন তুমি কহিতে পার, রেমন বিবাদে কোন ব্যক্তি কাহার সাক্ষী হইত তাহা বলল। আমি অগ্রে তাহাই কহিব, তংপরে সাক্ষীর লক্ষণাদি শুনিবে। সাক্ষি প্রকরণ অত্যন্ত এ (১৫) দাসে! নৈকৃতিকোহশ্রাদ্ধবৃদ্ধন্ত্রীবাণচক্রিকাঃ। মত্তৌন্বত্ত প্রমস্তার্তকিতব! গ্রামযাজকাঃ॥ মহপথিকসামুদ্্র বাল প্রত্রজিতাতুরাঃ | ঘার্দিকাশ্রোত্রিক়াচারহীনক্লীবকুশীলবাঃ। নান্তিকরাত্দরাগ্িযোগিনো ইযাজ্যযাজ ক্কাঃ। একহানী সহ্থাচারী ন চৈনৈতে সঙাভরঃ॥ নারদনংহিহা । সমাজের ক্ষষতা।] ৯৫ ধিশ্ৃত, এক স্থানে বলিলে তোমাদিগের মনন্ত্টি হইবে না) পাঠ করিতেও ক্লেশ বোধ হইবে। অতএব ক্রমে ক্রমে বিষয়ান্তরের বিরামস্থূলে 'সমুদ্বায় কহিব। এস্বলে ঈমাজ্সংস্কাৰ উপনীত করিতে বাঙ্া করি। ৃ হত সতখগবাজাঠ সমাজের ক্ষমত|। প্রাচীন রাঁজর্ষিবর্গ দোষ-সংশোধনে একান্ত অন্ধুরাগী ছিলেন। ইষ্ার। সমাজ-বন্ধনের বল বুরিয়াছিলেন। সুমাজেের কোন ব্যক্তিকে হঠাৎ পরিত্যাগ করিতে সন্ত ছিন্ন না। ঘদি ফোর ব্যক্তি দোষী বলিয়| গরিগণিত হইত, রানা ভাহার সেপ্দোষ সংশোধন নিমিত্ত ঘথায়োগ্া দগুবিধান করিতেন এবং ঘমাজের অভিপ্রায় অন্ুুমারে গ্রহণয়োগ্য ব্যক্তিকে যথোগযুক্ধ গ্রায়শ্চিন্ত করাইয়া! সমান্ধে সংস্থাপন করিতেন । এইরাপে আর্ধ্যনমান্বের বল বিক্রম বৃদ্ধি হইয়াছিল। তৎকাে উন্মার্শ- স্থিত, কুলচ্যুত, শ্রেণীভ্ট ও ভ্বাতিভরষ্ট ব্যক্তিবর্থও বিদীত- ভাবে রাজার নিকট আসিয়া! নিজ দোয়ের দও গ্রহণ করিলে রাজা ফধাফোগ্য দণ্ডপ্রদানপুর্বক সমাজের নিকট উদ্থার আত্ম” শুন্ধির প্রায়শ্চিত্ত জিজ্ঞাসা করিতেন। সে ব্যক্কি যথাশান্ত্র রাকশ্চিত্ব সম্পাদন করিয়া সমান্তের নিকুট, আত্মসমর্পণ করিলে রাজা পরিতুষ্ট হইয়৷ তাহাকে ততকুলে ও সমাজের পথে গ্রবেশ করিতে অধিকার দিত্তে পারিতেন। যে রাজা! এইরূপ লোর- হিতকর-কাধ্য করিতে সমর্থ হইতেন,ভিনি লোকমান অক্ষয় বাতি, ও ধশোলাভ করিতেন 1. এরং শীম্রকারদিগের মত্ত ৯৬ ভারতীয় মার্য্যজাঁতির আঙ্দিম অবস্থা | এমন রাঙ্গার ম্বর্গগমনপথ সদাই উদ্দবাটিত বলিয়! নির্দিষ্ট আছে। তিনি চিরকাল স্বর্গে বাস করিবার যোগ্য। যখন তিনি স্বর্গগামী হন তখন দেবলোকেরাঁও তাহার প্রশংসা! ন। করিয়া বিরত থাকিতে পাঁরেন না। প্রিয়দর্শন, এখন ক্রমেই সমাজের বল খর্ব হইঘা! আসিতেছে, ছুর্দশারও এক শেষ; এখন একবার সর্বজনছিতকারী মুনি বা দেবের আবির্ভাব হওয়া আবশ্যক । (১৬) কপার উপাধি ও সম্মান। ছে সভ্য, তুমি মনে করিয়াছ আমি তোমাকে ভুলাইবার অন্য বাগ্জাল বিস্তার করিয়াছি, তুমি একবার ভ্রমে বা স্বপ্নেও প্েপ্রকার চিন্তা করিও না। আমি অপ্রমাণ কোন কথা তোমার নিকট বলিব না। তুমি একবার প্রমাণপ্রয়োগগুলি অন্য ব্যক্তির নিকট সিলাইয়! দেখ, ঠিক মিলে যায় কফি' না) হে নভ্য! তোমাদ্রিগকে নমস্কার, তোমরা যেমন পুরাতন গ্রিনিষ ঘসে মেজে নূতন বলিয়া! রাহির কর, এ জাতির মধ্যে সে- প্রকার পাইবে না। ইহাদ্দিগের পুরাতন দ্রবাজাত যাহা আছে, মেগুলির যদ্রি কেহ একবার পর্দা ঝাঁড়িয়া রাহির করে, তবে তোমার প্রদর্শিত পরিগাটি নৃতন দ্রব্যগুলি প্রাচীন আর্ধয' পাপা পাপা সপ বত (১৬) বস্তাত্তসার্গাণি কুলানি রাজ। শ্রেণী“ জাতীশ্চ গুণাংশ্চ লোকাঁন। - আনীয় মার্গে বিদধাতি ধর্মান্‌ নাকেইপি শীর্বাধগণৈ! প্রশদ্যঃ ॥ বৃহৎপরাশরূনংছিত।। « অধয়। আচার প্রবরণ। ৮৫ মোক । উপাধি ও সম্মান । ৯৭ জাতির নিকট পুরাঁতন ও কীটাকুলিত অথবা জর্জরিত বলিয়া বোধ হইবে। সভ্যজাতিরা ক্ষুদ্র ভূম্বামিগণকে, সামস্ত'রাজাদিগকে, করদ ভূগতিবর্থকে ও মিত্র স্রাট্সমূহকে সম্মান করিয়া থাকেন, স্থল- বিশেষে উপাধি দিয়া থাকেন, বিছ্বন্মগুলীর পাপ্ডিত্যের প্রশং- সাঁর চিহ্নম্বরূপ উপাধি প্রদান করেন; কার্ধ্কুশল লোকদিগকে কেবল বাহবা দিয়৷ তাহাদিগের প্রতি নিজ আকারগত বাহৃভাৰ গুপ্ত রাখিয়া লোকরগ্তম করিতে সমর্থ হয়েন বটে-_কিস্তু প্রকৃত, পক্ষে মনের প্রফুগ্নতা দ্দিতে বাধ্য নহেন । আর্ষ্যের! অন্ধকে পদ্মলোচন কহিতেন না। যদি কহিতেন, অবশ্য তাহার দর্শন- শক্তি দিতেন । ইহারা ঘাহাকে সম্মান বা উপাধি দিতেন,ভাহার আস্তরিক বল ও উৎসাহ বুদ্ধির উপায় নির্ধারণ করিয়। দিতেন। কেবল উপাধি পাইয়া তাহাকে অন্নসংস্থান জন্য অন্য লোকের উপাসন করিতে হইত না। সে ব্যক্তিকে উপযুক্ত ভরণ- পোবণেত্র শক্তি প্রদানকরা হইত। তাহার উন্নতির দ্বার সদ উন্ুক্ত থাকিত। সে সাঁধাসত্বে সর্ধত্র প্রবেশ করিতে পারিত। শাস্্কারেরা কহিয়াছেন, যে রাজা দগুনীয় বাক্তির দগডবিধান করেন, তিনি সমস্ত যজ্ঞের ফল পর্ন ? তদ্রুপ যে শরণাগত গ্রতি- পালনপুর্বক গুণিগণের, বৃদ্ধজনের, সাধুশীলের, সামস্ত ভূপতি প্রভৃতির ও মণডলদিগের সম্মান করেন, তিনিও সমস্ত যজ্তফলের অধিকারী,এবং যে রাজা এবংবিধ ব্যক্তির অসম্মানিহেতু মনঃ- পীর জন্মান, তিনি অচিরেই ধ্বংস প্রাপ্ত হন। (১৭). (১৪) খাল রাজ যঙ্জফলং লর্ভেৎ ।. সাক্ষি-বিষয়াদি | গ্লবিশেষে সাক্ষীর পরীক্ষা কর! কর্তব্য, স্থলবিশেষে পরীক্ষা! ন! করিয়া সাক্ষ্য গ্রহণ কর! বিধেয়; সাক্ষী পরীক্ষিত হউক আর নাই হউক, সাক্ষী উপস্থিত হইলেই কালক্ষয় ন| করিয়া সাক্ষ্য গ্রহণ করিবে। কালবিলম্বে সাক্ষীর দৌষ হইলে বিচারক পাতকী হইবেন । (১) বিচার নিষ্পাদন সময়ে যেখানে সাক্ষীর আগমন যস্তীবন ও সামর্থ্য না থাকে, তথায় তল্িখিত পত্রাদি দ্বারা তাহার সাক্ষ্য প্রমাণ হয় । সেই লেখ্য তাহার কি না, তদ্বিষয়ের ঘনেহ নিরার জন্য তদীয় অন্য লেখ্যেকর সঙ্গে তুলনা করিয়া দেখা রীতি, ইহা চির গ্রসিদ্ধ। (২ পা তত এপ পা লাসপপাপি বৃদ্ধান ধান সাধন দিজান মৌলান্‌ যো ন সঙ্মানয়েননপঃ। গাঁড়াং কর়োতি চামীষাং রাজা শীত্রং ্য়ং ব্রজেৎ॥ ' পরাশরসংহিতা ২২ ক্লো। ১, অধার। (১) নকালহরণং কার্ধাং রাজ্ঞা সাক্ষি গ্রভীষণে। .. মহান দোয়ো ভবেৎ কালাদধর্মবৃত্তিলক্ষণঃ | কাত্যায়ন ॥ অন্তর্ধেশনি রাত্রৌ চ বহিগ্রা মি বন্তবেৎ। | এতশ্িন্নভিযোনে তু পরীক্ষা নাত্র সাক্ষিণাম্‌। নারদ। অনুভাবি তু যঃ কশচিৎ কু সাক্ষাং বিবাদিনাম। অস্ত্বেশননযরণ্যে বা শরীরস্যাগি চাতায়ে ॥ ৬৯ | সাহসেধু ॥ মর্ষেবষু স্তেরসংগ্রহণেহুচ। বাওয়োশ্চ পাঁরয্য ম গরীক্ষেত বাঁক্িগঃ। ৭২1 মনু ৮ অ। (২). অশক্য আগমে। যত বিদেশ প্রতিবাসিনাম্‌। বৈবিদাপ্রেসিতা তত বেখং দক. এনা পিযেং$. কান । 5. & সাক্ষি-ব্যিয়াদি। . ৯৯ পূর্বোক্ত ব্যক্তিগণকে খ্ষিগণ কেন সাক্ষিযোগ্য জ্ঞান করেন নাই, তাহা শুন। অজ্ঞতা হেতু শিশুজন, স্ত্রীলেকের মিথ্যাকথন অশ্বীভাবিক নহে, এই কারণে কামিনীকুল,(৩)জাপ- কারী ব্যক্তিদ্িগের পাপকাধ্যে অভ্যাস আছে, সুতরাং তৎ- কথিত সত্য বাক/াকে লোকে কুট সাক্ষ্য জ্ঞান করে, তন্নিবন্ধন জালকা'রী, বন্ধুজনেরা স্বেহপ্রযুক্ত অসত্য কহিতে সন্মত হইতে পারেন, তদ্বেতু স্বজন, শক্ত ব্যক্তি পৃর্বাচরিত বৈরনির্য্যাতনের প্রতিশোধবুদ্ধিতে বিপরীত কছিতে পারে, অতএব ইহাদের সাক্ষ্য গ্রাহ্থ নহে। এইরূপ বিচার শাস্তিজনক কার্যেই প্রচলিত ; সাহসিক কার্ধ্যাদিতে ইহাদের সাক্ষ্যও গ্রান্থ হয়। (৪) পাঠক, তোমাকে যাহ! বলিতেছি তদ্বিষয়ে তোমার মতদ্বৈধ হইবার সম্ভাবনা, অতএব তুমি যেখানে যেখানে শান্তিকাধ্যের নাম শুনিবে তাহাকে দেওয়ানী ও যেখানে যেখানে সাহসিক কার্ধ্য এই শব্ধ শুনিবে তাহাকে ফৌজদারি বিচার মনে করিবে, তাহা হইলে তোমার মনে কোন-দ্বিধা জন্মিবে ন1। পাঠক তুমি পাপ পপ সপ পপি পপীপাপাশিপাশাপীপাপা পাশা! (৩) বাঁলোহজানাদসত্যাৎ স্বী পাপাভাসাচ্চ ভারী 2.7 . বিজ্ঞয়াদ্ধাদ্ধবঃ ন্নেহাদ্বৈরনি্যযাতনাদরিত ॥ কাত্যায়ন। (৪) দ।সোহন্ধো বধিরঃ কুহী স্তীবালস্থবিরাদয়ঃ ॥ রা এতে অনভিনন্প্াঃ ফাহনে সাক্ষিণো মতাঃ॥ উন স্্রীনা মসস্তবে কার্য্যহ বাজেন স্থৃবিরেগ ব। | ্‌ _ শিফন বন্ধুনা বাপি দার স্তকেন বা ॥ ৭* হন, . ব্যাঘাতাঙচনৃপাক্ারাং নংগরহে দাহলেযুচ চা ১8 প্েয়পাকযারোশ্চৈর ন পীক্ষেত সাক্ষিণ: 8 :....... চলি ।. ১৭০ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির,আদিম অবস্থা। এখন নিশ্চয় বুঝিলে যে কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মন্ততা। ভয়, মৈত্র, রাগ, দ্বেষ ও অজ্ঞানাদি হেতু ৰশতঃ মিথ্যা বলিবার .সন্তাবনা, ইহা বিবেচনা করিয়াই ধধিগণ সাক্ষিবিষয়ে অমুক্ত- হ্ত'হুইয়া রহিয়াছেন। (৫) সাক্ষ্যকার্যে কামিনীজনের বিবাঁদে কামিনীকুল, দ্বিজাতির বিবাদে তৎসদৃশ দ্বিজাতি, শূদ্রগণের বিষয়ে শূত্র ব্যক্তি, অস্ত্যঞ্ ব্যক্তিবর্গের সাক্ষ্যে অন্তযজ মনুষ্যই সাক্ষী হইবে; সদৃশ সাক্ষী না হইলে শান্তিকার্য্য গ্রাহথ হয় না। (৬): উভয় পক্ষের সাক্ষ্যে জনসংখ্যার তুল্যতা থাঁকিলে সদ্‌- গুণাদদিসপ্দধ ব্যক্তির কথ বিশিষ্ট প্রামাণিক বলিয়া গ্রাহথ হইয়া থাকে । (৭) সাক্ষীর বিষয় এখানে এই পর্য্যন্ত রাখা গ্রেল, ইহা ক্রমে ক্রমে বলিব, নতুবা পাঠকের বিরক্তি ও অরুষ্ঠি জন্মিতে পারে। (৫) অনাক্ষাপি হি শাস্ত্রেযু দৃষ্ট: পঞ্চ বধ: স্ৃতঃ | বচনাদ্‌ দোষতো৷ ভেদাং য়মুক্তিদৃ তাত্তরঃ ॥ যাজ্বন্ধ্য। (৬) শ্্রীগাং সাক্ষাং পরি; কুর্যাছ্ি' জানাং মদৃশদ্বিজাঃ। শুর্রাশ্ সন্তি শৃদ্রাণামন্তানামস্ত্যযোনয়ঃ | মনু ৮ শ্লো ৬৮ অ। (*) দ্বৈধে বহুনাং বচনং সমে তু গুধিনাং বচঃ। ওপিখৈধে তু বচনং গ্রাহাং যে গুণবত্তর/ঃ॥ যাজবন্ধ/সংহিতা। পরাগ ম্ত্যসমুখান' অনেকেই কহিয়া থাকেন, আর্ধ্যজ ৬৮৯ বিষয়ে বিস্তৃত ছিল না বলিয়া সম্মিলিত সম্প্রদায় পরিতুঞ্জ বাণি- জোর গুণ জানিতে পারেন নাই। যদি তাহ! অবগত হইতে পারিতেন, তবে কি আমাদের ভাঁবন| থাকিত? পাঠক, তুমি লেখকের কথাগুলি শুনিয়া যথার্থ মীমাংসা করিবে। তুমি জান আধ্যজাতির বাণিজ্য কার্্ের ভার বৈশ্ত- গণের প্রতি অর্পিত ছিল । তাহার! যে সম্মিলিত-সন্গরদায়-পরি- তুক্ত বাণিজ্য জানিত না, তাহা কি বিশ্বাস কর ?যদিকরতবে তোমার ত্রপ্রমাঁদ নিরাঁদ করাই অগ্রে উচিত। দিংহ্লদ্বীপে, যবদ্ধীগে ও পূর্ব উপদ্বীপের কতিপয় স্থলে ও চীনের লোকের সঙ্গে যে বাণিজ্য চলিত, তাহার প্রমাণ অনেক শুনিয়াই। এক্ষণে তুমি কেবল এই কথার প্রমাণ চাও যে যদি সম্মিলিত-. সম্্রদায়-পরিভুক্ত বাণিজ্য থাকিত তাহা হইলে ত্বাহার কোন নাম (৪) অবস্ত আর্ঘ্যগণের ধর্মশাস্্াদিতে উল্লেখ থাকিত। তাুসারে তোমাকে মন্তযসমুখানের, কথা বলিতেছি। বাণিজ্য- ব্যবসায়ী জনগণের মধ্যে ঘুদি কতিপয় ব্যক্তি মিলিত হইয়া পর- পরের অর্থ ও কায়িক শ্রম রিনিযোগপুরঃষর ক্ষতি বৃদ্ধির অন্ুমানিক সীমা নির্ধারণ পূর্বক' গরম্পর সমতায়, সম্বন্ধে (৪ বাংাহিকঃ গোত্র নানি) ১০২ স্তাঁরতীয় মা্ধ্যজাঁতির আদিম অবশ্থা।" বাণিজ্য করে, তবে এ কার্ধ্যকে তদবস্থায় সন্ত্য়সমূখান কহা বায়। (৯) . | ৬. পাঠক, যে দিন অবধি সম্ভুয়সমূখান কার্ধ্য স্থগিত হইয়াছে সেই দিমপ্অবধি ভারতের ছূর্দশার প্রাথমিক ুত্রপাঁত ধরা- যাইতে পারে। কোন্‌ সময়ে এই যে জাতিসাধারণহিতকর কার্য্যের পথে কণ্টক পড়িয়াছে, তাহ! নিশ্চয় কর! স্বকঠিন। তবে এইমাত্র বোঁধ হয় যে কলিকাঁলের আদি ভাঁগেই উহার লোপ হইবার উপক্রম হইয়াছে । কারণ, অন্য তিন যুগে ষে সকল কার্য মানবগণের হিতজ্জনক ও নুসাধ্য ছিল তাহার কতকগুলি কলিকাঁলে মনুষ্যজাতির পক্ষে অত্যন্ত দুঃখজনক ও অকীন্ত্রিকর ও অসাধ্যসাধন ভাবিয়। ভবিষ্যদ্বক্তা খধিগণ শাস্ত্রে " মাতার দিবিব” দিয়া(১,) সেগুলি কলিতে অধর্শজনক' ও নরকপ্রাপ্তির কারণ বলিয়! নির্দেশ করিয়াছেন । ভারতের (৯) লমবায়েন বণিজ্গাং লাতার্থং কর্ম কুর্বতাম। লাভালাতো। যখাদ্রব্যং যখ। বা সম্থিদাকৃতৌ ॥ যাজ্ঞবন্ধাসংহিতা ব্যবহার্কাণ্ড ২৬২ স্লো সম শ্বানি কর্্মাণি কুর্ববন্তিরিহ মাঁনবৈঃ। অনেন বিধিষোগেন কর্তব্যাংশপ্রকল্পনা ॥ মনু ৮ অ)ল্লো২১১। (১০) সর্ধে ধর্মাঃ কৃতে জাতাঃ- বর্ষে নষ্টাঃ কলৌ যুগে । চাডুরবপ্যমমাচারং কিঞিৎ সাধারণং বদ ॥ | , ব্যামপ্রশ্নঃ পরাশরনংহিতা।, ধর্দজিজাস! | ব্ণাশ্রমাচারবততী প্রবৃত্তি কলৌ নৃগাম্‌ | বিষুপুরাণে । বন্ত কার্যুগে র্থো ন কর্তৃবাঃ কথ বুগে। -.গোণগ্রনপ্তাস্ত মৃতঃ কলৌ নার দরাভ্তথা॥ আদিপুরাণে। ) সময়সযুখান। ১5৩ আর্ধ্যগণের মন সর্বদা স্বর্গের দিকে ধাবিত । স্ৃতরাঁং অস্বর্্য . কার্য্যে তাহাদিগের মন কেন যাইবে? কাযেই মমুদ্রযাত্রা রহিত হইল। এইটিই ন্তুসমুখানের অন্তরায় বলিয়া অনুমিত হয়। বিদেশয়দিগের সঙ্গে সংম্রব না থাকিলে বাণিজ্য বিস্তার হয় না। সম্তুয়সমুখাঁন-বিবাঁদে কত দূর দণ্ডের পরিমাণ তাহা যখন শাস্ত্রে আছে, তখন অবশ্ঠই ইহা! সর্ধবাদিসম্মত বলিয়! পরি- গণিত । লেখক বলিতে পারে স্থলপথে বাণিজ্য সহজ নহে । দ্রব্যাদির আগার প্রসার অনায়াস-সাধ্য না হইলে বাণিজ্যে লাঁত হয় না। এই কারণেই প্রথমাবধি স্থলপথের বাণিজ্যে লোকের তাদৃশ আস্থা দেখ! যাঁয় নাই। অবশেষে ঘখন সমুদ্রঘাত্রা (১১) রহিত হইয়া গেল, তখন আর্ধাজাতির পতনের উন্মেষকাল, তৎকাঁজে লোকের প্রতিভা লোগ হইবার উপ- ক্রম হইতেছে মাত্র। বিশেষতঃ তংকালে ইহাদিগের গৃহ- বিচ্ছেদ আরম্ভ হইয়াছে। যখন আম্বীয়গণের সঙ্গে প্রণয় শপ পাপ পাপী পপ (১১) সমুব্বধাত্রান্বীকারঃ ফমগুলুবিধারণম,। _ স্বিজানামসবর্ণান্ বন্তান্থুপযসস্তথা ॥ দেবরেণ সুতোৎপত্ি্দর্ধুপর্কে গপোর্বধঃ। . মাংসহানং তথা শ্রান্ধে বানপ্রসথাপ্রমন্তধ॥ দতায়াশ্চৈব কণ্ঠায়াঃ পুনর্দান? পরন্ত চ। দীর্ঘকাল: র্যং দরমেধামেধকৌ॥ বহাপ্রহানগমনং গোমেধঃ তা মখ। ॥ | . ১০৪ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আঁদিম অবস্থা । নাই, তখন অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে কিরপে পরিচয় হইন্তে পারে? সেই অন্তর্বিচ্ছ্দেকালে গ্রজাগণ প্রীগরক্ষার আশঙ্কায় ব্যতিব্যস্ত ছিল। এরূপ অবস্থায় কি কোন ব্যক্তির স্বদেশানু- রাগ প্রবল থাকে? তখন কেরল আত্মরক্ষার চিন্তা । সুতরাং সন্তুযসমুখান রহিত হইল। | ূর্ভকার্ধ্য (80810 008) । আমাদিগের সভ্যজাঁতিরা বলিবেন ভার্তবর্ধীয়দিগকে তাহারা পুর্তকার্য্যের ফল শিক্ষা দিয়াছেন। তাহাদের উপদেশ না পাইলে অথবা আদর্শ না দেখিলে ভারতের আঁধ্যগণ কদাচ পূর্তকাধ্য করিতে জমর্থ হইতেন না। বৈদেশিক পরিব্রাজক! তুমি একবার ভারত পরিভ্রমণ কর। ধর্মশান্ত্, পুরাণ, ও কাব্য পাঠ কর, অবশ্ নানাস্থলে পুর্তকাধ্য দেখিতে গাইবে। যদি তোমার নারদ, মাঁকণডের মুনি, ভূষ্তী কাক অথবা কোন ভারতীয় উপন্তাস-বক্তা বৃদ্ধের সহিত সাক্ষাৎ হয়, তবে অৰশা পূর্ত কাধ্যের অনেক সমাচার পাইবে । নারদ ও মুখিষ্টির সংবাদেও এরূপ কথা- বার্ড দেখ। যায়। মহাতারত সভাপব্ব দেখ। পাঠক, তুমি কাশী চল; জ্ঞানবাপী ও মণিকর্ণিকা প্রতৃতি তীর্থ দ্েখ। যদি বৃন্দাবন যাঁও, তবে সেখানেও বনরাজী দেখিয়া পরিতোষ লাভ, করিতে পারিবে। তুমি কি অক্ষয় টের কথা শুন নাই? অক্ষয় বটের এত মহাত্ময কেন। হথায়দাম দ্বারা তিনি. বল্ত জনগণের শর্ত আপন | | ূর্ভকার্যয। | ১০৫ বস্তি ও শান্তি প্রদান করেন। পুরুষোত্তম-ক্ষেত্র দর্শন কর। নরেন, চক্রতীর্ঘ, মার্কতেয়-হুদ, ইন্র্যয়-সরোবর, সবেতগঙ্গা প্রভৃতি শ্রীক্ষে্রের ইন্তা রাজার পূর্ভকার্ধ্য। অক্ষয় বটের কথা! শুনিয়াছ, সর্বস্থানে তাহার পুজা হয়। রাম ঘরতকে কি জিজ্ঞান। করিয়াছিলেন, নারদ আসিয়া ুধিষ্টিরকে কি কি বিষয়ের উপদেশ দিয়াছিলেন ? (১২) পাঠক, তুমি রামায়ণ পড়) প্রজাদিগের জন্ত রাম কত ব্যস্ত হইয়। তরত্রকে কহিলেন) ভ্রাতঃ, তুমি প্রজাদিগের সঙ্গে পমছূঃখস্থবী কি না? তুমি গ্রজারদিগকে স্থলবিশেবে বীজ, ভোজ্য ও থণ দিয়াথাক কিনা? মরুদেশ ও অল্লতোয়- বিশিষ্ট প্রদেশ সকলে বৃহৎ বৃহৎ তড়াগাদি করিয়া দিয়াছ কিনা? প্রজাগণ দেবমাতৃক বলিয়া কৃষির নিমিত্ত যে খেদ করিত, তাহাদের সে খেদ নিবৃত্তি করিয়াছ কি না! এখন সমুদায় রাজ্যকে অদেবমাতৃক বলিতে পারি কি না? বৈদেশিক, তুমি বলিতে পার যদি ইহীদিগের প্রন্কত সে বুদ্ধিই ছিল, তবে প্রশস্ত রাজবন্থের কথা শ্রবণ করা যায় ন! কেন? তুমি মনে করিয়াছ ইহাদিগের, ইতিহাস নাই, তুমি যাহা! বলিবে তাহার উত্তর দ্রিতে পারিব না'। মহা ভাঁরত ও রামায়ণকে কি পদার্থ, জ্ঞান কর? তাহাতে গ্রস্ত রাপথের রক্ষণ দেখিতে পাইবে। রাজমার্গ অপ- . ভাগশো খিনিঝিষ্টানিৰ কিঃ ৃ ১০৬ ভারতীয় আর্ধ্যঙাতির আদিম অবস্থা! । রিষ্কৃত করিলে সাঁপরাধ ব্যক্সির দণ্ডবিধান হয় ও স্থলবিশেষে ভিরস্কার হইয়া থাকে তাহা। তোমাকে দেখাইয়াছি। (মস্থু-- ৯ অ।২৮২।২৮৩-শ্োক।) যদি বল বাধা রাস্তার ধারে সারি বাঁধা গাছ নাই। তাহার প্রমাণ জন্য আমি দিলীপ রাজার বশিষ্টের আশ্রমগমন ও রথুরাজার দিগ্বিজয় যাত্রার কথা উল্লেখ করিব। দিলীপ যে সময়ে বশিষ্ঠের আমে ধাইতেছেন তখন তাহার দর্শনলালপায় বুদ্ধ গৌপগণ সদ্যো- জাত নবনীত উপহার সমভিব্যাহীরে বশিষ্ঠাশ্রমাতিনুখের রাজমার্গে উপস্থিত আছে। রাজা নেই সকল বৃদ্ধদিগকে বাজবত্বস্থিত বৃক্ষত্রেণীগত বনজ বৃক্ষগুলির নাম গ্িজ্ঞাস। করিতে করিতে বশিষ্ঠ আশ্রমে চলিলেন। রথুষে সময়ে যুদ্ধবাত্রা করেন, তখন শরৎকাল। অগাধজলবিশিষ্ট নদী- গুলি পয়ঃপ্রণালী দ্বারা জল নিঃসারণপূর্বক স্ুখতা্য ও অল্প- লা করিয়াছিলেন। যে সকল নদী নাব্য ছিল সেগুলি সেতুবন্ধন দ্বারা অনায়াসতাধ্য করিয়াছিলেন। রথু যুদ্ধাজা কালে যে স্থান মহারণ্য দেখিয়াছিলেন তাহার ধ্বংদ করিয়া" ছিলেন। তখন সেস্থল সুগম্য, ইসি ও বি স্থল হয় । (১৩) ্‌ " (১৩) হৈয়ঙ্গ বীনধাদায় ঘোষবুদ্ধানুপস্ঠিতান্‌ না নানধেয়ানি পৃচ্ছন্তো বন্যানাং মার্গশাখিনাম। রঘু ১ দর্গ। সরিতঃ কুর্বতী গাধাঃ পথশ্চাশান কর্দমান্। | | যাত্রায়ৈ ধরেরয়াঁাস তং শে; প্রথমং শরং॥ ৪র্ঘ ২৪ মো ট্। মরপৃষ্ঠনু নাদস্তাংদি নাব্যাঃ সুপ্রতর! নদী । ্ বিপিনানি গ্রকাশানি শভতিমন্তবাচ্চকার মঃ ॥ রঘুবংশ, এ ৩১ রো ।ঃ পুর্ভকার্য্য | মি [১০৭ এখন পাঠক, তুমি শাস্ত্রের আদেশ চাও) পূর্তকার্য্ের শান্রীয় প্রশংসা শুনিতে মানস করিয়া; তুমি প্রাচীন ধধিদের প্রণীত ধর্মশান্ত শ্রবণ কর। দ্বিজগণ সর্বদা সমাহিত- চিন্তে ইষ্ট ও পূর্তকাঁধ্য সমাধা করিবেন । ইষ্টকার্ধ্য দ্বার! স্বর্গলাভ হয়। পূর্তকার্ধ্যই মোক্ষপ্রাপ্থির কারণ। যে ব্যক্তি দরিনেকের নিমিত্তে ভূমি খনন করিয়। সুস্বাহছু বারি প্রদান করেন, তদীয় জলাশয়ে অন্য প্রাণিবর্গের জলপানের সম্তা- বনা না থাকিলেও তৃষ্তার্ত একমাত্র গোধনের তৃপ্তি-সাধ- নেই তাহার জলাশর়-করণের অম্পূর্ণ ফল জন্মে। (১৪) সেই বারিক্ষেত্রই তীহাঁর সপ্তকুল উদ্ধারের কারণ বনিয়! পরিগণিত হয়। ষবাহার প্ররোপিত তরুরাজীর স্ুক্নিগ্ধ ছায়াতলে উপবিষ্ট হুইয়। জীবগণ ক্লান্তি দূর করে, তাহার পক্ষে সেই পাদপশ্রেণীই ভূমিদাত। ও গোদানকন্্রীর সহিত তুল্যফলগ্রদ সালোক্য- ্রনানের মোপানন্ববধপ হয়। যে ধর্মতি পরকীয় বাপী কৃপৃ তড়াগাদি দেবমনদি দির যথাসন্তব পঙ্কোদ্ধার্‌ ও জীর্ণসংস্কার কনেন, তিনিও পূর্বোক্জরপে স্বগ্ফলভাগী হন। জীর্ণ স্কারাদিও অভিনব পূর্তকার্যোর সদৃশ গণ্য। ইস্ট ৭ পূর্ত কাধ্যে বিজাতিতয়েরই সমান অধিকার। গণের কেবল পপ পপ ছি পে তু কর্তরো ানধখেন হর: . ইষ্টেন লভতে গং পুর্বে মোক্ষম একাছিমপি বর্তব্াং ভুমি! মুদ্বকং কুখনি ভারয়েখ স্যর, শৌরিত্র ১০৮ ভারতীয় আরধ্যজাতির আদিম অবস্থা । পূর্তকার্য্যে অধিকার দেখা যায়। বেদবিহিত একমাত্র পুর্তকার্ধ্যের ফল দ্বারা শৃদ্রগণ চতুর্বর্ণ ফল প্রাপ্ত হয়েন। ইই্ট- কাধে শূদ্রগণ নিতান্ত অনধিকারী হইলেও তাহাদিগের পরমার্থের হানি হয় নাই । (১৫) অগ্নিহোত্র, তপন্তা, সতাপালন, নাস্তিক হইতে বেদের ক্ষা, আতিগ্য, বৈশ্বদেবের পূজা! এই কয়েকটি কার্য্যের নাম ইষ্ট । (১৬) জলাশয়-দান, বৃক্ষরোপণ, প্রশস্ত বর্ঘ নির্মীণ, গঙ্কোদ্ধার- কাব্য ওজীরসংস্কার, পান্থনিবাম, বাধাঘাট ও দেবমন্দিরাদি প্রতিষ্ঠা অতিথিশাল! প্রহথতির নির্্মাণকার্ষ্য পূর্তমধ্যে গণ্য। কুল্যাদির বিষয় ইংরাজী দেখ। তথায় খকবেদের বচন প্রমাণ উদ্ধার কর! গেল। 109 110113 9891086 16765) 5০]. ছা, 8.৬, 1, 57915817000) 2) স1)10]) 076 ক্ষেত্রন্ত পতিঃ, 0 06]০ অ1)9 78 006 00106508901 6706 8০1] ০£ পিপি ২৩০৮ ০০১০প০পসীপিপ ও তপন শত পলিপ - ২ পিপি টিক ীাশিশীটি শাল পিপিপি তি পি ০, ০ ছি পাশপাশি পিস্পিপপাাপিশ্লা (১৫) তূমিদানেন যে লোকা গোধধানেন চ কীর্তিতাঃ তালে কান প্রাপ্র যানর্তাঃ পাদপামাং প্ররোপণে ॥ বাপীকুপতড়াগানি দেবতায়তমাপি চ। পাতিতানাদ্ধরেদস্ত স পূর্তফল নম, ॥ লিখিতসংস্কিতা। (১৬) অগ্রিহোত্রং তপঃ সত্যং বেদানাঞ্েব পালনম,। | আতিথ;ং দৈশ্বদেবগ্ট ইঞ্টমিতাভিনীয়তে ॥ ইষ্টাপূর্বে দ্বিজাতীনাং সাযমানো। ধর্ম উচ্যতে। রঃ জবিকারী ভবেঙ্ছুজ: পূর্তে ধর্দেণ বৈদিকে ॥. লিখিতমংহিন্!). . ব্যবসায়-বিভাগ্ধ | ১০৯ 0 & 0081)0001শ8 18 00163860200 ৪ 10199531109 23 1774 %0190 011 8610 00918010115. 8110 01161 10001097003, ৪00 00. 6108 09010180015 (কীলাস), 00100879 সূ. 1]? উর্বর), 09101582560 2170 1616119 181)0) 19 10091)6101160. 11. 81108 12063, ড26:009789ও (কুল্যা), ঘ1)10), 108 9] 22 006 1759 0691) ৪:00$012]) 89811006060 0. 1], 45, 8 ৪৪ 20. 43,7 (সমক্ষরন্‌ সোমাসঃ ইন্ত্রম্‌ কুল্যাঃ ই্ৰ হদম্), ৪3097101708 70 1901)0$ 07 18198 ) ৪00 চা26০৫8 ফ1)101) 219 6%1)793817 1991790 00 ৪3 (011010% 11 01)2112)613 আ1)101) 1120 19661 ৫05 01) 1017 (11670 91৩ 10616101)80 10) ড্র], 49, 9 “্যাঃ আপো। দিব্যা উক্তবা শ্রবন্তি খনিত্রিমাঃ উক্তবা যাঃ স্বয়জ্ঞাঃ |” 400 17070 00018 1015 1100 0.019830118019 00 1106৮ 01086 01160 11118002 001%7008 0009: 00101720008 18 11876 196৩1 [:8001890 (289 465), জার ব্যবলায়-বিভাগ। অনেকের মুখেই শুন! যায় যে ব্রাহ্মণগণ নিতান্ত স্বার্থপর ছিলেন, নিজের স্বত্ব বিলক্ষণ বুঝিতেন, অন্য জাতির প্রতি সম- ছঃখন্খী ছিলেন না। প্রিয়দর্শন পাঠক ! তুমি কি বিবেচন! কর ইহার! নিম্পৃহ ছিলেন না, ইহাদিগের সহানুভূতি ছিল না? আমি বিবেচনা করি আধ্যজাতির ব্যবসায়, শ্রেণীগত বৃত্তি বিভাগ ও বৈবাহিক প্রথার ইত্তরবিশেষ দেখিয়াই তোমার সে ভ্রম জন্মিয়াছে। তুমি মনোষোগপূর্বক শ্রেন্ঈগত বৃত্তিবিভাগ ও বৈবাহিক প্রথা আমূল পর্ধ্যালোজনা কর, .তোমার সেত্রম : অনেকাংশে দূর হইবার, সম্ভাবনা ॥ সম্প্রতি তোমার ভ্রন্ন- ৯০ ও এ 42 ১১০ ভারতীর আধ্যজাঁতির আদিম অবস্থা । প্রমাদ নিরাস জন্যই আধ্যজাতির শ্রেণীগত বৃত্তি (ব্যবসায়- বিভাগ) ও বিবাহ লিখিত হইল । ্রাহ্মণেরা ষট্কর্ম্শালী ছিলেন। এই ছয়টার নাম যজন, ষাজন, অধ্যয়ন, অধ্যাপন, মান ও প্রতিগ্রহ । এই ছয়টা বৃত্তির আশ্রয়গ্রহণপূর্বক বিপ্রগণ জীবিকা নির্ধাহে সমর্থ। অনা” পৎকালে এতদ্বাতীত রুৰ্তি দ্বার! সংসারযাত্রা নির্বাহ করিলে দ্বিজবরেরা পতিভ হইতেন। তীহাদিগের ত্রাঙ্মণ্য লোগ পাইত। তাহারা তৎক্ষণাৎ শুদ্রমধ্যে পরিগণিত হইতেন। দেখ দেখি ইহার! কি নিতান্ত স্বার্থপর ছিলেন? আপঙ্কাল- ব্যতিরিক্তস্থলে ইহারা ক্ষত্রিয-বুত্তিও অবলম্বনে সনর্থ ছিলেন না। মনু (৭8-৮০ শ্লো। অ ১০)। ক্ষত্রিযগণ গ্রজাপ্রতিপালন, দান, যজ্ঞ ও অধ্যরন এই চারিটা বৃত্তির অন্ুরণপুরঃঘর আত্মজীবিক। নির্কীহে অধি- কারী । ব্রাঙ্ণগণ অবিরত বিষয়বাসনায় প্রতিষিদ্ধ হইলেন। রাজনাগণ ম্পৃহাপরিশূন্য হইয়! নিরন্তর বযরবাসনাতে কালাতি- পাত করিলেও শাস্ত্রাজসারে পতিত বা অশ্রদ্ধেয় হইবেন না, শাস্ত্রের মাদেশ অন্গুনারে তাহারা এককালে যাবতীয় সাংসারিক সুখভোগের অধিকারী থাকিলেন। ত্রাঙ্গণগণ বদি নিতান্ত স্বার্থপর হইতেন, তাহা হইলে কি ইহারা এ অধিকারটী আপনাদিগের আয়ত্ত ও নিজন্ব করিতে পারিতেন না? মন (শো ৮১২২৯ । অ ১*ম)। | বৈশ্তজাতির প্রতি পঞুরক্ষার ভার, দান, কৃষি, যজ্প,. অধ্যয়ন, বাণিজ্য ও কুসীদ বৃত্তি দ্বারা জীবিকা! নির্বাহের আদেশ হইল। ত্রাঙ্ষণ ও ক্ষতিয়গণ পশুরক্ষা, বাণিজ্য, ব্যবসায়-বিভাগ । ১১১ অথবা কুপীদ বাবপায় দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করিলে হেয় এবং সমাঁজ-বহিষ্কত হইতেন। বাণিজ্য লাভকর কার্ধ্য, স্বার্থপর ব্যক্তিরা কি লাভের বস্তটাকে স্বকীয় বৃত্তিমধ্যে রাখিতে যোগ্য হইতেন না। অন্যের বৃত্তি বলিয়া স্পষ্টাক্ষরে নির্দিষ্ট করিয়া দিলেন কেন? মন্ধু (শ্লো ৯১। অ ওয়)। শূদ্রগণ অন্ুয়াপরিশূন্য হুইরা দ্বিজাতিদিগের সেবা গুশ্রষ। দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করিবেন, ইহাই তাহাদিগের বৃত্তি । মনু (গ্রে! ৯৯-১০০ | অ ১০ম)। ভবিষ্পুরাঁণে অতি স্পষ্টাক্ষরে নির্দিষ্ট আছে যে, অষ্টাদশ পুরাণ, রামায়ণ ও মহাঁভাঁরতাদি ধর্মশাস্ত্রে শূদ্রগণের বিশেষ অধিকার থাকিল। অগ্রে বিদ্যা ন! হইলে পুরাঁপাঁদি পাঠ ও বিচীরে কিপ্রকারে ক্ষমতা জন্মিতে পারে? ব্রা্ধণগণ অনেক সময়ে শূদ্রের প্রতি বাৎসল্য দেখাইয়াছেন ; তৎসমস্ত শৃর্দরৃত্য-বিচারস্থলে নির্দেশ করা যাইবে। অদ্য শৃদ্রের পুরাণাদি শাস্ত্রে অধিকার দেখান গেল। শূর্রের! কৃষি, বাণিজ্য ও পশুপালনেও প্রতিষিক্ধ নন । (১) (১) চতুর্ণামপি বর্ণানাং যানি প্রোক্তানি বেধন1। ধর্মুশান্ত্রণি রাজেনন শৃণু তানি নৃপোত্ম ॥ বিশেষতন্ত শুদ্রাণাং পাবনানি মনীধিভিঃ। অষ্টাদশ পুরাগানি চরিতং রাঘবন্য চ। রামন্ত কুরুশার্দ,ল ধর্মকামার্থসিদ্ধয়ে॥ তথোক্তং ভাঁরতং বীর পারাঁশধোণ ধীমতা | বেদার্থং নকলং খানি ধর্সশান্্াণি'চ প্রভে ॥. - ভবিব্যপুাণীয্ বচন অূতরকৃতাধিগারখাতির)। *১২ ভারতীয় আর্জাতির আদিম অবস্থা । দ্বিজগণের বৈদিক ক্রিয়াকলাপে অধিকার থাকায় তাহারা অনায়াসে ব্রহ্গনির্ণয়ে অধিকারী বলিয়া নির্দিষ্ট হইলেন । অধ্যাপনাঁর ভার কেবল ব্রাহ্মণের প্রতিই বর্িল। এখানে দেখা যাইতেছে যে. ষে বাক্তি আত্মনিগ্রহ ও তপপ্যাদি দ্বারা ্রহ্মনির্ণষ়ে সমর্থ হইয়াছেন, কালক্রমে তিনিও ত্রাঙ্গণশ্রেণীতে উন্নীত হইয়াছেন । তাহার প্রমাণ সর্বত্র দেদীপ্যমান রহি- য়াছে। বিশ্বামিত্র ক্ষত্রিয়কুল হইতে, প্রস্কণ বৈশ্যবংশ' হইতে, শুদ্রক শূদ্রজাতি হইতে এবং ঘবন খধি মেচ্ছ-গোষ্ঠী হইতে প্রথমে খিনংজ্ঞ। প্রাপ্ত হন, তপরে ত্রাঙ্গণ্য অধিকার করিয়া বিপ্রগণমধ্যে পরিগণিত হন। প্রিয়দর্শন পাঠক ! তুমি সদাচার সৎক্রিয়ান্থিত, আত্মমনঃ- সংযমী ও জিতেন্দরিয় ব্যক্তিদিগের মধ্যে তত্বজ্ঞান সম্বন্ধে জাতিগত বড় ইতর-বিশেষ দেখিতে পাঁইবে না । (২) দ্বিজাতিত্ব। আর্ধ্যসস্তানগণ জন্মমাত্রেই দ্বিজাতিত্ব প্রাপ্ত হন না। প্রশ্থুতির গর্ভে জন্মযোগ্যকালে তীহাদিগের গর্ভাধান ক্রিয়া শান্তরান্ুসারে সম্পাদিত হয়। শিশু ভূমিষ্ট.হইলে জাতকরণ হইয়া থাকে । অন্প্রাশন-ক্রিয়ার সঙ্গে অথবা কুলাচার (২) শুত্রোহপি শীলদম্পন্বো গুণবান ব্রাহ্মণো ভবেৎ। । , ত্রাঙ্মণোইপি ক্রিরাধীনঃ শৃত্বাৎ প্রত্যবরো ভবেৎ ॥ গর্াশরবচন॥ দ্বিজাতিত। 5১৩ অন্ুধরী অন্নাশনের পূর্বেই ধর্মাশাস্ত্রের মতে নামকরণ সমাধা হয়। তৎপরে চুড়াকরণ। এটা স্থলবিশেষে উপ- নয়নের পূর্বে স্থলবিশেষে সমকালেও সম্পন্ন হইয়া থাকে। ব্রাঙ্মণাদিত্রিক কেবল উপনয়ন দ্বারা দ্বিজত্ব প্রাপ্ত হন না। উপনয়নের পুব্বে গর্ভীধানাদি পঞ্চ মহাসংস্কার যথাবিধানে ও যথাকালে সমাহিত না হইলে দ্বিজাতি-পদের অযোগ্য হন। উপনীত হইলেই ইহ্াদিগকে খধিযজ্ঞ, দেবজ্ঞ, পিতৃষজ্ঞ, ব্রত, হোম, উপবাস এবং অন্যান্য মহাষজ্ঞের অনুষ্ঠান দ্বারা পাঞ্চভৌতিক দেহকে ব্রঙ্গগ্রাপ্তিযোগ্য করিতে পারিলেই ব্রাহ্মণ শব্ধের যোগ্য হন। ব্রাহ্মণের ংশে জন্মিলেই ব্রাহ্মণ হয় না। মন্তু (শ্লো ২৭২৮। অধ্যায় ২)। উপনীত হইলেই ইহীদিগের দ্বিভোজন রহিত হয়। যাবংকাল ব্রন্ষচর্ধ্যে থাকেন তাবৎকাল' ইহ্াদিগকে একাহারে থাকিতে হয়। সমাবর্তনবিধি-সমাপ্ডির পর রাত্রিকালে আহার করিতে নিষিদ্ধ নন বটে, কিন্তু কেন ব্রত নিয়মের অধীন হইয়! ধর্মকর্ম্ের অনুষ্ঠানে রত হইতে হইলে ইহী- _দিগকে পুর্বদিন হবিষ্যান্ন ভোজন করিতে হয় ও একাহারী থাক! বিধি। ক্িরা-সমান্তির প্রাক্কালে আর জলগ্রহণেও অধিকারী নন। শুদ্রাদি বিষয়ব!সনা-পরিশূন্ত হইয়া এরূপ কঠোর ব্রতে কয়দিন স্বস্থমনে দিনযাপন করিতে সমর্থ হন? নিম্পৃহতা কাহার নাম জান? বিষয়াভিলাষপরিত্যাগের নাম নিম্পৃহত]। ডি । কেহ কেহ বলেন, কেৰল শৃদ্রজাতির প্রতিই ব্রাব্ধণগণের দৌরাম্য ছিল। লেখক দে কথ! কহে না| লেখক বলে, স্টি ১১৪ ভারতীয় আর্ধ্যজীতির আদিম অবস্থা | কি ব্রা্ঈণ, কি ক্ষত্রিয়, কি বৈশ্, কি শৃদ্র অথবা স্ত্রীজাতি ইহাদিগের মধ্যে বিনিই ত্রহ্মনির্ণয়ে অক্ষম বলিয়া অনুমিত হইয়াছেন, তীহাকেই ধর্শান্ত্রে অনধিকারী স্থির কর] হইয়াছে। জড়, মৃক, বধির, স্ত্রী ও শূদ্র ইহাদিগকে বেদে অনধিকারী করিবার তাৎপর্য কি বিচার করিয়। দেখ, খধিগণকে স্বার্থপর বলিয়া বোধ হইবে না মন্ধু (শ্ো৫২। অ২)। ভোজ্য দ্রব্য | ব্রাহ্ণেতর জাতি ঘত্র তত্র বাঁস করিতে পারে। তাহারা অপেয় পান, অথাদ্য ভোজন করিলেও এককালে শূতদ্রত্ব-গ্রাপ্ত হয় না। কিন্তু ব্রাহ্মণের! অপেয় পান ও অভোজ্য ভোজন করিলেই পতিত ও ব্রাঙ্গণ্য হইতে রহিত হন। ইহীদিগের পরিশুদ্ধ ভোজ্য দ্রব্য মধ্যে অতি অল্প সামগ্রী দেখ! যায়। যথ1 প্রথম কল্প--যব, তিল, তুল, ঘ্বত, দ্রপ্ধ,(১) দধি, সৈন্ধব- লবণ। দ্বিতীয় কল্প বা অপকর্ষ-_গুড়,দাড়িম, বিশ্বফল, আত্ম,মধু, পনস, কদলী(২)। মটর, নোয়াল, জীরক, হরীতকী, তিন্তিড়ী, (১) গোক্ষীরং গোঘৃতঞ্চেব ধান্যমুপ্া যবাস্তিলাঃ। নামুদ্ং সৈন্বকৈব অক্ষারলরণং মতং ॥ রঙ্জাকরধূত যাজ্ঞবক্ষাবচন। (২) হৈমভ্তিকং দিতান্বিন্নং ধান্যং মুগা যবাস্তিলাঃ | _ কলায়কর্গুনীবারা বাস্থকং হিলমোচিকা | ভোজ্য দ্রব্য, "১৯৫ বিভীতকী, ইক্ষু, আমলকী প্রভৃতি কয়েকটী হবিধ্যান্স ড্রব্য। শাকের মধ্যে রক্তশাক নিষিদ্ধ। ওল, পটল, নারিকেল ও গুবাক প্রভৃতি মূল ও ফল নিষিদ্ধ নহে। কিন্তু পলাওু, লশ্ুন, গৃপ্জন, ছত্রাক ও অপবিত্রস্থানজ দ্রব্য অতিনিষিদ্ধ ও অভক্ষ্য । এতদ্যতীত সমস্ত ফলমূল নিরামিষ বলিয়া গণ্য । বেতোশাক, হ্যালাঞ্চা ও কালশাক হবিষ্যান্ন মধ্যে পরিগণিত । মূলের মধ্যে কেইমূল পরিত্যাজ্য । আধ্যজাতির ধর্দকর্থণ যিনি দেখিয়াছেন, তিনি এতদ্ব্যতাত অন্য কোন দ্রব্য শ্রাদ্ধপাত্রে অথবা পুজার নৈবেদ্য ও অন্ন মধ্যে অনুসন্ধান করিয়া পাইবেন না। ঘাহারা আমিষভোজনের যোগ্য অর্থাৎ পিতৃবঙ্জের বা দেব- যজ্ঞের নিমন্্িত ব্রাহ্মণ, তাহাদিগকে মৎস্য মাংস ভোজন করান মাইতে পারে। শশক, শল্লকী, গোধা, কুর্ম, গণগ্ডার, ছাগঃ মেয় ও হরিণ। অধুনা সভা লোকদ্দিগের মধ্যে গোধিকা ভোজন দেখা যায় না। ইতর লোকের মধ্যে গোধিকা -ভক্ষণ পুর্বে প্রচলিত ছিল। কবিকম্কণের পর ও কালকেতুর মাংসবিক্রয় দেখ । ০ এপি বাষ্কাক কালশাক্ মূলকং কেমুকেতরৎ। লবণে সৈন্ধবনামুদ্রে গব্যে চ দধিনপিষী॥ পয়োইনুদ্ধতসারঞ্চ পণসামহরীতকী। তিস্তিড়ী জীরক্চেব নাগরঞ্ব পিগ্সলী ॥ কদলী লব্লী ধাত্রী ফলাম্যগুড়মৈক্ষবমূ। অতৈলপকং মুনয়ো। হবিষ্যান্ং প্রচক্ষতে ॥ . একাদপীতত্বা ১১৬ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । মংস্যের মধ্যে পাঠীন, রোহিত, মদ্‌গুরাঁদি কয়েকটা পবিত্র অন্যগুলির মধ্যে একবিধ দুইটার এক এক জাতি পরিত্যাজ্য বলি! স্থিরীক্ত হইয়া আছে! খাদ্যবিচারে জখুদার বিবুত হইবে। দুগ্ধ নানাপ্রকার, তন্মধ্যে ছাগ, মেষ, মহিষ ও গোুগ্ধ দুগ্ধমধ্যে গণ্য । গাভী-ছুপ্ধই পবিত্র । অন্যগুলির মধ্যে মহিষীর ডুগ্ধ অঞ্ধনিত্র নহে কিন্তু হবিব্যান্ন মধো গণ্য নহে । বিষ্যান্ন ব্যতীত কতকগুলি দ্রব্য নিরামিষ ও কতকগুলি আঁমিষ। মৎদ্য মাংশ ও পুতিকাদি আমিষ জরব্য বলিয়া গণ্য হয়। হরিধ্যান্নের অনুকলপ নিরামিষবস্থ । আমিঘ ভোজন দ্বারা ব্রঙ্মচর্ধ্য হর রর ৷ ব্রহ্মচধ্যই ব্রাহ্মণের প্রধান কার্য । অক্ষম ব্যক্তি হবিষ্যান্ন ভোজনে অপারগ হইলে নিরামিষ ভোজন দ্বারা ব্রন্মচধ্য রক্ষা করিতে পারে । জাসদ মধ্যাদা। আধের্রী শৃদ্রদিগকেও কার্ধযবিশেষে ও সময় অনুসারে মধ্যাদার সহিত স্থান দান করিতেন। শূদ্র ব্যক্তি অত্যন্ত বুদ্ধ ভইলেই বুদ্ধ বলিয়া সভায় সম্মান পাইত | বিধানসংহিতায় অস্ত্রধারী ব্যক্তি, দশমীদশাগ্রস্ত জন, রুপ্নশরীরী, ভারবাহী, ক্লান্তজন, শ্ত্রীজাতি, স্নাতক ব্রাঙ্গণ, রাজা এবং বিবাহসময়ে বর সম্মানের যোগ্য ব্যক্তিকে যথাযোগ্য সমাদর ও সম্মান নী করিতে পারিলেও অসন্মানিত বা দ্বণিত হয়েন না।" এ সকল ব্যক্তি কালবিশেষে, স্থলবিশেষে, অগ্রগামী অথব! জোষ্টত্ব ও কনিষ্ঠতব। ১১৭ উচ্চ আপগর্নে উপবিষ্ট হইলে দোষী হন না, বরং অনেক গধয়ে সম্মানপ্রাপ্থিবিষয়ে ইহাদিগকে অগ্রসর করিতে হা, এবং ইহীদিগের জন্য পথ পরিত্যাগ করিতে হয়। এ সকল স্থলে জাতিগত ইতর-বিশেষ নাই । এবং ধে স্থলে ইহাদিগের সকলের সগাবেশ হয় তথায় গ্লাতক, দ্বিজবর ও রাজী সর্ধাগ্রে মান্য। রাজা ও প্লাতকের মধ্যে স্নাতক নৃগকেই অগ্রসর করা বিধেয়। কিন্তু অন্গাতক রাজ! ও মাতক বরা সুটাগাজকষীণতক. অগ্রগণ্য । (৩) নেই বান্ধিই মান্য। ইনি মান্য গণ্য গ্রকারে গণনা করিতেন নাঁ। ইহারা সমবেত বান্ষণ, ক্ষত বৈশ্য, শৃদ্রের মধ্যে নি্ললিখিত প্রকারে জোষ্ট কনিষ্ঠ সংজ্ঞা দিতেন। ব্রাঙ্গণগণ বাযঃক্রমে কনিষ্ঠ হইলেও যদি তিনি জ্ঞানা- ৯ (৩) পঞ্চানাং ত্রিঘু বর্ণেষু ভুয়াংদি গুণবন্তি চ। যত্র নাঃ সোহত্্র মানার্হঃ শৃড্রোহপি দশমীং গতঃ ॥ ১৩৭ | . চক্জিণো দশমী হস্য রোগিণো। ভারিগং স্্রিয়াঃ । স্াতকন্ত চ রাজশ্চ পন্থ। দেয়ে! বরন্য চ॥ ১৩৮ ॥ তেষাস্ত সমবেতামাং মানো) স্াতকপার্থিবৌ। রাজন্নাতকর়েশ্চৈব স্নাতক নৃপ মান ভাক ॥ ১৩৯। মনু ২য় অ। নহায়নৈর্ম পলিতৈর্য বিশ্বে নবন্ধুন্তিঃ। : সধরশু্ষিরে ধর্ং যোংমুচানঃ স নো মহান ১৫৪॥ বা ১১৮ ভারতীয় আর্ধ্যজাঁতির আদ্দিম অবস্থা । পন্ন হইতেন, তিনিই সর্ধাঁপেক্ষা তথাঁকার শ্রেষ্ঠ। ক্ষত্রিয়গণ, শৌধ্য ও বীর্যে পরাক্রান্ত হইলেই জোষ্ঠ। বৈশ্ঠগণ পশ্বর্য্য- শালী হইলেই জোষ্ঠ। শূদ্রবাক্তি জন্ম অনুসারে বুদ্ধ হইলেই জ্যেষ্ঠ । কেবল বয়োঁজোষ্ঠতা নিবন্ধন সতামধোই জ্যেষটত্ব, কিন্তু সমাজমধ্যে জাতি অগ্ুসারে জ্যেষ্ঠত্ব হয়না । জ্যোষ্ঠতা ও শ্রেষ্টতা অনেক পৃথক জানিতে হইবে। কেবল বয়ঃক্রম অথবা পরু কেশ ও ুরীরের বলিত ও পলিভাদি দ্বারা মান্য হয় না জ্ঞান ধনের দারা নি মানা, তিনিই জোষ্ঠ ও শ্রেষ্ঠ । বৃদ্ধের লক্ষণ তোমরা যাহ মনে কর তাহা নহে । (৪) র৮/০০০৮৫৪ ৷ বিবাহ। দ্বিজীতিরা বেদপাঁঠ-সমাপ্রির পর গুরুর অনুক্ঞাক্রমে দার- পরিগ্রহপুর£সর গৃহস্থ শ্রমে বাস করিতে অধিকারী । নিতান্ত বৃদ্ধি ব্যতীত হট্ত্রিংশৎ বর্ষের অধিককাল গুরুকুলে থাকিয়ী বেদাধ্যয়ন করিতে হইত নাঁ। মধ্যবিধরূপ বুদ্ধিমান হইলে অষ্টাদশ বর্ষ, তদপেক্ষ বুদ্ধিমন্তর হইলে নববর্ষ পধ্যন্ত থাকিতে হইত কুশাগ্রবৃদ্ধি হইলে বেদের মর্মগ্রহ গাত্রেই তিনি গুরুগৃহ হইতে নিষ্কৃতি পাইতেন । তিনি তংকাঁলেই গুরুর (৪) বিপ্রাণাং জানতে! জোষ্ঠং ক্ষত্রিয়াণান্্ বীযাতঃ। বৈশ্ঠানান্ধান্যধ্নতঃ শূদ্রাণামের জীন্মতঃ 1 ১৫৫ ॥ ন তেন বৃদ্ধে। ভবতি যেনাস্ত পলিতং শিরঃ। যে। বৈ যুবাহপ।ধীয়ানস্তং দেবাঃ স্থবিরং বিছুঃ ॥ ১৫৬॥ মনু। ২দঅ] ধিবাই। ৯১৯ নিকট হইতে বিদায় গ্রহণ ও সংসার আশ্রমের দ্বারন্বরপ ভার্ধ্য প্রহণের অধিকারী হইতেন। মনু (শ্লে। ১২। অ৩)। প্রিয়দর্শন পাঠক ! তুমি কহিবে বড় কঠোর নিয়ম ছিল, কালের গতি অনুসারে নংসারের শ্োত ফিরিয়াছে। ব্রাঙ্গ- গেরা যে দিন উপনয়ন হয় সেই দিন হইতেই সাবিত্রী গ্রহণে অধিকারী। কিন্তু অধুনা অনেক স্কুলে দেখিবে, এ দিনেই বনুদয় ব্রন্মচধ্য আদ্যন্ত সমাপ্ত হয়। কোথাও বা তরিবাত্রি মাত্র বৃন্ষর্যা, কোথাও বা একাদশাহ কান ধ্বযাপিয়া র্থচর্য্য। ততকালমধ্যে যতদুর সম্তবপর) ততদুরই বৈদিক ব্রহ্মচর্যোর সীমা । এ দিবসেই সমাবর্ভনবিধি সমাহিত হয়। সমাবর্তৃ" নের পরেই তিনি বিবাহের যোগ্য, সুতরাং এক্ষণে বিপ্রগণ সাত বদর পরেই দ্রারপরিগ্রহ করিবার ক্ষমতাপত্র পান। ূর্ককাল ও ব্যানকালের কি ইতররিশেষ, তাহা দেখ। তা, ত্রেত। ও দ্বাপর বুগে দ্বিঙজগণ অপবরণণ! কন্তা গ্রহণে অধিকারী ছিলেন। তথাপি দ্িন্লগণ সর্ধাগ্রে সঙ্জাতীয়া ও সথরক্ষগা কন্যার গাগিগ্রহণেই অধিকারী । মন্ধু (শ্লো ৪। অ৩) | যাতামূহকুলে কুলগন্ধে যাহার সহিত সপ্তমপুরুষ ত্বতিক্রাস্ত হইয়াছে, যে স্থলে কন্যা ও পাত্রের সঙ্গে উভয় কুলের ঈ্লোত্রের বা প্রবরের এক্য না থাকে, পিইবন্ধু, মাতৃবন্ধুদিগের সঙ্গে ধক্তমংঅ্রবে পঞ্চমপুরুষের সীমা অতিত্রান্ত হইলে সেই কুলের সুক্ষণা কন্যা গীণিগ্রহণকার্্যে গরপন্ত। | মনু (পলো ৫। অ৩)। শৃদ্রের বিষয়ে এ সকল কঠোর নিয়ম দেখা যায় না ষং মিথ্যা সাক্ষ্যে জাতিগত গার্থক্য ছিব না | ৃ ৯২৯ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । মিথ্যা! সাক্ষা । আর্ধ্যজাতিরা কোন কোন স্থলে কোন কোন সাক্ষীকে স্বভাবতঃ বিধানসংহিতার নিয়মানুসারে মিথ্য। জান করেন, তাহা প্রদর্শন করা গেল। ঘথা-_- _ লোভছেতু যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দেয়,__যে ব্যক্তি বন্ধৃতার অনু- রোধে সাক্ষা দিতে বাধ্য হয়--সাক্ষ্য দিয়া আমি যদি অমুকের এই কাধ্যটা সিদ্ধ করিয়া দিতে পাঁরি, তাহা হইলে আমার কামন! চরিতার্দ হইতে পারে--পূর্বে কোন র্যক্তি কোন ব্যক্তির নিকট ক্ৃতাপরাধ আছে, এখন সময় পাইয়! পূর্ববকৃত অপরাধের প্রন্থিশোধমানসে ক্রোধহেতু যথায় সাক্ষ্য দেয়,__ অজ্ঞানবশতঃ গায় সাক্ষ্য দিতে প্রবৃত্ত ছয়, এবং যে স্থলে বালকত্বন্রিন্ধন ৰা চাপল্যহেতু সাক্ষ্য দেয়, তঙসমন্ত মিথ্যাজ্ঞান রুরা বিধেয | (৫) ছুঁহ! সাধারণ বিধি । দণ্ডের পরিমাগ। ্থপ্রাপ্তির লালদান্থলে ন্যুনকল্পে সহ্‌ক্রতোলকপরিমিত রৌপ্যের দণ্ড হইত। মোহহেতু প্রগ্মনাহ পরিমিত দণ্ড, ভয়হেতু মধ্যমদাহুন, বদ্ধুতাহেতু সাহসদণ্ডের চতু্ড গপরি- . পোপ | (৫) লোভান্থোহান্তগানৈত্রাৎ কামাৎ ক্রোধাত্ববৈৰ চ। রি অজ্ঞানাৎ বালভা বাচচ সাক্ষাং বিতথমুচাতে ॥ ১১৮ ॥ লোভাৎ রহশ্র€ 8ওস্ত মাহাৎ পূর্বান্ত সাহদম্‌। ভযান্ছৌ মধামৌ দণ্ড মৈত্রাৎ পৃর্বং চত্তগু গম ॥ ১২, মনু ৮ জং. ॥ জালকারীর দণ্ড। ১২১ মিত দণ্ড নির্ধারিত ছিল। এই দগ্ুগুলি খণদান ও খগ- পরিশোধ বিষয়ে । অন্য স্থলে অন্য সাক্ষীর অন্যপ্রকার দণ্ড জানিবে। কামহেতু সাহসদণ্ডের দশগুণ পরিমাণ দণ্ড হয়। ক্রোধহেতু সাহস্দণ্ডের ত্রিগুণ, অজ্ঞানহেতু ছইশত মুদ্রা, বালম্বভাবন্ুলভ অজ্ঞতাহেতু একশত মুদ্রা দণ্ড হয়। (৬) সুন্জিএততী জালকারীর দণ্ড । আধ্্যজাতির1 জালকারী ব্যক্তিকে অত্যন্ত দ্বণা করিতেন, ইহার! মিথ্যা সাক্ষা, মিথ্যা শপথ, মিথা। ভাষণকে গুরুতর পাপ বলিয়া জানেন। জালকারী ও কুট সাক্ষীকে মন্কুষা- সমাজের কণ্টকস্বরূপ বলিয়া বিবেচনা করিতেন । খাষিরা কূট সাক্ষীর কত নিন্দা করিয়াছেন! তাহাকে অপাংক্তেয় করিয়াছেন। মহাপাতকীর যে দণ্ড, সে দণ্ড দিতেও কুষ্ঠিত উন নাই। রাজা ইহাকে কারাগারে স্থানদানেও শঙ্কিত হইতেন। বিচারকেরাও ইহাকে অশ্রদ্ধা করিতে ত্রুটি করন নাই। এবং ষে ব্যক্তির পক্ষ হইয়া ইহারা পক্ষ সমর্থন করে, তিনিও কার্ধ্য উদ্ধার করিয়া লইতে পারিলে তাহাকে কি আর কদাচ বিশ্বাম করেন? সে যখন রাঁজ- হারে দণ্ডিত হয়, তদবধি তাহার আত্মীয়, স্বজন ও পরি- বারবর্গ তাহাকে কি আর নাদরে গ্রহণ করিতে সম্মত হয়? (৬) রামাদশগুণং পূর্বং ক্রোধাত্ত ব্রিগুণং পরম্‌। ' অজানান্ধে খতে পুর্ণ ধালিষ্ঠাকেতমের ভ.8 ১২৯ আল 1৬ত আর ৬. ১২২ ভারতীয় আর্্জাতির আদি অবস্থা । সেই ব্যক্তিই কি আপনাকে আপনি ধিক্কার দেয় না? তাহার অন্তরাত্া কি তাহাকে কোন দিন অন্ুতাঁপে দগ্ধ করেন নাঃ অবশ্ঠ করিতে পারেন। এইগুলি বিবেচনা করিয়! খষিগণ কুট সাক্ষীর দণ্ড অতি ভয়ানক করিয়!ঃ ছেন। ব্বাক্মণ ব্যতীত অন্য ব্যক্তিকে উচিত দণ্ড বিধান" পূর্বক স্বদেশবহিদ্কত করা হইত। বাক্ষখের পক্ষে কেবল নির্বাসন দণ্ড ছিল। দশবিধ পাঁপকর্মের সাক্ষীর দশবিধ দণ্ড ছিল। উদর, জিহ্বা, হস্ত, পদ, চক্ষুঃ, নাসা, কর্ণ ও দেহের অন্ান্য অঙ্গ, ইহার যে বিষয়ের সঙ্গে সংশ্রব হেত যে বিষয়ে কুট সাক্ষ্য হইত, কুটকারীর (জালকারীর) সেই সেই অঙ্গের শাস্তি বিধানপুর্বক নির্বাসন কর! প্রসিদ্ধ আঁছে। (৭) ধিবাহ-বিধি । শূ্র জাতি কেবল শূড্রা বিবাহ করিতে পারে। বৈশ্য বৈশ্তা ও শুদ্রা কন্তা, ক্ষত্রিয় ক্ষত্রিয়া, বৈশ্য ও শুদ্রা কন্তা। ব্রাহ্মণ, জাতি চারি বর্ণের কন্য। গ্রহণ রুরিতে পারেন । দ্বিজাতিগণ (৭) এতানাহু; কৌটসাক্ষো প্রোক্তান্‌ দণডান্মনীয়িতিঃ। ধর্মস্তা বাভিচা রার্থমধর্মনিয়মায় চ॥ ১২২ কৌটনাঃঙ্গান্ত কুর্ববাণাংস্ত্ীন্‌ বর্ণান্‌ ধার্টিকো নৃপঃ। 'প্রধাসয়েন্গগয়িত্া ত্রান্মণত্ত বিবানয়েৎ ॥ ১২৩ দশ স্থানানি দণ্স্ত মনুঃ স্বায়ন্তুবোহব্রবীৎথ। এষু বর্ণেষু যানি স্্যরক্ষতে! ব্রন্গণো ব্রজেৎ ॥ ১২৪ ॥ উপস্থমুদরং জিদ্বব। হত্তো পাঁদৌ চ পঞ্চমমূ। চক্ূর্নানী চ কৌ চ ধনং দেহত্বঘৈব চ |. ১২৫ মনু ।& জ। বিধাহ-বিধি। ১... ১২৩ প্রগ্রে সবর্ণা কন্যার পাণিগ্রহণ করিবেন । কামবশউঃ বিবাহ করিতে ইচ্ছ! হইলে ক্রমে অপবর্ণ। কন্যাঁও বিবাহ করিতে সমর্থ হয়েন, অর্থাৎ ব্রাহ্মণ প্রথমে বান্ধণকন্যা, তৎপরে ক্ষত্রিয়া, তৎপরে বৈশ্যা ও অবশেষে শূদ্রা কন্যাকেও গ্রহণ করিতে পারিতেন। ক্ষত্রিয়ও ব্রাহ্মণ ভিন্ন অপর তিন বর্ণের মধ্যে ্রেষটক্রমে বিবাহ করিতে নিষিদ্ধ নহেন। বৈশ্যজাতি বৈশ্যা ও শূদ্রা বিবাহ করিতেন। অগ্রে বৈশ্য পরে শূ্রা ভার্য্য হ্ীকারে নিন্দনীয় হইতেন না। (১) | বাহ্ধণের শূৃদ্র! ভা্যায় নিষেধ না থাকিলেও শুদ্রার গর্ভে মন্তান উৎপাদনে ও শুদ্রার সহবাসে ব্রাক্মণ্য নষ্ট হয় বলি! ই্থারা৷ আপতকালেও করা শূড্রা ভাঁ্যা স্বীকার করেন নাই। মোহবশতঃ যদি দ্বিজীতিগণ অপকৃষ্ট বর্ণের কন্যা ভা্যারূপে গ্রহণ করেন, তাহা হইলে সেই দ্বিজগণ ও তৎসন্তৃতি শূদ্রত্ প্রাপ্ত হয়েন। (২) (১) শৃ্রৈব ভাধ্য। শূড্রস্য সা চ ্বা চ বিশঃ ম্বৃতে। তে চল্থা চৈব রাজ্ঞশ্চ তাশ্চ শ্বা চাগ্রজন্মনঃ ॥ মনু । ৩ অ। ১৩ সবর্াগ্রে দ্বিজাতীনাম্‌ প্রশস্ত দাঁরকর্ধাণি। কাহতন্ত প্রবৃত্তানাম্‌ ইমাঃ স্যঃ ভ্রমশোইবরাঃ ॥ ৩ অ।১২॥ ) শুদ্রাং শয়নমাগোপ্য ব্রাহ্মণ যাহ্যধোগতিস্‌। জনয়িত্ব! স্ৃতং ভদ্যাং ব্রাঙ্গণাদেব হীয়তে ॥ যন্নু। ১ অ । ১৭। ন ব্রান্মণক্ষত্রিয়য়োরাপদ)পি হি তিতোঃ। কন্মিংশ্চিদপি বৃত্তান্ত শৃদর। ভার্যোপদিশাতে | মনু! ও অ। ১৪) হীনজাতিত্িযং মোহাছুতহত্তো দ্িজাতয়ঃ। :.: : কুরানে নয়ন্ত]াও-সসস্ভানানি পৃইীভামু। ১৫... .+ ১২৪ ভাঁরতীর আর্ধ্যজাঁতির আদিম অবস্থা | বিবাহ অষ্টবিধ। যথা বক্ষ, দৈব, আর্, প্রজা পত্য, আন্গুর, গ ন্ধন্ব, রাক্ষন ও পৈশাচ। (৩) আটপ্রকার বিবাহের লক্ষণ। ব্রাক্ঘ বিবাহ--যে বিবাহে দানকর্তী স্বয়ং বরকে আহ্বান করিয়! বস্ত্রালঙ্কার দ্বারা তাহার বরণপুরঃসর সবস্ত্ ও সালঙ্কারা কন্যা দান করেন, সেই বিবাহকে ব্রাহ্ম বিবাহ কহা যায়। (৪) দৈব বিবাহ--অতিবিস্তত জ্যোতিষ্টোমাদি যজ্ঞের যাঁজক (পুরোহিতকে) ঘজ্জ আরন্তের পুর্বে গাহস্থ্য ধর্ম সম্পাদন নিমিত্ত তদীয় করে সালঙ্কার1 কন্যা দানকরার নাম দৈব বিবাছ। আর্ধ বিবাহ ।--ধর্মনকার্্য সম্পাদন নিমিত্ত এক ধেনু, এক (৩) ত্রান্গো দৈনস্তথৈ শার্ষ; প্রাজাপত্যান্তথান্নর:। (৪ ) গান্ধর্টে। রাক্ষদশ্চৈর পৈশাচশ্চাইমো হধমত ॥ ২১। আচ্ছাদা চার্চয়িত্বা চ শ্রতখলবতে স্থায়ম্‌। আহুয় দানং কনায়া ত্রান্ষে! ধর্ম £ কীর্তিতত ॥ ২৭ ॥ যক্ছে তু বিততে সম গৃত্থিজে কর্ম কুর্ধতে। অলঙ্ৃত্য হৃতাদানং দৈবং ধর্মং প্রচক্ষতে ॥২৮ ॥ একং গোখিথুনং দ্বে বা বরাদাদায় ধন্মতঃ। কন্যাপ্রদ'নং শিধিবদার্ষো] ধ্বুঃ স্‌ উচ্যতে । ২৯ ॥ সহোভে। চরতাং ধর্শমিতি বাচোইন্ুভ।ষ্য চ। কন্যা প্রদানমভ্যষ্চ্য প্রাজাগতে]| বিধিঃ স্মৃতঃ ) ৩* ॥ জ্ঞাতিভ্যো ভ্রবিণং দত্বা কন্যয়ৈ চৈব শক্তিত:। কন্যাএদানং সাচ্ছন্নাদাহরো ধর্থ উচাতে ॥ ৩১ ॥ মনু ওয় 3 বিবাহ-বিধি । ১২৫. বুষ. অথবা গোমিথুনদ্বয় বরপক্ষ হইতে লইয়া যথাবিধানে সবস্তা ও সালঙ্কারা কনা দান করার নাম আর্ষ। প্রাজাপত্য বিবাহ ।-_-এই বিবাহে কন্যাদাতী বরকে ও কন্যাকে ষথাবিধি অর্চনা! করিয়া! বলেন, তোমরা ' উভয়ে ধর্মী- চরণ কর, অদ্যাঁবধি তোমাদিগের দাম্পত্য চিরমুখদাঁয়ক হউক । আস্ুর বিবাহ ।--কন্যার পিত্রাদি এবং কন্তাকে যথাশক্তি পণ দিয়া বর আপনি যে স্থলে কন্যা গ্রহণপূর্ধক বিবাহ করে, তথায় আস্থর বিবাহ কহা যায়। গান্ধব্ধ বিবাহ।-__-বর ও কন্য৷ উভয়ে ইচ্ছান্থসারে পরস্পর আঁম্মনমর্পণপূ বক যে বিবাহ করে তাহাকে গান্ধব্ৰ বলা যায়। রাক্ষল ।__ইহাতে কন্যা হরণ করিয়া বিবাহ সম্পন্ন হয়। কন্যা হরণ কালে কন্যার পিতৃপক্ষের সঙ্গে যুদ্ধাদিও ঘটে, তাহাতে কখন কন্যাপক্ষেরা হত ও আহত হয়। কন্যাও হা তাত হণ মাতঃ বলিয়া রোদন করিতে থাকে । পৈশাচ।-এ অতি অপরুষ্ট বিবাহ। সুষুপ্তা, প্রমত্বা, অথবা অনবধানশীল1 কন্যাকে নির্জনে পত্বীরূপে ব্যবহার করাকে পৈশাচ বিবাহ বলা যায়। (৫) : | (৫) ইচ্ছয়ানেযান্য সংযোগঃ কন্যায়াশ্চ বরস্য চ। গান্ধব্বঃ স তু বিজ্বেয়ো মৈথুনাঃ কামসন্তবঃ॥ ৩ অ। ৩২। হত্বা চ্ছিত্ব। চ ভিন্ব! চ ক্রোশস্ীং রুদতীং গৃহাৎ। প্রসহা কন্যাহরণং রাক্ষমে| বিধিরচ্যতে ॥৩ অ। ৩৩॥ হপ্তাং মত্তাং প্রমত্তাং বা রহে। যত্রোপগচ্ছতি) টি সম পাপিষ্ঠে। বিবাতানাত টিপ 1888খা5 0 ৬. জা: ১4৭ ১২৬ ভারতীয় আঁধ্যজাতির আদিম অবস্থা | আর্্যেরা অনিন্দিত বিবাঁহোঁৎপন্ন সস্তানকেই বংশধর জ্ঞান করিতেন | নিন্দিতবিবাহসম্তব সন্তানকে বংশের অকীর্তিকর জ্ঞান করিতেন। তাহাদের মতে পশ্চাদ্বণিত পরিণয়গুলি নিন্দনীয় । তীহার! উদ্বাহবিষয়ে বিশেষ সাবধান ছিলেন । (৬) অষ্টবিধ বিবাহের মধ্যে প্রথম ছয় প্রকার বিগ্রজাতির পক্ষে ধর্ম্য । ক্ষত্রিয়জাতির পুর্োক্ত যড়িধ বিবাহের মধ্যে বাহ্ধ ও দৈব ব্যতীত অবশিষ্ট চারিটী ধন্ম্য। বৈশ্য ও শৃদ্রের সম্বন্ধে আম্থর, গান্ধর্ব ও পৈশাচ এই তিনটী ধর্মুনক বলিয়! ব্যব- স্থাপিত আছে । পূর্বকথিত বিবাহের মধ্যে আর্ধ বিবাহে বরপক্ষ হইতে গোমিথুন লইবার ব্যবস্থা থাকায় ও রাক্ষম বিবাহে .বিবাদ বিসংবাঁদ সহকারে কন্যাহরণরূপ অপকাধ্যনিবন্ধন এবং পৈশাচ- বিবাহে অত্যন্ত ঘ্বণিত ও নীচাশয়তার কাধ্য বিদ্যমান বশতঃ এই তিনপ্রকার বিবাহ সকল জাতির পক্ষেই অকর্তব্য । ক্ষত্রিয় জাতি রাজ্যশাসন করিতেন, তীহাদ্দিগের বাহুবল ছিল, স্থৃতরাং ত্রাহাদিগের পক্ষে কন্যা! হরণপুর্বক বিবাহ কর! অসম্ভব হইত না, এইনিমিত্ত রাক্ষস বিবাহ তাহাদিগের পক্ষে সুসঙ্গত । বৈশ্য জাতি বণিক্বৃত্তি করিত, শৃত্র জাতি সেবাতৎপর ছিল, বরপক্ষে অথবা কন্যাপক্ষে শুক দিয়া বিবাহ করা ইহা" ৮ শী ্্া্ীাীিশীীপপপাি ৰা (৬) যড়ামুপূর্্ব। বিগ্রস্য ক্ত্রস্য চুযোহবযান্‌ [ন্। মি বিটশূরযোন্ত তানের বিদ্যা্ব্যার রাক্ষনান্‌। মঙ্গ ও অ। ২] বিবাহযোগ্যা কন্যা । ১২৭ দিগের পক্ষে অকীষ্ঠিকর ছিল না। স্থসাঁধ্য বলিয়! তাহাদিগের পক্ষে উহাই প্রশস্ত । (৭) আর্ধ্যজাতি- কিরূপ পাত্রে কিরূপ কন্যার পাগিগ্রহণ স্থলক্ষণ জ্ঞান করিতেন, তাঁহ। নির্ণয় করা যাউক। বিবাহযোগা। কন্য। | যে কন্যা রোগবিভীনা, যাহার অঙ্গবৈকল্য অগবা কোন অবয়বের ন্যুনাধিকা নাই, যাহার অঙ্গ অধিক লোমে আচ্ছা- দিত অথবা একবারেই লোমশুনা নহে, যাহার বাঁক্চাপলা নাই, বাহার নয়নদ্বয় বিড়ালের নয়নতুল্য নহে এবং বর্ণ ও কেশ কটা বলিয়া প্রতীতি ন। হয়, সেই কন্যাই শ্ুলক্ষণ! বলিয় পরিগণিত হয়। বিবাহবিষয়ে আর্ধ্যজাভিদিগের বড় কড়াকড়ী। ইহারা কন্যাগ্রহণ সময়ে অত্যন্ত সাবধানতা দেখান। ইহীদিগের মতে অতান্ত সমৃদ্ধিশী'লী বাক্তিও সদাচার-সম্পন্ন না হইলে তদীয় কন্য। পাথিগ্রহণ কার্য্যে গ্রশস্ত নহে । যাহাদিগের কন্যা বিবাহ কার্যে নিন্দিত, তন্মধ্যে পশ্চানবর্তী দশটা কুল অবশ্য পরিত্যাজ্য বলিয়া! পরিগণিত আছে। (৭) চতুরো ত্রাঙ্মণস্যাদ্যান্‌ প্রশস্তান্‌ কবায়। বিদুঃ। রাক্ষমং ক্ষত্িয়স্বমাহরং বৈশ্শৃদ্রয়োঃ | ৩ অ |২৪। পন্গানাস্ত হ্রয়ো ধর্দযা াবধর্সী শ্বতাবিহ। পৈশাচশ্চাঙ্থরন্ৈব ন. ব্য; কদাচন । ৩1২৫8 মনু ১২৮ ভারতীয় মার্য্জাতির আদিম অবস্থা । ১ম। ষে বংশে ক্ষয়রোগ (অর্শ, রাঁজযক্ষা, বহুমূত্র প্রভৃতি ক্ষয়কারী রোগ). অপন্মার (মুগীনাড়া), শ্বিত্র (ধবল), কুষ্ঠ কুনখ, অথবা কোন পৈতৃক পীড়া সংক্রান্ত হইয়| খাঁকে কিবা উদরা- ময়াদি অলক্ষিত পীড়া আছে, সে বংশের কন্যা কদাচ বিবাহ করা ঘুক্তিসিদ্ধ নহে। ২য়। যে বংশের লোকেরা সংক্রিয়াপরিশনয এবং প্রায়ই কোন বাক্তির ভাগ্যে বিদ্যা বাক্ষণ্যের সংশ্রব ভয় নাই, সে কুলও পপ্রার্থনীয় নয়। ৩য়। নিম্পুরুষ কুলও পরিত্যাজ্য । তাহার কাঁরণ এই, যে বংশে কেবলমাত্র কনা। জন্মে, সে কুলের কন্াগ্রহণ করিলে পুত্র সন্তান জন্মিবার তাদৃশ সম্ভাবনা থাকে না। যদি বা পুক্র জন্মে, অনেক সময়ে ষাঁতামহগণ দৌহিবরকে পুত্রিকা পুত্র করি- তেন বলিয়৷ সহসা৷ সকলে সে বিবাহকে প্রশস্ত মনে করিতেন না। (৮) (৮) মহান্তঃপি সমৃদ্ধানি গোহজাবিধনধানাতঃ | ্ত্রীবন্বদ্ধে দশৈতানি কুলানি পরিবর্জয়েৎ। ৬ ॥ ৩ অ। হীনক্তিযং নিশ্পুরুষং নিশ্ছন্দে। রোমশার্শসম্‌ । ক্ষয্যামক্লিবযপন্মারিগ্বিত্রিকুষ্ঠিকুলানি চ॥ ৭1 ৩ অ। শোদ্ধহেৎ কপিলাং কন্যাং নাধিকাঙ্গীং ন রোগিণীম্‌ | নালোমিকাং নািলোমাং ন বাচাটাং ন পিল্গল'ং | ৮॥ ৩ অ।মনু 5411 বা গা 2 5525 রি 4০227 3৮০1 বিবাদ-বিষয়্ । আর্ধ্যজাতির শাসন প্রণালী অননারে বিবাঁদ অষ্টাদশগ্রকাঁর | ধষিগণ এ অগ্টাদশবিধ বিবাদের নির্প্তিবিষয়ে পৃথক্‌ পৃথক্‌ নিবন্ধগ্রন্থ লিখিয়! গির়াছেন। যে বিবাদের নিষ্পত্তিবিষয়ে যে নিবন্ধকে প্রমীণ জ্ঞান করেন, সে বিবাদ সেই নিবন্ধের ঘুক্তি অনুনারে বিবেচিত হয়। অষ্টাদশ বিবাদের নাম যথা-খণগ্রহণ। নিক্ষেপ। অন্বামি- বিক্রয়। মন্্রনুখান। দন্তাপ্রাদানিক। ভৃত্যবেতনঘান- কালশৈথিল্য। সংবিদ্ধযতিক্রম। ক্রয়বিত্রয়নানুশয় । স্বামিপাল- বিবাদ। শীমাবিবাদ। বাকপারুষ্য। দগুপারুষ্য। স্তেয় রা চৌধ্য। সাহস (ডাকাতী)। স্ত্রীপংগ্রহ। বিভাগ । দ্যুত। এবং আহ্য় | (৯) (৯) অষ্টাদশ বিবাঁদপদ যথা প্রতাহং দেশদৃষ্টেনচ শান্ুষ্টেশ্চ হেতুভিঃ। অষ্টাদশন্ন মার্গেু নিবন্ধানি পৃথক্‌ পৃথক | ৩॥ | তেযামাদ্যমণাদালং নিক্ষেপোহস্থাথিবিক্রয়ঃ। ভূর চ সমুখানং দত্তপ্যানগকর্থী চা ৪। বেতননোব চাঁদানং দংবিদশ্চ ব্যতিক্রম; ॥ ত্র়বিক্রয়ানুশয়ে। বিবাদঃ হ্বানিগালয়ো ॥ ৫ ॥ দীদাবিবাঁদধর্শশ্চ পারুযো দগ্ডবাচিকে। ন্ড়চ দাহসঞ্চেব আ্ীবংগ্রহণমের ৯0৬... ্রীপুংধর্্বো বিতাগশ্চ দ্যতমান্্যয় এব চা... গদানাষ্টাশৈডানি বাবহারহিতানি.হ। +। মহ. অ। ১৩০ ভারতীয় মার্ধ্যজীতির আদিম অবস্থা! | ১ম খণগ্রহণ--১ ইহা আবার ছয়গ্রকারে বিভক্ত । ১ম_-কোঁন খণ অবগ্ঠপরিশোধের যৌগ্য । ২য়-_স্থুরাঁপায়ী ব! উন্বন্ত কিংবা বেশ্যাসক্ত পিতার কৃত খণ পুভ্রের পরিশোধ্য নহে। ওয় _অপ্রান্তব্যবহারকালে পুত্র পিতৃকৃত খণ পরি- শোধের অযোগ্য । €র্থ--প্রাপ্তব্যবহার পুক্রের অগোচরে পিতৃ- কত খণ পুত্রের দেয় বলিয়। গ্রান্থ হয় না। ৫ম--প্রোধিত বা অনুষ্দিষ্ট পিতৃকৃত খণ বিংশতি বর্ষ পরে পুত্রের অবশ্য দেয় বলিয়া পরিগণিত । ৬ষ্ঠ_ বৃদ্ধি (কুনীদ) দিবার প্রতিজ্ঞা থাকিলে সুদ সহিত্ত মূল খণ পরিশোধ করা কর্তব্য । নিক্ষেগ-২ উত্তমর্ণ ও অধমর্ণে যে আদান প্রদান হয়, তাহার নাম নিক্ষেপ। ইহাও ছয়প্রকার, উহ! যথাস্থানে দেখান যাইবে। অস্বামিবিক্রয়-৩ যে বন্ততে যাহার স্বত্ব নাই, সেইব্যকতিকৃত তদ্বস্তবিক্রয়কে অস্বামিবিক্রয় কহ যায়। সম্ৃয়সমূখান_৪ ইহ! পুর্ব উল্লিখিত হইয়াছে । দত্তীপ্রাদানিক-__৫ প্রচলিত কথায় যাহাকে দত্তাপহার কা! যায়। মারদবচন-- খণং দেয়মদেয়ঞ্চ যেন রত্ত্র যথা চ বং ।- ঘানগরহণবর্ধাশ্চ তদৃশাঘানমুত তে কুুকতটহৃত মহুটাকা । বিষাদ-বিষয়। ৯৩১ ভৃত্যবেতনাদান--৬ যথাকালে ভৃত্যদ্িগকে বেতন না দেওয়াকে তৃত্যবেতনা- দান কছা যায়। .. এ ংবিদ্বযতি ক্র মণ কোন বাক্তি বা সম্প্রদায় যদি অমুক দিন অথরা' অমুক গণে এই কাধ্য সিদ্ধ করিয়! দিব বলিয়! গ্রতিশ্রুত বা প্রৃতিজ্ঞা- রূঢ় হয় অথবা পণ করে, কিংবা! লেখ্য দে এবং যথাকালে উহ্থা সম্পন্ন না করে, তাহ! হইলে তাহাঁকে সংবিদ্ধযতিক্রম বা চৃক্তিভঙ্গ কহ! দ্বায়। ক্রয়বি কুয়ান্থশয়--৮ কোন বস্ত ক্রয় করিয়া তৎকালে বিক্রয় করিয়! য্দি কোন বাক্তি পরিতাঁপ করে এবং বন্তুটা মূল্যবান্‌ বা প্রিয় বলিয়া ক্রেতার নিকট হইতে পুর্ন মূল্যে প্রতিগ্রহ করিতে ইচ্ছা করে ও অকৃতার্থ হইলে অন্ৃতাঁপ করে, তবে এই অন্ুতাপকে ক্রয়- বিজ্রয়ান্শয় কহ। যায়। দ্বামিপাঁলবিবাদ--৯ পণুপালক (রাখাল) ও পণ্তর অধিকারীর (গৃহস্থের) সঙ্গে যে বিবাদ হয়, ভাহার নাম স্বামিপালবিবাদ লা যাঁয়। | সীমাবিবান্ঈ--১০ ইহা সকল লোকেই জানেন। বাকপারুষ্য ও দগুপারুষ্য--১১ কলহ (গাঁলাগাঁলি) কিংবা মুগ্রবিক্কতাদির নামি বাক্গার্য | কেখাকেশি (চুলোছুলি) সুমি (কিলোকিলি), দণ্ড রী লাঠি) প্রভৃতির নাম দণ্খপারষ্য। ১৩২ ভারতীয় মার্ধযজাতির আদিম মবস্থা। স্তেয় (চৌর্যয)--১২ চুরির নাম স্তেয়। সাহদ--১৩ বলপুর্বক অন্যের ধনগ্রহণ অর্থাৎ ডাকাতি প্রতৃতি সাহ্সিক ঘল্যুকর্ধ্যকে নাহস কহা য়ায় । স্্রীসংগ্রহ--১৪ পরজ্্ীতে রতিকামনায় সম্ভাষণ ও আঁকার ইঙ্গিতার্গি দ্বারা! অভিলাধাদি জ্ঞাপন ও দূতীপ্রেবণাদিকে ভ্ত্রীসংগ্রহ কহা যায়। স্্রীপুংধর্ঘ্ম--১ ৪? দম্পতীর মধ্যে পরম্পরের কর্তবাবোধে যে সকল নিম প্রতিপালন করা হর, তাহাকে স্ত্াপুতধন্থ কহ! যায়ু। রিভাগ্র--১৬ সহোদরাদি অথবা অন্য দারাদের সহিত্ব পৈতৃক বিত্ত অংশ করাকে বিভাগ বলা যায়। দ্যুত-১৭ অক্ষক্রীড়াদিকে ঢ্যুত কহা ঘার। আহ্বয়_-১৮ যেস্থলে র্যক্তিবিশেষের শিক্ষিত পশ্ত বা পক্ষীর সহিত অপর বাক্তির শিক্ষিত পঞ্ত ব! পক্ষীর যুদ্ধ হয়, এবং প্র সকল, গশুপালকের। এঁ উপলক্ষে কোন প্রকাশ্য প্রদর্শনস্থলে প্তী" পক্ষ্যাদির যুদ্ধনৈপুণ্যের পরীক্ষা! প্রদ্ধানপুর্বক উহারিগের, নূর পরাজরকে আত্মক্কত জয় বা প্ররাজন্ন জ্ঞান করে তাহার, নাম আহ্বয় কৃহা। যায়। হলসাম গ্রীকথন | পাঠকমাত্রেরই হল দেখা আছে। যদি না থাকে সেটা লেখকের দোষ নহে। যাহারা ধান্যবৃক্ষের গাছ চেনেন না! তাহাদিগের নিমিত্ত হল-চিত্র (লাঙ্ঈলের ছবি) দেওয়া যাইতে গাঁরে না। যাহারা হল দেখিবার নিতান্ত অভিলাষী ও চিত্র না দেখিলে বুঝিতে পারিবেন না তাহারা শ্রমস্বীকা রপুর্বক মাঠে অথবা সুবিধা হইলে কলিকাতার জাছুধরে যাইয়া দেখিতে পারেন। ধিনি নিতান্ত অলপ, তিনি যেন সেকেলে শিশুবোধের ক-করাঙ খ-্থর1, গ-্গোরু, ঘ-ঘোড়া, উল্লাঙ্গল চিত্র দেখেন, তাহা হইলে তাহার বুভৃত্সা চরিতার্থ হইতে পারিবে | আধ্যগণ যে বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করিয়াছেন এমন বিষরই অপ্রনিদ্ধ। আমরা যাহাকে এক্ষণে অতিসামান্য মনে করি, তাহার জন্য কোন চিন্তা করি না পুর্ধতন খধিগণ সেই সকল বিষয়ের সুশৃঙ্খলার জন্য আপনাদিগের মস্তি ক্ষয় করিয়াছেন। তীহাদিগের সেরূপ সহায়তা না পাইলে আমর! কিছুই করিতে গারিতাম না । কি ছুঃখ ও কি পরিতাঁপের বিষয়, দেখ দেখি পরাঁশর খষির সময়ে আমার্দিগ্ের কৃষিকার্ষ্যের উন্নতিজন্য যতদূর শ্রীবৃদ্ধি হইয়াছিল, অদ্য পর্য্যন্ত তদপেক্ষা কোন অংশে তাহার উৎকর্ষ গাধিত হয় নাই, বরং অনেকাংশে অপকর্ষ দেখা যায়। এই ১৩৪ ভাঁরতীর আরধ্যজাতির আদম অবস্থা | পূর্বকাঁলে খধিগণ কৃষকগণকে ও ক্ষেত্রস্বামীদিগকে সর্ব- বিষয়ে শিক্ষা দিতেন । এক্ষণে শিক্ষা! দেওয়। দুরে থাকুক, পিতা যতদূর কৃষিকাধ্য জানেন ও তাহাতে যতদুর পারগতা দেখান, পুত্র তরপেক্ষা নানতা ব্যতীত আধিক্য দেখাইতে পারেন না। কোন্‌ মেঘে কেমন জল, কোন্‌ বাযুতে কিরূপ মেঘ, উত্পন্ন হয় খবিগণ তাহা নির্ণর করিতে সমর্থ ছিলেন। বাহন-লক্ষণ বুঝি- তেন, গোশালার দোষ বুঝিতে পারিতেন, বীজের গুণাপ্তণ নির্ধারণে সমর্থ ছিলেন, বপন ও রোপণ প্রকরণ উত্তম জানি- তেন, মুিকাখনন ও সার দেওরার সনয়ের রীতি বিশেষ অবগত ছিলেন, কোন্‌ সময়ে জলমেক ও কোন্‌ সময়ে জলাগম করা আবশ্যক, তত্দমস্তই পুঙ্ঘান্ুপুঙ্ঘন্বপে বিচার করিতে পারিতেন, ক্ষেত্রে জলরক্গণ ও তাহা হইতে জলমোচন প্রকরণ বিষয়ে বিশেষ নৈপুণ্য দেখাইতে পারিতেন । আমর! সভ্য, ভদ্র লোক বলিয়া লোকের নিকট পরিচয় দিয়া থাকি ; আমরা যদি কৃবিবিষরে অভিজ্ঞতা লাভ কত্িবার জন্য কষকদিগকে জিজ্ঞাস করি,তাহা হইলে অন্যে মামাদিগকে বিদ্রপ করিতে পারে,সেই ভয়ে ভদ্র- আখ্যাধারী কেহই কৃষিবিষয়ে কোন সন্ধান লয়েন না। এমন কি ক্ষেত্রকর্ষণ করিতে হইলে কি সামগ্রীর আবশ্যক হয়, তাহাও অনেকে জানেন না। . যে ভদ্রযন্তান এ সকল বস্তর. নাম জানেন বলিরা পরিচয় দিতে চাহেন, হয় ত আঁমাঁদিগের পাঠকবর্গের কেহ কেহ তাহাকে পাড়াগেঁয়ে বলিয়া উপহার করিবেন । এ প্রস্তাব উপহাসরসিক পাঠকের জন্য নে? তাহাদিগের জন্য রসাল রসাল প্রবন্ধ আছে। তীহারা! ই্ছা পরিত্যাগপুর্ধক অন্য বিষয় পঠি করিতে পা়ান। সপ ইলপ্াম শ্রীকথন | ১৩৫ স্ৃদয় পাঠক, তুমি দেখ, সত্য, ত্রেতাঁ, দ্বাপর ও কলি চারিযুগ অতিক্রান্ত হইতে চলিল, তখনও কৃষিকার্য্যের যাদৃশী: অবস্থা ছিল অধুনা তাহার বিলুবিসর্গও বৃদ্ধি হয় নাই। পাঠক, তুমি রাখালের নিকট, কৃষাণের,মুখে ও গাড়োয়ানের খঘভম্বরে, পীচনীর নাম শুনিয়া ও একহস্তপরিমিত একখানি গশ্ুশাদনদণ্ড দেখিয়া । অংস্কতে উহার নাম পাচ্ছনিকা। সনভায ইংরাঁজ জাতি ইহার স্থপংস্কার করিয়া রুল নাম দিয়াছেন, এবং পুলিষের কনেষ্টৰলের করে সমর্পণ করিয়াছেন। উহ তাহাদিগের শাঁসনদণ্ড। পাঁচ ছয় হস্ত পরিমিত যে একখানি সাঁপলেজ! তাঁলকা্ঠ হলের সঙ্গে যোজিত থাকে, তাহার নাম ঈশ (বাঙ্গালা ভাষাতেও. উহা লাঙ্গলের ঈশ নামে বিখ্যাতি। ) লাঙ্গলে যোজিত বুযভদ্বয়ের স্কন্ধে যে কাঠফলক সংস্থাপিত ছয়, তাহার নাম যুগ। সংস্কৃত কাব্যকারের! ধাহার সহিত প্রশস্ত বাহুর উপশম দিয়া থাকেন। ইহার নাঁম ধৌয়াল। লীক্গালের মুড়া যাহাকে বলে, সংস্কৃতে তাহারই নাম স্থাঁু। যাঁহাকে মুট কহা যায়, সেই বস্তুই নির্যোল বলিয়া প্রসিদ্ধ । ইহার উচ্চত যুগের ফলের সঙ্গে সমান হইবে । যুগের পার্ে যে যষ্টি দ্বারা বুষদ্বয় পরিবদ্ধ থাঁকে, তাহাকে আড়া বাঁ খিল কহ! যায়_সংস্কতে তাহার নাম অড্ড, শোয়াল বা সৌয়াজী। যাহ! ক্ষেত্রের তৃণাদদি ভেদ করিয়া মৃত্তিকাবিদ্ধ করিয়! দেয় তাহার নাম বিদা বাঁ বিদাকাঠী। ইহারই নাম শল্য । ১৩৬ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । আমরা যাহাকে বাঁশুই বাঁ মৈ কহি, তাহার খিলগুলিকে পাশিক1 বলা যাঁয়। উহার সংখ্য1 একবিংশতি | (5০) এই অষ্টবিধ দ্রব্য লইরা পুরাকালে কৃষিকাধ্য হইত, এখনও হইয়া থাকে । তংকাঁলে পরস্পর শিক্ষা করিত, এক্ষণে প্রায় সকলেই স্বয়ং সিদ্ধ। প্রমাণ প্রয়োজন আবশ্যক করে না, পূর্বকালে পুতি পত্র ছিল, এক্ষণে সেই পুরাণ তুলটের পুঁন্তি হইতে যাহ! পাঁওয়। গেল, তাই লিখিত হইল । ফালক-পরিমাণ ক হাঁত পাচ অন্থুলি। উহার আকার আকন্দ পত্রের সদৃশ করা উচিত; ও চারি হস্ত পরিমিত যুগ কৰিরার নিম | লাঙ্গ- লের মুড়া দেড় হাত কর! রীতি । (১০) ঈশো! যুগে হলস্থাধু নিখোলস্তনা পাশিকা। অড্ডচল্লশ্চ শলাণ্চ পাচ্চনীয়হলাষ্টকম্‌ ॥ পঞ্চহস্ো ভনেদীশঃ স্থাণু পঞ্চপিতস্তিকত। সার্দীহস্তস্ত নিযোলো। যুগ? কর্ণনমান কঠ। নিধোলঃ পাশিক1 চৈব অড ডচন্পস্তথৈব চ। ঘাদশাঙ্গুলমানো হি শোৌলো রক্তিপ্রমাণকঃ ॥ সার্দদ্বাদশনৃষ্িব্বা কাঁধ্য। বা নবমৃষ্টিক। ঢা পাচ্চনিকা গেেয়া লৌভাগ্রা বংশসন্তা ॥ আঁদ্ধরো মগডলাকার? ম্মৃতঃ পঞ্চদশালুল?। যোত্রং হস্তশ্ততুষ্টঞচ রজ্জুঃ পঞ্চকরাত্মিকা॥ পঞ্চান্গুলাধিকো হস্তে হন্তো বা ফালকঃ স্মৃতঃ | অকন্য পত্ররদৃশী পর্থিক। চ নবান্গুলা ॥ একবিংশতিশৈলান্ত বিদ্ধকঃ পরিকীর্তিতঃ নবহস্তা তু নদিক! প্রশস্ত| কৃষিকর্মু॥ রসি পরিবাঁরবর্গের নহিত বিবাদ অধৌক্তিক। ১৩৭ নিজান (ঘুট) কর্ণের পরিনাঁণ দ্বাদশ বা নবঘুষ্ট। পাঁশিকা বা বাশড য়ের খিল নর মঙ্গুলের অধিক কর! আবশ্যক ছিল না। শল্য (বিদা) এক প্রাদেশ উন এক হাত (সুটুম হাত) করা হইত । রাবরঙ্জু বৃষভের নাসিকা হইতে হলচালকের তন্ত পর্য্যন্ত শিথিলভাবে থাকিবে । ইহাতে প্রত্যেক দিকে চারি হস্তের অধিক হইবে না। ৯ পরিবারবর্গের সহিত বিবাদ অযৌক্তিক পাঠক, আজি আমরা সভ্য হইয়়াছি। সহোদরের সঙ্গে একত্র বাদ করিতে সম্মত নহি। নিঙ্গ নিজ পুল্র কলত্র- দিগকে বদন ভূষণে পরিশোভিত করিয়া যাঁদৃশ সুখান্থভৰ করি, সচরাচর ভ্রাতভার্ধ্যাকে তাদৃশ বন্ত্রালঙ্কারে ভূষিত করিতে মান্তরিক অভিলাষ রাখি না_নিরুপায় ভগিনী ও তদীয় পরি- জনদিগকে গলগ্রহ জ্ঞান করিয়া তাহাদিগের প্রতি কত কটু- বাক্য ও কত তর্খসনা করিতে থাকি, এবং স্থলবিশেষে কোন কোন ব্যক্তিও সাক্ষাৎ দেবতাস্বরূপা ন্নেহময়ী জননীকেও পিতার পরিবার বলিয়! প্রত্যাখ্যান করিতে উদ্যত হন। এখন একবার ভাবিয়া দেখ দেখি, আমাদিগের পুর্ধতন্‌ আর্যামন্তানগণ কেমনভাবে সংসার-যাত্রা নির্বাহ করিয়া আসি- ইয়ং হি হলনামগ্রী পর্াশরমূনেন্ু তা। হুদুঢ় কর্ষকৈঃ কার্য শুভদা নর্ববকর্মণি ॥ অদৃঢা যুজ্যমান। না! সামগ্রী বাহনস্য চ। | বিগ্বং পদে পদে কুর্ষ)।ৎ পর্ঘক।লে ন সংশয়ঃ॥ পরাশরসংইত। ১৩৮ ভারতীয় মার্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । য়াছেন। উপরি-কথিত ব্যক্তিবর্গের প্রতি শ্রদ্ধা, ভক্তি প্রদর্শন ও তাহাদিগকে প্রতিপালন করা যে পরম ধর্ম, তদ্িষয়ে তাহাদিগের মতটদ্বধ ছিল না । তাহার! ইস্টাদিগকে এতাদুশ আন্তরিক ভাল বাসিতেন যে, ইহাঁদিগের সঙ্গে বিবাদেও আপ- নাদিগের অনিষ্ট জ্ঞান করিতেন এবং তন্নিমিন্ত পরকাঁলে নরক- দর্শনের ভয়ে ভীত থাঁকিতেন। সেই ভয়টী ছিলি বলিয়াই আমাঁদিগের পরিবারের প্রতি এত স্নেহ। সুতরাং পরিবারদিগের সঙ্গে বিবাদে সন্মত নহি, ইহাদিগকে বন্ত্রালঙ্কারে পরিশোভিত করিতে পারিলে পরম সখ জ্ঞান করি। যেস্থলে পরিবারগণ ক্লেশনিবন্ধন অশ্রজল বিসজ্জন করিয়াছেন, তথায় অচিরে সে কুল নির্মূল হইয়াছে । গুরু, পুরোহিত, আচার্য্য, মাতুল, অভিগি, অন্ুজীবী, বালক, বৃদ্ধ, পীড়িত, বৈদ্য, জ্ঞাতি, কুটুষ্ব, মাতা, পিত।, ভগিনী, পুত্রবধূ, ভ্রাতা, ভাঁগিনেয় গ্রভৃতি স্নেহের পাত্রগণ ও ভৃত্যবর্গের সহিত প্রক্কত জ্ঞানী আধ্ধ্যসন্তানগণ কদাঁচ নিষ্কারণে বিবাদ করিতেন না এবং এখনও করেন না। ইহারা জানিতেন থে ইহাদিগের সহিত বিবাদ না করিয়া! যুক্তিপ্রদর্শন দ্বার! ইহদিগের মত থখণ্ডনপুর্ধক নিরস্ত করিতে পারিলে জগ- জ্জরী হওয়া যার ; এইটা ইহীদিগের স্থিরতর সংস্কার । (১) ইহারা মনে করেন আচার্যকে স্বকীয় মতের বশবর্তী করিতে পাঁরিলে ব্রহ্মলোক জনন করা যাঁয়। সেবা শুশ্ষ দ্বারা পিতাকে বস্পপপপপা পপ পাপা 7720 (১) িকপুরোহিতাগ ৈ্ [তিলাতিথিনং রঃ | বালবৃদ্ধতুরৈবৈদৈরজ্ঞাতি সম্থস্থিবান্ধবৈ ॥ ১৭৯ | মাতাপিতৃতঢাং ঘাশিভিত্রাত্র! পুত্রেণ ভায়া | ।.... ছুহিজা দাবগেঁণ বিবাদং ন সনাচরেৎ ॥ ১৮* | মন্তু।৪ অ। পরিবারবর্গের সহিত বিবার অযৌক্তিক। ১৩৯ অন্ধুরন্ঞ করিতে পারিলে প্রীজাঁপত্য লোক জয় কর! হয়। ইন্দ্রলেক-জয়াতভিলাধী হইলে অতিথির প্রতি সদয় হওয়| উচিত। দেবলোক-দর্শন-বাসনা থাকিলে গুরুপুরোহিতাদির সম্মান ব্যতিক্রম না করাই কর্তব্য। ভ্রাতা, জায়া ও ভগিনী প্রশ্থতি পরিবারবর্কে অন্ুরত্ত রাখিতে পারিলে অগ্দরো- লোকাধিকারের ফলভাগী হওয়া যায়। সখার সঙ্গে সধ্য চিরস্থায়ী রাখিতে পারিলে বৈশ্বদেবের সহিত সালোক্য প্রাপ্তি [ব্যয়ে আর সংশয় থাকে না। রসাতলের প্রভুত্ব লাভ করিতে বাসনা করিলে আত্মীয়, স্বজন ও জ্ঞাতিগণের সঙ্গে বিবাদ না করাই শ্রেয়ঃকল্প। এই মর্ভতাভূমিতে চিরম্থখী হইতে ইচ্ছা করিলে মাতা এবং মাতুলের সম্মান রক্ষাপুর্বক নিক্িবাদে তাহা- দিগের সেবা শুশষা দ্বার! তাহাদিগের গীতি জন্মাইতে পারি- লেই ইহলোকে স্থখভাগী ও জয়ী বলিয্বা পরিগণিত হওয়। বার । (২) (২) এটর্বিবাদং সম্ত্যজা মর্বপাঁপৈঃ প্রমুচ্যতে | এভিজিতৈশ্চ জয়তি সব্বান্‌ লোকাণিমান, গৃহী ॥ ১৮১। আগার্ষে/। ব্রক্মলোকেশঃ প্রাজাপতো পিতা প্রভূ । অধিথিস্তিন্্রলোকেশে দেবলোকস্ত চত্বি জঃ ॥ ১৮২ ॥ যাময়োহপ্লরসাং লোকে বৈশ্বদেবদ্য বান্ধবাঃ। নম্বদ্ধিনে' হ্যপাং লোকে পৃথিবযাং মাতৃমাতুলৌ | ১৮৩ ॥ 'আকাশেশাস্ত বিজ্ঞেয়! বাঁলবৃদ্ধকৃষাতুরাঃ ভ্রাতা জো নমঃ পিতা ভারধযা পুত ম্বকা তনুঃ॥ ১৮৪ 0005 মঙ।পর্থঅ। ১৪০ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । নিদ্ধন, বাঁক, বুদ্ধ ও আঁতুন ব্যক্তিদিগকে সদয়ভবে তাহাদিগের বাঞ্ছ! পরিপুরণপুর্বক নিব্বিবাদে তাহাদিগের সহিত কাল হরণ করি পারিলেই দ্যুলোক জয়ের ফলপ্রাপ্তি ভয়। জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা পিতার সদৃশ মান্য ও পুজ্য। ভাষ্য ও পুক্র স্বকীয় শরীর হইতে ভিন্ন নহে । পত্রী পতির দেহের দ্ধাঙ্গ, পুল্প আত্মন্বরূপ। কন্যা প্রন্তি সন্ততিবর্গ স্বীম দেহের অন্যান্য অবয়ব । অনুজীবী, সেবক ও দাসবর্গ ছাযাস্বরূপ। ইহাদিগের সহিত বিব্দমান হইয়া তিরস্কার করিলে ইহারা মনঃ- ক্ষুণ্ন ভাবে অবমাননা সহ করে বটে,কিন্ত তদ্থারা কুল নষ্ট ভয়। এজন্য মুনিগণ ইহাদিগকে সব্বদা বস্থালঙ্কারে স্থথে রাখিতে আদেশ করিরাছেন | €৩) আধ্যসন্তানগণ কেবল যে স্বীর ভার্ধ্যাকে ভরণ পোষণ করিয়া ভর্ত। শব্দের বুৎপন্তিলভ্য অর্থের সার্থকত! সম্পাদন করিলেই ইহ সংসারে কৃতার্থম্মন্য হইতেন) তাহা কদাচ জ্ঞান করা বায় না। কি পতি, কি পিতা) কি ভাতা, কি দেবর, ইহাদিগের মধ্যে যিনিই সংসারের শান্তিকামনা করেন, তিনিই অবগ্ত নিজের বিভব অন্ুনারে দেশ কাল পাত্র বিবেচনায় স্ত্রী শপ পাপা পপ প৩প৩4 তিক ও -িটিিশশিশাশিি) টিপি 2 তি কি ৯ শতশত ভাশিত একশত তিশিশীদ ও তত পিপিপি িশিসসপশি (৩) পিতৃভিত্রণতৃভিশ্চৈতাঃ পতিভিরদেবরৈক্তথা | পূজা! ভূষিতব্যাশ্চ বহু,কলযাপনীগ্ন,ভিঃ ॥ ৫৫ ॥ যত্র নাধ)ন্ত পূজাস্তে রমন্তে তত্র দেবতাঃ। যত্রৈতাস্ত ন পুগান্তে সব্বান্তত্রাফলা; ক্রিয়াঃ ॥ ৫৬ | শোচন্তি জাময়ে। যত্র বিনশ্যন্ত্যাশড তৎ কুলম্‌। | ন শোচগ্তি তু যত্রৈতা বদ্ধতে তদ্ধি সর্বদা ॥ ৫৭ মনু, ৩ অ। পরিবারবর্গের সহিত বিবাদ অযৌক্তিক। ১৪১ ৪ পরিজনদিগকে উত্তমরূপ অঙ্লাচ্ছাদন ও ভূষণাদি দ্বারা তাহাদিগের মনঃক্ষোভ নিবারণ করিবেন । (৪) ইহাদিগের মতে যে পরিবারের জ্্ীপরিজন সর্বদা সম্প্রী- হির সহিত কাল হরণ করে, সে কুলে দেবতাগণ পরিতুষ্ থাকেন। স্ত্ীঙ্জাতি বসন ভূষণাদি দ্বারা বিভূষিত হইলেই সন্তোষ লাভ করে; যে পরিবারমধ্য সত্রীজাতিরা বন্থীলঙ্কারাদি দার] সন্মানিত ন1 হয়, সে কুলের স্ত্রীজনেরা সর্বদা মমঃকষুপ হইয়া অশ্রবিসর্জনপূর্বক শৌক করে। তাহাদিগের ক্ষোভ- নিবন্ধন পরিবারমধ্যে অনিষ্ট-বীজ রোপিত হয়। সেই অগ্রীতি- জনক বিচ্ছেদ-বীজ বদ্ধমূল হইলেই স্থখময় সংসার-তরু নিক্ষল ও সংসারী ব্যক্তির কিয়া পণ্ড হয় এবং অতি শীঘ্র বংশলোপ হইয়। আইসে, পরিজনদিগের সম্প্রীতি দ্বার! বংশের শ্রীবুদ্ধি হয়। ভগিনী, পুত্রবধূ, পত্তী, কন্যা প্রভৃতির অভিশাগ দ্বারা কুলের ধ্বংস হয়। যে কুলে ভাধ্যা ও ভর্তার গ্রণয় না থাকে, সে কুলের শ্রীবুদ্ধি হয় না। যেস্থলে স্বামী ও স্ত্রীতে পরম্পর আন্তরিক প্রেম পরিবদ্ধিত হয়, তথায় কুলদেবতা পরিতুষ্ট থাকেন? তন্মিবন্ধন সে কুলের গ্রীবৃদ্ধি অবপ্তস্তাবী বলিয়া স্থিরী- কত হম | । (৫ ) (8) জ নয যানি গেহানি শগন্তা প্রতিপু্ধি তাঃ। তানি কৃত্যাহতানীব বিনশ্যন্তি সমস্ততঃ ॥ ৫৮। তক্মাদেতাঃ সদা পুজা) ভূষণাচ্ছাদনাএনৈঃ। ভুতিকামৈরনবৈর্নিত্যং সৎকারেযূংনবেধু চ ॥ ৫৯ ॥, (৫) নন্থষ্টোভার্যায়া ভর্তা ভত্র ভার্যযা তখৈর চ। ৮ কুলে নিত্যং বরাত তর বৈ বম ৬০| মস | ৩ অ । ১৪২ ভারতীর আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা ।' বিবাহবিষয়ক আঁচাঁর। গাঠকগণের প্রা অনেকেই আধ্যজাতির বিবাহ দর্শন করিয়াছেন । বৈবাহিক কার্য্যের অন্ুষ্ঠানকালে অন্যান্য ইতি- কত্তব্যতা যাহা আছে, তাহার সকলগুলি সর্ধজাতির পক্ষে সমানরূপে ব্যবহৃত হর না। বেগুলি সচরাচর সর্ধত্র ব্যবহৃত হইব থাকে, তাঁহারই কতকগুলি অদ্য লিখিত হইল। বিচারক- গণ বিবেচনা করিয়া দেখিবেন গুলি কি জন্য কৌলিক আচারের অন্থশাসনে সব্ধত্র সমানবীপে দেদীপ্যমান আছে। বোধ হয় ইহাতে অবশ্য কোন নিগৃঢ় তত্ব নিপ্িষ্ট আছে, সেইজন্যই এতকাল এগুলিই আধ্যসমাজে সমান আদরে আ'চরিত হইয়া আমিতেছে। আর্ধজাতির সমস্ত মাঙ্গলিক কার্যেই হরিদ্রামার্জন কৰা চির প্রথা; ইহ! মকলেই জানেন । বিবাহেই কা তাহার ব্যতিক্রম কেন লক্ষিত হইবে? বিবাহের প্রাক্কালে বর ও কন্যার হস্তে যে সুত্র বন্ধন করা হর, তাহার নাম কৌতুকস্ত্র। ্থুত্ দ্বারা বর ও কন্যাকে অন্য ব্যক্তি হইতে পৃথক্‌ করা যাঁয়। কৌলিক আচার ব্যবহার পরে দেখান যাইবে । এক্ষণে ইহাই যুক্তি দ্বারা ও শাঙ্জ্রের বন দ্বারা প্রমাণ করা যাউক যে, কিজন্য পরস্পর হস্তধারণ করে ও কি জন্য উভয়ের উত্তরীয় বস্ত্র বন্ধন দ্বারা পরস্পর আবদ্ধ হয়। এক্ষণে আমরা ধত বিবাহ দেখিতে গাই তৎসমস্তই সবর্ণা বিবাহ, সুতরাং বিবাহের আদি হইতে অস্ত পর্যন্ত পাণিগ্রহ্ণই .. দেখিতে গাই। বন্ত্ের দশা (ছিলা) গ্রহণও তৎগগ্গে সঙ্গেই :. বিষাহবিষয়ক আঁচাঁর। ১৪৩ থাকে এবং মাল্যবদলরূপ পরষ্পরের অন্ুরাঁগ ও শুভদৃষ্টিও দেখিতে পাই । অপর কয়েকটী বিষয় অসবর্ণাবিবাহ নিষেধের সঙ্গে সঙ্গেই লোপ পাইয়াছে। যকালে ব্রাহ্গণগণ ক্ষত্রিয়কন্যাকে ভার্য্যারূপে গ্রহণ করিতে উদ্যন্ত হইতেন, তৎকালে এ কন্যা বরের ধৃত শরের (বাঁণের) প্রান্ত গ্রহণ করিতে অধিকারিনী, উক্ত ব্রাঙ্গণরূপ বরের করগ্রহণযোগ্যা নহে । অর্থাৎ তদীর পিতকুল বরের ঘম্কক্ষ নহে, তাহাই দেখান হয়। বৈগ্তকন্যা ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয় বরে অভিলাধিণী হইলে সেই কন্য। ব্রাঙ্গণ বা ক্ষত্রিয় বরের করম্পর্শাধিকারিণী হর না। বিবাহকালে উক্ত জাতিদ্বয়ের বরের হস্তস্থিত পাচনী অর্থাৎ গোতাড়ন দণ্ডের একদেশ স্পর্শ করিত । (৬) বিচারমার্ে দৃষ্টিনিক্ষেপ করিলে ইহাই স্পষ্ট লক্ষিত হয় যে, যে স্থলে নবর্ীবিবাহ হয়, তথায় পরম্পর পাগিগ্রহণকর! শান্্রদি্দ। তদন্থুদারে বরের বাম হস্তের কনিষ্ঠাঙ্থুলি দ্বার! কন্যার দক্ষিণ করের কনিষ্াঙ্থুলি পরিগৃহীত হয়। যাবৎ বিবাহকার্ধ্য সমাধা না হয়, তাবৎকাল উভয়ের করে উভয়ের কর সংলগ্ন থাকে, এবং উভয়ের উত্তরীষ়-বন্ত্র-প্রান্তের গ্রন্থি দ্বার! পরম্পর আবদ্ধ থাকে । সজীতীয়। ও সমীনবর্ণা কন্যা (৬) পাগিগ্রহণসংস্করঃ সবর্ণান্থপদ্ধিশাতে | অনবর্ণান্থয়ং জয়ে! বিধিরুদ্বাহকর্মাপি ॥ ৪.8 শরঃ কষত্রিয়য়। াহঃ প্রতোদো বৈশ্যকন্যয়া। .... রন দশা গ্রহ শুজযোধষ্টবেদবে। ৪১। মনু 1৭ অ। ১৪৪ ভারতীয় আর্ধযজাতির আদিম অবস্থা । প্রহণস্থলে খধিগণ বস্ত্রের দশা-(ছিলা)-গ্রহণ বিধান করেন নাই। যেস্থলে শূদ্রকন্যা উত্কৃষ্ট জাতীয় পুরুষের গলে মাল্য- দান অভিলাষ করেন, তথায় বরের করগ্রহণের ব্যবস্থী (পাণি- পীড়ন) লিখেন নাই। অর্থাৎ এ কন্যার পিহকুল বরের নিকট করম্পর্শষোগ্য নহেন। এ কন্যা পাণিগ্রহণ-মন্ত্র দ্বারা বরের কুলে পরিগৃহীত হইলে সেই কন্যা পাণিপীড়নযোগ্য! হয়। গান্ধব্ব-রিধানে বিবাহ-সিদ্ধি স্থলেই মাল্যবদলের ব্যবস্থা । কিন্তু আমাদিগের সমাজে অগ্রে মাল্যবদল, তৎপরে শুভদৃষ্টি, ততপরে বস্ত্ের প্রান্তে প্রান্ত বন্ধন, তৎপরে পাণিপীড়ন দেখ! যায়। ব্যবহার-বিষয়। পাঠক, তুমি মনে করিয়াছ আধ্যজাতির বিচারকের! কিরূপ অভিযোগে কিরূপ ব্যবহার অনুসারে সমর ক্ষেপণ কৰিতেন, তাহার ব্যবস্থাগুলি সুশৃঙ্খলাবদ্ধ ছিল না। বাস্তবিক তাহা নহে, সর্ধবিষয়েরই স্নিয়ম ও সুরীতি ছিল। চুরি, ডাকাতি, পারদারিক কার্য্য, নরহত্য ও মৃত বিষয়ে, অভিচারাদি অসদ্যবহার, গোঁধনের অনিষ্ট সম্বন্ধে, কুলন্ত্রীর অপ- বাদ বিষয়ে এবং পরপরিবাদ স্থলে সময়ক্ষেপ করিবার বিধি নাই, এবংবিধ কার্ধ্য জন্যও সাহনিক কার্যের বিবাদ স্লে, সদ্যঃ বিচার করিবার ব্যবস্থা দেখা যায়। শান্তিকার্যের বিবাদ স্থলে, উপযুক্তরূপে সময় দেওয়ার রীতি আছে; তবে পূর্বোক্ত- কাধ্যঘটিত সমস্ত বিবাদ হ্থলেই যে অভিযোগ উপস্থিত হইরা". ব্যবহার-বিষয়। ১৪৫ মাত্র তাহার নিষ্পপ্তি হয়, তাহ! নহে। কার্যে লাঘব গৌরব, বাক্তিবিশেষের গীড়াক্ষতি ও বুদ্ধির তারতম্য বিবেচনায় নির্ী- বিত সময়ের ব্যতিক্রমও ঘটে । অভিযোগ উপস্থিত হইবামাত্র তাহাতে সংখ্যাপাত হয়। উপস্থিতির পৌর্ধাপধ্য বিবেচনায় যথাক্রমে রিচার-নিশ্ন্তি হইর। থাকে । কখন কখন প্রয়োজন অনুসারে নিষ্পন্তির অগ্রবন্তিতা ও পশ্চান্বত্তিতাও ঘটে (৭)। আবগ্তক হইলে সদ্য সদ্যই বিচার নিষ্পওের বাধা থাকে না। শপ ৯০ পি শ ৮৮টি দিল পপাশিশাশ্াীশীিিশ শাাশিাশীেপাীাশিশিটিটি শি (৭) সাহসস্তেয়প!রুষ্যে রতি (পাতায়ে প্রিয়াম্‌ বিপাদয়ে্ সদ্য এব কালোহইনাত্রেচ্ছয়া স্বৃতঃ ॥ হি হিতা। সদ্য:কৃতেষু কাধোষু সদ্য এব বিবাদয়েৎ। কালাতীতেষু বা কালং দদযাৎ প্রত্যর্ধিনে প্রভূ; ॥ ব্যবহারতত্বধূত নারদদংহিতার বচন । পক্ষন্য ব্যাপকং সারমরন্দিপ্ধমনাকুলম্‌। অব্যাখ্যাগম্যমিতোতদুন্তরৎ তদ্ধিদে! বিছুঃ ॥ মিথ নন্প্রতিপত্তিশ্চ প্রত।বস্বন্বনং তথ1। প্রাঙ্নটায়শ্টোত্তরা প্রোজান্চত্বারোঃ শান্্রবেদিভিঃ অভিযুক্তোহভিযোগস্ঠ যদি কুর্ধটাদ্বপহনবম্‌ | মিথ্যা তত্ত, বিজাীয়াছুত্তরং ব্যবহারতঃ॥ শ্রত্বাভিযোগত প্রত্যথীর্যদি তং প্রতিপদাতে। সা তু স্প্রতিপততিঃ স্তাৎ শান্তবিডিরুদাহতা ॥ অর্ধিনাভিহিতে| যোহর্থঃ পত্যঘী বদি তং তথা । প্রপদ্য কাঁরণং বর়াৎ গুতাবন্বনদনং হি তৎ॥ আচারে নাবমন্নোহপি পুনলেখয়তে যদি দোহভিধেয়ো জিভঃ পুক্বং প্রাঙ্ন্যারত্ত ম উচ্যতে ॥ সু বৃহশতিবচন । ব্যবহারতত্ব 1... ১৩. . ১৪৬ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । সাক্ষা প্রকরণে অভিযোগের বিষয়, পূর্বপক্ষ ও লেখ্য প্রন্ততির কতক অংশ লিখিত হইয়াছে, এক্ষণে অভিযোগের উত্তর পক্ষ অবতারণা! করা গেল। পুর্বে প্থক্ষ”-বিষয় দেখান গিয়াছে, তাহার সহিত মিলন কর । অভিযোগের উত্তর শব্দে কি বুঝায়? যে ধাক্য পুর্বরপক্ষকে নিরাস করিতে সমর্থ, প্রকৃত বিষয়োপযোগী ও বিষরান্তরে সং ভ্রান্ত না হয়, যে বাক্য অধন্দিগ্ধ বলিয়া লোকের গ্রতীতি জন্মে, পূর্বাপর বাক্যের কোনপ্রকারে বাধক ন! হয়, নিরাকুল্‌ এবং সকলের বোধগম্য হয়, তাহাকেই পণ্ডিতের উত্তর শব্ধ নির্দেশ করেন। কোম কোন ধাবির মতে যদ্দার! বাদ-বাক্য খণ্ডন করা রায়, তাহারই নাম উত্তর । কোন কোন খষির তে প্রতিপক্ষের বাকামাত্রকে উত্তর স্থলে গণন! করা য়ায়। উত্তর চতুক্রিধ_যথা, মিথ); যন্প্রতিপত্তি, প্রত্যবস্ন্ধন এবং প্রত্যড্ন্যায়। | বাদীর অভিযোগে যে সাধা লিখিত থাকে, গ্রতিবাদী যদি তাহার অপন্ৃৰব করে, তাহা হইলে এ উত্তরকে মিথ্যা জান করা যার। যাহা সত্য বলিয়! স্বীকার করে, ভাহার নাম সত্যোন্তর। স্বীকারবাক্যের কোন কোন স্থলে উত্তরগুলিতে আংশিক সত্য ও আংশিক মিথ্যা থাকে । বিচারকগণের নিকট মিথ্যাবাক্য প্রধানত? সাধ্ানির্দেশাদি দ্বারা ধৃত হয়। লৌকিক ব্যবহারি। জীর্ধাজাতির' খাদ্য বস্তৃমাত্রকেই অন্শবে নির্দেশ করি- ঘাছেন, তন্মধো তুল ও যবে অন্নশৰের মুখ্যার্থ দেখা যায়। আম ও পন্ক ভেদে অন্ন টুইগ্রকার ৷ যাহা অগ্নিসংযোগে সিন্স অর্থাৎ দিদ্ধ করা হয়, তাহার নাম গ্ক, এবং যাহাতে অগ্নি সংযুক্ত হয় না) তাহার মাম অগপক। আমান শবে অপক তুলকে নির্দেশ করেন, পন্ক তুলে সিদ্ধান্নের ব্যবহার দেখ] ধায়, অন্নশবে সামীন্যাকারে এইমাত্র অর্থ-প্রান্তি হইতেছে কিন্তু ব্রাহ্মণজাতির ষাঁজ্ঞানিবুত্তিমানসে জাতিবিশেষের প্রদত্ত অন্ধের অর্থ কোথাও এমন সস্কোচ এবং কোনস্থলে তাহার এন্নপ গ্রশংঙাপর ব্যাখ্যা করিয়াছেন ধে, তদ্ষটেব্রাঙ্গণজাত্র ভিক্ষা-বিষয়ে ইচ্ছার নিবু্ি ব্যতীত প্রবৃত্তি জন্মিবার সম্তাবন। মাই। | ক্ষেত্রশ্বামিগণ নিঃশেষরূপে ধান্যাদি সংগ্রহপুরঃসর ক্ষেত্র- তাাগ করিলে তথায় স্কবানে স্থানে যে ছুই একটি ধান্যাদি গতিত থাকে, তাহার সংগ্রহের নাম উদ্ধবৃতি। পরিত্যক্ত ক্ষেত্রে যে সকল শদ্য পতিত থাকে, কেবল তাহার অগ্রভাগ মাত্র গ্রহণের নাম শিনবৃত্তি। প্রার্থনা! ব্যতিরেকে যাহা উপ- স্থিত হয় তাহার নাম “অমৃত” | যাজ্জীলন্ধ বস্তর নাম মৃত। ্রা্মণের পক্ষে নিজহস্তে কর্ষণলন্ধ বন্তর নাম গ্রমূত। ব্রাহ্মণগণের পক্ষে প্রথমে শিলোহথধৃত্তি দ্বারা জীবনোগায়ের বাবস্থা করিয়াছেন। দ্বিতীয় স্থলে অযাচিত-লনবন্ত সার! জীবনযাত্রা নির্বাহ কর] দুষ্য নহে, ইহা নর্ধারিত করি ১৩৮ ভারতীয় আধ্যজাতির আদিম অবস্থ!। যাঁছাঁলবধ বস্তর নিন্দা করিতেছেন, এবং ব্রাহ্মণের পক্ষে ক্ষেত্র- কর্ষণ অতি নিন্দিত বলিয়। নির্দেশ করেন। এ দুইটা বৃত্তি ব্রাঙ্মণের পক্ষে এককালে গ্রতিষিদ্ধ করা হইল । যদিও যতি, ব্রহ্মচারী ও বানপ্রস্থ ধর্্মীবলম্বীর পক্ষে ভিক্ষা নিন্দনীয় নহে, তখাপি স্বয়ং যাঁজ্া করা অপকর্ষ ও নিন্দশীষধ বৃত্তির মধ্যে গণ্য । ইহাদিগের মতে ব্রাহ্মণ জাতি ত্রান্মণদিগকে যাঙ্ঞা না করিতে যে আমান্ন দ্রেন, তাহার নাম অমূত। ক্ষত্রিরগণ স্বতঃগ্রবৃন্ত হইয়া ব্রাঙ্মণমাত্রকে যে সমস্ত অযাচিত ম তওুলাদি দেন, তাহার নাম পায়স, অর্থাৎ এ তও্ুলাদি ক্গীরনদূশ। এ বস্তু ভক্ষণে শারীরিক ও মানপিক বীধ্যাধান হইতে পারে। বৈশাদত্ত অযাচিত আম তগুলের তাদৃশ গ্রশংস! বা অপ্রশংস! নাই । উহা! প্রকৃত খাদ্যবস্তরূপেই গণ্য হয়। ইহার গ্রহণ ও ভক্ষণে মনঃ সঙ্কুচিত বা পাপন্পর্শ হয় না। শত্রদন্ত আমান্ন শোগণিতসদূশ অপবিত্র, অর্থাৎ এ তুলাদি তক্ষণে শণীর ও মনে পাপ ম্পর্শ করে ও আত্মা সঙ্কুচিত হয়। সামান্যতঃ এইমাত্র ব্যবস্থা দেখা যায় যে, শূদ্রের প্রদন্ত অপক বস্তমাত্র অন্নশবে নিদিষ্ট আছে। শৃদ্রকর্তৃক পক্ধ দ্রব্য- গুলি উচ্ছিষ্ট বলিয়। পরিগণিত, এই হেতুবশতঃ শুদ্রের দত্ত স্ব ব্রাহ্মণগণের পক্ষে সামান্যাকারে নিষেধ দেখা বার। তবে স্থলবিশেবে, কালবিশেষে, কোন কোন ব্যক্তিবিশেষ কর্তৃক স্বেচ্ছা প্রবৃত্ত দানস্বীকারে পুরাকালে দোষ ছিল নাঁ। অধুনা কলিকালের প্রারস্তে কতিপয় স্থল ব্যতীত নিষেধ দেখা যায়। গৃহী ব্যক্তিবর্গ অতিথি 'ৎকারানি পিতয়ন্ডের বিধানবাসনায় সচ্ৃ্ের প্রদত্ত তিগ্ষাস্বরূপ ক্বযা [চিত বন্ত গ্রহণ করিতে পারেন, চিত্রনৈপুণ্য । ১৪৯ 'যে শূদ্র বিশ্তদ্বংশসন্ভৃত, দ্বিজভক্ত, হবিষ্যাণী এবং বৈশ্য- বৃন্তি দ্বারা জীবানোপায় নিন্বাহ করে, তাহাকেই পরাশর মুনি সস্ু্ শবে পরিগণ্তি করিয়াছেন । (৮) থাদ্য ওদান গ্রহণের বিশেষ ব্যবস্থা ক্রমশঃ দেখান যাইবে। চিত্রনৈপুণ্য। পাঠক, তুমি বিলাতীয় চিত্র দর্শন করিয়া! অত্যন্ত আশ্টির্য্যা- ন্বিত হইয়াছ। তুমি মনে কর, আধধ্যজাতি এ বিষয়ে মনঃদংযোগ করেন নাই। বন্তৃতঃ তাহা নহে, ধিনি লেগ্রকার জ্ঞান করেন হার পেটা ভ্রম। অবনীমণ্ডলে বত জাতি আছেন, তন্মধ্যে ভারতার আধ্যমন্তানগণ মনস্তত্ব নির্ণয় সম্বন্ধে অদ্বিতীয় পথ- সপন শপ (৮) ধতমুগ্থশিলং জেয়মম্ৃতং স্যাদযাচিতগ্‌। _ মৃতন্ত যাচিতং ভৈঙ্গ্যং প্রস্ৃতং কর্ধণং ম্মৃতম্‌ | ৫॥ মনু ।৪ ঘ। অমৃতং ব্রাঙ্গণস্যান্নং ক্ষত্রিয়ান্নং গয়ঃ স্মৃতমূ। বৈশ্দ্য ত্বন্নমেবান্নং শূদ্রম্য রুধিরং স্বৃতম্‌ ॥ ৩ ॥ আমং শৃদ্রন্য পক্কানং পক্মুচ্ছি্মূচাতে | তক্মাদাম্চ পর শুন গরিবর্জয়েং॥ ৪ | কণভিক্ষাং দিরাকুর্যযাদ)দি কৃর্ঘ্যাদবৃত্তকঃ। সচ্ছ,দ্রাণাং গৃহে কুর্বন্ন তদ্দোষেণ ঘি পাতে ॥ এ . বিুদ্ধন়্সন্তুতো নিবৃত্ত মদ্যমাংবতঃ, | হিদ্রতঞ্ো বিধৃত সাঃ পা 161. ৃ ৯৫০ ভারতীয় আধ্যজাতির আদিম অবস্থা । প্রদর্শক, ইহ সকলকেই স্বীকার করিতে হয়। এর মনস্তত্বে আত্মার বিচার আছে। আত্মার উপমানন্থলে চিত্রের চারি প্রকার অবস্থা অবতারণ| কর! হইয়াছে । যে বিষয়টী আগা- মর সাঁধারণের বোধগম্য হয়, তাহারই সহিত আীনকাণ্ডের উপম! ্রদর্শনপূর্বক উপদেশ-পথ পরিষ্কৃত করা গিয়া থাকে । উপ- মান ও উপমেয় পরস্পর সমান অবস্থায় না থাকিলে তুলনা স্ুসিদ্ধ হয় না। ভারতীয় চিত্রনৈপুণ্যের এতাদৃশী শ্তীবৃদ্ধি হইয়াছিল, যে আত্মার অবস্থাভেদ বুঝাইবার জন্য চিত্রের অবস্থাগত ভেদের সহিত আত্মার অবস্থাস্তর-সাদৃশ্য দেওয়া হইয়াছে । কেহ কেহ এরূপ কহিতে পারেন যে, বাক্কিবিশে- ষের বা সম্প্রদায়বিশেষের চিত্রবিষয়ে নৈপুণ্য ছিল, কিন্তু সাধারণতঃ চিত্রকন্ম্ের বাহুল্য বা গ্রশংস। ছিল না । তাহার গ্রামাণ্য-সংস্থাপন জন্য আমাকে অধিক প্রয়াস গাইতে হইবে না। মহর্ষি শঙ্করাচাধ্যকৃত পঞ্চদশী দেখ, চিত্রবিষয়ক অবস্থা- স্তর দেখিতে পাইবে। (৯) (৯) ষথ! চিন্রপটে দৃষ্টমবস্থা নাং চতুষ্টনম্‌। তৎ পরমায্মনি বিজেয়ন্তথাবস্থা চততুষ্টয়ম্‌ ॥ যথ! ধৌতে। ঘউিতশ্য লাঞ্চিতে! রপ্তিত; পটঃ। চিদন্তধামিশুত্রাধি বিরাট চাতু। তথেরবাতে ॥ স্বতঃ শুভ্রোহত্র ধৌতঃ ্যাৎ ঘ্টিতোইন্্বিলেপনাৎ। মস্যাকারৈর্লাঞ্িতঃ দ্যাৎ রঞ্জিতৌ বর্ণপুরণ[ৎ ॥ ব্তশ্চিদন্তযামী তু মায়াবী হুল্স্থিতঃ| হৃতাতম! স্লস্ষ্ট্যযু বিরাড়িভূযুচ্যতে গরঃ | ১ : বেদান্দর্শন। পঞ্চাপীতন্ব।: চিত্রনৈপুণ্য। ১৫১ আমাদের পাঠকবর্গের কেহ কেহ কহিতে পারেন সে অবস্থাগত সচরাচর সাধারণ চিত্রকরদিগের জ্ঞান ছিল না। চিত্রকরদিগের জ্ঞান ছিল কি না সেটা পরে বিচাধ্য। অগ্রে ইহাই প্রদর্শন করা উচিত যে, চিত্রকার্যে সকলেরই উৎসাহ ছিল, নৈপুণ্য ছিল, অনেকেই ইচ্ছাপুর্ক্ক অভ্যাস করিত। যদি আমার কথায় বিশ্বাস না হয়, তবে মহাকবি কালিদাস, ভবভৃতি, শ্রীহ্য প্রত্ৃতির গ্রন্থ দেখ, তাহাদিগের সময়েও কারু- কাধ্যের ও চিত্রনৈপুণ্যের অসাধারণ শ্রীবৃদ্ধি লক্ষিত হইবে । শ্ীহর্ষ অতি প্রাচীন, খৃষ্টের জন্মের বহু শতাবী পূর্বে তাহার জন্ম, ইহা স্থির সিদ্ধান্ত হইয়াছে । তাহার রত্বাবলীতে সাগ- রিক। কর্তৃক বৎসরাজের চিত্র দেখ। যদি বল, রাজকন্যার পক্ষে চিত্রশিক্ষা আশ্চর্যের বিষয় নহে, সে কথা স্বীকার করি। কিন্ত যদি সামান্য স্ত্রীলোক ও সামান্য মন্ুষ্যমাত্রের নৈপুণ্য দেখা যায়, তবে এ বিষয়ের বাহুল্য-প্রচার ও সকলেরই এ বিষয়ের রসাস্বাদ গ্রহণের সামথ্য ছিল, ইহ। একপ্রকার শ্বীকার করিতে হয়। সাগরিকাকৃত রাজ্জার প্রতিমৃন্তি দেখিয়া সাগরিকার সখী সুসঙ্গতা-নায়ী দাসী এ ছবির বামভাগে সাগরিকার প্রতিমুগ্ি অস্কিত করে। উহা দেখিয়! রাজ! মোহিত হিযে । (১০) সঙ্গত । উপ ক ফলকং 0. ইহা নাহি ফো | এলো তুএ আলিহিদে|? রা 1 | জাগরিকা। (গউততদহসবো তজবং গা. রি ১ হলতা। লশসিতম্‌। -অহে। দে. ধিউশতদং! কিংউন কুণং বি ১৫২ ভারতীয় মার্ধ্যজাতর আদিম অবস্থা | মহাকবি কালিদাসও খুষ্টের জন্মের অর্ধশতানধী পুর্বে বিক্র- মাদিত্যের নবরত্্-সভা ভূষিত করিয়াছিলেন । তীহারই অভি- জ্ঞানশকুন্তলের যষ্টাক্কে রাজা দুম্মন্তের কৃত চিত্রনৈপুণ্যের বিষয় পাঠ কর, দেখিবে তংকালপর্ধ্যস্তও চিত্রকর্থের সারগ্রাহিতা ছিল। কবিরাও চিত্রের ভাল মন্দ অবস্থা বর্ণন করিতে নিপুণ ছিলেন। (১১) শশা পীপিশাশিপিপপিপপাপপি পাপা, পতিত পপ পেশী ০৮৮ ০৬ ও ৯ তত শক্পাশ তত িপিপশাশাাি পাশপাশি পপি পাপা পাপাপপপিপিশীপিপপপি তা শা চিন্তং পড়িভাদি, তা অহংপি আলিহিঅ রইসনাহং করিস্বং। বষ্টিকাং গৃহীত্বা নাটোন রতিন্যপদেশেন লাগরিকামালিখতি। সাগরিকা । বিলোক্য সঞ্রোধম্‌। দহি স্থনঙ্গদে, কীন তুএ অহং এখ আলিহিদা? সনঙ্গতা। বিহস্য ৷ সহি, কিং অআরণে কুগ্ননি ? জাদিনো তুএ কাম- দেবো আলিহিদো। তাদিনী মএ রই আলিহিদেত্তি, তা অগুহাসংভীবিণি, কিং ভুএ এদিন আলবিদেণ, কহেহি সব্বং বৃত্তন্তং | ৬ ন্ ক ্ রাজা। ফলকং নির্বর্ধা | কিচ্ছা দৃরুবুগং ব্যতীত্য। সুচির রান্তা নিতম্বসলে, মধোইস্তান্ত্িবলীতরঙ্গ বিষমে নিল্পন্দতামাগঠ1। মংঘৃষ্টিভমিতের সন্প্রতি শনৈরারহা তুঙ্গে স্তনৌঃ সাকাজ্ং মুহুরীক্ষতে জললবপগ্রস্তন্দিনী লেচনে॥ রক্তাবলী। দ্বিতীয়া (১১) শিশ্রকেশী। অন্ধে। এস! রাএনিণো বস্তি আালেহাশিউণদা, জ পিঅসহী মে অগ্গদো বটটদিত্তি। রি ক... ঠা | রং রাজা। তথাহি। চিত্রনৈপুণ্য। ১৫৩ মহাকবি ভবভূতিও কালিদাসের সমকক্ষ কবি, তিনি তাহার সীতাকে যে চিত্রপট প্রদর্শন করিয়াছেন, তাহাতে চিত্রের অসাধারণ নৈপুণ্য আছে। প্রত্যেকব্যক্ভির কৌমার, কৈশোর ও যৌবনাদিভেদে নানা অবস্থা ও নানাবিধ রূপ ঘটিয়াছে। একখানি চিত্রপটে প্রত্যেক ব্যক্তির বিবিধ অবস্থাগত চিত্র কেমন বর্ণনা! করিয়!- ছেন। চিত্রের বর্ণন দ্বারা অবস্থাস্তর পর্যন্ত কেমন ক্মরণ কর!- অদ্যান্তন্গমিব উরি পিয়েব নাভি সবিতা, দৃষ্ান্তে বিষমোন্নতাশ্চ বলয়ে। ভিত্তৌ সমায়ামপি | অঙ্গে চ প্রতিভাতি * মার্দবমিদং সিদ্ধ প্রভীবাচ্চিরং। ্রেয়! মন্মুখসীষীক্ষত ইব, ম্মেরা চ বন্তীব মামৃ॥ চু নং সং সং বিছু। ভে তিরিমা আইদিও দীনন্তি, নববাও জ্জেবব দংদ্পীআও, ত1 কদ্‌ম। এখ তখভোদী নউন্তলা। স ক দঃ সঃ রাজী। ত্বং তাবৎ কতমাং তর্কয়সি? বিছু) নির্ধপ্য। তক্কেসি জা এনা দিটিলকেদবন্বুব্স্তকুস্থমেধ কেলহথেণ বদ্ধস্নেঅবিন্দুণ! বঅণেণ বিনেনাদো গসিদ্নাহাহিং বাঁহলদাহিং উস্সসিদণীবিণ। বসণেণ অ নী পরিস্সন্তাবিঅ অনিমে অসিণিদ্ধাদর- পল্পবসন বালচুঅরুক্থূন পাস্‌সে আলিহিদী, এসা তথতোদী সউভ্তলা, ইদরাও সহীওত্তি। রাজা । নিপুণো ভরান্‌, অস্ত্র পি ভাবচিহযূ। খিত্াঙ্গুলিনিনিবেশাদ্রেখা প্রান্তে ৃগ্তে মলিনা। অশ্রু চ কপোলপতিতং ্ষাদিদং বর্ণকোচ্ছ, নাহ ॥. | _ অভিপ্রানশবন্তুল। বা ১৫৬ ভারতীয় মার্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । উপনয়মের কাল। ্রহ্মচর্ধয অবলম্বন করিতে হইলে সাবিত্রী-মন্ত্র গ্রহণ ভিন্ন উপনয়ন-নংস্কার গিদ্ধ হয় না। | উপনয়ন-সংস্কারসঙ্বন্ধে ব্রাহ্মণের পক্ষে গর্ভাষ্টম বর্ষ, ক্ষত্রিয়ের পক্ষে গর্ভকাদশ বর্ষ, বৈশ্ঠের বিষয়ে গর্ভদ্বাদশ বর্ষ প্রশস্ত কাঁল। ব্রাহ্মণের পক্ষে গৌণ কাল গর্ভনময়নমেত আধফোড়শ বর্ষ, ক্ষত্রিয় জাতির উপনয়নের গৌণ কাল দ্বাবিংশতি বর্ষ পর্য্যন্ত । গর্ভ হইতে চতুর্বিংশতি বর্ষ পর্যান্ত বৈশ্যজাতির দাবিত্রীগ্রহণের গৌণ কাল ধরা গিয়া থাকে । (২) এই কালমধ্যে যথাক্রমে ব্রাহ্মণ, রাজন্য ও বৈশ্যে্ উপনয়ন না হুইলে ইহারা নকলেই ব্রাত্য অর্থাৎ শূদ্রভাবাপন্ন ও পতিত হয়েন। পুরুষজাতির পক্ষে এই বিধান নিরীত হইয়াছে । এই রুল্পে অর্থাৎ বরাহকন্সের স্বায়ন্তুব মন্ুর অধিকার-কালে স্ত্রী- জাতির উপনয়ন-সংস্কার দেখ। যায় না। শূদ্রজাতির ন্যায় নারীগণ বিবাহ-দংস্কারে সংস্কতা হইলেই গাহস্থ্য-ধর্মে অধি” কারিণী হয়েন। যদিও পৃৰ্বকালে ভর, শৃদ্র, ও দ্বিজীভাষ- দিগের বেদাধ্যয়ন, বেদের অধ্যাপন! এবং সাবিত্রী-গ্রহণে অধি- কার ছিল, তৃথাপি অধুনা স্ত্রীজাতির উপনয়নাদি দেখা যায় ৃ না। ইহারা তান্িক মন্ত্রে দীক্ষিত ন| হইলে ঈশ্বরোপাসনার কার্যে সম্যক্রূপে অধিকারী হয়েন না। রা (২ ) নর্ভানযেহবে কুব্বীতি ব্রাহ্মণস্যোপনায়নম্‌। গর্ভাদে কাদশে রাজ গরভাত, দ্বাদশে বিশঃ 1 ৩৭ | আযোড়পাদ্ান্ষণপা সাবিত্রী নাতিবর্ততে | আছ্ছবিংশাৎ কষত্রবন্ধো রাতুব্বিংশতেবিশঃ ॥ ৩৮ ॥ মন্ু। ৩ জ। খারছযাশ্রযাধিকরি। ১৫৭ উপনয়ন-সংস্কার-দিনাধধি দ্বিজসস্তানগণকে গুক্ুকুলে অব- স্থামপূর্বক যড়ঙ্গ রেদাধ্যয়ন করিতে হইত। সাঙ্গোপাঙ্গ বেদে অধিকার না জন্মিলে গুরুকুলেই অবস্থান করিতে দেখা ধাইত। দ্বিজগণ স্কতোগনীত, কুতরৃত্য, অস্ততঃ বোদত্রয়ের কোন এক বেদে পারদর্শী ন৷ হইলে গুরুর নিকট গাহস্থ্যাশ্রমে গ্রবেশ করিরার অধিকার প্রাপ্ত হইতেন না। কৃতবিদ্য হইলে কৃতন্নাত হইয়া সমারর্তন-কিয়া সঙ্গাধানপূর্বক গার্থগত্য অগ্রির আরাধনার সহিত দারপরিগ্রহ করিতেন (৩)। ান্্কারগণ আন স্থলেই বাঙ্গণগণকে উপলক্ষ্য করিয়া শান্তের মন্দ বাাখ্য। করিয়াছেন, কিন্তু প্রধানতঃ দ্বিজমাত্রকেই উদ্দেশ করিয়া রিধিরাফ্য রলাই তাহাদিগের অভিপ্রেত। থে জাতির য়ে বিম্নয়ে অনধিকার, তাহার তদ্দিয়ক অনুষ্ঠান অফরণীয় বলিয়াই বিবেচিত ইয়া থাকে । গুর্কালে অনেক পুরুষ নৈঠিক বন্ধঠারী ছিলেন, তাহার! চিরকৌমার্ধা-ব্রতাবলম্বন করিয়া থাকিতেন, দাঁরপরিগ্রহ করি- তেন না তির মধ্যেও , কোনা ব্রতাবলম্বন্ন (9) রি রে না বেদং ঝ্পি যাতমস। ক্ষবিট তরে জানবহিগ। ॥২॥ ূ র্‌ হ।ম্হ।তঅ! ১৫৮ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আঁছিম অবস্থা । কাহাকেও না! দেখা যাইত, এমন নহে । কিন্তু তীহার! গৃহের বাহিরে অবস্থান করিতেন-না। স্বগৃহ্থে অবস্থানপুর্ববক ব্রহ্ধ- চর্য্ের অনুষ্ঠান করিতেন। স্বগৃহে ধদৃচ্ছালন্ধ ভিক্ষা দ্বারা জীবনযাত্রা নির্বাহ করিয়া আমিতেন। ব্রহ্মচারিণীগণও ্রহ্মচারিগণের ন্যান্ধ শিষ্যগণকে বেছের শিক্ষা দিতে সমর্থ ছিল পূর্বৃকালে ছ্বিজাতির ললগাগন স্ই ভাগে বিড টির ). এক ভাগ ব্রহ্মচারিণী বা ব্রহ্মবাদিনী, অন্য ভাগ সদ্যোবধূ নামে, বিশেষ বিখ্যাত। উভয়েরই. উপনক্ন-সংস্কার হওয়ার বিধি দেখা যায়। সদ্যোবধূগণের উপনস্বন হইবামাজ্ রিবাহ-সংস্কার হইবার বিধান ব্যবস্থাপিত আছে। কিন্তু উপনয়ন-সংস্কার; পূর্বকল্পে অর্থাৎ পাত্স কল্পে ছিল রলিয়া বিকেচিত হয় (৫)। এখন বরাহ কল্প চলিতেছে । বর্তমান কল্পে স্ত্ীজাতির উপ- নয়ন নাই, সাবিত্রীগ্রহণে অধিকার নাই। এইখানে শাস্ত্রের বিধি সম্কুচিত হইয়াছে বলিতে হইবে । এবং শিক্টাচার- : ক্রমে তান্ত্রিক মন্ত্র সার হইয়াছে। পুরুয়ের বৈদিক ও তান্ত্রিক ঘন্ত্রে সমান অধিকার, সুতরাং এ করে স্ত্রীজাঁতির উপনয়ন-সং. স্কারের পরিবর্তে কোন রা সং স্কার দেখা যায না | বিধাহ টি টিপা ০০ (2) যত্তু হারীতঃ। বিবিধ সির: চারি ধ্োবধশ্দ। তত্র ন্গারিণীনাং ্ধবাদিবীনাযুপনয়নমক্ষনং বেদাধ্যযুনং স্বগৃহে তৈক্ষাচধ্যা॥। সদ্যোবধূনামুপনয়নং কৃত্ধা বিবাহঃ কার্য ইতি । তত, ুগ্ান্তরবিষয়ম। পুরাকল্পেযু নারীগাং মৌলীবন্ধনমিষাতে |. অধ্যাপনঞ্চ বেদানাং নাবিত্রীবাচন্ং তথা 7 ( অঙ্গিনূ'কলে অন/পার্াাসধ/য়নং পরম গানযাশ্রমাধিকার। . ১৫৪ ও গুমঃসংস্কার-্রিয়া সম্পন্ন হইল্লে স্ত্রীজাতি তান্ত্রিক মন্ত্র দীক্ষিত হয়েন। ততকাল হইতে শিষ্যগণকে ততৎকুলের কুলা- চার অন্কুপারে তান্ত্রিক ইষ্টমন্ত্র প্রদান করিতে পারেন। কিন্তু যদি পর লন পতি ও পুক্র বিহীন! হয়েন, কিংবা শিষোর বয়ঃ- কনিষ্ঠারূপে অবধারিত হয়েন, উদবস্থায় এ নারী শিষাকে দিতে সমর্থ হয়েন না দ্বিজাতিগণকে এক কে আশ্রমবিহীন হইয়া থাকিবাঁর বিধি নাই। চাঁরি আশ্রমের গ্রহণ-বিষয়ে গাহস্থ্য অবলম্বনের পর ক্রমে অন্য দুই আশ্রমে অধিকার হয় (৬)। কিন্ত বিষয়োপর্ভোগে ইচ্ছা না থাকিলে গাহস্থ্যাশ্রম গ্রহণ ব্যতি- লেক্েও, ই্গচরধ্য হইতে এফকালে ম্যাম গ্রহণ করিতে বাধা দেখা ধায় 'মা ()। &) নামী ন ভিটে দিনমেকমপি দ্বিজঃ। ও ্ আরে বিন ্ি াশ্িতীয়তে হিনঃ। রি এ হি বহতা ১মঅ? (. দংনারষের মি: £নারং দা ফারনিদৃক্ষরা |. খ্জেদকৃতো হাঃ পরং বৈরাগা রত: ষ্ঠ কসচর্োণ ব্রজেচ্ ৃঘদি ॥ বাকা ধহযেিখানতুে বাথ ঘি । $৬* ভারতীয় আর্ধ্যজাতির জাঁদির্ম অবস্থা! গ্বাহস্থ্য আশ্রম। ংসারের সারভূত, অন্য তিন আশ্রমের হেতুতৃত, সর্ঝ- প্রাণীর উপদীব্যদ্বরূপ যে আশ্রম, তাহার নাম গা্সথাশ্রয। এই আশ্রমের মূল কোথা প্রোথিত আছে, এবং কাহাকেই বা আশ্রয় করিয়া আছে, এই আশ্রমের ফলই র| কি, এবং তদবলম্বনে সথখই বা কি হয়, তাঁহার নির্ধারণ করা উচিত । স্থল দৃষ্টিতে দেখ! গেল যে, গৃহই রা মু মা এক্ষণে দেখা যাউক, যে, গৃহ শবে কি বুঝায়? শান্ত্কাঁরেরা গৃহিণীকেই গৃহ বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। গৃহিণীবর্জিত গৃহকে বন বলিয় নির্দেশ করিয়া থাকেন (৮)1 গৃহিবীশব্ষে যথাবিধি বিবাহিতা সবর্ণা পত্বীকে অভিহিত করে। পত্থীর একটা নাম দার। দাঁরক্রিয়৷ বলিলে বিবাহরূপ সংস্কার বুঝিতে হয়। বিবাহ-সংস্কার দ্বারা গাহ্‌স্থ্যাশ্রমে প্রবেশের অধিকার জন্মে। পতি-পত্ীত্ব-বোধক সংস্কারের নাম ৰিবাহ । বিবাহক্রিয়! দ্বারা স্ত্রী ও পুরুষ একার্গ, একপ্রাণ, একমন ও অভিরপ্রকর্তি রে যান। তৎকালে পরস্পর পরম্পরের শুত-চিস্তায় রত হয়েন। কেহ কাহারও ক্লেশ সন্থ করিতে সমর্থ হয়েন না । উভয়ের মন, প্রাণ ও দেহ এক হইলে পরস্পরের মধ্যে এক (৯) ন গৃহেণ গৃহস্থ: স্যানতার্ধয়া কথ্যতে ৃহী। ॥ 3 বত্র ভাষা গৃহং তত্র ভার্ধযাহীনং গৃহং বদম্‌ বৃহংপরাশরমধহতা 7 গাস্থয আশ্রম 1 অপূর্ব স্ুখসংবেদ্য মধুর ভাব জন্মে। সেই মধুর ভাব হইতে ৃষটিমলক পুত্রোৎপত্তি হয়। পুত্রজনন দ্বারা সংসারের স্থিতি, কুলসন্ততির বৃদ্ধি, ও পুক্লাম-নরক নিস্তার হইয়! থাকে (৯)। আর্ধজাতির সমস্ত ক্রিয়াই ধর্শমূলক, সৃতরাং পুতরোৎ- পাদনের ক্ষেত্রস্বরূপ দারপরিগ্রহ কাধ্য কেন ধর্মের অননু- মোদিত হইবে? গৃহস্থের নিকট সকল আঁশ্রমেরই লোক' প্রত্যাশাপন্ন থুকেন। অতএব এই আশ্রমের বিশুদ্ধি- সম্পাদন করা অতীৰ আবশ্যক । এই আশ্রমকে পবিভ্র রাখিতে হইলে পাণিপীড়ন-বিষয়ে সাবধান হইতে হয় । বিশে- যতঃ ব্রাহ্মণ জাতির পক্ষে দারগ্রহণ-কার্যের বিশুদ্ধি না থাকিলে, দৈব পৈত্র্যাদদি কোন কার্ধ্যই ম্ুচারুরূপে সম্পন্ন হয় না (১০)। স্ত্রী ও পুরুষের ছুইটী শরীর লইয়া একটা পূর্ণ শরীর হয়, হা পূর্বেই কথিত হইয়াছে সুতরাং পত্থী ও পুরুষ ধর্শাধশ্মের বমাংশভাগী । স্বজাতির কন্]াই দারক্রিয়ায় ধর্মপত্রীরূপে (৯) পুক্লামনরকা হল্মাৎ পিতরং জাতে মৃতঃ | র তক্মাৎ পুত্র ইতি প্রো? গ্বয়মেব য়ভুবা রা বা |৩ অ।. €১৭) দারাধীনাঃ যা: র্যা ্রাঙ্গণসা বিশেষতঃ | প্র ফারান্‌ সর্ব প্রথরেন বিশুদ্ধাুতহেত্তঃ ॥ ৃ পালা পান 7 আঅপত্যং ধরার শজহা ভিরুতসা। আথাবীনতখা রগ লিতগামাজনপ্ড হা 1. অহ. ১৬২ ভারতীয় আধ্যজাতির আদিম অবস্থা । অভিহিত হইয়া থাকেন? ভিন্নজাতীয়া পত্রীগণকে কামপত্ী ৰলে (১ ১)। আধ্যগণ পাঁপ, পুণ্য ও পরলোক স্বীকার করিয়া থাকেন। পাঁপের ফল নরক-ভোগ (দুঃখ), পুণ্যের ফল ্বর্গ-স্খ)-প্রাপ্তি | যতপ্রকার নরক আছে, তন্মধ্যে পুন্নাম নরক হইতে নিস্তার ন! পাইলে মন্ুষ্যগণ স্থখভোগে অধিকারী হয়েন না। এবং তাহ! হইতে নিষ্কৃতি লাভ না করিতে পারিলে স্বর্ভোগের উপারান্তর নাই, স্বতত্বাং পুন্নাম-নরক-নিস্তার-বিষয়ে পুত্রই একমাত্র মাধক। এই কারণে পুক্রোৎ্পাদন অবশ্য কর্তব্য । পুন্নাম'নরক-নিস্তার-বিষয়ে সজাতীয়া পত্বীতে স্বয়ং উৎপাদিত গুজই শ্রেষ্ট । বিবাহিতা সঙ্গাতীয়া পত্ীর গর্ভে স্বয়ং উৎপাদিত সন্তানের নাম ওরল। নিজের আত্মা ভার্্যাতে পুভ্ররূপে জন্মে, এইনিমিস্ত পত্ধীর নাম জায়! এবং পুন্রকে আত্মজ বলে (১২)। (১১) আ.মায়ে স্মৃতিতস্ত্রে চ লোকাচারে চ হুরিভিঃ। শদীরাদ্ধং ম্ুতা জায়! পুণ্যাপুণ্য ফলে সম! বন্য নেপরত। স্বাধা| দেহাদ্ধং তস্য ভিষ্ঠতি ॥ যাজ্ঞবহ্কাবচন। অর্ধ বা এষ আত্মা পত়্ীতি। এঞরতি। পতত্যদ্ীং শরীরগ্য যন্য ভার্যা সরাং শিবেখ। . . প্রায়স্টিত্তবিবেক | শূলপাণি। মস্ত যা ভার্ধয! ধর্্পতী ভূ সা শ্বৃতা। অনবর্ণা যন্থা য| ভার কামগ়্ী তু সাশ্ুত1॥ | . অৎদ্যহৃক্ত । একবিংশ পটল। (১২) গতির্ভাধ্যাং সংপ্রবিস্ গর্ভোতৃত্বেহ জাতে: _ জায়ায়াস্তদ্ধি ায়াতবং বদন্তাং জয়কে পুনঃ। নজু। ৮ অ. ৯$. গার্‌স্থ্য আশ্রম | ৫ ৮ ৬৪ | অতএব পত্রী পতির অদ্ধ অঙ্গস্বরূপ, পুল্রই দম্পতির আগা বলিয়া বিবেচিত হয়। পতির মৃত্যু ঘটলে পত্রীর জীবদ্দশায় পতির অদ্ধ শরীর জীবিত থাকে ; পত়ীর অদ্ধাঙ্গ মৃত হয়। পতিই স্ত্রীর দেবতা, বন্ধু ও একমাত্র গুরু । পতি-গুত্রবা ও নতীত্ব-ক্া দ্বার! ক্ত্রীজাতি অক্ষর স্বর্গ ভোগ করেন। পণতি- শুমব। ও ধন্মচরণবিষয়ে ভিন্নজাতীয়! স্ত্রী ধন্পত্থীরূপে গণনীয়। হয় না। | বিবাহ না করিলে পুরুষ বা স্বীজাতিন্ প্রত্যবায় ঘটে কিনা? লোক-ব্যবহারে দেখা গেল বে, গাহস্থা আশ্রম- বন্ধনের নিয়মে পুরুষ ও প্রর্কতি এক হ্ত্রে আবদ্ধ না থাকিলে লোকস্থিতি ও স্বষ্টিরক্ষা হয় না। লোকস্থষ্টি ও লোকস্থিতির মূল ধরা, সুতরাং ধর্মশান্ত্রের শাসনে ইহাই দুষ্ট হর যে, ত্রাক্গণ- গণ জাতমাত্রেই দৈব, পৈত্র্য ও খধি খখে খণী হয়েন। এ সমুদ্র ধন্দ্য খণ পরিশোধের জন্য ব্রাহ্মণগণকে পুভ্রজ্নন দ্বারা পিতৃঞণ, ব্রহ্মচর্ধবলম্বন দ্বারা খধিখণ, এবং ধক্ঞসম্পাদন দ্বারা দেবধণ পরিশোধ করিতে হয় (১১) । নচেৎ তিনি পাতকী থাকেন। অতএব পুল্োৎ্পাদন অত্যাবস্ঠক | পুত্রজনন জনই তাধ্যাগ্রহণ) পিতৃগণের শ্রান্ধ তর্পণ ও কুলসস্ততির বিস্তার নিমিত্তই পুত্রের প্রয়োজন । : দারপরিগ্রহ বাতীত পূর্বোক্ত কার্য্য স্তুসম্পন্ন হয় না। . ত্রাহ্গণগণ সর্বদা, ঈশ্বরোপা- সনায় রত থাকেন। তাহাদিগ্রের, গৃহ-ধর্ম.ও গৃহ-কর্ধ সমুদায়ই (১৩). জায়মানো বৈ ্রা্মণন্তিতিধ! দৈনবান্‌ তের নস | সি যজেন দেবেও/। প্রীজয়। পিতৃনভা খান রি ১৬৪ ভারতীয় আর্য্যজাতির আদিম অবস্থা । পত্রী দ্বারা সম্পাদিত হয় । অতএব পত্বীর স্থলক্ষণ ও আভি- জাত্য থাক! নিতান্ত আবশ্যক | (ক ঠ আশ্রম-গ্রহণের ভ্রম | তারতবর্ষীয আধ্্যগণের আয়ুফাল চারি ভাগে বিতক্ত করা ছয়। প্রথম ভাগ নুনকল্সে চতুর্বিংশতি বর্ষ, উর্দসংখ্যা ষট- ত্রিংশৎ বর্ষ পর্য্স্ত। সংসারী ব্যক্তির পক্ষে ইহাই ব্রহ্মচধ্যের সীমা। এই কালের পরে গাহ্‌স্থ্যাশ্রম অবলম্বনের বাবস্থা । পঞ্চাশৎ-বর্ষ-বয়স্ক হইলেই তৃতীয়াশ্রম গ্রহণ করিবার রীতি, কিন্তু যাবৎ পুত্রের মুখ নিরীক্ষণ না করিতে পারে, তাঁবংকাল গার্বস্থাবলঘ্বন করিয়া থাকিতে পারে। পরে যোগ্য পুরে সাংসারিক ভীর অর্পণ করিয়া! বনবাসী হইতে হয়। কিন্তু যে ব্ক্ধির পুত্রের পুত্র অর্থাৎ পৌত্র জন্মিয়াছে, ত্বক শিথিল হই- াছে, এবং বার্ধক্য হেতু কেশ শুভ্র হইয়াছে, মে ব্যক্তি পঞ্চাশৎ বর্ষের পূর্বেও গৃহস্থাশ্রম পরিত্যাগপূর্বক বানগ্রস্থা শ্রম অবলম্বন করিতে পারেন (১৪)। এইরূপে জীবনকালের তৃতীয় ভাগ উত্তীর্ণ হইলে চতুর্থ ভাগে একেবারে বিষয়-বামনা পত্ি- ত্যাগ করেন । তখন জীবনধারণ জন্য দিনান্তে ভিক্ষাবৃত্তি ছারা গ্রাণধারণ করিবার রীতি । এই কালে চতুর্থাশ্রমীকে যোগসাধন স্বারা ঈশ্বরে মন ও প্রীণ অতিনিবেশ করিয়া তহ্থত্যাগ করিতে (১৪) গৃহসস্ত ধ। পশ্তেত্বপীপলিতমাত্বনং। অপত্যনতৈব-চাপতযং তদারণ্যং মাশ্রহেৎ।॥ মনু ও অ। ২। বন্তৃপত্বীর রিষয়। ১৬৫ দেখা যায় (১৫)। কিন্তু যে দ্বিজ বের্দাধ্যয়ন, পুজোৎপাদন ও যক্ঞ করেন নাই, তীহার ধধিখণ, পিতৃথণ ও দৌবখণ পরিশোধ হয় নাই, তত্নিবন্ধন সে ব্যপ্তি মুক্তিলাভ করিতে পারেন না। এরূপ অকৃতার্থ ব্যক্তির অধোগন্তি হয়। রহুপত্বীর বিষয়। এক বাক্তির বনু পত্রী থাকিলেও এক স্ত্রীতে পুত্রসন্তান উন্মিলেই সেই পুত্র দ্বার! সকল পত্বীই পুত্রবতী হয়। তদ্দারাই সকলে পুক্সাম নরক হইতে নিস্তার প্রাপ্ত হইয়া থাকেন (১৬)। সংশুত্রেরাও দ্বিজাতিনমুচিত সদডিরণ করিয়। থাকেন। সথলবিশেষে যেমন পুরুষে স্ত্রীর মৃতু, চির-রোগি। তরক্িয়া, পাপাচরণ, ধূর্ততা, বন্ধ্যাত্ব, অর্থনাশকারিতা, কন্যামাত্রের জননত্ব, স্বামীর অনিষ্টকারিত্ব ও কটুভাবিত্বাদি দোষ হেতু পুনর্ধার বিবাহ করিতে অধিকারী, সেইরূপ স্ত্রীজাতি পুরুষের ০ (১৫) ধণানি শরীণযগাকৃতা নো যোক্ষে নিবেশয়েৎ। অনপাকৃতা মোক্ষস্ত সেবমানো ব্রজতাধঃ ॥ . অনধীতা দ্বিজে | বেদাননুতপার্দা তথা তান | | অনি চৈব ধর্লৈশ্চ মোক্ষবিচ্ছন্‌ বরজত্যধঃ] অনু । ৬আ ্ছচারী গৃহস্থ বানপ্র্থো বতিত্তধা | শু করমেপৈবাশরমঃ পো; কারণাদনাথা তবেৎ॥ বাসনপু্প। (১) সর্বাদাষেষপন্থীনাষেকা চেং জিপী তবেখ। . নর্কাস্াত্বের পুজেণ রাহ এ ্্ মং. র । অ। ১৬৬ ভারতীয় আধ্যজ।তির আদিম অবস্থা । & সকল দোষে দ্বিতীয় পতি শ্রহণ করিতে অধিকারিণী নহেন। স্থলবিশেষে বিধবার বিবাহ আছে বটে, কিন্ত উহা! নীচজাতীয় শূদ্রের মধ্যে প্রচলিত দেখা যায়। কিন্ত এ বিধবার সন্তাম অপাংক্তেয়ই থাকে । ছুই তিন পুরুষ গত হইলে তৎকুল তৎসমাজমধ্যে কথঞ্চিং পরিগৃহীত হইতে পারে পুরুষেরা স্ত্রীর কটুভাষিত্ব ধরিয়াই সময়ে সময়ে বিবাহ করিয়। থাকেন, তদনুসারেও বহুবিবাঁছের আধিক্য দেখা ঘায়। অন্যপ্রকারেও এ প্রথার আধিক্য ছল। এক্ষণে অনেক হাঁস হইয়া আপিয়াছে বলিতৈ হইবে । ০০ 'বিধবা-বিবাই। ধৈধেস্থলে বিধবার বিবাহ হইবার ব্যবস্থা আছে, তীঁহী' এই বিবাহের সম্বন্ধাদি-নিবন্ধন উভয় কুলে আভ্যুদরয়িক ষারধ্য সম্পন্ন, অথবা কেবল াগানগাত্র, কিংবা শ্ভকৌতুক- ত্রধন্ধন (যাহাকে গায়ে হলুদ ও হাতে কৃতী বীধা বলে) হইলে, অথবা বিবাহে বে কন্যার দনিমাত্র হইয়াছে, কিন্তু সপ্তপদী- গমন ও অগ্ল্যাধান হয় নাই; উদবস্থায় যদি বরের মৃত্যু ঘটে, অনুদ্িষ্ট হয়, সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহণ করে এবং এ পতি ক্লীব বলিয়া স্থিরীককত হয়, কিংবা মহাপাতকাদি রোগগরস্ত ও. মহাপাতকজনক পাপে পতিত হয়, তদবস্থীয় অক্ষতযোনি: বাতা কন্যা অন্য পতি গ্রহণ করিতে পারে, এরং সেই. দপ্পতির পুত্রকে পৌনর্ভব পুত্র কহে।.. সে পুত্র পংকিপারন ১৬ নহে। সমাজে এ সন্তান দিধিষুপতি-ন্ান বলিয়া নিন্দনীয়ই থাকে। এইরূপ অবস্থায় ও সকল বাগত্ার পাগিগ্রহণ তাহার দেবর দ্বারা হয়। দ্েেররের অপ্রাপ্থিস্থলে বরের সপিগুগণ্রে মধ্যে সম্পর্কে যাহার সহিত মমানতা আছে, তাহার সহিত বিবাহ ভুইয়া থাকে । এইক্রপে যে সমস্ত বিবাহ হয়, তাহাই বিধবা-বিবাহের স্থল। কলিযুগে এ সমস্ত ব্যাথার রহিত হইয়াছে। আুডরাং বিধবা-বিবাহ্‌ শিষ্টাচারসম্মত নহে। বিবাহবিষয়ক মন্ত্রের মধ্যে কোন স্থলে বিধবার বিবাহঘটিত মন্ত্র নাই। এভদ্বা্তিরিত্ত স্থলে অন্যপতি গ্রহণ হুইলে স্ত্রীগুলি শ্বৈরিণী বলিয়া বিবেছিতত হইয়া থাকে (১৭)। (১৭) গাণিগ্রহে মুতে বালা কেবলং মন্ত্রসস্কৃত। | থুনরক্ষতযোনীনাং বিবাহকরণং মতম্‌ ॥ বশিষ্ঠ। অক্ষত চ ক্ষত| চৈব পুমর্ভঃ সংস্কৃতা পুনঃ । বাজ্জবহা। পরপূর্বাঃ স্রি়নতগ্কাং নপ্ত প্রোস্ত। বথাক্রমম্‌। পুনভৃত্টিবিধাস্তাসাং শ্যৈরিণী তু চতুর্বিধাঃ ॥ কন্ঠে বাক্ষতযোনি্া থাণিগ্রহণদুষিত| | পুনঃ প্রথমা প্রোনতা পূনঃসাক্কারকৃর্মণা |: দেশধর্্মানবেক্ষ স্ত্রী গুরুতির্যা প্রদীয়তে। . উৎপন্নসাহসান্ন্মৈ সা দ্বিতীয়! ্রবীর্ততা। 1. সং দেবরের সত বানধবর্য পর তে | নবর্দা় সপিপডায় দা তীয় ও পর |র্িহা। ষ্টে মৃতে পরতরজিতে ক্ীবে ডৌ। । পলা নারীগাং তিনে ১৬৮ ভারতীয় ঘার্য্যজাতির আদিম অবস্থা | এরূপ অরস্থীয় যদি কন্য| বিবাহ করিতে ইচ্ছা প্রকাশ না করিত, রলপূর্বক তাহার বিবাহ দেওয়া হইত না) সে চিরকুমারীই থাকিত। নে কন্যা ব্রহ্ষচর্য্যাবলস্বন করিয়া ললীবন যাগন করিত। সতত ৮) ৪ ০০৯৮৫ পরিবেদম-দোষ । আর্যজাতির গার্ছ্যধর্শে জ্যেষ্ঠের অতিক্রম করিয়! কনি- ষ্টের আগ্রে প্রথম ছুই আশ্রম গ্রহণের অধিকার দেগা যায় নী। একমাতৃক পুত্রগ্রণের ময়ো জ্যেষ্টের গ্রে উপনয়ন ও বিবাহ। সেইরপ স্ত্রীজাতির জ্যেষ্াকুকমে পাণিগীড়ন হয়। ব্যতিক্রম ঘট়িলে পরিবেদন-দোয় ঘটে। উপনয়ন এবং এ বিবাহ অসিদ্ধ হয়। এর বিবাছকের সং ষ্ঠ যাবতীয় ব্যক্িই পতিত হয়েন। তস্ত্রীকে পরিত্যাগ ন! করিলে আর নিস্তার থাকে না। জ্যেষ্টের ্ীবত্ব, অনুদিত, রাতুলত্ব ও গাতিত্যাদি দোষ হেতু কনিষ্ের আগ্রে রিবাছে দোয় ঘটে ন1 (১৮)। অভির্বাচ৷ চ দত্তায়াং জিয়েভাথে। বরে যদি । ন চ মন্ত্রোপনীতা স্তাৎ কুমারী পিতুরের না| যাবচেদরাহতা কনা মন্দ ন সংস্কৃত| | অন্তন্মৈ বিধিবদেয়া যথা] কন্যা তখৈব ন॥ বশিষ্ঠমংহিত।। (১৮) ক্রীবে বেশাততরগ্তে ০৪৫ জকি রা।. কলিযুগের নিষিদ্ধ আচার ব্যবহার। ১৬৯ পতির মৃত্যু হইলে সত্রীগণ যাবজ্জীবন ব্রহ্গচর্যযাবলম্বন করিয়া থাকেন, অথবা পতির চিতায় দেহপাত করেন। এক্ষণে সতী- দাহ নিষেধ হইয়া গিয়াছে। সাধবী ভ্ত্রীগণের ব্রন্মচর্ধ্যই প্রধান অবলম্বন । ইহা চির-আচরিত ও পুণ্যজনক সনাতন ধর্ম । বদ্দিও বেদে বিধবার বিবাহ বিষয়ক শ্রুতি দেখা যায়, তথাপি সাঁধবী স্ত্ীদিগের নিকট আঁদরণীয় নহে । (১৯) (পি কলিধুগের নিষিদ্ধ আচার ব্যবহার । এক্ষণে দেখা ষাউক, পূর্কালে কোন্‌ কোন্‌ আচার ও নাবহার প্রচলিত ছিল, কলিধুগে কি কি রহিত হইয়াছে; তদৃষ্টে পুরাতন আচার ও ব্যবহার পরিবর্তিত হইয়া কিরূপ হইয়াছে। তদনুারে দেখা গেল ষে, পুর্বকালে দীর্ঘকাল বক্গ- র্যা ছিল, বাগ্দানাবস্থায় মৃতপতিক। অক্ষতযোনির পুনর্ধার বিবাহ হুইত, বিবাহান্তে মৃতপতিকা দত্তা কন্যার দেবরে ও ৷ পিপ্ডে পর্নদাঁন সিদ্ধ হইত, মধুপর্কে গোবধ হইত, দণডগ্রহণ ছিল, বিধবা স্ত্রীতে দেবর-নিয়োগ দ্বারা পুত্রোংপাদন-বিধি সিদ্ধ ছিল, দ্বাদশবিধ পুত্রের .পুত্রত্ব জন্মিত, তন্নিমিত তাহারা জাতিঙ্যেষ্ঠ ও রো ডা পা জাতি (১৯) উদ্দীধ্ব? াতিনীবযোক গহন ভালে খহ। ১৭০ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । ক্রিয়ায় ও ধনে জ্যোষ্ঠানুক্রমে ও প্রশস্তত! অনুসারে অধিকারী হইত, গুরুর মৃত্যু ঘটিলে তৎপত্রীর নিকট শিষ্যগণ বেদাধ্যয়ন করিতে নিষিদ্ধ ছিল না। এক্ষণেও কুলগুরুর মৃত্যু ঘটিলে যদি গুরুপত্রী অপুন্রক ও বয়ঃকনিষ্ঠী না হয়েন, তবে তাহার নিকট তান্িক মন্ত্রগ্রহণ করা রীতি প্রচলিত দেখ যাঁয়। অসবর্ণা-বিবাহ, দ্বিজের জদুদ্র-যাত্রী ও মহাপ্রস্থান, শৃত্র- জীতির সহিত সখ্য নিবন্ধন দ্বিজাতির পক্ষে দাসের আশ্রমে, গোঁপালকের, কুলমিত্রের ও অর্ধনীরীর (মদ্ধভাঁগি লাঙ্গলিয়ার) ভোজ্যান্নত! দেখ! যাইত, অগ্নি্ররেশ ও উচ্ষস্থান হইতে পতনাদি দারা আতম্মহত্যা-করণ প্রচলিত ছিল। সময়ে সময়ে লোকহিত ও লোকরক্ষার নিমিত্ই শিষ্ট- জমসমূহকতুক শাস্ত্রের নিয়ম পরিবন্তিত হয়। ষুগে যুগে আচার ব্যবহার ভিন্ন ভিন্ন হইয়া আমিতেছে। শান্্রকারদ্রিগের মতে আরও কয়েকটা নিষিদ্ধ বিষয় আঁছে যথা __- দ্বিজাতির অসবর্ণা কন্তা বিবাহ, ধর্হুদ্ধে আততায়ী ব্রাহ্গণের প্রাণ্বধ, বানপ্রস্থাশ্রমাবলম্বন, চরিত্র ও বেদাধ্যয়ন নিমিত্ত অশৌচ- 'বংক্ষেপ, ত্রাঙ্গণের মরণান্ত প্রায়শ্চিত্ত, | পাতকীর সংসর্ষে দোষ, শূদ্রকর্তৃক ব্রাহ্মণের পাকাদি ক্রিয়া--. মহাত্ব। পণ্ডিতেরা (মহ্ষিরা) লোকরক্ষার নিষিত্ত কলির আদিত্তে ব্যবস্থা করিয়া এই সকল কর্ম রহিত করিয়াছেন । (১) | (১) দীর্ঘকাল: বর্র্ধাং ধারণঞ্চ কমগুলোঃ। দেবরেণ দুতোংপততিদদ্তী! কনা প্রদীযতে। 'কলিধুর্গের নিষিদ্ধ আচার ব্যবহার । ১৭5 সদাঁচার পরম ধর্ম, তদনুপারে যে ষে কার্ধ্য সদাঁচার বলিয়া বিহিত, তাহাই বিধিমিদ্ধ। যে সকল বিধি সমীজের অহিত- জনক বলিয়া মহর্ষিদিগের অন্তঃকরণে প্রবুদ্ধ হইয়াছিল, সেগুলি নিষিদ্ধ করিয়! গিয়াছেন। এবং ষেসকল আচার ব্যবহার, সমাজে অবিসংবাদিতরূপে চলিয়া আ'দিতেছে) তাহাই সদাচাঁর বলিয়া! পরিগৃহীত হইয়াছে। মহাজনের আচরণমাত্রই যে মদাঁচাঁর, ইহা কদাপি হইতে পারে না। মহাঁমৃহিমবর্গ ও তেজী- যান্গণ অনায়াসে যে ব্যাপার সম্পন্ন করিতে পারেন, নিস্তেজ জনগণ তাহা কদাচ সম্পাদন করিতে পারেন না। স্থতরাং তেজীয়ান্গণ অগ্নিতুল্য। অর্থাৎ অগ্নি যেপ্রকাঁর পবিত্র ও পবিত্র সমস্ত বস্তই তোজন করিয়াও পাঁপে লিপ্ত হয়েন না, : কন্তানামনবর্ণানাং বিবাহশ্চ দ্িজাতিতিঃ। অ।ততায়িদ্িজাগ্রযাণাং ধর্ম্যবুদ্ধেন হিংসনম্‌॥ বাঁনপস্থাশ্রমস্তাপি প্রবেশে! বিধিদেশিত?। বৃত্তন্বাধ্য়সাপেক্ষমঘসঙ্কোচনং তথ! ॥ প্রায়শ্চিতবিধানঞ্চ বিপ্রাণথাং মরণাস্তিকম্‌। সংদর্গদোষঃ গাপেধু মধুপর্কে পশোর্বধঃ ॥ দত্ৌরসেতরেযাস্ত পুন্রত্বেন পরিগ্রহঃ | শুর্রেষু দানগোপালকুলমিত্রার্ধনীরিণ।ম্‌। ভোজ্যান্নতা গৃহস্থস্ত তীর্থমেবাতিদূরতঃ ॥ াহ্মণাদিযু শূডস্ত পীরিরাণি। চ 1 5০ ভথ্গ্মিপতনক্ষেন বৃদ্ধ(দিমরণং তথা ॥ গালি বোর কলেরাদৌ হায়ডি। পু ১৭২ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির মাঁদিম অবস্থ]। সর্কাঁলই পাঁবন থাকেন; তদ্রপ তেজীয়ান্গণ দোষ করিয়াও সামান্য জনের ম্ায় দোষে লিপ্ত হয়েন না । এই হেতু ধার্মিক জনগণ দ্রেবচরিত ও খধিচরিতের দৌঁষ-কীর্তন করেন নী, এবং তাহাদ্িগের অনুষ্ঠিত ছুক্ষিনার অন্ুপরণ করেন না।(১) ইহ! বিবেচনা করিয়া! অসদনুষ্ঠান পরিত্যাগপুর্বক সদ[চরণ করা! সকলেরই সর্ব্থা কর্তব্য | রর প্রভাবশালী ব্যক্তিদিগের ধন্মলঙ্ঘন ও অবৈধ আঁচন্রণ দেখিতে পাওয়। যায়। সর্বভোজী অগ্নির ন্তাঁয়। তেজীয়ান্‌- দিগের তাহাতে দোষম্পর্শ হয় না সতা, কিন্তু, সামান্য ব্যক্তি কদাচ মনেও তাদৃশ কর্মের অনুষ্ঠান করিবেক না; মুড তাবশতঃ অনুষ্ঠান করিলে বিনাশ প্রাপ্ত হয়। শিব সমুদ্রোৎপন্ন বিষ পান করিয়াছিলেন; সামান্ত লোক বিষ-পাঁন করিলে বিনাশ অবধারিত। প্রভাবশালী ব্ক্তিদিগের উপদেশ মাননীয়; কোন কোন স্থলে তাহাদের আচারও মাননীয়। তাহাদের যে সমস্ত আচার উপদেশ-বাকোর অনুযায়ী, বুদ্ধিগান্‌ ব্যক্তি সেই সকল আচারের অন্থুদরণ করিবে। (২) (১ ) কৃতানি যানি কর্ম ি দৈবতৈষু নিতিস্তথ। | নচরেত্ানি ধন্মাত। শ্রন্ব। চাশি ন কুৎসয়েৎ ॥ নারদবচন। ধর্মব্যতিক্রুমো দৃষ্ট ঈশ্বরাণাঞ্চ দাহনম্‌। তেজীয়সাং ন দোঁষাঁয় বে; সর্ধ্বভুজো যথা ॥ ৩৭ ॥ নৈতৎ সমীচরেজ্জাতু মনদাপি হানীশ্বরঃ। বিনশথত্যাটরন্‌ মৌ দখা! রুত্রোইস্বিজং বিষম্‌ ॥ ও১ | ঈত্র'ণাঁং বচঃ সত্যং তটথবাচরিতং কচিৎ। তেষাং যত ম্ববচো যকত বুদ্ধিমা-্তরদাচরেং 1 ৬২। অ্দস্পশাহা (২ সি ্্ী-্বাধীনত। ধষিগণ ভ্ীজাতির স্বতন্রতী সমাজের অনিষ্ট্দায়িকা ও ্থাজনক জ্ঞানে স্ত্রীজাতির পাতিবত্য ধর্মাই ইছলোকে ও পর- লেকে শ্রেষ্ঠ বলিয়া নির্দেশপূর্ধক স্ত্রীজাতির শ্বৈর-বিহার গাপজনক ও অকীর্তিকর বলিয়া বিধিবদ্ধ করিয়াছেন এবং স্বীজাতির স্বাধীনতা রহিত করিয়াছেন । (১) আর দেখ, সৃষ্টির গ্রথমে ভ্রাতা ভগিনীতে বিবাহ হইয়াছে । পরে নিতান্ত নিকটবর্তী জ্ঞাতিবর্গের সহিতও বৈবাহিক দন্বন্ধ হইরাছিল। তৎ্পরে যদবধি প্রজা-বাছল্য হয় নাই, াবংকালপর্য্যন্ত স্ত্রীগণের মধ্যে বাক্তিবিশেষেরও স্বেচ্ছা" চারিত| দেখ যায় । কিন্তু যখন সমাজ বন্ধন হইল; অর্থাৎ নধন গোত্র ও প্রবরের স্থষ্টি হইল, তখন বিভিন্ন গোত্রে নিবাহ ইতে লাগিল । এই সময়ে স্বগোতে ও সমান প্রবরে বিবাহ রহিত হয়। এই সমর হইতে বিবাহ-বদ্ধনের নিয়ম দৃঢ়তর হইয়াছে । শ্বেতকেতু ও দীর্ঘতম! খষি ব্যভিঠার-দোষ ও স্ত্ী-্বাধীনতা রহিত করেন। তাহার প্রমাণ উদ্ধৃত হইল। এই সময় সমাজের বাল্যকাল । তখনও ভারতীয় সতী নারীর অন্তঃকরণে এই জ্ঞান ছিল যে, নারীগণ পতির অধীন এবং পতিই তাহা দিগের ভরণ, গোষণ ও ধর্মরক্ষণের কর্তা, পতিই স্ত্রীজাতির 2৯ এগ এ (১) (পি রঃ /কৌানে রা রঙ্গ যৌব! ৃ ব্রক্ষ্তি হাবিরে পুরা দ সী স্বাস্তযহ ১৭৪ ভারতীয় আধ্যঙজাতির আদিম অবস্থা । গরম বন্ধু, পরমাত্ম-স্বরূপ, সেই হেতুই পত্রী পতির অর্ধাঙ্গ- রূপে অভিহিত । পতি ও পত্রী পরম্পর পুণ্য, পাপ, স্থথ ও দুঃখের ভাগী। দেহের কোঁন অংশে দোঁষ ঘটিলে যেমন দেহী আপনাকে দুষ্ট ও অন্ুখী জ্ঞান করে, সেইরপ স্ত্রীপুরুষের অসদাচরণে দম্পতিরূপ দেহীর পাপম্পর্শ হয়। স্বামী ও স্ত্রী এই উভয়ে একটা পূর্ণ শরীর। দম্পতিবূপ পূর্ণ দেহের প্রাণস্বরূপ কোন্‌ ব্যক্তি? ও দেহই বা কে? পতিই প্রাণপদবাচা। পরী দেহ অর্থাৎ ক্ষেত্রস্বরূপে নির্দিষ্ট | (১) সতী, হুর্গা, সাবিত্রী, অরুন্ধতী, অক্ষমাল| ও সীতা প্রভৃতি নারীগণ পতিপরায়ণতা গুণের একশেষ দেখাইয়াছেন। ভার- তীয় আর্ধ্য নারীগণ চিরকাল তীহাদ্দিগকে আদর্শ করিয়! চলিয়া আসিতেছেন। কোন স্থলে যদি কোন নারী স্থালিত. গদ হইয়! খাকেন, উহ! আদর্শস্থল নহে। যখন ধাহার পদস্থলন হইয়াছে, তীহাকেই সমাজের নিকট অন্ধুশোঁচনা করিতে হইয়াছে । তজ্জন্য তাহাকে কলঙ্ক ও পাঁপভোগ করিতে হইয়াছে । বাতিচার-দোষের প্রায়শ্িন্ত অতি কঠিন- তর, পুরুষের পক্ষে প্রাণান্ত প্রায়শ্চিন্তও দেখা যায়। ১৯৯8৯০8০825 (১) পাটিতে। হি দ্বিজাঃ পুর্কামেকদেহঃ স্বয়ভূবা। পতয়োহর্দেন চাঙ্ষেন গর্কোহবন্নিতি শ্রতিঃ ॥ ফলস শিন্দতে জায়াং তাবদদ্ধো। ভধেৎ পুমান। নার্ধং প্রাজায়তে পূর্ণ: প্রজয়েতেত্যপি শতি: | ব্যানংহিতা | স্ত্রীস্বাধীনতা। ১৭৫ দীর্ঘতম! খঘি তদীয় পত্রীর উক্তিতে কুপিত ও বিরক্ত হইয়া ইহা কহেন, পরিয়ে, মহর্ষি শ্বেতকেতু যদবধি সত্রীস্বাধীনতা রহিত করিয়াছেন, তদবধি স্ত্রীজাতির পতিভক্তির বিন্দমাত্র ব্যতায় দেখ যায় না। এক্ষণে তুমি আমাকে, অন্ধ, অক্ষম ও বুদ্ধ বিবেচনায় ঘৃণা করিতেছ, অতএব আমি অদ্য হইতে লোকে এই মর্যাদা সংস্থাপন করিলাম যে, স্ত্রীঞ্জাতি চিরকালই জীবন ও মরণকালের মধ্যে কদাচ মনেও পতি ব্যতীত অন্য "কান বাক্তিকে চিন্ত। করিতে পাবিবে না । পতিই নারীগণের দেহ মন ও আত্মার অধিকারী । এইহেতু পত্রীর স্বাধীনতা নাই। স্ত্রীজাতির কোন কালেই স্বাধীনতা থাকিল না। ললনাগণ বাল্যে পিতার বশবন্তিনী হইয়া থাকিবে, যৌবনে শুর্ভার অন্নগামিনী হইয়া চলিবে, বাদ্ধীক্যে পুত্রাদির বশীভূত হইয়া থাকাই স্ত্রীজাতির পক্ষে শ্রেমঙ্কর। নারীগণ কোন অবস্থাতেই স্বাতন্্য অবলম্বনে অধিকারিণা নহেন। পতিই শারীর পরম গুরু ও পরম দেবতা । যদিও সমাঁজ- দংস্থাপনের পূর্বে স্ত্রীজাতির স্বৈরবিহার নিতান্ত নিন্দনীয় ছিল না, তথাপি মনুধ্যবর্গ সমাজবদ্ধ হইয়া বাস করিলে স্রীজাতির শ্বতদ্বতা রহিত হয়। শ্বেতকেতুর এই নিয়নটা শিষ্টাচারসম্মত | হে সুমুখি চারুহাসিনি,পুর্বকালে স্ত্রীলোকের অরুদ্ধাঁ, স্বাধীন ও স্বচ্ছন্দবিহারিণী ছিল! পিকে অতিক্রম করিয়! পুরুষা- স্তরে উপগতা হইলে তাহাদের অধর্্ম হইত না, পূর্বন্ীলে এই দর্ঘ ছিল। ইহা প্রামাণিক ধর্শা, খষিরা এই ধর্ম মান্য করিয়া: থাকেন ? উত্তর কুরুদেশে অদ্যাঁপি এই ধর্ম মান্য ও প্রচলিত. ১৭৬ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । আঁছে। এই সনাতন ধর্ম স্ত্রীদিগের পক্ষে অত্যন্ত অন্ুকূল। ফেঁব্যক্তি যে কারণে জনদমাঁজে এই নিয়ম স্থাপন করিয়াছেন, তাহা বিস্তারিত কহিতেছি শুন । শুনিয়া, উদ্দালক নাঁষে মহর্ষি ছিলেন। শ্বেতকেতু নামে তাহার এক পুত্র ছিলেন । সেই শ্বেতকেত ষে কারণে কোপাবিষ্ট হইয়া এই ধর্মাুক্ত নিরম স্থাপন করিয়াছেন তাহা শুন। একদা উদ্দালক শ্বে্ত- কেতু ও শ্বেতকেতুর জননী তিনজনে উপবিষ্ট আছেন, এমন সময়ে এক ব্রাহ্গণ আনিয়া শ্বেতকেতুর মাতার হস্ত ধরিলেন এবং এস যাই বলিয়া একান্তে লইয়ী গেলেন । খধিপুত্র এইবূপে জননীকে নীয়মাঁনা দেখিয়া সহ করিতে না পারিয়া অত্যন্ত কুপিত হইলেন। উদ্দালক শ্বেতকেতুকে কুপিত দেখিয়া কহিলেন, বৎস, কোপ করিও না, এ সনাতন ধর্মম। স্বচ্ছন্দ-বিহার করে, মন্ুয্যেরাও সেইরপ স্ব স্ব বর্ণেস্বচ্ছন্দ-বিহার করে। খধিপুত্র শ্বেতকেতু দেই ধর্ম মহা করিতে ন! পারিয়! পৃথিবীতে স্ত্রীপুরুষের সম্বন্ধে এই নিরম স্থাপন করিয়াছেন । হে মহাভাগে, আমরা শুনিয়াছি তদবধি এই নিয়ম মনুষ্যজাতির মধ্যে প্রচলিত আজে, কিন্তু অন্য অন্ত অন্দিগের মধ্যে নহে। অতঃপর যে নারী পতিকে অতিক্রম করিবেক, তাহার ভ্রণ- হত)াসমান অগ্তভ-জনক ঘোঁর পাঁতক জন্মিবেক। আঁর যে পুরুষ বাল্যাবধি সাধুণীল! পতিত্রতা পত্ধীকে অতিক্রম করিবেক তাহারওঞ্জভৃতল্নে এই পাতক হইবেক। এবং যে স্ত্রী পত্তি- কর্তৃক পুক্রার্থে নিমুক্তা হইয়া তাহার আজ্ঞা! প্রতিপালন না. করিবেক, তাহারও সেই গাতক হইবেক। হে ভয়শীলে, সেই. স্্ী-স্বাধীনতা । ১৭৭ উদ্দালক-পুত্র শ্বেতকেতু বলপূর্বক পূর্বকাঁলে এই ধর্শাযুক্ত নিয়ম স্থাপন করিয়াছেন (১)।. পতল (১) অনাবৃত: ফিল পুর! স্ত্িয় আসন্‌ বর!ননে। কামচারবিহারিণাঃ স্বতন্ত্রাশ্চারুহাসিনি ॥ তাদাং ব্যুচ্চরমাণানাং কৌমারাৎ সুভগে পতীন । নাধর্শেহতৃদ্বরারোহে ন হি ধর্শঃ পুরাভবৎ ॥ গ্রমাণদৃষ্টো ধর্মোহয়ং পূজাতে চ মহর্ষিভিঃ | উত্তরেষু চ রস্তোরু কুরুঘদ্যাপি পূজ্যতে ॥ ্ত্রীণামন্ুগ্রহকরঃ ন হি ধর্মঃ সনতিনঃ। অশ্িংস্ত লোকে ন চিরান্মধ্যাদেয়ং শুচিম্মিতে | স্থাপিতা যেন যন্মাচ্চ তন্মে বিস্তরতঃ শৃণু। ৰভৃবোদ্দালকো নাম মহ্ষিরিতি ন/ শ্রতম্‌। | শ্বেতকেড়রিতি খ্যাতঃ পুক্রস্তস্যাভ বশ্মুনিঃ ॥ মর্ধযাদেয়ং কৃতা তেন ধর্মা বৈ শ্বেতকেতুনা। &কাপাৎ কমলপত্রাক্ষি যদর্থং তং নিৰোধ মে ॥ শ্বেতকেতোঁঃ কিল পুরা সমক্ষং মাতরং পিতুঃ। জগ্রাহ ব্রাহ্মণঃ পাণৌ গচ্ছাব ইতি চাব্রবীৎ॥ খবিপুরস্ততঃ কোপং চকারামর্ষচোঁদিতঃ। মাতরং তাং তথ! দুই! নীয়মানাং ৰলাদিব ॥ তুদ্ধং তস্ত পিতা দৃষ্ট1 শ্বেতকেতুমুবাচ হা। মা তাত কোপং কাষী বমেৰ ধর্দঃ দনাতনঃ ॥ অনাবৃত! হি সর্ধেষাং বর্ণানামলনা ভুবি । : যথা গাব; ছ্িতাস্তাত সে শে বর্ধে তথা প্রজা: খিপুতোধিথ তং ধর খেতকেডুর্ম চক্রে! (চার চৈ সর্খাদাধিম!ং ীপুংলধোতু বি ১৭৮ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির জাদিম অবস্থ। | সভ্যতা । অনেক জাতিই ভাঁরতবর্ষীয় আর্ধাজাঁতির নিকট অনেক বিষয়ে খণী। যখন কোন দেশের লোকেই গণনা জানিত না, তখন ভারতীয় আর্য জাতি জ্যোভির্বিদ্যায় অদ্ধিতীয়। দর্টা- মাত্র সংখ্যার যোগ ও বিয়োগ দ্বারা গণিতশান্ত্ররূপ কল্পপাদ- গের স্টমর্বাগ্রে এই দেশে হয়। পাঁটাগণিত ও বীন্্গণিত- দ্প মহামহীরুহ প্রথমে কোন্‌ দেশে জন্মিয়াছিল ? যখন ধরা- উলের অধিকাংশ জাতি অসভ্য ও দস্্য বলিয়! বর্জিত, তখন ভারতীয় আর্ধ্যজাতি বন্তবয়নপূর্ববক অঙ্গাবরণ করেন, ও লজ্জা- প্রীলত| রক্ষা করিতেছেন । যখন অস্োরা যদৃচ্ছালন্ধ ফল মূল ও ধৃগয়া দ্বারা কথক্চিৎ জীবনযাত্রা নির্বাহ করে; তখন ইহারা কামযানে অর্থাৎ বিমানে আরোহণপুর্বক দেবাস্থুরের যুদ্ধ দেখিতেছেন। মানুষেধু নহাভাগে নত্বেবান্যেসু জন্তহু। তদাগ্ভতি মর্যাদা স্থিতেয়মিতি নঃ শ্রুতম্‌ ॥ বুচ্চরন্ত্যা; গতিং নার্যা| অনা প্রভৃতি পাতকমূ। ভখহতাসমং ঘোরং ভবিষাতানখানহন্‌॥ ভাগ।াং তথা বুষ্টরতঃ কৌনাররক্ষচারিণীম্‌। গতিবরতামেতদের তবিতা পাতিকং ভূবি ॥ গতা। নিযুক্ত! য! চৈব পরী পুত্ার্থমেব ট 1 ঈ করিষাতি তদাশ্চি ভবিষ্যতি তদেব হি | ইতি তেম পুরা ভীরু মর্ধযাদা স্থাগিতী বল1ৎ। | উদ্দারকদ্য পুর্ণ ধর্দা বৈ গেতকেহুনা | ৫1 মহাভারত সভ্যতা । ১৭৯ ঘৎকালে অন্তে জানিত না ষে অগ্নি, জল ও তওুলাঁদি দ্বার! অন্ন প্রস্তুত হয় ও খা্দাদ্রবামধ্যে কটু তিক্তাদি ছয়টা রস আছে, এবং তাহার সন্মিলনে অপূর্র্-রসান্বাদ জন্মে; তৎকালে ধধিগণ চরক, স্ুশ্রুত,নিদান প্রভৃতি দ্বার! শারীর-বিদ্য1,রসায়ন- বিদ্যা ও চিকিৎনা-বিদ্যার পর! কাঁ্ঠ। দেখাইতেছেন। যতকালে ভুনগুলের অধিকাংশ মনুষ্য যথেচ্ছাচারী, নিতা্ত অসভ্য ও নিতান্ত পশুবৎ ছিল,তখন ভারতবর্ষীয়ের। দম্পতি-প্রেমে আবদ্ধ সত্রীত্ব-ধর্দের সারগ্রহণে পরম সখী; পুত্র, কন্ঠা, শ্বজন ও বন্ধু- জনের প্রতি সদয় ও তীহাঁদিগের মায়ায় মুগ্ধী। যে সময়ে অন্যেত্রা আপনাদিগের বুন্ধ পিত। মাতার মুতদেহ দগ্ধ করিয়া পরম স্থথে ভোজন করিতেছে এবং সময়-বিশেষে তাহাদিগের জীবিত শরীর পর্য্যন্ত ধংস করিতে কুষ্িত হইতেছে না, সেই সময়ে ভারতসন্তানের (আর্যের।) পিত। মাতার সেবায় একান্ত রত ও তাহাদিগকে প্রত্যক্গ দেবতা বলিয়া জানিতেছেন ; যাবজ্জীবন সেবাস্তত্রষ! না করিলে পা হয়, ইহা অনুভব করিতেছেন। পিতামাত। পরলোক গমন করিলে তাঁহাদিগের মুক্তির জন্য ও অক্ষয্ন-ন্বর্ঁভোগ জন্য, প্রেতত্ব- পরীহার নিমিত্ত ও নিজের দেহ মন ও আত্ম-শুদ্বির হেতু অশৌচ-ভোগ, শ্রান্ধ এবং নিত্য ত্র করিতেছেন । য়ে সময়ে অন্যেরা নরমাংস- মোলুপ ও অতি হিংঅ রাক্ষু বলিয়া খ্যাত, তখন ইঙ্টারা! “অহিংসা পরমো ধর্থঃখ এই মহাঁজন-বচন উচ্চৈঃস্থরে, গান করিতেছেন পা খন ঈরের নতি বুরিত [য়ে'নাই ১৮০ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । পারিয়াছেন কি নাঁ, তাহাঁও সন্দেহস্থল। ষতৎকালে মনুষ্য মগুলীর অধিকাংশ ব্যক্তি গিরিগুহা' ও অরণ্য আশ্রয়, করি- তেছেন, তখন ভারতীয় আর্ধ্যগণ পোত নির্মাণপূর্ধক অন্ত দ্বীপের গন্ধদ্রব্যাদ্ি ভারতে আনয়ন করিতেছেন। অন্যজাতি মতকালে মনুষ্য-মধো গণ্য হয় নাই, তৎকালে ইহারা সভ্য ও সকল বিষয়েই হস্তক্ষেপ করিয়াছেন । জাতি-বিভাগ ও বর্ণ, বিভাগ দ্বারা ব্যবসায় বিভাগ হইতেছে । কুলাল, কুবিনা, কৈবর্ত, ুত্রধর, কর্মকার, কাঁরুকার, মাঁলাকাঁর, স্থপতি, গোপ, তৈলকার, মোদক, নাপিত, বাকজী প্রভৃতি সঙ্করবর্ণগগ আপন আপন নির্দিষ্ট ব্যবসায় অনুসারে সাংসারিক ব্যাপারে পৃথকভাবে বা সমবেত ভাৰে প্রয়োজনে আসিতেছে । কুলাল ঘট, সরাব ও পাকপাত্র প্রভৃতি নির্মাণ করিতেছে । হত্রধর, দ্বার, গবাক্ষ, পেউক, করওক, বস্থবয়নের উপকরগ- সামগ্রী, নৌক1 এবং গৃহস্থলীর কাষ্ঠময় দ্রব্য নির্মাণ ও তক্ষণ করিতেছে । কুবিন্দ কার্পাম, উর্ণা ও অতসী হইতে ত্র প্রস্তুত করিয়া উৎকৃষ্ট বস্ত্র ও শাল রুমাল বয়ন করিতেছে। কর্দ্কার লৌহ অস্ত্র ও যন্ত্র নির্মাণ করিতেছে। মূদি 'অতুযুক্তি মনে না৷ কর তবে শুন, সত্য-যুগে স্বর্ণময় পাত্রে ভোজন হইত।- ত্রেতা-যুগের ভোজন-পাত্র রৌপ্য-নির্মিত। দ্বাপরে তাশ্র- পাত্র প্রশস্ত ছিল। কলিকালে তোব্ধন-পাত্রের নির্ণয় নাই। এই সমস্ত পর্যযালোচন! করিলে বিশেষ অন্বভূত হইবে যে, বাহাদিগের পূর্ব পুরুষগণ স্বর্ণপাত্রে ভোজন করিতেন, আজি তাহাদিগের মুস্তানবর্গ হীনবীর্ধ্য হীনসাহয় ও নিষ্াত, হওয়ায় রঃ বথাকালে মৃগ্য়পাত্রেও সচ্ছদে উদর পূর্ণ করিয়া « ছার সভ্যতা । ১৮১, হ্বরিতে সমর্থ হইতেছে না দেখদেখি কি ছুঃখ ও কি পরি- ডাপের বিষয়! যেজাতির পূর্ধপুরুষগণ দ্বর্ণপাত্রে অমৃত ও সোঁমরস পান করিয়া আধ্যাত্মিকভাষে পরম পবিত্র ছিলেন, আজি তাহাদিগেরই অধস্তন সন্তান-পরম্পরা শ্ববৃত্তির পরতন্তর! ইহা নিতান্ত কুৎসিত বৃত্তি ও গাঁপজনক, তেজোহীনতার পরি- চায়ক, শরীক ও মনের গ্লানিকর। যে জাতি অতিতেজস্বী ছিল, আঙ্জি তাহাদদিগের অধস্তন সন্তানবর্ণ অশ্রদ্ধেয় ও হেয় বৃত্তির বীভূত, নিজকরপুটে দীনতাবে অন্যের দন্ত বারি পান জন্য সতৃষ্ণনয়নে দৃর্টিক্ষেপ করিতেছেন! ইহা কি ভারতীয় আঁধ্যজাতির হীনতার লক্ষণ নহে? ভারতীক়্ আধ্যগণ চিরকালই রত্বধারণ করিয়া! আলিতেছেন, সাহারা সময়-বিশেষে সৌধীন বেশ ধারণ করেন। তাহাদিগের দেবতার উদ্দেশে নানাবিধ অপূর্ব অপূর্ব স্বরণময় অলঙ্কার গঠিত হইয়া থাকে | দেবদেবীর ধ্যান দেখ। মণিকার ও স্বর্ণকার রাজমুকুট ও রাজপরিচ্ছদ প্রস্তত করিয়। নৃপতির শোতা৷ সম্পাদন করিয়। আসিতেছে। নৃপতি মণি মুক্ত! প্রবালাদির গুণান্থদারে মূল্যের তারতম্য করিয়া আসিতেছেন। যাজকগণ নবরদ্বধারণের গ্রশংলাপর গীতধ্বনি দ্বার! রত্বধারণের প্রয়োজনীয়তা! দেখাইয়| আদিতেছেন | ৮০ টি নাম ভেদ হইয়া আগিতেছে । বোর ১৮২ ভারতীয় আর্যজাতির আদিম অবস্থা। পূর্বে অবগত হইয়াছেন ॥ কৌন্তভাদি হীরক মণির জ্যোতি সর্ধোত্কষ্ট এবং বজ্র বিনা ইহার পরিশুদ্ধি ও কর্তন সম্পন্ন 'হয় না, তাহা ভারতীয় আধ্যগণ বনুপূর্কে বিশেষরূপে অবগত ছিলেন। বজ্জু শবে হীরাকে বুঝায়। যথা প্বজৌহস্ত্রী হীরকে' 'পবৌ” ইত্যমরঃ । গোপগণ একমাত্র ছুপ্ধ হইতে দধি, ঘ্বৃত, নবনীত, তত্র, ক্ষীর আমিক্ষাপ্রভৃতি অমৃতময় দ্রব্য প্রস্তৃত করিয়া আসিতেছে । ইহা কি আর কোন জাতি অবগত ছিল? কারুকার ও স্থপতি প্রতিম। নির্ধাণ করিয়া আসিতেছে । প্রতিমুন্তিনিন্ীণে তংকালে ভারতবর্ষীয়েরা অদ্ধিতীয়। যৎ- কালে মনোহর সুরম্য হন্দ্যমালা-নির্মাণকার্ধ্য ভারতীয়দিগের অনায়াসসাধ্য ছিল তৎকালে অনেকে কুটার নির্মাণ করিতেও শিক্ষা প্রাপ্ত হয় নাই। ব্রন্ধর্ষিগণই এই সমস্ত কার্য্যের নেতা, পথপ্রদর্শক, উপদেষ্টা ও আবিষ্র্ভী। সেই ব্রঙ্ধর্ষিগণের সংহিতাতে সকল বিষয়ের নির্দেশ আছে। তাহারা লোক- 'হিতার্থ ধর্ম ব্যাখ্যা করিয়াছেন। ধর্ম-ব্যাখ্যার সঙ্গে সাংসা রিক যাবতীয় বিষয়ের আলোচনা করিয়াছেন! অন্যের জন্ত কিহ্ই অবশিষ্ট রাখেন নাই, ইহা অগ্রেই উক্ত হইয়াছে। কৃষকেরা কৃষিকাধ্য করিতেছে, মহ্্ষিগ্ণ তাহাদিগকে কখন্‌ ও কিরূপে কোন্‌ বস্ত বপন, রোগণ, কর্তন ও তুষ হইতে বীজ ও সারাংশ নিষ্কাশন করিতে হয়, তাঁহার শিক্ষা দিয়াছেন । কেবল ইহা সমীধা করিয়াই তুষ্ট ছিলেন না, অস্তঃ শুদ্ধি বিধান জন্যও একান্ত ব্যতিব্যস্ত ছিলেন। | | সভ্যতা_আধ্যাত্বিক ভাব। ১৮৩, আধ্যাত্মিক ভাঁব। ইহাদিগের আধ্যাত্মিক ভাৰ এত উচ্চ যে, তাহার পরা কাঠা নাই। এই জগৎ ব্রদ্মময়। ঈশ্বর সর্বভূতেই অধিষ্টিত ও সর্কপ্রাণীতেই বিরাজ করিতেছেন। তাহার সহিত একত্র বাস হয় বলিয়া! আর্ধ্যজাতির ত্বর্গে স্থানবিভাগ আছে; যে যেমন কর্ম করে, তাহার তদনুসাঁরে অক্ষয় স্বর্গভোগ ও সুস্থান ও কুস্থানে বাঁদ হয়। পাপী লোকও পাঁপের নৃনাধিক্যবশতঃ নরকের কুস্থানের অসহ ক্লেশ সহ করে। যেমন স্বর্গে বৈকু্, কৈলাম, অমরাপু্ী প্রভৃতি মনোরম স্থান আঁছে, নরকেও সেইরূপ রৌরব, পুন্লাম, কুস্তীপাক প্রভৃতি নানা প্রকার ছুঃসহ ক্লেশকর স্থান আছে। সুতরাং ধার্শিক ব্যক্তিরাই কেবল আধ্যাত্মিক সুখের অধিকারী হইয়া ঈশ্বরের সালোক্য, সারপ্য, সাধুজ্য গ্রতৃতি দ্বারা ঈশ্বরেই আত্ম-সমর্পণ করেন। এই ভাব ভারতীয় আধ্যজ্াতির মানসপটে সনাতন ও নিত্য ধর্ম বলিয়া! বিরাজিত আছে। রা আধ্যাত্বিক ভাবে মগ্র থাকাতেই তা তীয় ন নর ও নারী সাংসারিক যাবতীয় স্বথসেব্য বিষয় বাঁসনা অনায়াসে পরিত্যাগ করিতে সমর্থ। মুক্তিই এই জাতির প্রধান উদ্দেস্ঠ ও সার বস্ত। সেই প্রয়োজন-দাধন জনাই সংসারকে নিঃসার জ্ঞান করিয়া থাকেন। অনায়াসে সী, গত, কন্যার বিষয়, বিভব ও আত্মদেহ পবা দিনে মধ্যে কা করিয়াছেন . আটল- ১৮৪ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা। ষে, সাংসারিক ব্যাপার হইতে আপনাকে নির্লিপ্ত রাখিতে পারিলেই পরমাননস্বরূপ চতুর্ধর্ প্রাপ্ত হওয়া যায়। _ ভারতীয় আঁধর্য খধিসস্তানগণ ব্রাঙ্গ মুহূর্তে গাত্রোথান পূর্বক শয্যায় আঁসীন হইয়া এইরূপ চিন্তা করিতে থাকেন যে, তাহারা ঈশ্বর হইতে অভিন্ন, তাহারা আপনাদ্িগকে দেবতা ব্যতীত অন্যরূপ জ্ঞান করেন না। অর্থাৎ নারকীয় বৃত্তি তাহাদিগকে স্পর্শ করিতেও সমর্থ নহে । এবং ইহাই বিবেচন! করেন যে, তাহারা বন্স্বরূপ, পরমাননস্বরূপ, সত্যস্থরূপ, পরমণজ্যোতিংস্বরূপ) জ্ঞানস্বরূপ এবং কদাচ দুঃখের ভাগী নহেন, কদাচ শোক বা তাপও ভোগ করেন না। পরমাত্ম স্বরূপ, সঙ্চিদানন্স্বরূপ, স্বপ্রকাশশ্বরূপ এবং সব্ধদা সর্ব বিষয় হইতে মুক্ত-পুরুষস্বরূপ। ধিনি' সত্য সত্যই আপনাকে এইরূপ রাগদ্েষাদিপরিশূন্ঠ ভাবিতে পারেন, তিনিই যথার্থ ন্ধ্য। এই ভাবেই জীবের প্রতি দয়ার উদ্রেক হয়। নিজের স্বার্থ বিসর্থন হইয়া থাকে । ইহাই তত্বজ্ঞানের নিদানভূত, সারতৃত ও বীঞ্মন্ততবরূপ | (১) _ আধ্যাত্মিক ভাক উদ্দীপ্ত হইয়া যে ব্যক্তি ঈশ্বরে আত্ম- সমর্পণপূর্ধবক ফলের অনুসন্ধান নণ করেন ও সমস্ত ফল ত্াহী- তেই সমর্পণ করেন, তিমি পাপপুণোর ফল ভোগ জন্য ছুঃখ বা সুখ দ্বারা আপনাকে কথন -ছুঃখী বা কখন সুখী জ্ঞান করেন না।, তিন্নি সনদ স্থখী ও মুক্ত পুরুষ। তীহার চিত্ত ্পপপপপপিপািকাদ (9 অহং দেবো নৈধাস্টোইস্ি কগোবাহং ন শোকতাক্‌। : নঙ্গিগানদরাপোহহং নিত্যুত্দ্বতাববাম |. নিত্াধর্থু। সভ্যতা__আধ্যাম্মিক তাব। ১৮৫ সর্বকাঁল প্রফুল্প ও পবিত্র থাকে। তীহাকে পাঁপ স্পর্শ করিতে পারে না। তিনি সর্ধক্ষণ আপন-হদয়-মন্দিরে পরমাত্মায় সাক্ষাৎকার লাভ করেন। তাহার চিত্তক্ষেত্র পরম পবিভ্র। তাহার মানসপদ্ম হইতে সর্বকাল অমৃত নিঃসরণ হইতে থাঁকে এবং উহ্‌! দ্বার! ঈশ্বরের পাদ ধৌত করিতে থাঁকেন। সেই চরণামূত পান করিয়া নিজ দেহ পবিত্র করেন। ইহার অকরণে আপনাকে অপবিত্র ও পাগী জ্ঞান করেন, এইরূপে মনুষ্য জন্ম গ্রহণের সার্থকত৷ দৃষ্টে পরমাননিত হয়েন। (২) এই ভাবটা কেবল পুরুষ-জাতির নহে, স্ত্রীজাতিও এই ভাবে ও এই রদে আগ্লুত। তীহারাও জানেন যে, এ দেহ কিছুই নহে। স্থুল দেহে এহিক সুখ ও ছুঃখ, সুক্ম দেহে পারত্রিক সুখ ও ছুঃখ ভোগ করিতে হয়। ইহ লোঁকে যদি শারীরিক সুখ জন্য বিষয়ভোগে লিপ্ত হইয়! ললনাগণ আধ্যা- স্বিকক্রিয়া ভুলিয়া যান, তাহা হইলে পরকালেও সুম্ শরীরে ক্লেশ পাইতে হইবে । অতএব বিচারপূর্বক জীবনের সং উদ্দেশ্ত সাধন করা কর্তব্য। জীবদ্দশায় পতির আনন্দ সম্পাদন কর! যেমন অবশ্য কর্তব্য, তাহার মৃত্যু ঘটিলে তদীয় সুম্ক শরীরে সুখ সম্পাদন কর! সেইগ্রকার উচিত । তীহার হংখে ছঃখিত হওয়াই সাধবী স্ত্রীগণের কাধ্য ও লক্ষণ। তাহার অকরণে গাপ জন্মে দশ ৃ কট সি র্‌ রা (২). মাবামি র নচমে প্রতি জনাব ন চ মে দি ৃ য় বকে হি মদ নিয়া থা রোমি | ১৮৬ ভারতীয় আধ্যঙজাতির আদিম অবস্থা । পত্যন্তর গ্রহণ করিয়া নিজ দেহ অপবিত্র করা কদাপি বিধেয় নহে। চিরকাল ত্রহ্মচর্য্যাৰলম্বন করা সর্ধতোভাবে উচিত। দ্বিতীয় পতি গ্রহণ দ্বারা স্বামীর অর্দাঙ্গ অপবিত্র করা কখনই ধর্তব্য নহে। পতি-শুশ্রযাই নারীগণের চরম উদ্দেশ্য । পতির স্ৃথে সুখী, পতির ছুঃখে ছুঃখী, পতি বিদে- শস্ হইলে মলিনা ও কৃশ!, পতির মৃত্যুতে আপনাকে জীব- নূতাজ্ঞান করিয়া যে জাতি পতির উদ্দেশে আত্মদেহ ও সমস্ত সখ বিসর্জন করে তাহারা কি সাধ্বী নহে? ইহা ক্রি আধ্যাত্মিক ভাব নহে? (৩) পপ সাধ্বী ভার্য্য। ৷ পূর্বোন্লিখিত গু থাকাতেই প্রমদাগণকে গৃহের লক্ষ্মী, সংসারের সারভৃতা, সকল শোভার নিদীনভূতা বলা হইয়াছে। সত্রীই সাক্ষাৎ শ্রীস্বরূপ; শ্ত্রীহীন ব্যক্তিই শোভাশৃন্য ও জীবন্মৃত | (8) | ভারতীয় সাধবী ললনাগণ ব্রাহ্ম মুহূর্তে পতির অগ্রে শয্যা হইতে উিত হয়েন। গুরু-পাদপন্স ধ্যান করিয়া পরত্রন্ধের চিন্তনপূর্বক স্বামীর চরণযুগলে গ্রদিপাতপুরঃঘর গৃহস্থলীর (৩) আর্বার্ডে মুদদিত হষ্টে'প্রোধিতে মলিনা কৃশা। | মূতে 'অয়েত যা পত্যো সা স্ত্রীজেয়! গতিত্রতা ॥ মঙ্গু। | (৪) প্রজনার্থং মহাস্তাগাঃ গুজাহা গৃহদীপ্তরং। ছিঃ শ্রিস্স গেছেযু ন বিশেষোহস্তি বশ্চন 1 মনু । ৯ অ।২$। সভ্যতা__সাঁধবী ভার্ধযা। ১৮৭ কার্যে মনোনিবেশ করেন। প্রথমে গৃহ-সংস্কার, তৎপরে শ্বশুর ও শ্প্রীদেবীর গাদপদ্মে গললগ্ীকৃত্তবাদা হইয়া যথা- বিধানে প্রণামকরণাঁনন্তর তাহাদিগের প্রিয়কারধ্য সম্পাদন করেন। এই সগ্গেই যথারীতি অপত্যগণের লালন ও পালন হয়। ক্রমে দেবতা, অতিথি, অভ্যাগত ও গুরুজনের পুজা ও দেবার আয়োজন হইতে থাকে । তংপরে গৃহস্থেব আহারাদি সম্পাদিত হয়। ইহার পরে ভৃত্যবর্গের ভোজ্য দ্রব্য একদিকে রক্ষা পূর্বক গৃহস্বামীর ভোজনক্রিয়া সম্পাদন করিতে দেখা বায়। সর্বশেষে (আপনি) গৃহিণী পতির চরণামৃত পানপুর্বক আহার করিতে সাহসবতী হয়েন। চিরকাল স্ত্রী এইরূপে অহোরাত্র ছায়ার ন্যায় স্বামীর মনো- রঞ্জন করিয়া থাকেন ও আপনাকে জন্মজন্মান্তরে পতিলোকে ্ব্নুখান্ুভব করাইতে সমর্থ হয়েন, এই গ্রৰ জ্ঞানে নিজের এরহিক ক্লেশকে ক্লেশ ও এীহিক সুখকে সুখ জ্ঞান করেন না। এই সকল নিত্য নৈমিত্তিক ক্রিয়ায়,ও স্বামীর প্রিয় কার্যে যেস্ত্রী অবহেলা করে, বা! স্বামীর অনিষ্ট চিন্তা করে, অথবা বশবর্তিনী নাহয়, মে চিরকাল নরক ভোগ করে। এবং প্রত্যেক জন্মেই বিধবা হয়, ও কুকুর ও শৃগাল যোনি প্রাপ্ত হইয়া থাকে। ইহা'ও আধ্যাত্মিক ভাবের অন্তর্দত। . এই পরম রমণীয়ধর্ম্য ভাবেই ভাবিনী হইয়া ভারতীয় কুল কাঁমিনীগণ ভারতের মুখোজ্জন্ করিয়া রাখিয়াছেন। ভাহারা ৃ যি শ্বৈরিণী হয় বৈধব্য-দশায়, ফিভীয়গ শরির যা ৃ ইডেন, তাহ হই ফি ই পি ত্র পাতিব্রতা ধ | ১৮৮ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । করিতে সমর্থ হইত? অবলাগণ! তোমাদিগকে কে অবল| ও বাঁলা বলিয়া নিন্দা করে? তোমরাই প্রকৃত সবলা ও সরলা, তোমাদিগের মনের গতি দুর্বল নহে। তোমাদিগের চক্ষুতে লজ্জাদেবী বিরাজ করিতেছেন। তোমাঁদিগের অন্তঃ- করণ দয়ায় আর হয়। তোমরা এক মুহূর্তও শ্রমে কাতর হও না। তোমরা! সন্তানের লালন পালনে বা গৃহস্থের সেবা শুশ্রধায় কাতর নহ। আতুর ব্যক্তির মলমৃত্র বা স্বণিত ক্রেদা- দির পরিষরণে আপনাকে অপবিত্র বা কলুষিত মনে কর ন!। ভারতীয় প্রমদাগণ। তোঁমর| কখন দাসী, কখন নর্মমসখী, কথন মন্ত্রী, কখন বা গৃহের লক্ষী, কখন ৰা কোষাধ্যক্ষ; কথন তোমরা মায়াবিনী, কখন বা চণ্তী, কখন বা অতিসহিষ্ণু ; তোমাদিগের অপত্যন্সেহ দেখিলে বন্ুধার ক্ষমীকে তুচ্ছ বোধ হয়। দেবতা ও গুরুর প্রতি ভক্তি দেখিলে মুনিকন্য। বলিয়া গ্রতীতি জন্মে। পতিপরায়ণত৷ দেখিলে সাক্ষাৎ সাবিত্রী ও সতী ব্যতীত আর কিছুই বলিরা বোধ হয় না। ছুঃশীলা ও স্বৈরিণী স্ত্রীর কথা! এখানে বর্ণন করা নিতাস্তই অবিধেয় ও পাপজনক। ভারতীয় স্ত্রীজাতিকে পত্রীর কর্তব্য" কর্মের শিক্ষা দিতে হয় না। তাহার! পিতৃগৃহে জননী, পিতামহী, পিতৃব্যপত্বী, পিভৃ- বা, ভগিনী,--পতিগৃহে শ্বতদেবী, ননন্দা যাতৃগণ,-মাতুল- গৃহে মাতুলানী, মাতৃঘসা, মাতামহী প্রভৃতি, ও সর্বত্র প্রতি- বেশিবর্গের গৃহিণীগণের আচার ও ব্যবহার দৃষ্টে শাস্ত্রীয় বিধির শিক্ষা পান। এ সকল ললনাগণ স্বভাবতঃ যেরপ হুনিয়মে ৷ চলেন, তাহা দেখিয়! শিশুগণ কাধ্য অভ্যাস করে। ইহার সভ্যতাঁ-_সাঁধবী ভার্ষ্যা। ১৮৯ স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়াই সাঁধবী স্্রীগণের কর্তব্যের অনুষ্ঠান করিয়া থাকেন । শাস্ত্রীয় বচনের উপদেশ-সাপেক্ষ থাকেন না। সাধ্বী পত়ীই গৃহস্থলের আঁয়ব্যয়বিচারকর্ী। সাধবী পত্বীর অন্তঃকরণে কোন কালেই বিদ্বেষভাব, ধূর্ততা, চপলতা, হিংসা, অহস্কণর, নাস্তিক্য, চৌধ্য ও পরান্ুরাগ প্রভৃতি অসদ্ত্তি স্থান পায় না। সাধু পতিও পত্বীর অসদ্যবহার, বন্ধ্যাত্ব বা গীড়াদি অনুল্পজ্ঘনীয় হেতু ব্যতীত পত্বীকে পরিত্যাগ করিতে পারেন না । (৫) | (শপ (৫) ভর্তূঃ পূর্ব্বং সমুখায় দেহশুধিং বিধায় চ। উত্থাপ্য শয়নাদ্যানি কৃত্বা বেশ্মবিশোধনম্‌ | কুতপূর্বাহ্কাধ্য। চ স্বগুবূনভিবাদয়েৎ॥ তাত্যাং ভর্ভূপিতৃভ্যাং ব! ভাতৃমাতুলবান্ধবৈঃ | বন্ধালঙ্কাররতুনি প্রদত্তীন্তেব ধারয়েৎ | মনোবাঁক কর্মতিঃ শুদ্ধা পতিদেশানুবন্তিনী। ছায়েবানুগতা শস্থা সখীব হিতকর্স । দাসীবাদিষ্টকার্ষে। যু ভাধ্য। তর্ত,: সদ! ভবেৎ। ততোহন্নবাধনং কৃত্ব। পতয়ে বিনিবেদ্য তৎ। বৈশ্বদেবকৃতৈরন্নৈর্ভোজনীম়াংস্চ ভোজয়েৎ। পতিকেতদনুজ্ঞাত! শিষ্টমন্লান্যমাত্বনা। ভুক্ত নয়েদহঃশেষমায়ব্য়বিচিন্তয় ॥ পুনঃ সায়ং পুমঃ প্রাতগৃহশুদ্ধিং রিধায় চ। নসাধবী হৃতৃশং ভোজয়েৎ, পতিম্‌ ॥ | হি বিঘেষ মোহাহঙ্কার ধূর্ততাঃ। সস দ্য দান নাবী বিবর্য়েহ ॥ ব্/পসংহিতা ১৯০ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা | আধ্যাত্মিকভাবে ভাবুক হইয়াই ভারতীয় আধ্ম্যগণ এত নিষ্পৃহ ও এত তেজস্বী। ব্রাঙ্ষণ ব্রহ্গতেজে তেজীরান্‌, চিত্ত- সংঘমে মহীয়ান্‌, ধৈর্য্য ও গান্তীর্য্যে গরীয়ান্‌ হইয়াই ইন্তরত্বও তুচ্ছ করিয়াছেন। ব্রাহ্মণ বিশ্বরাজ্যের অবীশ্বর, ব্রাহ্মণ দেবগুরু, ব্রাহ্মণ দৈত্যগুরু, ব্রাহ্মণ ধক্ষ রক্ষ কিন্নর ও অগ্মরো- গণেরও গুরু । ব্রাহ্মণ আধ্যাত্মিক বিদ্যাবলে চতুর্দশ ভুবনের যাবতীয় তত্ব ক্ষণকালমধ্যে হৃদয়ঙ্গম করিতেছেন । শিষ্যেরাও গুরুকে স্বীয় জনক অপেক্ষা পূজ্য জ্ঞানে তাঁহাতেই আত্ম্সম- পর্ণ করিতেছে । গুরু শিষ্য-পরীক্ষা জন্য কহিলেন, বৎস! তুমি আি আমার ক্ষেত্র রক্ষা কর; শিষ্য অটল ভক্তি হেতু অবিতকেরক্ষেত্রের আলি প্রদেশে শয়ান হইয়! ক্ষেত্রের জল- নির্গমন-পথ রুদ্ধ করিলেন। গুরু অন্য শিষ্যের দৃঢ় ভক্তি পরীক্ষা নিমিন্ত কহিলেন, বৎস! গোপমূহ পালন কর.) শিষ্য অবিনংবাদে গোচারণ করিতে গেলেন। শিষ্য নানাপ্রকারে নাস্তি স্ত্ীণং পৃথক যজ্ঞে। ন ব্রতং নাপুুপোষণম্‌। গতিং শুক্রষতে যত্ত, তেন হ্র্গে নহীয়তে ॥ বিষুঃ। তীর্ঘন্নানার্থিনী নারী পতিপাঁদোদকং পিবে। শঙ্করন্তাপি বিষ্ঞোর্বা প্রয়াতি পরমং পদমূ ॥ অত্রি। বালয়! বা যুবত্য। ব। বৃদ্ধয়৷ বাপি যোষিত। | নন্বাতগ্্েযণ কর্তৃবাং কিঞিত কার্য)ং গৃহেঘপি ॥ আনীতামরণাৎ ক্ষান্ত! নিয়ত ব্রহ্মচা্িণী। যে ধর্ম একপত্রীন।ং কাজ্জন্তী তমনুত্তমম্‌ ॥ বাতিচারাত্তু তর্তঃ স্ত্রী লোকে প্রাপ্োতি নিদা।তাম্‌। | শৃগালযোনিং প্রাপ্োতি পাপরোগৈশ্চ পীভাতে /. মনু। সভ্যতা-_-আঁধ্যাত্মিক ভাব । ১৯১ ক্লেশভোগ করিতেছেন, তথাপি শারীরিক ক্লেশকে ক্লেশ বোধ করেন না। ভাবিতে থাকেন গুরু যদি ক্ষণকাল প্রসন্ন হইয়া বর দেন যে তুমি সর্ধবিদ্যায় পারদশী এবং ব্রহ্মপাক্ষাৎ্কারে সমর্থ হও, তাহা হইলেই অনায়াসে যোগবল ও তপস্যার প্রভাবে অখগ্ড ব্রহ্মাণ্ডের তাবৎ তত্বের মন্মরভেদ করিতে স্বয়ং সমর্থ হইবেন। (৬) আধ্যগণ ইহা বিলক্ষণ বিদ্রিত আছেন, জীবদ্দশায় জীব- দেহে জীবাম্ব। ও পরমাত্বী এই উভদ্বই বিদ্যমান থাঁকেন। জীবাত্বা সমুদয় সখ-ছুঃখাদির ভোক্তা, পরমাত্ব! সাক্ষীমাত্র । তিনি কিছুই ভোগ করেন নাঁ। তিনিই সাক্ষাৎ ত্রহ্মপদার্থ। ভারতীয় আধ্যগণ নিজের শুভাশুভ কর্ম্ম ও স্ুকৃত ছুষ্কৃতের ফল ঈশ্বরে সমর্পণ করিয়া থাকেন । যিনি জীবাত্বা ও পরমাকআ্মার ভেদ বুঁিতে পারেন নাই এবং যিনি মায়া-রূপ অজ্ঞানে আচ্ছন্ন, তিনি আত্ম-সমর্পণে অধিকারী নহেন। (৭) যেব্যান্ত আত্ম-নিগ্রহে দমর্থ ও আত্ম-হবদয়ে সকল দেব- দেবীকে বিরাজমান দেখিতে পান, তিনিই আত্ম-নাভিপদ্ে রহ্মাকে, হ্ৃংপন্সে বিষুকে, ললাটদেশে শল্তুকে, এবং ব্রহ্গরক্ধে, পরমাত্মাকে, সাক্ষাৎ করিতে সমর্থ হয়েন, সর্বশরীরে প্রন্কতি- (৬) উৎপাদক-্ধদাত্রোর্গরীয়ান্‌ ব্রদ্মদঃ পিত। ্ন্মজন্ম হি বিপ্রন্য প্রেত্য চেহ চ শাঙ্বতম্‌। ॥ মন্ু। ৩ অ ॥ ১৪৬ | (৭) বৎ কিকিৎ ক্রিয়তে দেব ময় হৃকৃত-ছুক্ধতম্‌। তৎ র্বং সি" স্ত্তং ত্বতপ্রযুক্তং করোম্যহম্‌॥ ... . দিতাপুজাক্সে আযসমপণম। ১৯২ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা | পুরুষ-স্বরূপ চৈতন্তম্য়ী মহাশক্তিকে দেখিতে পাঁন। এবংবিষ অপ্রারুত মন্যুই আত্ম-সমর্পণে যথার্থ অধিকারী । যোগ-সাধনের নাম আত্ম-সমর্পণ। ষোগ-সাধন-কাধ্য সদ্যঃ সদ্যই হয় না, ক্রমে অভ্যাস করিতে হয়। মনের একাগ্রতা জন্মিলে 'জীবাত্মা ও পরমাত্বা্র সহিত যে এক অনির্বচনীয় অভিন্ন ভাব ও তন্ময়তা বোধ হয়, তাহাকেই আধ্যাত্মিক ভাব বলা যাইতে পারে। আধ্যাত্মিক ভাবে আপনাকে সমর্থ করিতে হইলে আত্মস্তদ্ধি, মনঃশুদ্ধি, বাকশুদ্ধি ও দেহপুদ্ধি, আবশ্যক | | ঘে পরমার্থপরাঁয়ণ ব্যক্তি নিশ্চয় জানেন যে, তাহার কত মন্ব, ধ্যান, ধারণ! ও স্তবাদি পরব্রন্মের স্বরূপ জ্ঞানে অনমর্থ, ততক্কত অনুষ্ঠানসমূহ ঈশ্বরের প্রীতি-সম্পাদনে কদাচ যোগ্য নহে, এবং তদীর তক্তি-ক্রোত ঈশ্বরের ত্রিসীমায় বাইতেও পাঁরে কি না) তাহাও সন্দেহ স্থল; কিন্তু সত্যন্বূপ সেই পরমাস্মার নিকট অক্ৃত্রিম-ভক্তি প্রভাবে স্বকীয় অনুষ্ঠিত কার্ধ্যের ক্র মার্জিত হয়); ভক্তিভাব হেতু তত্কৃত পুজার অমম্পূর্ণতা সেই পরমাত্মপুরুষে সমর্পণ করিবামাত্র সম্পূর্ণতাকে প্রাপ্ত হয়। এই বিশ্বাসেই স্বর্কৃত কারধ্যের ফল ঈশ্বরে সমর্পিত হইয়া! থাকে। এজ্ঞানও আধ্যাত্মিক ভাবের অন্তর্গত । (৮) (৮) মন্ত্রহীনং ক্রিয়াহীনং ভক্তিহীনং যদর্টি তম্‌। বং পুজিতং ময়! দেব পরিপূর্ণং তদন্ত মে॥ ূ নিতাগূজা প্রকরণে প্রার্থনা । ভ্যতাঁ বিবাহের কাল। ভারতীয় আর্ধ্যজাতির নিয়মানুমারে বর অপেক্ষা কন্যার বয়ংক্রম নুন হওয়। নিতান্ত আবশ্যক। পূর্কালে ত্রিংশং- বর্ষদেশয় পুরুষ দ্বাদরশবর্ষীয়া৷ কন্ঠার পাণিপীড়ন করিতেন। চতুর্বিংশতিবর্ষবয়স্ক পুরুষ অষ্টবর্ীয়া কুমারীর পাণিগ্রহণ করিতে অপমর্থ হইতেন না। এই বিধি দ্বারা ইহা অনুমান করা যাইতে পারে, যে, চতুর্বিংশতি বর্ষ অতিক্রম করিতে ন' গারিলে অন্ুলজ্ঘনীয় কারণ ব্যতীত কেহ কদাচ দারপরিগ্রহ করিত না। দ্বাদশ বর্ষ বয়:ক্রমের সময় হইতে প্রায়শ; ্ত্ী জাতির যৌবনোতেদ হইতে আরম্ত হয়। তৎকাঁলে রূপলাঁব- গ্যাদিও পরিবর্ধিত হইতে থাকে। যে কন্ঠ। মনোহারিণী, মেই কন্যাই দারক্রিয়ায় প্রশস্ত! | (১) ভগবান মন্ুর নিয়মে নিগু পুরুষে কন্ঠ! দাঁন করা কাচ কর্তব্য নহে। ইহাই স্থির দিদ্ধান্ত। তাহার আদেশ এই. পিতৃগৃহে কণ্ঠ! খতুমতী হইয়া আজীবন কার অবিবাহিতাবস্থায় থাকুক, তাহাতেও কোন, দোষ হয় না; তথাপি গুণহীন | বাক্তির সহিত কণ্ার বিবাহ দেওয়! উচিত নছে। স্বজাতীয় (১) হিংপরধর্ষো বহেৎ কনতাং হদ্যাংদ্বাশবারষিকীম্‌। রাবর্োইষটবর্যাং বা ধর্মে মীদতি সতবরঃ। মু» হ জ। ৯৪। গৃহস্থ সদৃধীং টং বিদেতানগ্বর্াং যীযপীম। টি শীত ধায়) . গৃহস্থো ০ টকণানৃজঞাত) গা ৮ ববীসীং সাং তাং বিদে। ই ১৯৪ ভারতীয় আর্ধ্জাতির আদিম অবস্থা] । বর বিদ্যাদি গুণে, কুলে, শীলে, ধনে, মানে উৎকৃষ্ট হইলে বরং কন্তার যৌবনোভেদরূপ বয়ঃপ্রাপ্তির পূর্বে তদীয় করে কন্তা- সম্প্রদান কর! যাইতে পারে, তথাপি নিগুণ পুরুষে কন্যা দান কর! কদপি বিধেয় নহে । ভগবান্‌ মন্থর আদেশ দেখ । (২) বাল্যবিবাহ যে নিতীস্ত অনাদয়ণীয় ও বিশেষ অপ্রচলিত ছিল, এরূপ বোধ হয় না। কারণ, এরূপ বিধি দেখা যায় যে, যাঁবং কন্তাগণের যৌবনোদ্েদ ন। হয়, তাবৎ কাল মধ্যে বিবাহ দেওয়া! উচিত। অর্থাৎ যৌবনোভ্েদের অব্যবহিত পূর্বে বিবাহ দেওয়াই কর্তব্য। (৩) শাস্ত্রীয় অষ্টপ্রকার বিবাহ মধ্যে গান্ধব্ব বিবাহ একতম। এবিবাহে বর ও কন্তা পরস্পর স্বীয় স্বীয় ইচ্ছানুারে বিবাহ্‌- ক্রিয়। সম্পাদন করে, ইহ! পুর্ধেই কথিত হইয়াছে । অতএব সেস্থলে নিতান্ত বালক বা নিতান্ত বালিকার বিবাহ দেখ! যাইতেছে না। গান্ধর্ বিবাহে যুবক ও যুবতীর প্রণয্নহেতু যুবজানিসন্বদ্ধ কহিতে হয়। এই বিধিগুলি প্রকারাস্তরে বালা- বিবাহ-নিষেধক। | (২) কামমামরণাত্তিষেদ্গৃহে কন্তর্ভুমত্যপি। নচৈবৈনাং প্রযচ্ছেত্ গুণহীনায় কহিচিৎ॥ মনু ।৯অ।৮৯। উৎকষ্টায়াচিরূপায় বরায় সদৃশায় চ। টা অগ্রাগুঘপি তাং তন্মৈ কগ্ঠাং দদ্যাদঘখাবিধি | মনু ।৯ অ।৮৮। (৩) ) যাবদ্োডিযোতে স্তনৌ তাবদেব দেয়া। অথ খতৃমতী ভবতি, সা প্রতিগ্রহীত! চ নগ্নকমাপ্পোতি, পিতৃপিতামহগ্রপিতামহান্চ ঝিষটাাং, জানে, তণ্মান্সগ়িকা দাতবা।। ২... উদ্ধাহতদ্ব৭+ বিবাহের কাঁল। ১৯৫ ভগবান্‌ মন ব্যতীত অসন্তান্ত মহর্ষিবর্গ বাল্যবিবাহের একান্ত সপক্ষ। তাঁহাঁদিগের শাসনেই বাল্যবিবাহ বিশেষরূপে প্রচলিত হইয়া আসিয়াছে । কন্তার যৌবনোভেদ না হইতেই তাহাকে বিবাঁহ-শৃঙ্খলে বদ্ধ করিতে হয়। কারণ, বিবাহের পূর্বে কণ্ঠা৷ পিতৃগৃহে খতু- মতী হইলে তীয় পিতৃকুল চিরকাঁল নরকভোগ করেন ও বিষ্ঠার কৃমি হইয়া থাকেন, এবং মহাঁপাতকজনক &ঁ শোণিত পান করেন, ও ভ্রণহত্যাদদি মহাঁপাঁপে পতিত হয়েন। অপিচ যে ব্যক্তি ত্র কন্তাকে বিবাহ করে, সেও পাতকী ও অপাঁউকে় হয় থেবং এ কন্ঠা! বৃষলী বলিয়া পরিগণিত হইয়! থাঁকে। (৪) সন্তানগণ পিতৃলোককে অক্ষয় স্বর্গভোগ করাইবেন ; কদীচ নরকতোগ করাইবেন না। রজস্বল! কন্ঠা দান দ্বারা পিতৃলোকের নরকভোগ হয়। অতএব উহা অকর্তব্য। যাহাতে পিতৃলোকের তৃষ্থি সাধন হয়, পুত্রের তাহাই সর্ধতো- ভাবে কর্তব্য, শাস্ত্রে এইরূপ নিদেশ থাকায়, ধর্মপরায়ণ মানবগণ ধর্মলৌপতয়ে একান্ত ভীত হইয়া অকালে কন্াগণকে অসয- যোগ্য বরেও সম্প্রদান করিতে কুষঠিত হয়েন না। ভগবান্‌ মন্কুর নিয়মানুসার়ে দ্বাদশবর্ষবয়স্কী বালিক। ত্রিংশত্বর্ষবয়স্ক বরের, ও অষ্টবর্ষবযস্কা কন্যা চতূর্বিংশতিবর্ষবয়স্ক পুরুষের; করে প্রদত্ত হওয়া সুব্যবস্থা । রা কন্ঠ! অপেক্ষা বর টিতে (৪) পিতৃগেহে চযা কন্যা জং ঃপপ্োসংসকতা। জগহতয পিত্ত্প্যাঃ না কন্ঠা বৃধল্ী সত] যন্চেমাং বরয়েন কন্তাং বা্মাণো রা 1 আ্াদেগমপাুজেরং তং ধিযাভ্বণীগতিদ.... উহ) : ১৯৬ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । ত্রিগুণ বয়োইধিক থাকিলেও, যেপ্রকাঁর পুষ্পবতী নবীনা' লত| বয়োবৃদ্ধ উন্নত তরুর সর্বাবয়ব আচ্ছাদন করে, ততদ্রপ বয়ঃ- কনিষ্ঠা স্ত্রী তাহার পুশ্পোদগমের অব্যবহিত পরেই স্বামীর সহিত তুল্যত! প্রাপ্ত হয়, আর অদমযোগ্যা থাকে না। কিন্ত বিশেষ বিশেষ কাল ও বিশেষ বিশেষ নিয়ম দ্বারাই মনৃক্ত 'নিয়মের নানাবিধ বৈষম্য ঘটিয়াছে, বলা যাইতে পারে। বর ও কন্যার ধয়ঃক্রমের অন্থপাত ধরিলে, ৮ বর্ষের নৃনে কণ্তার বিবাহের বিধি পরিসষ্কতরূপে নির্দিষ্ট নাই বলা যায়। বিভিন্ন মহর্ষিগণের নিয়মের সহিত সামগুস্য রাখিবার জন্য ইহা স্থির সিদ্ধান্ত আছে ষে, কনা] রজন্বল! না হইতেই তাহার পরিণয়-ত্রিয়া সম্পন্ন করা অতীব আবশ্যক । ইহা কার্ধ্যে পরিণত করিবার জন্য খধিগণ নান! বিভীষিকা দেখাইয়াছেন, এবং ইহাও স্থির আছে যে, কন্যার বয়ঃক্রম দশবর্ষ অতিক্রান্ত হইলেই তাহাকে রজস্বলা কহিতে হয় । সে ত্র অর্থে কন্যাপদ- বাচা হয় না। এই সময় মধ্যে তাহার বিবাহ-ক্রিয়া সম্পাদিত না হইলে তাহার পিনকুলের সকলেই মহাপাতকী হয়েন। মহর্ষিগণ এই হেতু অষ্টবর্ষা কন্যাকে সাক্ষাৎ গৌরী পদে অভি- হিত করেন। নববর্ষ কন্যাকে রোহিণী নামে আথ্য দেন্‌। দশমবর্ষীয়াকে প্রকৃত কন্যা! শবে উল্লেখ করেন। দশ বর্ষ উত্তীর্ণ হইলেই স্ত্রীজজাতির খতুকাল গণনা করা গিয়া থাকে। এই সময় হইতে তাহার যৌবনের চিহ্ন সকল প্রকাশিত হইতে আরম্ত হয়। তদনুসারে তাহার নাম রজন্বলা হয়। (৫) | (৫) অষ্টবর্ধ! ভবেৎ গৌরী নববর্ষ তু রোহিণী। | রঃ নশমে বলাকা প্লো্তা অত উত্ধং রজন্বল1 ॥ . উদ্বাহতত্ব। (বিবাহের কাল। ১৯৭, তত্ের মতে যোড়শবর্ষীয় অনুঢ়া! কন্যাকেও কুমারী বলিয়া! ব্যাখ্যা করা যাইতে পারে। অনুঢা স্ত্রী চিরকালই কুমারী । তন্থের বচনাহ্থুদারে একবর্ষ হইতে ষোড়শবর্ষ পর্য্যস্ত অনুচা ললনাগণ যে যে দেবী-পদ-বাচ্যা, তাহ! যথাক্রমে বর্ণিত হইল। ঘথা,_-(১) সন্ধ্যা, (২) সরম্বতী, (৩) ত্রিধামুর্তি, (৪) কালিকা, (৫) গুভগ! বা কুমারিকা, (৬) উমা, (৭) মালিনী, (৮) কুকজিকা, (৯) কালসংকর্ষা, (১৭) অপরাজিতা, (১১) কুদ্রাণী, (১২) ভৈরৰী, (১৩) মহা'লক্গমী, (:8) গীঠনায়ি কা, (১৫) ক্ষেত্রজ্ঞা ও (১৬) অন্নদা॥ এই ষোড়শ কন্য। যাবৎ পুপ্পবতী না হয়, তাবৎকাল ষোড়শ মাহৃকাবৎ পুজ্যা। পুষ্পবতী হইলেও, তাহারা তাহাদিগের বৈবাহিক কার্ষ্যে অপুজ্যা নহে। ফলতঃ অনুঢ়া কন্যাগণ তান্ত্রিক ব্যক্তিবর্গের নিকট গ্রত্যেক বর্ষে বিতিন্ন-প্রকৃতিক দেবতা বিশেষ । এ সময়ে উহ্ারা এ সকল দেবীর ন্যায় ফলগ্রদা হয়েন। এই হেতু থাবিধানে কুমারীরধপে পুজ্ধনীয়। । ধাহারা এইরূপে পুজনীয়া, তাহাদিগের বিবাহসম্পাদনে অবশ্য ফলাধিক্য আছে $-এই বিবেচনায় ধার্ষ্িকগণ মত পাত্র পাইলেই কন্যার যৌবনাদির বিষয়ে কোন অনুসন্ধান ন। লইয়াই শুদ্ধ কালে ও শুভ লগ্নে কন্যাকে পাত্রস্থ করিয়া আপনাকে ভাবী অনিষ্টাপাত হইতে নির্লিপ্ত রাখিতে ইচ্ছা করেন। এইরূপ ধর্ধবুদ্ধিতে অপৌগণও শিশুর বিবাহ হইয়া আসিতেছে। ইহাতেই বাল্া-ব্বাহ টু বলিয়া রি হয় নাই। (৬) ($) একবর্ধা ভাবখ সা ছা চ মন্্ 7. ছিব ভু িধাসু্িতুবর্ধা তু কালিক।। ১৯৮ ভারতীয় আর্যজাতির আদিম অবস্থা । বাল্য-ববাহ | বাল্য বিবাহের একটা বিশেষ গুণ এই ষে, বধু প্রায় স্বশুর- কুলের একান্ত বশীভূতা। হয় এবং প্রায়ই পরিজনবর্গের শ্বায়- গ্রাহিণী ও স্বামিকুলের নিতান্ত আীয়। হইয়া থাকে । সেই কারণে সংসারাশ্রম বাল্য-বিবাহিতার পক্ষে সুমধুর আকার ধারণ করে। প্রথম হইতেই উহার! শ্বশুর-কুলের সুখ ছুঃখ অন্ুতৰ করিতে সমর্থ হয়। গুরুজনের নিকট লোকস্কিতির ও ধর্ম কাধ্যের শিক্ষা বধূভাবে পাইতে খাকে। তন্নিমিত্ত বধূগণ সলজ্জা, ভক্তিপরায়ণ! ও দয়ার্জরহদয়া! এবং গৃহকাধ্যে বিলক্ষণ । গটু হয়েন। বয়োবুদ্ধী কন্যার বিবাহ হইলে বালিকা-ভাব থাকে না; তাহারা শ্বশুর-গৃহে আপিক্াই সদ্যঃ সদ্যঃ সংসারধন্ম বুঝিয়। লইতে বিশেষ আগ্রহ দেখান, এবং গুকুজন ও পরি- জনাদির প্রতি তাদৃশী ভক্তিমতী বা অনুরাগিণী হয়েন নাঁ। যুবভীগণ দক্পতি প্রণয়ে যাদৃশী উন্ধুখী ও ভোগাভিলাষে যাদৃশট শুভগ!| পঞ্চবর্ষা চ ষড়,বর্ষা তুউমা ভবেৎ। সপ্ততিরমলিনী দাক্ষাদষ্টরর্ম। চ কুজিকা॥ নবভি? কালংবর্ষ দশভিশ্চাপরাজিতা | একাদশে ভু রদ্রাণী, ছাদশান্ডে তু ভৈরবী ॥ ভ্রয়োদশে হালি মপ্ত। লঠনা ায়কা। ্ষেতরজ্ঞা পঞ্চদশভিঃ যোড়শে চান্নদ1 মতাঁ॥ এবংক্রমেণ সংপুজ। যাবৎ পৃ্পং নবিদ্যদে। পুষ্পিতাঁপি চ নংপৃজ্যা তৎপুষ্গাদানকর্ধ নি ॥ | কদ্রযামলে কুমারিকাপুজ।-প্রকরণে বয়োভেদেন নামতে? বাঁল্য-বিবাহ। ১৯৯ গ্রবণা হয়েন, বাঁলিক1 বধৃগণ তাদৃণী হয় নাঁ। তাঁহারা কদাচ নিলজ্জভাব ধারণ করে না। বালপরিণীতা বধুগণ প্রথম হইতেই সংক্রিয়া, সদাচাঁর ও সদ্যবহারের অভ্যাসবশতঃ দুর্দান্ত হয়না । অধিকবয়স্কা বিবাহিতা যৌবনোন্মন্তা কামিনীগণ বিবাহের পরে কেবলমাত্র পতিকে অন্তরে স্থান দেয়; সাংলা- রিক ব্যাপারে মনোনিবেশ কবে না, ব! গৃহস্থালীর কাধ্য শিক্ষা করিতে ইচ্ছা করে না। স্বামীরই গ্রিয়। হইবার জন্য চেষ্টা করে ও তাহাকে স্বপক্ষে আনয়ন করিতে বিশেষঘত্ববন্তী হয়। ইহাতে অক্কতার্থ হইলে বা কোনরূপ ব্যাঘাত ঘটিলে সংসারের স্থিতি-বিপর্ধ্যয় ঘটায়। ইহারা রন্ধন-পরিবেশনাদি সাংসারিক ধ্যাপারে বিশ্ষেরূপে লিগ্ত হইতেও ইচ্ছা! করে না। ন্তৃতরাং মাংসারিক কার্যে ইহাদিগের সুখ্যাতি হয় না। বজস্বলা কন্যার বিবাহে দোষশ্রুতি থাঁকাতেই কুদ্রযাম- লের বচনানুসারে অধিকবযস্ক কন্যার বিবাহ-দান-প্রথ। গ্রবল হইতে পারে বাই । তবে স্থলবিশেষে অথবা কোন .ছুরতিক্তরম কারণবশতঃ যদ্দি কন্যার বয়ক্রম একাদশ বর্ষ (রজোদর্শনের কাল) অতীত হইয়া থাকে, তথায় দ্বাদশাদি-ব্র্ষ- বযস্কার বিবাহ দেখা ষায়। ইহা কুলীন ম্হাশক্নদিগের গৃহে প্রচলিত আছে। তাহারা সংপাত্রের অগ্রাপ্তি হেতু ভগবান্‌ মন্থর মত অন্ুসণপূর্বক অধিকবয়ধ্ধী কন্যার ও অন্যান্য মহর্ষির 'মতে শিশু কন্যার বিবাহ দিয়া আলিতেছেন। যখন থে বচনে সুবিধা ভ্ঞান করেন, তখন দেই বটনটাকে আশ্রয় করিয়া 1 কার্য ম্পাদনপূর্বক আপনাকে পাগপন্ধ হইতে নিরবিপ্ত অথব। পরিশুদ্ধ জ্ঞান.করিয়] থাকেন। ২০০ ভারতীয় আর্ঘাজাতির আদিৰ অবস্থা । দ্বাদশ বর্ষ মধ্যে পাত্রসাৎ না হইলে এঁ কন্যা স্বেচ্ছাপর্বক নিজে পতি অন্বেষণ করিয়! বিবাহ করিতে পারিত, ও ত্বাহাতে পাপভাগিনী হইত ন1। দ্বাদশ-বর্ষ বয়স্ক কন্যার বিবাহ সম্পাদন না করিতে পারিলে পিতা, ভ্রাতা ও ম্নাতা, সকলেই নরকভাগী একং সকলেই এঁ রজন্বল৷ কন্যার শোগিত পান করেন এবং শ্রহ্মহত্য। পাপে পতিত হয়েন। (৭) এই সমন্ত শানন সত্বেও যে, অধিকবয়স্ক কন্যার বিবাহ হয় না, সে কেবল কন]াগণের ভাগ্যবলে অথবা কোনখানে ছুয়- ৃষ্ট হেতু । কখন কখন পিতা, মাতা ও ভ্রাতা প্রস্ৃৃতি অভি- ভাষকবর্গের স্সময় ও অসময় নিবন্ধন কন্যাগণের স্থযোগ্্য কাল অথবা অযোগ্য কাল উপস্থিত হয়। অনুঢা স্ত্রীজাতির সাধারণ নাম কন্তা বা কুমারী । আধুনিক কুলীনগণের সমান ঘরে বর না মিলিলেই হতভাগ। কন্যাগণকে চিরকৌমাধ্য-ব্রতা- ঘলম্ঘন করিতে হয়। অথবা বময়বিশেষে ঘর মিলিলেও হুয় ত এক সঙ্গে বহু কন্যাকে এক পাত্রের পাণিগ্রহণ করিতে হয়। এইরূপে একজন বরকে অপৌগও রালিকা হইতে নিতাস্ত প্রৌ়াকেও ৰিবাহ করিতে দেখা গিয়। থাকে । (৭) কন্যা দ্বাদশবর্যাণি যাইগ্রদত্ত| গৃহে বমেখ। ্রন্মহত্যা গিতুত্ত নাঃ স! কন্যা বরয়েৎ ব্বয়মূ॥ প্রাপ্তে তু াদশে বর্ধে যদ কন] ন দীয়তে। ডগা তদ্যাস্ত বন্যায়াঃ পিত। পিৰতি শোণিতস্‌। রাঙ্গনার্ততে। অন্ত্রাপ্ডে ছাদশে বর্ষে কণযাং যে! ন প্রবচ্ছতি। মামি মাদি রজন্তস্যাঃ পিতা পিৰতি শোণিতম্‌ ॥ মাতা চৈব পিতা! চৈব জেওটটভ্রাত1 তখৈব ছ&। আস্তে নরকং যানি দৃষ্। কন্যাং বজদ্ববাম॥ বদঃ। কন্যা-বিক্রয়-দোষ। ২০১ কোন পুরুষের যর্দি কোন-কাঁরণবশতঃ তিনটী বিবাহ ঘটে, তাহাকে শাস্ত্রের নিষ্নমানুসারে চারিটা বিবাহ করিতে নিতান্তই বাধ্য হইতে হয়। তবে যাহারা বহুবিবাহপ্রিয় নহেন, ও দ্বিভার্ধ্য বা বন্ৃপত্বীক হওয়! অত্যন্ত ক্লেশকর জ্ঞান করেন; তাহারা এ দোষ-পরীহার জন্য ভ্রিবিবাহের পূর্বে একটা কুসুম. লতাকে বিবাহ করিয়া থাকেন। এী লত| এ ব্যক্তির তৃতীয় পত্রী রূপে গণনীয়! হয়। তৎপরে প্রক্কত তৃতীয় পত়্ীই চতুর্থ দাররূপে অভিহিত হইয়া থাকেন। চতুর্থ বিবাহ না করিলে শী ব্যক্তি নিজের সপ্ত পুরুষকে নরক ভোগ করান, এবং আপ- নাকেও জণহত্যার পাতকী করেন। (৮) কন্যা-বিক্রয়-দোষ। আর্ধ্যজাতির বিবাহ-প্রকরণ দেখিলে ইহা! নিশ্চয় কর! যাইতে পারে যে, ইহীরা বয়ঃজোষ্টা কন্যাকে বিবাহ করিতেন না, এবং ক্রয়ক্রীতা কন্যাও ইহীদিগ্রের নিকট নিতান্ত দৃষণীয়া বলিয়া পরিগণিত ছিল ও আছে। যে দ্বিজ কন্যা! বিক্রয় করে, সে ব্যক্তি মহাঁপাগী। তাহাকে পুশীষহ্দসংজ্উক নরকে পতিত হইতে হয়। এ কন্তার গর্জজাত সন্তান চণ্ডাল বলিয়া পরিগ্রনিত, ধর্ম-বহিষ্ত, সুতরাং তাহার দত্ত জল ও পিও পিতৃ- পপ পাপা শী শপ (৮) ত্রিবির়াহং কৃতং যেন ন করোতি চক! ৪৩8 : জুরানি গাতরেখ সপ্ত অণহতযারতংচযেত। . উদ্াহদ্ব। ২০২ ভারতীয় আধ্যজাতির আদিম অবস্থা । গণের ওর্ধদেহিক কার্ষ্যে বিশুদ্ধ নহে। এপত্ী দাসী বলিয়া খ্যাত হয়, কদাপি পত্রী বলিয়। অভিহিত হইতে পারে না । (৯) ফন্ত। বিক্রয় না করা এবং বরপক্ষ হইতে কিঞ্িন্বাত্র গ্রহণ না করা ব্রহ্ষতর্যের লক্ষণ । তবে ঘর্দি কোন ব্যক্তি বলেন যে, আর্ষ বিবাহে এক গোমিথুন বা ছুই গোমিথুন বরপক্ষ হইতে লইগ্না কন্য। সম্প্রদান হুইয়৷ থাকে, তথায় পণ কহা যাউক, যেহেতু বস্তর পরিমাণ অল্লই হউক, অথব! অধিকই হউক, অবশ্ঠই বস্তগ্রহণমাত্রকে পণ ধরিতে হয়। কিন্তু ভগবান মন আর্য বিবাহে বরপক্ষ হইতে যে গোমিথুন-গ্রহণের কথা বলি- য়াছেন, উহা পণস্বরূপ নহে। কারণ, এ গোমিথুনগ্রহণ ধর্শ- কার্ধ্যার্থ নিদ্দি্ট আছে; কন্ঠার পিতৃকুলের ব্যবহার নিমিত্ত নহে। আন্গুর বিবাহে কন্ঠাকে বিবাহের অগ্রে স্ত্রীধন দিবার প্রথা প্রচলিত আছে। খ্রন্ত্রীধন পিতা, মাতা, ভ্রাতা, বা জ্ঞাতিগণ গ্রহণপুর্নক কন্যার্দান করিতে পারেন, কিন্ত রী ধন তাহাদিগের নিজ ব্যবহারে আনিতে পারেন না। এ স্থলেও কন্যা-বিক্রয় কহা অকর্তবা। কারণ, এই স্ত্রীধন পিতৃকুলেনর (৯) যঃ কন্যাবিক্রয়ং মুঢ়ো লোভাচচ কুরুতে দ্বিজ। ন গচ্ছেৎ নরকং ঘোরং পুরীষহদসংজ্ঞকম্‌ ॥ বিক্রীতায়াশ্চ কন্যায়া যঃ পুত্বে। জায়তে দ্বিজ | সচাওাল ইতি জেতঃ সর্বাধন্্হি্ধতঃ | ক্রিয়াযোগদারে উনবিংশ অধ্যায় ॥ ভ্রয়কীত1 চ যা নারী ন সা পত্ধয তিধীয়তে। নস দৈবে নল পৈত্রো দানীং তাং কবয়ো বিছুঃ ॥ দ্বত্তকমীমাংনাধূত অশ্রিবচন। কন্যা-বিক্রয়-দোঁষ। ২০৩ ব্যবহারজন্য গৃহীত হয় না। উহা কন্যার অলঙ্করণ ও পুণ্য- জনক কার্যেই প্রয়োজিত হইয়া থাকে | যাহার! বনু কল্যাণ কামনা করেন, তাহারা অবশ্তই ভামিনীগণকে নিজ নিজ বিভব অনুসারে পরিশোৌভিত করেন। কাঁজেই বরপক্ষ হইতে অগ্রে শোভা-সম্পাদনে দোষ নাই। (১০) ্রাহ্মণগণের পক্ষেই কন্যা-বিক্রুয় নিষিদ্ধ, অন্য তিন বর্ণের পক্ষে ইহা! পাপজনক নহে । তবে সদাচারসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ সৎ পথ থাকিতে কেন অনৎ পথ আশ্রয় করিবেন? এই হেতু কন্যাবিক্রয় সকলেরই পক্ষে দোষাবহ। অষ্টবিধ বিবাহের মধ্যে ব্রাহ্ম ও দৈব বিবাহ অন্য কোন জাতির সম্ভবিতে পারে না, ুতরাং এই ছুই বিবাহ ব্রাহ্মণের নিজস্ব-্বরূপ । যে স্থলে কন্যাকর্তা স্বয়ং বেদ-বেদাঙ্গপারগ ও সাগণশালী বিপ্রকে আহ্বানপূর্বক বিশেষরূপে সম্মান ও পুজার সহিত (১) ন কনায়াঃ পিতা বিদ্বান্‌ গৃহীয়াঙ্ছুক্ষমণুপি। গৃহ ক্ষং হি লোভেন স্যান্নরোহপত্যবিভ্ুয়ী | ৫১। আর্ষে গোমিথুনং শুক্কং কেচিদদাহষৈব তৎ। অল্লোহপ্যেবং মহান্বাপি বিক্রয়স্তাবদেব সঃ1 ৫৩1 যম্মাৎ নাদদতে গুক্ষং জ্ঞাতয়ে। ন সপ বিক্রয় অর্থণং তৎ কুমারীগামানৃশংম্যঞ্চ কেবলম্‌1 ৫৪1 পিতৃভিত্র্ঠতৃভিন্চৈত1; পতিভির্দেবরৈস্তথা। পুজা! তৃষয়্িতব্যাশ্ট ব্ছকলযাথনীন্ষা ভি? & ৫৫.& স্ত্রীধনানি তু ঘো৷ মোহাছুপজী বস্তি সবান্ধবাঃ। নারীযাদানি বন্ত্রং বা তে পাঁপা যান্তা ধোগতিম্‌ ॥ ৫২ | | ঠা অহ।ওজ। ২০৪ ভারতীয় আর্ধ্জাতির আদিম অবস্থা | বস্ত্ালঙ্কারে ভূষিত করিয়া কন্যা দান করেন, তথায় ্রাঙ্ম বিবাহ কহা যায়। অষ্টবিধ বিবাহের লক্ষণ ১২৪।১২৫ পৃষ্ঠে দেখ । বিবাহ-বিষয়ে ত্রাঙ্গণের পক্ষে সগোত্র। ও সমানপ্রবর1 ও মাতৃকূলে সপিও কন্য| নিষিদ্ধ; কিন্তু শূদ্রের পক্ষে এ নিয়ম তাদৃশ গ্রবল নহে। তথাপি সংশুদ্রেরা দ্বিজাতিসমুচিত সদাচাঁর করিয়! থাকেন । (১১) যেমন পিতার গোত্র ও মাতার সপিওা কন্য। দ্বিজাঁতির পক্ষে বিবাহ-বিষয়ে বিহিত নহে, তদ্রপ পিতৃপক্ষের বান্ধবগণ্ের সপ্তমী পর্য্যন্ত কন্যা ও মাতৃপক্ষে্ পঞ্চমী পর্যন্ত কন্যা বিবাহ- ঘোগ্যানহে। কারণ, পিতৃপক্ষ শব্দে বরের পিতৃকুলের কন্যার বংশের কন্যার সহিত পর্য্যায়ে যে সপ্তমী হয় তাহাকে, এবং মাতুল-কুল হইতে যে সকল কন্যা বরের সহিত পর্যায়ে পঞ্চমী হয় উহাদিগকে, পরিত্যাগ করিয়া বিবাহের বিধি আছে। কোন কোন খধির মতে মাতুল-কুলে বিবাহ করা কোনক্রমেই বিহিত নয়। (১২) (১১) অনপিওা চ বা মাতুরমগোত্া! চ যা পিতঃ। স। প্রশস্ত! দ্বিজাতীনাং দারকন্দশি মৈথুনে ॥ মনু ।৩ অ।৫। (১২) পঞ্চমাৎ সপ্তমাদুর্ঘং মাতৃতঃ পিতৃতন্তথ1। বিষু-স্থৃতি | সপ্তমী পিতৃপক্ষা্চ দাতৃপক্ষাচ্চ পঞ্চ মীম্‌। উদ্ধহেত ছ্িজো ভার্ষ/ং ন্যায়েন বিধিন| নৃপ | নার । পাহাদার গর্ভাধান। আর্ধাগণের সমস্ত ক্রিয়াই ধন্দ্য ও আদিম) স্থত্তরাং পুরো" পাদনরূপ বৈধ গর্ভাধান-কার্য্য আদ্য খতুতে শুভ লগ্নে ও অনি- দত দিবসে পবিত্রভাবে কেন না হইবে? ইহা বেদবিহিত [মা সম্পাদনপূর্ধক সমাহিত হয়। মন্ত্রাত্মক-সংস্কার-সম্পন্ন ন! হইলে দম্পতী মহবাজন্য নিষেকক্রিয়ারূপ ক্রীড়া-কৌতুকে অধিকারী হয়েন না। বৈধ ক্তিয়া দ্বারা সৎপুত্রাৎ্পন্তি হইয়। থাকে। ধন্দ্যভাবেই জায়াপতির সহবাস। ইহার ফল বৈধ ধার্মিক পুত্র লাভ। ধার্মিক পুল্র ইহলোক ও পর- লোকের স্থমাধনের হেতুভ্ূত। অধার্মিক অবৈধ পুক্র কোন কার্যের উপযোগী নহে। বৈধ পুল্রোৎ্পাদনই গাহ্‌স্থ্য ধর্ষের শিদান-স্বব্ূপ। বৈধ পুত্রার্থেই আর্ধ্যজাতির দার-পরিগ্রহ ; স্বকীয় কাম চরিতার্থ জন্ত নহে। বরং পত্বীর রতি-কামনায় পত্রী সহবাস কর। যাইতে পারে, তথাপি নিজের ইন্রিক্-সুধ-সাধনার্থ ভগমন অকর্তৃব্য। ব্রক্ষমচরধ্যাদি দ্বারা ইন্ত্রিযসংযম করা অন্গর উচিত, তথাপি অনার্ভবে নিত অভিগমন আবধেয়। (১) ভার্্যার খতুকালই পুত্রোৎপত্তির বৈধ ও প্রন্কৃত সময়। ইত্তরাং তৎকাগ্ে ভাধ্যা-সহবাস অবস্ঠ কর্তব্য কর্ম মধ্যে পরি- গণিত । এই সহবাসের নাম গর্ভাধান অর্থাৎ পুত্রের জননরূপ নীক্, রিনি । এই ক্রিয়াকে ভাতার দ্বিতীয় মং সকার বা সচ- (১) খড়ুকালাভিগামী নাং ্বদারনির; ন্দা। গরিবর্জীং জেছেনাং রক রতিকাঘায়া 1. হু 1৬ 1841. ৮. ২০৬ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । রাঁচর পুনর্বরিবাহ কহে। সুতরাং ইহা ভবিষা ভ্রণের দশ সংস্কারের প্রথম সংস্কার । (২) বেদবিহিতত এই সংস্কারকার্ধ্য যথারীতি সমন্ধন্ধ সমাহিত না হইলে জাত বালকের শরীর ও আত্মা পবিত্র হয় না । (৩) এ সংস্কারের অকরণে অন্য (২) গর্ভাধানমৃতে পুংদঃ সবনং স্পন্দনাৎ পুরা । বষ্েহষ্টমে বা সীমন্তঃ প্রসবে জাতকর্ম চ॥ অহন্যেকদশে নাম চতুর্থে মানি নিষ্ক্রমঃ | যষ্ঠেহন প্রাশনং মাসি চূড়া কাধ] যথাকুলম্‌॥ এবমেনঃ ক্ষয়ং যাতি বীঞ্জগভনমুদ্তবমূ॥ বাজ্ঞবক্ক্যবচন। (৩) গর্তাধানের মন্ত্র! বিষুধোনিং কল্পয়তু তবষ্টা বূগাণি পিংশতু । আসিঞ্চৎ প্রজাপতি ধাত। গর্ভং দধাতু তে ॥ গর্ভং ধেছি সিনীৰালি গর্ভ ধেহি সরম্মতি। গর্ভং তে আশ্বিনৌ দেবাবাধত্তাং পুক্ষরম্রজ। ॥ হিরণ্যময়ী অরণীয়ং নির্শন্থতো। অশ্বিন] | তং তে গর্ভং হবামহে দরশমে মামি হৃতয়ে ॥ বণ্থেদনংহিতা। ১০মগুল ১২ অনুবাক ১৮৪ হুক্ত ১। ২।৩ ধক্‌। প্রজায়মুৎপাদয়েদৌষধমন্ত্রংযোগেন। ৰৌধায়ন। স্ত্রী যে মন্ত্র পাঠপুর্ববক শৃধ্যার্ঘ) দেয়, তাহা এই-_ ও" বিশ্বপ্ন। বিশকর্তী বিশ্বযোনিরযোনিজঃ। নবপুপ্পোৎসবে চার্ঘ।ং গৃহাণ ত্বং দিবাকর ॥ ৃ ১ভবদেবভট্টের সংস্কার-পদ্ধতি, গভাধান-মন্ত্র। এইরূপ আর আটিটী মন্ত্র আছে, ত্ছারা অর্ধযদান হয়। বিধিবাক্য যথা অথর্ভূমত্যাঃ প্রাজাপত্যং ধতৌ প্রথমে অন্ুকুলেহহনি ৮ অন্বারন্ধঃ ইত্যাদি বিধান দেখ। আশ্বলায়ন-গৃহ্পরিশিষ্ট। ১ অধ্যায় গার্ভাধান। ২০৭ স্কার হইতে পা না, সুতরাং ইহা! অন্য সংস্কারের মূলম্বরূপ | ইহার অকরণে অন্য সংস্কারগুলি ছিন্নমূল তরুর ন্যায় অধঃ- পতিত হয়। | গর্ভাধান-সংস্কার না হইলে ধর্ম-বিষয়ে এ বালকের অধি- কার জন্মে না। তজ্জন্ত সে অপবিত্র ও অসংস্কতাবস্থায় পাপা আর ন্যান্ব থাকে । (৪) পাপাস্মা পুত্র পিতার পুক্লাম-নরক- নিস্তারক হয় না। ধর্রশান্ত্রের নিয়মানুসারে বৈধ ধার্টিক পুল্রই পিতৃলোকের পুন্নামনরক-নিস্তারক ও কুল-সন্ততি-বদ্ধক। তদ্ধার! পিত্রাদির ওদ্ধদেহিক কাধ্য নির্বাহ হয়। মনুষ্যের আযুক্কাল নিতান্ত অস্থির। অতএব যথাঁকালে পুজোত্পাদন দ্বারা পিতৃখণ-পরিশোধার্থে ও গৃহস্থাশ্রম-রক্ষার্থে ভাূ্যার প্রথম খতুতেই যথাবিধানে গর্ভাধান করা আবশ্যক । কারণ শরীরের অনিত্যতা ও কালের কুটিলতাি হেতু দৈবাৎ যূদি পুভ্রোৎ্পাদ্দন না হয়, তবে অবশ্তই খ্র ব্যক্তিকে কর্তব্য কর্্বের অকরণ-নিবন্ধন নিরক্রগামী হইতে হয়। পত্থীর খতু- কালে তৎসহবাস না কর! মহাঁপাতকের কার্য । তাহ! না যদা খতুমতী ভবতি উপরতশোধিতা তদ সম্ভবকাঁলঃ। ধতুঃ প্রজাজননযোগ্যকালঃ। তন্িমিতেন নৈমিত্বিকং গমনং কার্ধযম্‌ অকুর্বতঃ প্রতাবায়ামিষমঃ। গৃর্ভাধার গ্রকরণে নংক্কারতত্ে ভবদেবতটধৃত গোঁভিলবটন । (8) বৈদিকৈঃ কর্মতিঃ পুট্যেিষেকাদিদি'জম্মনাম্‌। কার্ধাঃ শরীরসংস্কারঃ পাঁধনঃ প্রেত) চেহ চ॥ গার্ভৈহ্বো নৈর্জাতবন্ম-চৌডুমৌন্রীনিবন্ধনৈই। ৈড়িকং গার্ভিকং ছৈনে। ছিআানাধপনজাতে | সঙ! ২অ | ২২৭ ২০৮ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা করিলে ভ্রগহতার পাঁপ জন্মে । (৫) ইত্যাদি বহুবিধ হেতু বশতঃ আদ্য খতৃতেই বেদবিহিত ধর্মাক্রিয়া সম্পাদনপুর্বক গর্ভাধান আবগ্তক। কারণ, প্রথম উপস্থিতি পরিত্যাগ করিলে নান! বিশ্ব ঘটিবাঁর মম্ভাবনা। খধিগণ অনিষ্টাশস্কীয় আদ্য খতু- কেই গর্ভাধানের মুখ ও প্রকৃত কল বলিয়া নির্দেশ করিয়ান্ছেন। এই সংস্কার ছার! কেবল ভ্রণের শরীর ও আত্মার পবিত্রত। জন্মে এরূপ নহে, ইহী' দ্বার! পুত্রজননের ক্ষোন্পের সার্বকালিক পবিত্রতা সম্পাদিত হইয়া থাকে । দ্বিতীয়াদি পু জননসমরে আর বৈদিক-মন্ত্রাত্মক সংস্কারের আবস্তকতা থাকে ন!। স্পা শিলার দশ সংস্কার । দ্বিজাতিজয়ের দেহপুদ্ধি, অন্তঃশ্ুদ্ধি ও আত্মশুদ্ধিবিধা- যক অনেকগুলি বৈদিক সংস্কার আছে, তন্মধ্যে দশটা গ্রধান ॥ যে দশটার আরস্তে নান্দীমুখ শ্রাদ্ধ (৬) ও হোমক্রিয়া সম্পাদন 2 257555535255555545-22228:5224 (৫) ধতুস্নাতা তু ষ! নারী ভর্ভারং নোপনর্গতি। সা মৃতা নরফং যাতি বিধব1 চ পুনঃ পুনঃ ॥ ১৩। ধতুন্নাত।ং তু হো ভারাং স্নিধো নোপদর্পতি। ঘোরারাং জণহত্যায়াং যুদযতে নাও সংশয়ঃ | ১৪ ... পরাশরসংহিতা | ৪ অধ্যায়। (৬) বিবাহাদি কর্ধে তাঁড়াদয়িকতান্ধ করিতে হয়। ইহাকেই নান্দীমুখ শাদ্ধ কছে। | .যখ]কলা পু্রবিবাহেহু প্রবেশে নববেশ্বনঃ। . মামকর্দুণি বালান।ং চড়াকর্মা দিকে তথা দশ নংক্কার। ২০৯ করিতে হয় এবং যে গুলি বৈদিক ক্রিয়ার বিশেষ সাপেক্ষ, সেই- গুলির উদ্দেগ্ত সহ নামোল্পেখ করিলে পাঠকগণ জানিতে পারিবেন যে, আধ্যগণের বেদবিহিত দশবিধ প্রধান মংস্কার- গুলি অবশ্য কর্তব্য । যথা--(১) গর্ভাধান | (১) পুংসবন । (৩) সীমান্তেন্িয়ন | (8) জাতকরণ। (৫) নামকরণ । (৬) অন্পপ্রাশন। ৭) চুড়াকরণ। (৮) উপনয়ন। (৯) সমাবর্তন । ও (১০) বিবাহ । ইহার অকরণে পাপ জন্মে। বৈদিক-ত্রিয়া লোপ হইলে দ্বিজগণের বৃষলত্ব অর্থাৎ শৃদ্রত্ব প্রাপ্তি হয়। ক্রমে এইরূপে জাতিভ্রংশ ঘটে । ক্রমে শ্নেচ্ছভাব দড়ায়। স্ত্রীজাতির গর্ভা- ধানরূপ দ্বিতীয় সংস্কার না হইলে তান্ত্রিক দীক্ষা! হয় না। এক্ষণে ইহ জিজ্ঞাস্য হইতে পারে যে, এই সংস্কারগুলির গ্রধান উদ্দেশ্ত কি, এবং ইহার করণেই বা ফল কি? এবং ংসারাশ্রমের সহিত ইহার সম্বন্ধই বাকি? ইহলৌকিক ও পারত্রিক পবিভ্রতাসম্পাদনপুর্মক ধর্মসাধনই এই সমুদরধ ক্রিয়ার মুখ্য উদ্দেস্ত। | এই সংস্কারগুলি পরম্পর-সাপেক্ষ, নিরপেক্ষ নহে। দি, জাতির পক্ষে তান্ত্রিক দীক্ষাও দশ-সংস্কারের সাপেক্ষিক কিয় ক সীমন্তোনয়নে চৈষ পুত্রাদিমুখদর্শনে | নানদীমুখং পিতৃগণং পুজয়েৎ প্রধতো গৃহী ॥ বিষুপুরাণ। ছলোগ-পরিশিষ্ঠেও এইরূপ লিখিত আছে-- | 'পিতৃভাঃ পিতা দদ1াৎ ঈতদংসকার করম ॥ পিওানো€হনাত্েখাং তভাবেহপি ছতরনাং ॥ ২১০ ভারতীয় আর্য্যজাতির আদিম অবস্থা । বিশেষ । অদীক্ষিত ব্যক্তির তান্ত্রিক পৃজাদিতে অধিকার থাকে না। উপনীত ও দীক্ষিত ব্যক্তিরই বৈদিক ও তান্ত্রিক কার্ষ্যে তুল্যাধিকার জন্মে । স্ত্রীও শূদ্রের বৈদিক কার্যে অধিকার নাই । কিন্তু তান্্িক কাঁধ্যে বিশেষ অধিকার আছে। গর্ভাধানানুষ্ঠান | যে সংস্কারের যাহা উদ্দেশ্য ও প্রয়োজন) তাহা! তথায় বলা যাইবে। গভাধানের গ্রয়োজনাদি পুর্ধেই উক্ত হইয়াছে। কুলাচার তানুসারে জ্তীকে পঞ্চামৃত বা পঞ্চগব্য পান করান হয়। পঞ্চ- গব্য পানের মন্ত্রে ্প্টই উপলব্ধি হয় যে,ন্ত্রী জীববৎসা হইয়া স্থপুল প্রমব করবে । আধ্্যগণ পত্বীকে সুভগা ও কল্যাণী করিতে ইচ্ছা করেন। তাহাদিগের মহতী ইচ্ছা! এই যে, পুর দীর্ঘাঘু, যশস্বী, তেজন্বী, নীরোগ 'ও নির্বিঘ্ব হয়। গর্ভাধান- কারধ্যের এই চরম উদ্দেশ্য । ইহার সহিত পাতিব্রত্য ধর্শের বিশেষ সন্বন্ধ। পরীর প্রীতি সম্পাদন গৌণ অভিধেয়। (১) (১) ও জীলবৎস। ভব ত্বং হি দ্ুপুত্রোৎপত্তিহেতবে | অন্মান্থং নর্বকলযাণি অনিদ্বগর্ভধাহিণী। দীর্ঘাযুষং বংশধরং পুতং জনয় হরতে ॥ ভবদেব-ভট-কৃত সংস্কার-গদ্ধতি । গর্ভাধানে নূর্ধ)ধর্য দানের যে »্টা মন্ত্র আছে, তাহারও তাৎপর্য রাগ । পুংসবন। যে কার্য দ্বারা গর্ভস্থ ভ্রণকে পুরুষভীবাঁপন্ন করা হয়, তাহার নাম পুংবন বা পুংবীকরণ। এই ক্রিয়! তৃতীয় মাসে সমাধা করিতে হয়। আমুর্কেদোক্ত ওষধ ও প্রক্রিয়া এবং গক্সামাদির মন্ত্রাসারে ঈশ্বরের নিকট পুক্র প্রদানের প্রার্থনা জানাইতে হয়। সে প্রার্থনা এই যথা_-হে বধু! অগ্নি, ইন্্র দেব ও বৃহস্পতি গ্রত্থতি পুরুষগণ যেপ্রকার বুদ্ধি ও বিভব সম্পন্ন, ঈশ্বরের অনুগ্রহে তুমিও তদ্রপ সর্বাগুণসম্পন্ন পুন্র লাভ কর।।২) দৈব ও পৈত্র্য কার্যের করণ দ্বারাই শুভাদৃষ্ট জন্মে। শুভী- দুষ্ট শুভকাল ও ষত্র একত্র পিপ্তীকৃত হইয়া! পুত্র উৎপাদন করিয়া দেয়। যেস্থলে ইহার ব্যতিক্রম ঘটে, তখায় পুত্র জন্মে না। প্রথম গর্ভকালেই পুংরবনের বিধি দেখ! যায়। অন্য গর সময় এই কাধ্যের আর আবশ্যক দেখা যায় না। সীমন্তোন্নয়ন। আধ্যগণ ইহা বিশেষরূপ অবগত ছিলেন যে, গর্ভাবস্থায় গভিণীকে গর্ভদোহদ দিতে হয়। গর্ভপোহদ দ্বারা গর্বিবীকে ঈষ্টা ও পুষ্টা রাখিলে ভবিষ্য বালকের বল, বীর্য, বুদ্ধি ও রি (২) ও' পুমান্‌ অগ্িঃ পুমানিন্রঃ পুমান্‌ দেবে! বৃহস্পতিঃ এ ৮৮ পুত্রং রা তৎ গুদ জায়তা মূ॥ | বামবেরীয় গুংসরনপদ্ধতি।, ২১২ ভারতীয় আর্্যজাতির আদিম অবস্থা । সংপখে প্রবন্তিত হইবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা। পুভ্রের শুভ সাধন ও বধূর প্রীতি সম্পাদনই এই ক্রিয়ার মুখ্য উদ্দেশ্য। তদ্বেতুই বদন ভূষণাদি প্রদানপুর্বক গর্ভদোহদরূপ সীমস্তোন্নয়ন সংস্কার সম্পাদন কর| অনেক কুলের কুলাচার। এই কাধ্য যথারীতি সমাধা হইলে অভিজনগণ গর্ভিণীকে শক্তি অনুসারে সম্প্রীতির নিদর্শনস্বরূপ (সাধ অর্থাৎ অভিলাধান্ক্ধ্প খাদ্য, বঘন ও ভূষণ) গঠদোহদ দিয়া থাকেন। অভিজনবর্গ এইরূপে গর্ভিণীকে পাবত্রাবস্থায় রাখিয়া নিরন্তর তাহার আনন্দ সম্পাদন করিয়। থাকেন । (৩) গর্ভদোহদের পুর্ধবন্তী বৈদিক ক্রিয়ার নাঁম সীমস্তোন্নয়ন। ইহাতে গর্ভিণীর অঙ্গ ও কেশ সংস্কার পৃক্বক সীমন্তের উন্নয়ন করা হয়। ইহার কাল কুলাচার অনুসারে সপ্তম বা নবম মাসে অনুষ্টিত হইরা থাকে। কোন কোন কুলে এই কার্ষোর গরিবর্তে কেবল পঞ্চামূত ভক্ষণ করান হয়। ইহাই পুংসবন ও সীমন্তোন্নয়নের অন্ুকল্প-স্বরূপ। পাশপাশি পপপপপীপপিপ (৬) শ্বামী। ও' যেনাদিতেঃ মীমানং নয়তি প্রজাপতিরেবত। তরিশ্বেতয়। শললা| সীমন্তে্য়নে বিনিয়োগঃ। ও যাস্তেরাকে হমতয়ঃ হপেশনে যাতিদদ[নি দাগুষে বহুনি তাভিরোইদয সুমনা উপ!" গাহি । গহত্্পেষং স্ৃতগেররগা। ও' গজাং পশূন্‌ নৌভাগ্যং মহ্াং দীর্ঘাযুষ্টং পতুযঃ | তিতে। বধুঃ সর্বং ভবছুক্তং পশ্যামীতি বদেখ। ও' আয়মুর্জবতো। বৃক্ষ উজ্্ী'ব ফলিনী ভব। পন্নং ধনম্পতে নুত্বা নুত্বা চ সুয়তাং ংরয়ি।? নু নামবেদীয় সীমন্তোন্য়ণ-গ্রকরণ |. জাতকরণ। ২১৩. গ্রজাঁপতি কশ্ঠপ, দেবমাঁত। অদ্তির সুথসাধন ও তৃপ্তি- ভেত তাহার লীমন্ত উন্নয়ন করিরাছিললেন। ভাহাতেই দেব- গণ প্রভাবশারী ও অন্যের অঙ্গেয়। হে বধু! তুমি অদিতির নায় স্থুসন্তান প্রসব কর। তোমার সন্তানগণ ধেন সর্ব- সৌভাগ্যশখলী ও দীর্ঘান্ু হয়। তুমি কল্যাণী ও বহুফলপ্রস- বিনী হও এবং স্বামীর সখ বদ্ধন কর। জাঁতকরণ। আর্ধাজাতির গাহস্থা আশ্রমের ফল পুক্রগ্রাপ্তি। পুক্র- জননশ্রবণে পৃন্দতন আধ্যগণ ষেপ্রকার আনন্দ লাভ করি, তেন, নান। বিদ্ব ও নানা হেতু বশন্ঠঃ অধুনাতম আর্ধাগণ তাদৃশশ আনন্দ লাভ করিতে সমর্থ হয়েন কি না, তাহা রা কঠিন ব্যাপার । তীহার1, পুল না জন্মিলে পুত্রের প্রতিনিধি করিতেন। অর্থাৎ দন্তকাদি পুন্র গ্রহণ না করিরা আপনাকে নিরাশ্রয়্ ও নিঃসন্তান রাখিতেন না । অপুত্রক থাকা তাহা- দিগের পক্ষে ধর্মবিরুদ্ধ কার্ষ্য বলিয়া পরিগণিত ছিল। পুক্র- জনন দ্বারা পুন্নাম নরক হইতে নিস্তার হয়। পুত্রই কুলসন্ত্ভি নিস্তারের হেতুড়ৃত। স্থৃতরাং তাহার জননে কেন না | আনন্দ. শোত উদ্বেল হইবে? পিতা পুত্রের জনবৃ্তন্ত শুনিয়া আহ্লাদে গগদন্বর ও গুলকে তত হয়েন। তখন তাহার হৃদয় ঈশ্বরের প্রতি-ডক্তিতে আর্ত হইতে খাকে। সমস্ত সন্ধি উ্েজিত হয়। এই কালে জনক দরিদ্র দান, ঈশ্বরে ২১৪ ভারতীয় আর্যযজাতির আদিম অবস্থা । বিশেষ পুরা ও ধ্যান, বদ জনে আমোদ, গুরুজনে ভক্তি ও পুজা প্র্ধান করেন । (৪) এখন ষষ্ঠ দিবসে এই ক্রিয়ার অন্কল্পস্বরূপ স্থৃতিকা-যণঠী পুজা হয়। জাতকরণের প্রধান টদেশ্য শিশুর পবিত্রতা ও সর্বাঙ্গীণ কল্যাথসাধন। পিহৃলোকের নান্দীমুখ শ্রাদ্ধ এবং দৈব ক্তিয়া- রূপ শুভ স্বস্তযয়ন সম্পাদন ব্যতীত অভীষ্টফল-সিদ্ধি হয় নাঁ। এই কারণে পিতা! পুব্রজনন শ্রধণমাত্র সপরিচ্ছদ স্নান করিয়া দানাদিপূর্বক কৃত-নিত্য-ক্রিয় হইয়। দৈব হোম ও নান্দীমুখ করেন। শিশুর নাড়ীচ্ছেদের পুর্বে ফল, পুষ্প ও ধান্য, দূর্ববা, ও কাঞ্চনাদি সংযোগপুন্বক পুত্রমুখ নিরীক্ষণ করা বিধি। এই কার্ধ্যান্তে শিশুর নাড়ীচ্ছেদ ও অভিম্নেক করা রীতি। স্তন্যপান করাইবার পূর্বে স্বর্মংযোগে ঘ্বৃত দ্বারা শিশুর জিহ্বার ক্লেদ দূরীকরণ ও মাজ্জন করা হয়। (৫) ৪ ) স্বাধযায়েন ব্রতৈহবোখৈ্ৈণিদোনেজায়া হুতৈঃ। | মহাযট্জৈশ্চ ঘজ্ৈশ্চ ব্রাঙ্মীয়ং ক্রিয়তে তনুঃ ॥ ২৮। হ। মন্তু। জ[তে পুত্রে ণিতা শ্রত্বা নচেলং স্বানমাচরেও | | ত্রাঙ্মণেভে)1 যথাশঞ্তি' দত্বা। বালং বিলে [কয়ে ॥ দেবল-বচন। কৃত্যচিন্তামণি। শ্রন্বা বালন্য বৈ জন কৃত্বা বেদোদিতাঃ ক্রিয়াঃ। | অচ্ছিন্রনালং পশ্যেত্বং দত্বা রুক্সং ফলাম্বিতম্॥ গর্গনংহিতা। (৫) ও" প্রজাপতিখ্ষি গায়ত্রী চ্ছন্দ ইন্ত্রো দেবতাকুমারস্য পি: প্রাশনে বিনিয়োগঃ | ও" সদসম্পতিমন্তুতং প্রিয়মিল্্রস্য কাম সনিং মেধাম্যাসিষং শ্বাহ!। ইতি কুমারনা জিহ্বাং পরিমাষ্টি। নামবেদীয়জাতকরণ। তবে নামকরণ । বস্ত্র ও বাক্তি মাত্রের যখন একটা সংজ্ঞা আছে, এবং সেই জ্ঞা নার্দিলে অপর বস্ত বা ব্যক্তি হইতে তাহাকে পুথক্‌ কর! যায় না; তখন বালকের একট! নাম ন| দিলে তাহাকে অন্য হইতে বিশেষ করিবার উপায় থাকে না। অপিচ চেতন বস্তর মধ্যে মনুষ্যের বুদ্ধি ও বাক্শক্তি থাকায় জ্ঞান- যোগের আরস্তে শিশু সকল বিষয় জিজ্ঞাসা করিতে থাকে, ও তাহার নাম কি, তাহাঁও বুঝিতে অভিলাধী হয়। অতএব অগ্রে শুভ লগ্নে শুভ নাম দেওয়া কর্তব্য, এই বিবেচনায় দশম, একাদশ বা দ্বাদশ দিবসে, অথবা গশুভলগ্নে রাশি অনুসারে নাম নির্বাচন করা! গ্রথা ছিল। অধুনা প্রায়ই অন্নপ্রাশনের সময় নামকরণ হইয়! থাকে । বালকের অভ্যুদয় জন্য পিতলোকের নানদীমুখ শ্রাদ্ধ করিতে হয়। এই কার্ষ্য জন্ম-বার, জন্ম-তিথি, জন্স-মাস, জন্ম-নক্ষত্র ও তদধিপতিগণ প্রধানরূপে পৃজনীয়। তাহারাই মঙ্গল-বিধায়ক। তজ্জন্যই তাহাদিগকে উপলক্ষ করিয়া ঈশ্বরোপাসনা হয়। (৬) | (নিক্রামণ 1) এই ক্রিয়াও বেদবিহিত। ইহারও উদ্দেশ্য সং, মহত ও মঙ্গলদায়ক। জনক জননী সর্বদাই পুত্রের অনিষ্টাশস্কা করেন, (৬ গ্রজাগতিখ [িরাদিতে। দেবতা নামকরণে নয ম দ্বাহে পরি দাতা রাহে পিদাতু। বা . ইত্যাদি মনতরমূহ আছে।... ... :. রি ২১৬ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির নাদিম অবস্থা । তাহাকে সহসা গৃহ হইতে অনাবৃত স্থলে আনিতে হইলে, এবং ব্রন্গাণ্ডের পদার্থনমূহ্র গ্রহাক্ষ করাইতে হইলে, অগ্রে ঈশ্বরের সৌম্যমুন্তিই দেখান উচিত। তদনুসারে পিতা মাতা ভয়ে শিশুর আনন্দ সম্পাদন জন্য সব্ধাগ্রে তাহাকে বিশ্বের আননপ্রদ ঈশ্বরের অষ্টমৃদ্টি' একতম মূর্তি চন্্র দেখান। এই কাধ্য অতি পবিত্র ও সুমধুর সমরেই সমাধান করা রীতি। শিশুর বখন তিনমান বরঠক্রম অতীত হর, ততৎকালে পুরু" পক্ষেন তৃতীয়া তিথিতে মথবা শুভ লগ্নে প্রাত;কালে তাহাকে স্নান করান হয়। এবং এ দিন সন্ধাাননয়ে জায়াপতি নংযমী হইয়া ঈশ্বরের নিকট শুভ প্রার্থনাপৃ্ক পুত্রকে চন্দ্র দেখান। যদি কুমার তৎকালে অসুস্থ থাকেঃমথবা কোন প্রতিবন্ধক ঘটে, তবে বয়ান মধ্যে কোন এক গুভ তিথিতে চন্দ্র-সনর্শন করান হয়। অথবা ষষ্ঠ মাসেও এই কাধ্য হইয়। থাকে। ইহাতে হোমাঁদ ক্রিরা বা নান্দীদৃখ শ্রান্ধ কাধ্য দেখ! যায় না, কন্ধ ইহা দশ নংদ্গারের অন্তর্গত মবাস্তর সংস্কার বিশেষ । (৭) পপিপলী পপপপপাপাশীপপ শসা পীরপাপটা পপি পপ শ পপি সপ লানধেরং দখনযান্ত দ্বাদশ, / বাস) কারয়েং 1 পুণে (তথো। নুহুত্তে বা নক্ষত্তে বা গ্রণান্িতে ॥ ৩1 ২। মনু। (৭) ও যন্ডে সষাদে ধদয়ং হিভনন্কঃ আঞজজাপতে। দেবাহং নন্যে তত্্গ গাহং পৌতরনঘং নিগাম্‌॥ ও যং পৃথিব। অনান্ৃতং দিবি চক্র প্রিতমৃ। দেবা মৃতসাহং নামসহং পৌলসথং ঝষমূ॥ ও ইন্্রাী শশ্ব বচ্ছঠং প্রজারে মে এজাপতী | বথায়ং ন প্রনীয়েও পুত্রো অন্য আধি ॥ ভবদেৰ( চছুর্ে মানি কর্তন শিশো নাসণং গৃহাৎ। বঠেহর প্রাশনং মানি যে জমলাং কুলে ॥ . স। বজ। ৩1 অন্নাশন | শিশু যখন ক্রমশঃ ষষ্ঠ মাসে উপস্থিত, তখন তাহীর ক্ষুৎ- পিপাসা বৃদ্ধি হইতেছে, স্থির করিতে হয়। তখন সে বড় চঞ্চল € ভোজন জন্য সদা ইতস্ততঃ প্রধাবিত; তখন জানুমঞ্চালনে হামাগুড়ি দিয়া) বেড়ায়, যাহা সম্মুখে দেখে, তাহাই খাইতে চষ্টা করে। স্ৃতরীং এ সময়ে আর তাহাকে কেবল দুগ্ধ দ্বারা শান্ত রাখা যায় না; পুষ্টিকর ভোজ দিবার আবশ্যক হয়। আধ্যগণ কোন কার্ধ্যই ঈশ্বরোপাসনা এবং পিতৃকৃত্য সমাধা না করিয়া আরস্ত করেন না। বিশেষতঃ একটা বিশেষ নিয়ম- পরবর্তন-কার্ো ঈশ্বর ও পিতলোকের প্রতি ভক্তিমান্‌ হইয়| মান্ম্মর্পণপুর্নক কাধ্য আর্ত করিলে তদ্বিষয়ে সুমঙ্গল হয়। অমঙ্গলের আশঙ্কা থাকে না। বন্ধাণ্ডের যাবতীয় কার্য শঙ্কাসঙ্কুলিত, অতএব কাধধ্যারস্তে বিপ্র-বিনাশ জন্য পিতৃলোক, দেবলেক ও পরব্রঙ্গের উপাদন! করা নিতান্ত কর্তব্য। দু্ধপোষ্য শিশুর কাস্তি, পুষ্ঠি, আয়ু, বল, বুদ্ধি, তে, রক্ত, মাংম ও মজ্জাদির বৃদ্ধি করণই ভোজ- নের মুখ্য উদ্দেশ্য; দেই প্রয়োজন-াধন জন্য অক্নের প্রশংসা ও তদধিষ্ঠাত। সুর্যযদেবের স্ততিজনক বৈদিক ক্রিয়াকলাপ সম্পন করাই এই কার্য্ৈর গ্রধান অঙ্গ। ম্ত্গুলি শিশুর স্বস্তি, শা ও মৌভাগ্য সম্পাদক । আরও কয়েকটা মন্ ্াঙ্ছে দম পয গর্যালো ক ঃ ক তাহ বড বি, 2 রা রর বা টিন ও 1৮55 25 আচ এ 7585 তা এও ০ ঢ ১০23 3214-88-55 ০0 হ ্ চার 85 5 সত 0 ২১৮ ভারতীয় আর্ধযজাতির আদিম অবস্থ। । তাহা'র তৃপ্তি-সাধন, কান্তি ও পুষ্টরর বৃদ্ধি করণ, চিরাধুর্মনন, আরোগ্য-সম্পাদন, এবং সৌভাগ্য-পরার্থন, পিতার একান্ত বাঞ্চনীয় ও উচিত কাঁধ্য। ষষ্ঠ বাঁ অষ্টম মাসে এই কার্ধ্য সমাধা করিতে হয়। অথবা কুলাচার-অন্গনারে দশম মাসেও হইয়া থাকে। এই সময়- মধ্যে কোন ব্যাঘাত ঘাটলে চুড়া-করণ-কালে অথবা উপনয়নের সময় অন্নাশন ও চুড়া-করণ সম্পাদন-বিধি দেখা যায়। কিন্ত প্রায়শ্চিন্তাত্মক মহাব্যান্বতি হোম না করিলে এই ক্রিয়াগুলি সিদ্ধ হয় না। ক্রিয্নাগডলি বখাক্রমে করিতে হয়। (৮) চুড়াকরণ। এই কার্ধ্যও দশ সংস্কারের অন্তর্গত । তৃতীয় অথবা পঞ্চম বর্ষ মধ্যে সমাধা করিতে হয়। ইহার উদ্দেশ্য গর্ভাবালাবস্থার কেশমুণ্ডন ও কর্ণবেধ-সম্পাদন) এবং বালকের শারীরিক শোঁভ। সম্পাদন করাও এই কার্যের আনুষঙ্গিক প্রয়োজন। (৮) দংহ্কার! অতিপত্োরন্‌ ক্বকালাচ্চ কথঞন। হত্বৈতদেৰ কুব্বী্ত যেতৃপনয়নাদথ ছান্দোগপদিশিষ্টে। ও" অঙ্গাৎ অঙ্গং সংশ্রবমি হৃদয়াদধি জায়সে, প্রাণন্তে প্রাণেন সন্গধানি জীব যাবদায়নং। ও' অঙ্গাৎ জঙ্গং সন্ভৃবসি হায়াদধি জায়সে। আতা! বৈ পুত্রনামাণি সংজীব শরদঃ শতং। ও অশাতয পরণুর্ভব হিরথামমৃতং ভব । আক্মাদি পুজ মা স্বখাঃ সংভীব পরদঃ শতং | . ততোহনেন যন্ত্র পিত| কুমারসা শিরে। দিজকি। গৃহপরিশিি$) উপনয়ন-সংস্কার বাঁ লাঁবিত্রী-গ্রহণ । ২১৯ ধাহার গ্রসাদে সেই শরীর নির্বিঘ্ে এতদিন অতিক্রম করি- যাছে ও ক্রমেই বদ্ধিত হইতেছে ও যাহাতে আত্মা ও মনের ্্তি হইতেছে, সেই পরম ব্রন্ধের ধ্যান পৃজা ব্যতীত কখনই বালকের শারীরিক শোভা ও মানসিক ক্ষুর্তি হইবার সস্তাবনা নাই। অতএব অগ্রে তাঁহার আরাধন। কর্তব্য । বাহাদিগের কুল-সন্ততির বিস্তৃতি জন্য ভূমগুলে জন্মগ্রহণ, তাহাদিগের মানন্দ-বর্ধনার্ঘে নান্দীমুখ শ্রাদ্ধ করা অতীব প্রয়োজনীয়। অকরণে প্রত্যবায় জন্মে। পরকালে নরকগামী হইতে হয়। অতএব কেনই বা এই ক্রিয়ায় আধ্যগণের অমনোষোগ ও ভক্তি জন্মিবে ? এই ক্রিয়া পুন্রের বাল্য, যৌবন ও স্থবিরা- বস্থার স্বস্তায়ন স্বরূপ । (৯) উপনয়ন-সংস্কার ব! সাবিভ্রী-গ্রহণ | ইহা! বৈদিক অষ্টম সংস্কার । ইহার নাঁম মৌন্তীবন্ধনও বলা যায়। এই সংস্কারের প্রধান অঙ্গ সাবিত্রী-মন্ত্র গ্রহণ। দাবিরী-মন্ত্রগ্রহণ দ্বারা দ্বিজত্ব জন্মে। তৎকালে বেদাধ্যয়নে অধিকার হইয়া থাকে । এই কার্ধ্যে দ-গ্রহণ আছে । ব্রাহ্মণ জাতি বিন্ব ও পলাশ যষ্টি) ক্ষত্রিয় জাতি বট ব! খদির ষষ্টি ও বৈশ্য জাতি উদ্ুপ্বর অথব! পীলু যষ্টি ধারণ করেন। বিপ্রগণের কেশান্ত পর্য্যন্ত দণ্ডের উচ্চতা করিবার নিয়ম; রাজন্যের (৯) ও" হমদগ্ে ভ্রযামুষং ও' ক্ঠপত্ত ভ্র্ায়ং ও অগন্থাসা াযুং ও' বদেবানাং জ্যাযুষং ক তত তেহস্ত তরযাযুষং । যাজ- ইবির ত্বানি ততজ্্যাযুবং তে ভং তে গুতযন্তব 1 দাদখেণী | টু. তিলক খা গবং ২২০ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । পক্ষে কর্ণ পর্য্যন্ত দীর্ঘ হইলেই উপযুক্ত হইল; বৈশ্যের নাসা পর্য্যন্ত দীর্ঘ হওয়া আবশাক ॥ এই সকল দণ্ড অগ্রিতে আহুতি দিয়া বংশদণ্ড ধারণ করিতে হয়। উহা সমাবর্তন-কালে আপোনারায়ণে সমর্পিতি হইয়া থাকে । (১০) মৌন্ত্রী মেখলা-অর্থাৎ উপবীত-ধারণ বিষয়ে এই নিয়ম দেখ! যায়, যে, দ্বিজাতিমাত্রকে অগ্ডে মু্জাগ্রথিত অথবা কুশ- নির্মিত উপবীত স্কন্ধে ধারণ করিতে হয়, তংপরে কৃষ্ণলার মগের অজিন নিশ্সিত উপবীত গ্রহণ করা রীতি। তৎপরে সার্ধকালিক উপবীতের নিমিন্ক জীতীর অধিকার অনুসারে ব্রাঙ্গণের কার্পাসনিন্িত নবগুণবিশিষ্ট ত্রিদপ্তী, ক্ষত্রিয় জাতির নবগুণবিশিষ্ট শণতান্তবী, ও বৈশ্যের উপানিন্মিত নব গুণসম্পন্ন ত্িগুণাত্মক ঝ্রিদণ্তী ব্যবহার করিবার বিধি। (১১) কিস্ এখন দ্বিজীতিত্রয়ই কার্পাসস্থত্র নির্মিত উপবীত ধারণ শিপ" ০ (১০) ব্রাঙ্মণো বৈল্পালাশৌ ক্ষতিয়ো বাটখাদিরো। পৈলবোডুম্বরৌ বৈশ্থে। দঙানহস্তি ধর্ঘতঃ ॥ ৪৫1 মনু! হ। কফ রোরবান্তানি চর্দবাপি ব্রহ্মচারিণাম। বদীরন্নানুপূর্বেণ শাণক্ষৌমাবিকাঁনি চ॥৪১॥ এ মৌস্তী ভ্রিবৃৎনম! মক্ষা কার্ধা বিপ্রদ্য মেখল1 । ক্ষত্রিয়স্য তু মৌব্বীঁজ্যা বৈহ্বানা শণতান্তবী॥ ৪২॥ এ মুগ্জালাভে তু কর্তবা | কুশাশাস্থকনহজৈ:| তরিবৃতা গ্রস্থিনৈকেন ত্রিভি? পঞ্চভিরের ব1॥ ৪৩1 এ কার্পাসমুপবীতং স্যা্িপ্রস্ধকৃতং তিবৃৎ। শণহুত্রময়ং বাজে বৈশ্ঠনয।বিকসৌঝ্রিকনু ॥ ৪৪ ॥ & সাল (১১, উপ্পনয়ন-সংস্কার ব1 সাবিত্রী-গ্রহণ। ২২১ করিতেছেন। প্রকৃত ধার্দিক ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য যথাক্রমে কিঞ্চি- ন্নাত্র শণ ও উ্ণ। সংমিশ্রণপূর্বক পবিত্র প্রস্তত করিয়! লয়েন। এই কার্যের নাম ব্রন্ষচর্যযাশ্রম-গ্রহণ | ইহার উদ্দেশ্ত অতি মহৎ। এই কার্ধ্য দ্বার] ইন্্রিয-সংঘম করিতে হয়। বিষয়-উপভোগ-বাঞ্ধর প্রতি একান্ত বিরক্তি জন্মান ও পরমার্থ- তত্ব্ঞান-লাঁভই এই সংস্কারের মুখ্য প্রয়োজন ও কার্য্য। তজ্জন্য এই ব্যাপারে ভিক্ষা-বুভ্তির এত প্রশংসা । এইটী আশ্রমচতু- ঈয়ের প্রথম ও শ্রেষ্ট । | এই আশ্রমীকে ব্রহ্মচারী বলে। ব্রহ্মচারী সংযতভাবে ও নিম্পৃহরূপে সংসারে অবস্থান করে । তীহাদিগের মধো জাতি অন্থুণারে ব্রাহ্মণের পক্ষে শণসুত্রনিক্মিত অধোবমন এবং কৃষ্ণসার মগের চর্ম উত্তরীয় গ্রহণ করা প্রশস্ত । ক্ষত্রিয়ের পক্ষে ক্ষৌম অধোবপন এবং রুকুমুগ চর্মের উত্তরীয় করা ব্যবস্থা। বৈশ্ঠ- জাতির পক্ষে ছাগচন্মের উত্তরীয় এবং মেষলোম নির্মিত অধো- বসন ব্যবহার করা শাস্ত্রীয় আদেশ ও প্রথা । কিন্তু এক্ষণে এই সকল প্রথা পরিবন্তিত হইয়া গিয়াছে । যজ্ঞোপবীতের সঙ্গে কঙ্চসার মুগের চর্দুথগড যোজিত করা হয়। বসনগ্রহণস্থলে গৈরিকরঞ্জিত কার্পাসম্থত্রনিশ্শিতি বস্ত্র অথব! পট্টবসন ব্যবহৃত হইয়া থাকে। অধুন! জাতিগত বৈষম্য দেখা যায় না। কেহ কেহ ইহা মনে করিতে পাবেন যে ভিক্ষা-বৃত্তি নিদ্দেশ করিবার ভাৎপর্য্যকি? ইহার মর্ম এই যে, যৎকাঁলে বিদ্যা- ভ্যাস ও তবন্তানে মনোনিবেশ করিতে হয়, তৎকালে ভোগ- লিগ্না একবারেই পরিত্যাগ করা কর্তৃব্য। কোনপ্রকারে মুখাভিলাবী হওয়! উচিত নয়। সর্কগ্রকারে সংযমী ছওয়া। ২২২ ভারতীয় আর্ধজ।তির আদিম অবস্থা । অত্যাবশ্তক। এই কারণেই গুরুকুলে অবস্থানের প্রথম ক্ষণ হইতেই সমন্ত-ভোগ-পরিত্যাগের চিহ্বস্বরূপ ভিক্ষা-বৃত্তির নিদেশ হইয়াছে । তৰজ্ঞানই মুখ্য উদ্দেশ্য । শিষ্টাচার ও বিনয় শিক্ষা ইহার আন্ুবঙ্গিক ফল। অধিক কি, এই ব্যাপারে জননীকেই প্রথম ভিক্ষাদাত্রী হইতে হয়, অর্থাৎ তিনি ইহা] দেখান যে, অদ্য হইতে গুরুকুলে অবস্থানকালপর্ধান্ত ব্রহ্গ- চারীকে নিম্পৃহ ও বিনীত হইয়া চলিতে হইবে । পিতা মাতা তবীয় শারীরিক সুখ সাধন জগ্ত বিরত হইবেন না। গুরুর পরত নমস্ত অপিত হয়। মাতার অভাবে মাতুন্বন, তদভপে নিজ ভগিনী, অগবা ফে উ; ধন্দঢারাকে আগ্রিক মেহ করে, তথাবিধ ললনার নিকট [ভচ্গ। করা উচিত । (১২) “বকুল, জ্ঞাততকুল, বা মাতুল-কুলের গৃহে ভিক্ষী করিতে নাই । এতদ্যতীত ভিক্ষার স্থল ন! থাকিলে অগ্রে মাতুলকুল (১২1 নাতির? বাস্বনারহ ব মাতুবা ত 1 শিজমূ। ভিক্ষেত ভিক্ষা শ্রথমং যাচৈনং নাধমানয়েখ ॥ ৫৯ ॥ মনু ২। গুরেঃ কুলে ন ভিক্ষেত ন জ্ঞাতিকুল্বন্ুযু। অলাে তম্যগেহান]ং পূর্বং পুবলং বিবজ্জয়েৎ॥ ১৮৪ ॥ এ বঞ্জয়েদ্বধু মাংসক গন্ধং মাল্যং রসান শ্্রিয়মূ। শুস্কানি ঘানি দব্বাণি প্রাণিন'ক হিংসনম্‌॥ ১৭৭ এ অগাজনহধানক্া কষে রুগানস্থত্রধারণম্‌। কাম ক ধক লোতঞ নর্তনং গীতবাদনম্‌ ॥১৭৮॥ এ দুতধ। জননাঞ্চ পরিবাদং তথানৃতস্‌ | | প্রীণাঞ্ প্রেদখালল্মুপপাতং পরষা | ১৭৯ ই সমাবর্তন। ২২৩ তৎপনে জ্ঞাতি, সবশেষে শুরুকুলেও ভিক্ষা করিতে পারে। গুরুকুলে ভিক্ষা-নিষেধের তাৎপর্য এই যে, ভিক্ষালন্ধ বস্থমাত্র গুরুকে নিবেদন করিতে হয়) সুতরাং তদীয় অন্ন ভিক্ষা করিল তাহাকে নিবেদন করা ঈশ্বরের বস্তু ঈশ্বরে সম্প্রদানের ন্যায় । [তি ও মাতুণাদির প্রব্যে আংশিক সংশ্রব থাকে, সুতরাং এই ই স্তলও ভিক্ষার প্রকৃত স্থল নহে | রঙ্গচধ্যাশ্মে দিবানিদ্রাদি আপপত1 ও সব্ধপ্রকার ব অভিনি নধিদ। শিষা এই আশ্রমে হিবর একাস্থু আন্ুবগা হ হইনেন। থে কার্ধা দ্বারা বালককে শিক্ষার্থ গুরুকুলে উ পনীত করা ₹ঘ, তাহারই নাম উপনরন | (১৩) সমাবর্তন । পিন সমাবর্ভর্নটা এক্ষণে উপনয়নের সঙ্গে অন্থভাব হইয়া গিয়াছে ণলিলেও অতুযুক্তি হয় না। বেদাধযয়ন সমাপ্ত ইইলে গুরুর ভন্নুদতিক্রমে গার্স্থাধম্মে প্রবেশের অগ্রো বিদ্যাধ্যয়নের সম্পূর্ণ" হাক্তাপক দণগুবিসজ্জনরূপ বৈদিক ক্রিয়ার নায সমাবর্তন । এই সময়ে গুরুদক্ষিণা দিতে হয়। ইহা নবম সংস্কার । এই ক্রিয়া সমাহিত হলে ব্রহ্মচারী দও ও কমগুলু পরিত্যাগ কাবয়া স্ুখসেব্য বস্ধ ধারখ করিতে অধিকারী । অর্থাৎ বন্ত্া- প্ঈারে ভূষিত হইয়] চর্পান্থক! ধারণপূর্বক রথারোহণ করেন। হহাকেই ত্রক্ষচর্ধোর নিয়মভঙ্গ বলে | রং এই কিয়া দ্বারা 1 শি? পিপি পপ পপি ০/০- টিসি পি পপ শর 2) গৃহযোক্কর্ণা মেন দৃর্মীপৎ নীয়তে গুরোঃ। ্ার্রার্া বাকে। দায় তা গাও বানেপিনয়নং দিুঃ |... স্ৃতিষারে) ২২৪ ভারতীয় আর্য্যজাতির আদিম অবস্থ।। তোগাভিলাষের পুনরাবৃত্তি হয়। তাহার দৃষ্টান্তম্বরূপ রথা- রোহণে কতিপয় পদ আবর্তন ও প্রত্যাবর্তন করিতে দেখ! যায় বলিয়া! ইহার নাম সমাবর্তন ৷ ইহা! দশ সংস্কারের অন্তর্গত উপনয়ন সংস্কারের সাঙ্গতাসম্পাদক সংস্কারবিশেষ। ইহা দ্বিজাতির পক্ষে সংসারাশ্রমে প্রবেশের অধিকারজ্ঞাপক । (১৪) বিবাহ-সংস্কার | বিবাহ্-ক্রিয়! দ্বারা পুরুষ ও স্ত্রীর একাত্মতা সম্পাদন করা হয়। পতি এই ক্রিয়ার বধূকে এইবূপে আশীর্বাদ করেন যে, বিশ্বমংসারে স্বর্গ, পৃথিবী ও পর্বত যেপ্রকার স্থিরা, (এই নারী) তুমি পতিকুলে তদ্রুপ স্থিরা হও। এই বাক্য স্বার্থশূন্য বা অন্বস্তিপ্রদ নহে, বরং সব্দপ্রকারে আনন্দদায়ক ইহার অক- রণে এশ্বরিক নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়, তদ্ধেতু নানাবিধ-পাপ-সঞ্চয় হইবার সম্পূর্ণ সন্তাবনা দেখিয়া খধিগণ বৈবাহিক ক্রিয়ার বিশেষ প্রশংসা করিয়াছেন । 'বিবাহ-ক্রিয়া দ্বারা সংসারের স্থিতিসাধন হয়। নতুবা সাংসারিক ব্যাপার অমঙ্গলময় হইয়া .! উঠে, এবং ব্যভিচারের শ্রোত বর্ধিত হইয়া শাস্তি বিনাশ করে। (১৪) ততো ব্রহ্মচারী প্রজাপতিখধিরুপানহৌ দেষতে উপানৎপরি- ধাপনে বিনিয়োগঃ। ও" নেত্রেটো স্থো নয়তঃ মাস্‌। অনেম ্ত্েণ চর্্পাছুকাযুগলে পাদৌ নিদধ্যাৎ। গৃহ্বপরিশিষ্টে- প্রজা: : গতি বি-িষ্টপ্‌ ছনো। রথে! দেবতা রথাবরোহণে বিনিয়োগ: ।, ও" বনস্পতে বীড়ঙ্ে। হি তৃয়া অন্মৎসখা গতরণঃ সথবীরে গোডিঃ, ইসির বাড়রন্থ | ততোহনেন মস্ত্েণ চতুর্থপাদেনোপবিশতি | 1 মাঙবেদীয় উপনক্নন- 'পন্ধতি। জ্যোতিরি্দ্যা_-ভূসংস্থান | ২২৫. দ্বিজাতিত্রয় পুত্র ও কনা। উভয়েরই জাতকরণাঁদি সংস্কার সম্পাদন করেন। কন্যার পক্ষে বিবাহ ব্যতীত অন্য কোন সংস্কারে মন্তরপ্রয়োগ বা নান্দীমুখাদি করিতে হয় না। বিবাহ্ন- সংস্কার দ্বারা স্ত্রীজাতি উপনীত-দ্বিজ সদৃশ হয়। একমাত্র বিবাহ-সংস্কার-রূপ বৈদিক-ক্রিয়ায় স্ত্রীজাতির অধিকার দেখা যায়। স্ত্রীজাতির পক্ষে একমাত্র স্বামী-শুশ্রযাই সাঙ্গোপাঙ্গ বেদাধ্যয়ন। গৃহকার্য্যই অগ্ব্য।ধাঁনপূর্ব্বক সাঁয়ং ও প্রাতঃকালীন হোম । ইহাই দিদ্ধিলাভের উপাঁয়। উপনয়ন ও সমাবর্তন ব্যতীত, পুত্রের সংস্কারের ন্যায়, যথাকালেও যথাক্রমে, কন্যার শরীরসংস্কারার্থ অমন্ত্রক সমুদায় সংস্কার করিতে হয়। (১৫) কিপপাপ সপ সপাপপলাপাপপাপিদাপিপাপপপাপাী (১৫) ও' প্রবা দেটাঃ ফণা পৃথিনী ধরবং বিশ্বমিদং জগং। ধরবাসঃ পর্দতা ইমে করবা স্ত্রী পতিকুলে ইয়ম্‌॥ ্ সামবেদীয় কুশডিকা- মন বৈবাহিকে। বিধি? স্ত্ীণাম্‌ নংস্কারো 1 বৈদিক; ম্থৃতঃ | গতিপেবা গুরৌ বাসো গৃহার্ধোহয়িপরিকিয়] | ৬৭ ॥ মনু ২1 . অমনস্তিকা তু কার্যে স্ীণীমাবুদশেষ | রিল সং্ধারা্থং শরীরসা যথাকালং যথাক্রমম্‌ ৬৬ ॥ মু ২ 8. .. ইৈমিত্তিকমথো বক্ষে আদ্ধাভগদয়ার্ধকস। ৃ _ পু্ন্মনি তই কার্ধ্যং জাতবর্দসমং নক মাক পুরাণ 2 জ্যোতিব্বিদ্যা--ভূসংস্থান । আধুনিক ভাক্ত সভ্যতাঁভিমানী ব্যক্তিবর্গের অনেকেরই এই কুসংস্কার জন্মিয়াছে যে, ভারতীয় আধ্যগণ ভূগোল, পদার্থ বিদ্যা ও রসায়ন-বিদ্যাদি কিছুই জানিতেন ন1। তাহারা অন্তের নিকট যাবতীয় বিষয়ে খণী। কিন্তু পাঠকগণ যদি প্রমাণ- প্রয়োগ পান যে, তীহারাই অগ্রে সমুদয় নির্ণয় করিয়াছিলেন, টাহাদিগেরই নিকট হইতে আস্তে শিক্ষা প্রাপ্ত হইয়াছে, তাহ হইলে বোধ হয় আধুনিক সভ্যদিগের কথষ্চিৎ বিশ্বাস জন্মিতে পারে। পৃথীর গোলত্বের প্রমাণ সংস্থাপন জন্য আমাদিগকে অধিক প্রয়াস পাইতে হইবে না। চন্রগ্রহণ-মময়ে পৃথিবীর ্ৰায়া চন্দ্র সংক্রমিত হইয়া চন্দ্রকে আচ্ছাদন করে, উহ্াই গ্রহণ- পদবাচা। এই বিশবয়টা ভারতীয় আধ্য জ্যোতির্কিদবর্গ বিল- গণ অবগত ছিলেন । কেহ কহিবেন যে, রাছু ও কেতু ইহারাই চন্দ্র ও সূর্ধাকে গ্রান করে। স্তাহাতেই পূর্ণিমাতে চন্ত্র গ্রহণ ও অমাবস্যায় হ্যা, গ্রহণ হয়। তাহারা আরও বলিবেন যে, ইহারা অস্ুরবিশেষ | ধষিবর্গ কহিতেছেন, পৃথিবীর ছায়া! রাহ ও কেতু নামে খ্যাত হইয়াছে। চন গ্রহণ-সময়ে পৃথ্থীর ছায়া চন্দ্রে পতিত হয়, ্াগ্রহণ-ময়ে চন্দ্রের ছায়া সূর্যকে আচ্ছাদন করে? ইহাই রাহু কেতুর গ্রান বা গ্রহণপদবাচ্য। ১ এ এখন দেখ, পূর্বাচার্য্যের রানু ও কেতু শবে কাহাঁকে নির্দেশ করিয়াছেন। ছায়া অর্থাৎ তমঃ) চত্ত্র ও হূর্যযকে আচ্ছা জ্যোভিবিদ্যা_-হুংস্থা | ২২৭ দন করিলেই চন্দ্র গস্র্য্ের গ্রহণ কহা যায়। পূর্বাচার্যের! কহেন যে, চন্তরগ্রহণকালে পৃথিবীর ছায়া নিম্নদিক্‌ হইতে বক্র- ভাবে চন্ত্রকে উর্ধে আক্রমণ করে। কৃ্ধ্যগ্রহণ-সময়ে চন্দ্রের ছায়া বক্রতাবে সু্্যকে আচ্ছন্ন করে। এখন দেখ, শৌরাণিক- দিগের উক্তির সহিত এই কথাগুলির সামঞ্জস্য হয় কিনা? ব্রহ্ম পুরাণের উক্তি পাঠ করিলে এই জানা যায় যে, কেতু নারায়ণ কর্তৃক এইরূপে অভিশপ্ত হইল যে, চন্তরগ্রহণ-সময়ে পৃথিবীর ছায়াগামী হইয়া সে চন্ত্রকে এবং সুর্য গ্রহণ-সময়ে চন্দ্রের ছায়াগামী হইয়। হুর্ধ্যকে আচ্ছাদন করিবে। এখন ্রহ্ম-পুরাণ পাঠ কর, স্ুর্যযসিদ্ধান্ত আর্ধ্যভষ্ট প্রভৃতির জোতি- বিদ্যা অধ্যয়ন কর, কাব্য আলোচন। কর, শিক্ষা, কল্প শান্ত অভ্ত্যাস কর, অবশ্তই দেখিতে পাইবে যে, খষিগণ অন্যের জন্য কিছু অবশিষ্ট রাখেন নাই। (১) পৌরাণিকদিগের মতে রাহু নারায়ণকর্তৃক দ্বিখণ্ডিত হয়। শিরোভাগের নাম রাছু ও কবন্ধভাগের নাম কেতু। রাহ ও কেতু উভয়েই এক পদার্থ । এখন ইহা জানা আবশ্াক যে, পৃথিবীর ছায়া! ও চক্রের ছায়। কিপ্রকারে যথাক্রমে চস্্র ও হৃর্য্যে পতিত হয়। চন্ত্র- হণ সময়ে পৃথিবী, থয ও চন্ত্রে মধ্যবর্তিণী হইয়া! থাকে, ৮. গর্বকালে তু মংবা্থে রাবী? ছাদযিযাসি। ৃ ভুমিচ্ছায়াগতশন্্ চত্রগোহককং কদাচন ॥ সা । অবৈমি চৈনামনগ্লেতি কিন্তু লোকাপবাদো সবলযান্‌ মতে|ছে। ছায়। হি তৃমেঃ শশিনো যলদেমারোপিড। শুভঃ পরজাতিঃ। . কমন রাহ: বরা: দৈংহিকেছে। বিধুরদঃ। . ইমা ২২৮ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । সুতরাং অবনিকে সু্ধ্যের অধোদিক্রেই অবস্থান করিতে হয়। চন্দ্র, ক্ষৌনীদেবীর কিঞ্চিং উদ্ধে মধ্যবন্তী হইয়া অবস্থিতি করে। অর্থাং এই তিনের কেহই সমস্ত্রপাত ত্যাগ করে ন1। সুতরাং চন্তরগ্রহণ সময়ে ভূমির ছায়া নিম্ন হইতে উর্ধে প্রবেশ করেন। ইহাঁতেই চন্ত্র আচ্ছাদিত হয়। শ্রী আচ্ছাদনকেই গ্রাস শব্দে নির্দেশ করা বায়। কেহ কহিবেন, অবনীমগুল হ্রদ, নদী, বন, উপব্ন, পৰ্পত, সাগর প্রভৃতি দ্বারা অসমতল হইয়! রহিয়াছে । উহা! কিপ্রকারে সব্ধতোভাবে গোল হইতে পারে? তাহার প্রমাণ-সংস্থাপন-জন্য জ্যোতির্কেতীরা ক হিয়া- ছেন যে, কদন্বপুষ্প যেরূপ অসংখ্য ক্ষুদ্র ও বৃহৎ কেশর দ্বার! পরিবৃত ও মধ্যে মধ্যে আবৃতিশূন্য হইলেও সম্পূর্ণ গোল ব্যতীত অন্য কোন আকারেরই বোধ হয় না, তদ্রুপ মেদ্িনীমণ্ডল অসংখ্য পর্বত, সাগর, অরণ্য ও গর্ত দ্বারা পরিবেষ্টিত হইলেও সর্ধতোভাবেই বর্তলাকার (২) (২) ছাদকো ভাক্করস্যেন্দুরধস্থো! ঘনবন্ভবেৎ। ভূচ্ছায়া প্রমুখশ্চন্দ্রো বিশত্যর্থো তবেদসৌ ॥ | সূর্য] সিদ্ধান্ত । নর্ববতঃ পর্ধধতারামগ্রামচৈতাচয়ৈশ্চিত: | কদশ্বকু্ছমাকারঃ কেশরপ্রকরৈরিব | ৃ্ধ্য সিদ্ধান্ত । জেতির্মতে গ্রহণন্বরগং রাহ্‌ঃ পৃথিবীচ্ছায়াং সমাশ্রত্য চন্তরং চন্ত্রমাশ্রিভা রবিং, ব্াচ্ছাদয়তি তৎ গ্রামাথ্যং কিন্ত রবিচন্্রয়ন গ্রতিরোধকম্বরূপে! গ্রামঃ। ইতি জ্যোতিষে। আধুনিক সত্যদিগেরও মত এই-_[1589 670 70036 (ছায়া) 6016 02018 210 09002078, রাহ (88৩ 88092001115 10009), কেতু (899 20090+5 0896659:08 008)। | জ্যোতির্বিদ্যা-_ভূসংস্থান। ২২৯ এবংবিধ প্রমাণ-প্রয়োগ-নত্বে৪ কেহ কেহ কহিতে পারেন যে,ক্ষিতিমগুলের গোলত্বের কতক প্রমাণ হইল বটে, কিন্ত উত্তর দক্ষিণ যে কিঞ্চিং চাপা, সে বিষয় কি ভারতীয় আধ্যগণ জানিতেন, ইহ কদাচ সম্ভব নহে । আধ্যগণ ইহার বিন্দুবিস- নও অন্যের অগ্রে অবগত হইতে একপাদও পশ্চাদবস্তী হয়েন নাই। তাহারা বলেন, পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্ত কপিখ- ফলের তুল্য, অর্থাৎ কৎবেল যেব্ধপ বুস্তের নিয়ে ও ফলের অধোভাগে নাভিবিশিষ্ট, পৃথিবী৪ তদ্রপ উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে কিঞ্চিৎ নিয়তল | (৩) ভারতীয় আধ্যগণ প্রথমে অহোরাত্র, পক্ষ, মাস, খতু, অয্পন, বর্ষ, যুগ, ঘুগান্তর, কল্প, স্ষ্টি, স্থিতি ও প্রলয়াদির কারণ নির্ঁয় করিতে সমর্থ হইয়াছেন, এবং উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়ন জন্যই যে শ্বীতাতপের পরিবর্তন হয় তাহা অবগত ছিলেন, ইহ! অবশ্য স্বীকার করিতে হইবে ' এখন দেখা যাউক, অয়ন শব্দে কি বুঝায়। শবারেের দ্বারা গতি বুঝাইল। উত্তরদিকে অয়ন (গতি) উত্তরায়ণ। দক্ষিণদিকে অয়ন (গতি) দক্ষিণায়ন। কাহার গমন বুঝিতে হইবে ? পৃথিবীর । পৃথিবী কুধ্যের পুরো ভাগে প্রত্যহ পশ্চিম হইতে পুর্বাভিমুখে আবর্তন করিতেছে । এঁ আবর্তন-নময়ে পৃথিবী নিজ মেরুদণ্ডের উপরে অবস্থান- পূর্বক সর্বদাই মেরুকে দক্ষিণ দিকে রাখিয়! পর্য্যায়ক্রমে উন্নতাবনতভাবে, ঈবস্বক্র গতিচ্ছে, তিরশত পঁয়ষটি দিবসে, পপ (৩) কপিখফগবন্ধিখং দক্ষিপোন্তরযোর সময) লক্ষত্রকল। ২০ ২৩০ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থ! সু্যকে একবার প্রদক্ষিণ করিতেছে(৪)। পৃথিবীর এই বার্ষিক গতিদ্বার। মন্তুষ্যের এক বর্ষ হয়। বর্ষমধ্যে প্র দুইটা অয়ন আছে। দক্ষিণায়নে বিধুবরেখার উত্তরদিকস্থ ভূভাগে দিবামানের হাস, রাত্রিমানের বৃদ্ধি, ও উত্তরায়ণে দিবামানের বৃদ্ধি ও রাত্রি- মানের হাস হইয়া থাকে, এবং বৎসরে ছুই দিন সমদিবারাত্ হয়। উত্তরায়ণ দেবতাদিগের দিন, দক্ষিণায়ন তাহাদিগের রাত্রি(৫)। দেব ও খধিগণ স্ুমেরুতে বাস করেন। পুথিবীর উত্তরপ্রান্ত সুমের, দক্ষিণপ্রান্ত কুমেরু নামে খ্যাত । উত্তরায়ণে পৃথিবীর উন্তরাংশ অর্থাৎ উত্তরমের আলোকময় হইয়া থাকে। ৮ পাশদ শশী তপতি ও শী) শশীীীশোশিশীীাশিটশিট টা শিিিশিপীসপাতশি শশী শি পপ পপ পা শাক বা (৪) মেরুং প্রদক্ষিণীকুর্ধবন্তং হূর্যযং যে যত্র পশান্তি না চ তেষাং প্রাচী তেষাঞ্চ বামভাগে এব মেরু | অতঃ সর্ধেষাং সর্ববদ। মেরুরুত্ত- রতঃ এব । দক্ষিণভাগে চ লোকালোক।চলঃ। তস্মাছুত্তরন্যাং দিশি সদা রাত্রিরদক্ষিণদযাঞ্চ সদ দিনং। জ্যোতিশান্ত্ে। দিবসনা রবিরেমধ্যে সর্বকালং ব্যবন্ধিতঃ| সর্বদ্ধীপেষু মৈল্লেয় নিশর্ধনা চ সংমুখঃ ॥ উদয়ান্তমনে চৈব সর্ববকালত্ত সম্মুখে । দিশান্বশেষাঙ্গ তথ! মৈগ্রেয় বিদিশা চ॥ ৈর্যত্র দৃশ্যতে তাম্বান্‌ স তেবা মুদয়ঃ স্থৃতঃ | তিরোতাবঞ ষত্রৈতি তত্্ৈবাত্তময়ং রবেও ॥ নৈবান্তমনমকস্য নোদয়ঃ লর্ববদ। স্বতঃ | উদয়ান্তমনাখ্োোহি ঈর্শনা দর্শনে রবে; ॥ বিষুপুরাণ। ২য় অংশ। ৮ অধ্যায়। (৫) দৈবে রাত্র)হ্নী বর্ষং প্রবিভাগপ্তয়'ঃ পুন;।: অহস্তরেদগয়নং রাতিঃ লযানক্ষিঠয়মম॥ ৬৭1.১। মনু। জ্যোতিবিদ্যা_ভসংস্থান। ২৩১ তংকাঁলে দক্ষিণপ্রান্ত অন্ধতমসাচ্ছন্ন থাঁকাই সম্তভব। ত্ররূপ দক্ষিণায়নে পৃথিবীর দক্ষিনপ্রান্ত আলোকিত হয়। অতএব ইহা! একপ্রকার স্থিরসিদ্ধান্ত যে, খষিগণ ইহা অবশ্যই জানি- তেন, পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে ছয় মাস দিন ও ছয় মাঁস রাত্রি হয়। স্থতরাং ধাহার! এ বিষয়টা বিলক্ষণ অবগত ছিলেন, তাহারা কি জানিতেন না যে, পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ প্রাস্ত কিঞ্চিৎ চাঁপ1? নতুবা বর্ষকে রাত্রি ও দিনে বিভাগ করিবেন কেন? এবং তাহার! ইহাও জানিতেন যে, ্য্যের উদয় বা অস্ত নাই। যেস্তানে যখন হ্রর্য প্রথম দৃষ্ট হয় তখনই উদয়, ও যে স্থানে ৃর্ধ্য অদৃষ্ট হয় সেই তাহার অন্ত। মহর্ষিগণ এইরূপে পৃথিবীর আঁকার, প্রক্কৃতি, গতি, মাধ্যা- কর্ষণাদির নিয়ম নির্ধারণ করিয়াছেন। তৎসমস্ত পর্যালোচনা করিলে জান! বায় যে, মর্য্য মহর্ষিগণ কোন বিষয়েই পরাজুখ ছিলেন না। আধ্ধ্যগণের কাহারও মতে পৃর্থী নিশ্চলা, তদনু- পারেই অবনির নাম অচলা| ও স্থির হইয়াছে । শূ্য্য সচল পদার্থ, ব্যুৎ্পত্তি ল্য অর্থ দ্বারা এই বোঝায়, যে সরে অর্থাৎ গমন করে তাহার নাম হুর্্য_-“সরতীতি হৃর্ধ্যঃ 1 কিন্তু ভারতীয় আর্ধ্যগণের সম্প্রদায়বিশেষের মতে পৃথ্থী সচলা, হুর্ধ্য নিশ্চল। অধিকাংশ জ্যোতির্কিদ্গণ এই মতের সপক্ষ। বিপক্ষেরা এই আঁপত্তি দেন, যদি ধরণী সচলা হইল, তবে প্রাণিগণ পড়িয়া যায় না কেন? এবং কিনিমিত্তই বা স্ধ্যকে পূর্বদিকে উদ্দিত ও পশ্চিমদিকে অস্তমিত হইতে দেখা যায়? তাহার উত্তর এই-মনুষ্যগণ যখন অতি ক্রুতগামী নৌকা- যোহর নদীতে জগ করেন, তখন তিনি ্ীয গমন্‌ ২৩২ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আঁদিম অবস্থা । লক্ষ্য করিতে পারেন না এবং তাহার সমুখন্থ ও পার্খন্থ বুঙ্গ- শ্রেণী ও তটভাগকে অতি দ্রুতবেগে পশ্চাদ্বন্তী হইতে দেখেন। বন্ততঃ কি নৌকার গতি দ্বারা আরোহীর গতি হইতেছে না? এবং বুক্ষশ্রেণী কি সতাসতাই পশ্চার্দিকে গমন করিয়াছিল? অথবা স্বকীয় গমন দ্বারা স্থিতিশীল বুক্ষাদির গতি অনুভব করিয়াছিল? ইহা কি ভ্রমাত্মক সংস্কার নয়? অবশ্ঠই ভ্রান্তি বলির! স্বীকার করিতে হইবে । যদি এইরূপ সামান্য গততি- মান্ে ভ্রান্তি জন্মে, তবে কেনই বা ভূমগুলের অগ্রতিহত গতি দ্বারা মন্থুজবর্গের অন্তঃকরণে পূর্বদিকে শৃর্য্যোদয় ও পশ্চিমদিকে স্থর্ষোর অস্ত অনুভূত না হইবে? যে কারণে সচলা নোৌকাকে অচলা, সেই কারণেই সচলা পৃর্থীকেই অচলা বলিয়া বোধ হয়। (৬) গ্রহ নক্ষত্র ও পৃথিবীর গতিমাত্র নিরূপণ করিয়াই যে ক্ষান্ত হইয়াছিলেন, ইহা! মনে করিও না। পুিবীর মাধাকর্ষণ- শক্তিও অবগত হইয়াছ্িলেন। তাহা যদি না জানিতেন বল, তাহা হইলে আর্্যগণকে সকল বিষয়েই অনভিজ্ঞ বলিয়া স্বীকার করিতে হয়। যাহার! গ্রহ ও উপগ্রহের গতি দ্বার] (৬) আর্ধ্যভট বলেন “চল| পৃথ্থী গ্রিরা ভাঁতি” । ভগঞ্ররঃ স্থিরো৷ তৃরেবাবৃত্ত্াবৃত্তা প্রাতিদৈবসিকৌ উদয়াস্তময়ৌ সম্পাদয়তি নক্ষত্রগ্রহ।ণাম্‌। নৌগ্থো৷ বিলোমগমনাদচঙং ঘখা ন চীমগ্ঘন্তে চগতি নৈব নিজভ্রমেণ। লঙ্কানমাপরগতি প্রচলৎ ভর ক্র" মাতাতি সুস্থিরমগীতি বদন্তি কেচিৎ॥ ভ্রীপতিঃ। জ্যোতিবিদ্যা-_তূসংস্থানি। ২৩৩ সাংসারিক সকল বিষয়ের শুভাশুত স্থির করিয়াছেন, ধাহাঁরা চন্ত্র, সূর্য ও নক্ষত্রের উদয় অন্ত দ্বারা অহোরাত্র, তিথি, বাঁর, পক্ষ, মা, খতু, অয়ন, বর্ষ ও যুগাদির নিরূপণ করিয়াছেন তাহারা কি জানিতেন ন! যে পৃথিবী ও গ্রহ নক্ষত্রা্ির মাধ্যা- কর্ষণ আছে, এবং মাধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্বারা ব্রহ্মাওস্থ সমস্ত বস্তু পরম্পর আকৃষ্ট হইয়া রহিয়াছে । উহার! বিশ্বনিয়ন্তার অনস্ত কৌশল ও তদীয় কৃতিত্বের জাজল্যমান সাক্ষ্য প্রদান- পূর্বক পরম্পর জগন্মগুলের স্থিতি রক্ষা করিতেছে । (৭) তারতবর্ষীয় আধ্যজাতি জ্যোতিন্তত্বে অদ্বিতীয় ছিলেন। মাহ্কিক-কৃত্য ও সাংসারিক ব্যাপারের শুভাগুভ নির্ণয় উপলক্ষে চারিপ্রকার মাঁদ গণনা করেন। যথা--সৌরমাস, চান্ত্রমাস, নাক্ষত্রমাস ও সাবনমাস। চতুর্বিধ মাসের মধ্যে সৌরমাস আবার মেষাদি দ্বাদশ রাশিতে বিভক্ত হইয়াছে । সপাদ ছুই নক্ষত্রের ভোগফল দ্বার এক একটা রাশি নির্দারিত হয়। চান্দ্রমাসের সহিত মিলন করিলে সৌরমাস তুলনায় চান্দ্রমাস অপেক্ষা বর্ষ- মধ্যে বার দিন অধিক। এই আধিক্য দোষ পরিহার জন্য প্রতি স্বাড়াই বৎসরে (সার্ধ দ্বিবর্ষে) এক মাস পরিত্যাগ কর হইয়াছে । এ পরিত্যন্ত মাসকে মূলমাস কহে। (৮) এপাশ পিস পসপেস পিপি পাশা পপিপিসপাশিিশিপিশি সস শস্পপপাপীসপিপাপাাপিপিশী তি (৭) আকৃষ্টশক্তিশ্চ মহী তয় ষং খান্তং গুরু স্বাতিমুখং স্বশক্ক্য।। আকৃষ্যতে তৎ গততীব ভাতি দমে রমস্তাৎ ক পতদ্বিয়ং খে। ভাস্করাচা ধাকৃত গোলাধ্যায় ৬্ঠ শ্লোক! ভূগোলং ব্যোস্নি ভিষ্ঠতি। ্যিদধনতকৃত গোলাধ্ায়। (৮) মলম[মকারণত্ত জেটাতিষে-_ 5 | দিবমমঃ হরত,ক? যটভাগমুৌ তং। ২৩৪ ভারতীয় আর্য্যজাতির মাঁদিম অবস্থা। দৈব পৈত্রাদি কোন কার্য্েই মলমাস পবিত্র বলিয়া গ্রা্ নহে | সৌরমাস সাবনমাস অপেক্ষা ৫ দিন ১৫ দণ্ড অধিক। স্থতরাং ত্রিংশদ্দিনে াবনমান গণনা করা ষাঁয়।। অশ্বিনী আদি সপ্তবিংশতি এবং অভি্জিৎ নামক নক্ষত্র দ্বারা যে মাস নির্ণাত হয় তাহার নাম নাক্ষত্রমাস। এইরূপে যে সকল বাক্তি গগন- মণ্ডলের তাবদ্বিষয়ের তত্বান্ুুসন্ধান করিয়ছেন, তাহারা আপনা- দিগের আবাসগৃহস্বরূপ ভূমগ্ডলের কোন তত্বানুন্ধান লয়েন নাই, ইহা কদাঁচ- সম্তবিতে পাঁরে না। (৯) আর্ধ্যগণ অহ্বোরাত্র-বিভাগ বিষয়ে এই স্থির করিয়াছেন ফে,' যখন লঙ্কাপুরে সূর্যোদয় হয়, তৎকালে ষমকোটীপুরীতে (নিউ- জিলাপ্ডে) অদ্ধদিবস অর্থাৎ মধ্যাহ্ুকাল, লক্কার অধোভাগে সিদ্ধ- পুরে (আমেরিকায়) অস্তকাল, এবং রোমকদেশে (ইউরোপে) রাঁত্রি হয়। তত্রাস্ববর্ষের (অষ্ট্রেলিয়া) উপরি সুর্ধ্য মধ্যদ্দিন প্রকাশ করিলে ভারতবর্ষে সুর্যের উদয়কাল ধরা যায়। এ সময়ে কেতু- মালবর্ষে (ইংলণ্ডে) অর্ধরাঁত্ি এবং কুরুবর্ষে (দক্ষিণ আঁমেরি- কাঁয়) ুর্য্যের অস্তসময়। এই সমস্ত পর্যালোচনা করিলে, অনায়াসেই একপ্রকার স্থির করা যাইতে পারে ষে ভারতীয় সি করোতো কমহশ্ছেদং ততৈবৈকঞ্জ চন্রমাঃ। : এবমদ্ধভৃতীয়ানামন্ানামধিমাদকম্‌ ॥ মলমাস-তত্। চাজসঃ শুরাদিদর্শাত্তং নাবনস্ত্িংশত। দ্িনৈঃ। একরাশো। রবের্ধাবং কালং মাসঃ ন ভান্করঃ। মর্বর্ষপরিবর্নৈন্ত নাক্ষত্রমিতি চোচ্যতে ॥ সিদ্ধান্তে । ৃ [ দৌরং ৪ ্ তিন াক্ষত্রং লাবনং তথ|। ট বৈষবে। শ্রথমাংশ |. র্‌ শি ঞ্ সি জ্যোতির্বিদ্য-_তৃসংস্থান। ২৩৫ আর্য্যগণ ভূসংস্থান-বিষয় অবশ্তই অবগত ছিলেন) পৃথিবী গোঁল না হইলে এক সময়ে সর্ধস্থলে দিন রাত্রির এরূপ ইতর- বিশেষ হইত না। কালক্রমে শান্্রচ্চার হাস বা লোপ হওয়ায় ভারতীয় আর্ধ্জাতির নানাবধ বিভ্রাট ঘটিয়াছে। (১০) পাঠকবর্সের মধ্যে কেহ কহিবেন পৌরাণিকমতে পুরী স্থিরা ও স্বশক্তিতে আকৃষ্ট হয় না। তাহাকে কৃন্ব, দিঙ্নাগবর্গ ও অনন্ত ধারণ করিয়া রহিয়াছে,এ কথ স্বীকার না করিলে নাস্তিক হইতে হয়। অতএব আস্তিকগণকে অবশ্য পুরাণ মানিতে হইবে। এস্থলে দেখ, পৃথিবী বাধুমগ্ডলে আবৃত হইয়! রহিয়াছে । আর্ধজাতির শাস্ত্রে স্ষ্টিমূলক দূশবিধ বায়ু আছে। এ দশবিধ বাযুর পাঁওটা প্রাণবাযু ও পাঁচটা বাস্থবাু। তাহাদিগের নাম এই--প্রাণ, অপান, সমান, উদান, ব্যান, নাগ, কুম্ম, কৃকর, দেবদন্ত, ও ধনঞ্জর| নাগ কৃর্মাদি বাহ বায়ু দ্বার| জগন্মগুল পরি- বাপ্ত রহিয়াছে, সুতরাং কুর্ম পৃথ্ধীকে ধারণ করিয়া, রহিয়াছে বলিলে দোষ রি না। যেরূপ হি কচ্ছপকে না টা (১০) লঙ্কাপুরেহরকর্সয বদ দয়; স্টাভদ। দিনার্দাং কারাদ ॥ অথন্তদা সিদ্ধপুরেহস্ত কাঁরং সাদ্রোমকে রাজিদলং ভদৈন ॥ দিদ্ধান্তশিরোষণি, গোলাধ্যায় | ভদ্রাঙ্থোগরিগঃ শুর্য্যো ভারতেহত্োদয়ং রবিঃ |) রানা শি কুরযেহস্তমনং তদা ॥ | | স্তনে গৌঁলাধ্যায়। ভূবামুরাবছ ইহ বর ভাহদবহত্দহ মংবহসংজফগ্য। অগ্ত্ততোহাগ জুবহঃ পরিপূরক রাত পরাবহ ইমে পবা; সিসি ১ যো বাছুবিবাণে গোষাধায়। সিদধান্শিরোমণি। ২৩৬ ভারতীয় আর্য্জাতির আদিম অবস্থ]। কম্মনামক বায়ুকে বুঝাইল, তদ্রপ দিউ্নাগ শবেও দিক্‌-হস্তীকে ন! বৃঝাইয়! দশদিগের নাগ নামক বাঘুকেই বুঝিতে হইবে। অনন্ত শব্দের ব্যুৎপন্ভিলভ্য অর্থ ধরিলে ইহাই বোধ হইবে যে, বাহার অন্ত নাই সেই অনন্ত। সুতরাং অনস্তশক্তি-সম্পন্ন সেই মহাশক্কির গ্রভাবেই পৃ্ী বাযুরাশিতে আবৃত হইয়া 'আকাশ-মগ্ডলে আপন কক্ষায় বিঘুর্ণিত হইভেছে। এখন নাগ, কর্ম ও অনন্তের পৃথ্ী ধারণের অসস্তাবনা কি রহিল? (১১) হুতরাং অনন্ত শবে বান্থকিকে না বুঝাইয়া অনস্তশক্তিসম্পন্ন মহাশক্িকে বুঝাইল। বাস্থৃকি বুঝাইলেও এখানে বাস্থকি শব্দ সর্প নহে, বাধুকেই বুঝায়, বস্তু শব্দের অর্থ বাষু। যথ! বন্থুনা কায়তি শব্দায়তে ইতি বাঁন্ুকিঃ | অথবা বন্ধু রত্বং কে শিরসি ষগ্য সঃ বঙগকঃ বাযুঃ। তদ্যাপত্যং বাস্থুকিঃ মহাবাঘুঃ | (১১) শিশ্বাসোচ্ছ,নরূগেণ প্রাণকর্ সমীরিতম্‌। অপননায়োঃ কর্মৈতদ্িগ তরাদিবিসজনন্‌ ॥ ৬৬ ॥ হানে।গাদানচেষ্টাদি ব্যানকর্ম্নেতি চেষাতে। উদ্বনকর্না তচ্চোক্তং দেহয্যোনয়নাদি যত (৬৭ & পোষণাঁদি মমাননা শরীরে কর্ধদ কীন্তিতম্| উদ্গারা দিশুণে। যন্ত্র নাগকর্শা সমীরিতম্‌ ॥ ৬৮ ॥ নিমীলনাদি কৃর্ঘাম্য ক্ুতৃষে স্ধকরসা চ। দেবদত্তপ্য বিঃ্রন্ত্র তক্্রাকর্মেতি কীর্তিতম্‌ | ৬৯ ॥ ধনগ্রয়স/ শে।যানি সর্ববকর্মম গকীর্ডিতম্‌। জ্ঞাত্বৈব নাড়ীনংস্থানং বাধ্ম।ং স্থানকর্ধণ চ। বিধিনোক্েন মার্গেণ নাড়ীনংশোধনং বুরু। ৭*॥ ইতি জষেগিধাজ্ঞবকে) উত্তরথণ্ডে চতুর্থ ধ)য:| মলমাস। ২৩৭ হাঁবাযুর উপরিভাগে জ্যোতিষ্কমগুলী রহিয়াছে, সুতরাং বাস্ু- কির মস্তকে রত্ব আছে | এই কখা কহায় অসঙ্গতি হইতেছে না। বাল্থকিকে সমুদ্রমন্থন-কালে মনারপর্বাত বন্ধনের রজ্জু কর! হইয়াছিল। বাধুমণ্ডলের উপরিভাগে ব্রহ্মাণ্ডের তাবৎ বস্ত মাছে। সুতরাং অনন্তের আর একটা নাঁম বাস্থুকি । অথবা পৃথক উপাধিধারী সর্পদ্ধর হইলেও অনন্ত অথবা বাস্ুকিকে সর্প নাভাবিয়া পৃথিবীর চতুঃপার্শস্থ বাধুরাশিকেই বুঝিতে হইবে । মলমান। থধিগণ মনোবিজ্ঞানে যেরূপ অদ্বিতীয়, সেইরূপ পদীর্থ- বিজ্ঞানেও অতুলনীয়। ইহারা গণিত-বিজ্ঞানে অসাধারণ নৈপুণা প্রদর্শন করিয়াছেন । গণিতের সাহাষ্য ব্যতীত সংসারে এক মুহূর্ত তিষ্ঠান ভার। প্রণিতেরর নিদানভূত ভারতের আজি কি ছূর্দশ। ঘটয়াছে! যে জাতি কল্পনাবলে অনন্ত ও অথণ্ড কালকে গণিতের সাহাফ্ো নিমেষ, ক্রাটি, অন্ু- পল, পল, মুহুর্ত, ক্ষণ বিপল, তিল, দণ্ড, হোরা, প্রহর, দিবা, রাত্র, সন্ধ্যা, উষা, এ্রভাত, গোধুলি, পূর্ববাহ, মধ্যাহ্ন, সায়াহ, অপরাহ্ণ, নিশা) মহাঁনিশা, নিশীথ) মেষাদি দ্বাদশ লগ্ন, রবি মোমাদি বার, প্রতিপদাদি তিথি, অশ্গিন্যাদি নক্ষত্র, বিদুম্ত 'আদি যোগ, বব প্রভৃতি করণ, গুরু ও কৃষ্ণ পক্ষ, বৈশা- খাদি মান, গ্রীন্মাদি ধাতু, উত্তর ও দক্ষিণ অয়ন, বর্ষ, শতাব, যুগ কল্পাদি, দ্বারা 1 অতি সঙ্গম ও অতি ুল রূপে খণ্ড খু করিবাছেন তীহাদিগের গণনার দহিন্ত অন্যাপি কাহারও ২৩৮ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । তুলনা হইতে পারে ন1। ভারতীয় আর্্জাতি নিয়মপ্রিয়, ত্প্রিয় ও সতাপ্রিয়, অপিতু অত্যন্ত সৃক্মদর্শী । অতি সভ্য জাতিও অদ্যাপি মলমাস যে কি পদার্থ, তাহ। অনুমান করিতে সমর্থ হয়েন নাই। যবনেরা যদিও বুঝিয়া- ছিলেন, কিন্তু কার্য্যের বেলায় জর গমন করিয়াছেন। যে মাসে দুইটা অমাবস্যা দেখা যায়, তাহাই মলমান শবে খ্যাত হইয়াছে । তাহ1 অপবিত্র রা (১) খধিগণ মল- মানকে অধিমাপ বলেন। ভারতীয় আধ্যগণের সমস্ত চি শুভ লগ্ন, শুভ ক্ষণ ও শুভ দিন আবশাক) সুতরাং হা! অপবিত্র, তাহ! শ্রমঙ্গলদায়ক নহে । হাতার তিখির মলাংশ হইতে সার্ধ দ্বিবর্ষে মলমাসের উৎপত্তি হয়; সুতরাং ইহা অপবিত্র । তজ্জন্ই মলম।স দুষিত । এই দুষিত মাদকে সার্ধদ্বিবর্ধান্তে পরিত্যাগ করা হয়। সুর্য্যের উদদয়ান্ত-ভেদে প্রত্যেক খতুতে এক দিনের অনুসারে ছয় খতুতে বর্ষমধ্যে ছয় দিন বদ্ধিত হয়। সুতরাং দিনবৃদ্ধি ও তিথির ক্ষয় হেতু বর্ষমধ্যে সুধ্য ও চন্দ্রের গতি-ভেদে ছয় খতুতে দ্বাদশ দিন অর্থাৎ তিথি বদ্ধিত হইয়া থাকে । এই হেতু সার্দ দ্বিবর্ষে একমাস বর্ধিত হয়। বস্তঃ সৌর দিন ৫ দিন ১৫ দও বৃদ্ধি দেখা যায়; অতএব এখানে দিন শবে তিথি বুঝিতে হইবে । এই মাস চান্দ্রমাস গণনায় ধৃত হয়| ইহা জ্ঞাত হইবার (১) অমাবদ্যান্বয়ং ষত্র রবিসংক্রাপ্চিবর্জিতম। মলমানঃ ন বিজেয়ো বিঞুঃ স্বপিতি কর্কটে ॥ | | . মলমাগতত্ব। মলমাস। ২৩৯ স্পষ্ট উপায় আছে। মাসমধ্যে ছুইটা অমাঁবস্য। হইলে সেই মান মলমাস বলিয়া উল্লিখিত হয়, ইহা পূর্বেই উক্ত হইয়াছে। (২) অমাবস্যায় মাস আরম্ত না হইলে একমানে ছুইটী অমী- বঙ্যা হইতে পারে না, সুতরাং অমাবস্যায় মাস আরম্ভ হইলে প্রত্যেক মাসেই ছুইটী অমাবস্যা হইবার সন্তাঁবনা। সৌর. মাস গণনায় বৈশাখাদি ছয় মাসে ১৮৭ দিন এবং কার্তিক হইতে চৈত্র পর্যন্ত ছয় মাসে ১৭৮ দিন হয়, তন্নিবন্ধন বর্ষমধ্যে ৩৬৫ দিন। তিনশত পয়ষট্ দিনে সৌর দ্বাদশ মস হইয়। থাকে, কিন্তু ৩৬৫ মহোরাত্রে চান্তরমাসের ১২ মাস ও ৯২ দিন হইয়া থাকে। চান্দ্র দিন ও মান শবে তিথি বুঝিতে হয়। এক এক তিথির ভোগকাল এক চান্দ্র দিন, এবং শুক্লা! প্রতিপদ হইতে অমাবস্যা পধ্যন্ত ত্রিংশৎতিথিভুক্ত কালকে মাস শবে নির্দেশ কর! গিয়া থাকে । এই ত্রিংশৎ তিথির ক্ষয় ও বৃদ্ধি হেতু চান্ত্রমাদ কখন ২৭, ২৮, ২৯, রা ৩* -দিনে হয়। (২) মলমানলকারণস্ত ছজেতিষে-. দিবনস্য হরত্যর্কঃ ষষ্টিতাগমতৌ ততঃ। করোতে)কমহশ্ছেদং তখৈবৈক্ণ চত্তরমাঃ | এবম্ধতৃতীয়ানামন্ধানামধিমানকম্‌। ্রম্মে জনয়তঃ পূর্ব পঞ্চান্বানাস্ত পশ্চিমস্‌ শ্রষ্মে মাধবাদিষটুকে পূর্ববং মাধবাষিত্রি কপর্য্যত্তম, | পঞ্চাবে তু পচ্চিমং আবণাদিত্রিকমূ। :.. ... 7: -. মন্সমাসতত্ব। তিথিনৈকেন দিবমপটান্্যানে পারি . র ৰ | জছোরাজেণ চৈকেন নাবণে। দিবমে। মর; ॥ | হোলির? |) ২৪০ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির মাদ্িম অবস্থা । এইকারণে প্রত্যেক সাদ্ধ দ্বিবর্ষে অন্ততঃ কোন এক মাসে ছুইটী অমাবস্যা নিশ্চয় ঘটিবে। কখন এক বর্ষ মধ্যে ছুই মাসে যুগ্ম অমাবপ্যাও হয়, নে স্থলে কোন্‌ মাকে মলমান গণন। করা যাইবে(৩), তাহার নিয়ম এই-- সৌরমাসসংক্রমণ-কালের নিয়মান্ুদারে মলগাস ধরিতে হয়। যখন পৌর দ্বাদশ মাসে ১৩ বা ১৪টী অমাবস্যা হয়, তখনই একটী মাস অশ্ুন্ধ বলিয়া পরিত্যক্ত হইয়া থাকে। যুগ্বমমাবস্য'-মুক্ত মাসদ্বরের মধ্যে কোন্টী মলমাম তাহার মীমাংসা এই_- ্‌ যে বর্ষে আশ্বিন মাসের সংক্রমণ অমাবস্যায় এবং কাণ্তিক মানের সংক্রমণ প্রতিপদে হইয়া স্ষ্যের বক্র গতিতে অগ্রহায়ণ ও পৌষ সংক্রান্তি প্রতিপদে হয়, এবং মকর, কুস্ত, মীন সংক্রান্তি অমাবপ্যায় ও মেষ সংক্রান্তি প্রতিপদে হয়, তংকালে আশ্বিন মাস মলমান) পৌষ মাস ক্ষয় মাস, ও চৈত্র মান ভান্ুলজ্ৰিত মাস বলিয়া উল্লিখিত হয়। (৪) অপরন্ত-যে বর্ষে আশ্বিন মাসের সংক্রমণ অমাবপ্যায়, কার্তিকর সংক্রমণ প্রতিপদে, এবং অগ্রহায়ণাঁদি ছয় মান (৩) মেষাদীনামহবৃন্দং ষরাং মপ্তাষ্টচক্কম্‌। তুল।দীন।মষ্ইনপ্রচন্ত্রকন্ত জিখেস্ততঃ ॥ সংক্রান্তি প্রকরণে জ্যোতিশ্তত্ব। (৪) যত্র তু দর্শে কন্যানংক্রান্তিভূ তা, তুলাদংক্রাততিস্ত প্রতিপদি এবং প্রতিপদি বৃশ্চিকধন্থঃসংক্রাস্তিঃ ততশ্চ বগত্যা দর্শে মকর". কুস্তমীনন-ত্ান্তয়ঃ, প্রতিপদি মেষসংক্রান্তস্তত্র কনায়াং মলমাসে।-. ধনুষি ক্ষয়ে! মীনে ভান্গলজ্িতঃ। .. অলমানতত্ব ॥. মলমাস। ২৪১ অর্থাৎ বৃশ্চিক, ধন্থু, মকর, কুস্ত, মীন ও মেষ সংক্রমণ অমা- বস্যায় হয়; এবং বুষ-সংক্রান্তি অর্থাৎ জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রবৃত্তি প্রতিপদে হইয়া থাকে, সে বর্ষে আঙ্গিন মাস ভাম্ুলজ্বিত, কার্তিক মাস ক্ষয় মাস, ও বৈশাখ মলমাস। (৫) যে বর্ষে বৈশাখাদি আশ্বিন পর্য্স্ত ষ্নাসের কোন এক মাসে দুইটা অমাবস্য। হয় এবং প্র বর্ষে কার্তিকাদি চৈত্র পর্য্যন্ত ছয় মাসের কোন মাসে যদি ছুইটী অমাবস্যা ঘটে, তবে সে বর্ষে বৈশাখাদি প্রথম ষণ্মাসের দ্বি-অমাবস্যা-যুক্ত মাসকেই মলমাস, 'আর কার্তিকাদির দ্বি-অমাবস্যা-যুক্ত মাসকে ভানু- লজ্বিত বল! গিয়া থাকে । (৬) দিন বৃদ্ধি হেতু বৈশাখাদি ধগ্মাসেই প্রায় মলমাঁস হইয়া থাকে, দিনের ক্ষয় হেতু কার্তিকা্দিতে গ্রায় দুইটা অমাবস্যা ঘটে না। যদি এরূপ ঘটে তবে প্রায়ই মাঘমাঁস মলমাস হুইয় (৫) খশ্রিনন্বে কনা।লংভাস্িরমাবস্যায়াং তুলাসংক্রাস্তিস্ক প্রতিপদ, ততোহমাবগ্যায়ান্ত বৃশ্চিকমংক্রাতিরমাবসঠায়ামেব মেষাবধি সংক্রান্তয়ে। ভূতাস্ততঃ গ্রতিপদি বৃষসংক্রস্তিতুতা, তত্রা্িনো _ভানুলজ্বিতঃ, কার্তিকঃ ক্ষ) বৈশাখে! মলসাসঃ। মলমাসতত্ব। (৬) ধটকনতাগতে শুর্ষ্যে বৃষ্টিকে বাথ ধদ্িনি। মকরে বাথ কুপ্তে বা নাধিমানং বিছ্ুবু'ধাঃ ॥ ইত্যেতদেকবর্ষে মামন্য়ে মলমানপাতে জয়ং ধটগ্াল।। মলমাসতববধৃতদে]তিঃসিদ্ধানতরদানিদধানতয়ো; |. ২১ ১ ২৪২ ভারতীয় আধ্যজ।তির আদিম অবস্থা । থাকে । কার্তিকাদিতে মলমাঁস না ঘটে এমন নয়; কিন্তু কচ পৌষমাঁস মলমাঁন হয় না'। (৭) ফলিত জ্যোতিষে খধিগণ দ্বি-অমাবগ্যা-ুক্ত মাসের ফলে তথ্বর্ষের শুত।শুত নির্ণয় করিয়াছেন। তাহার! ষাহা অন্গমান করিয়া স্থির করিয়াছেন, তাহা কেহ অযৌক্তিক বলিয়া তাচ্ছিল্য করিলেও আমরা দেখি যে, উহ! পিদ্ধীস্তবাক্য। দ্বি- অমাবস্যাধুক্ত জ্যৈষ্ঠ ও অগ্রহায়ণ অশ্ুভফলপ্রদ ৷ চৈত্র এরূপ; বৈশাখ শুভাশুভ-মিশ্র-ফলদ; এতত্তিন্ন মাসে অমাবস্যা-ব হইলে বর্ষের ফল শুভজনক হয়। এই নিয়মে বর্ষমধ্যে সৃষ্টি বা অনাবৃষ্টি'লক্ষণ পূর্বেই অনুমিত হইতে পারে। (৮) সক ধন্ম | আর্ধ্যগণের পুরাণাদি ধর্মশাস্ত্রে রূপকবর্ণনা, নানা গল্প ও অলৌকিক ঘটনার উল্লেখ আছে। এই কথা বলিয়া আধুনিক সভ্যগণ নিন্দা করেন ও আধ্যজাতির শাস্ত্রোপদেশগুলিকে অনর্থক, নিশ্রয়োজনীয় ও অসঙ্গত বলিয়া ব্যাখ্যা করেন। (+) দর্শানাং ফাল্তনাদীনাং প্রায়োমাঘসযচ কচিত। নপুংসকত্বং ভবতি ন পৌষদা কদাচল ॥ অমাবন্যাদ্বয়ং ষত্র মাসি মানি প্রবর্ততে। উত্তরশ্চোভমে | জেয়ঃ পূর্্বস্তত্র সলিয়,53 ॥ মলমাসতত্বধৃত রাঁজনার্তণ্ডের বচন। (৮) প্রার়শে। ন শুভঃ নৌম্ো জোষ্শ্চাষাঢকস্তথ|। মধ্যমৌ চৈত্রবৈশাখাবৃধিকোইন।ঃ সুভিক্ষকৃৎ ॥ সৌম্য মানীর্যঃ | 5 অলমাসতত্বধৃত শাঙিলাবচন। ধর্ম | ২৪৩ তাহাদিগের স্বকপোলকন্পিত ব্যাথ্য। শুনিয়া আঁধুনিক ভাক্ত সভ্য, অদ্ধশিক্ষিত, নব্য ভব্যগণ আর্ধ্যশান্ত্রগুলিকে হেয় ও অশ্রদ্ধেয় জ্ঞান করিতে কিঞ্চিন্মাত্র লজ্জিত হয়েন না। তাহাদিগের মতে ভব্যতা রক্ষা করাই সমুদয় শাস্ত্রের মূল। বস্ততঃ তাহ! নহে । কারণ, সকল শান্ত্বেরই মূল উদ্দেখ্ঠজ্ঞান ও ধন্মতত্বের মীমাংস। করা) আনুষঙ্গিক সাংসারিক ব্যাপারে লিপ্ত থাকিয়।৷ সাংসারিক শ্রীবৃদ্ধি সহ নিশ্রেয়ল-জ্ঞান-লাভ, আক্মোৎ্কর্ষ সাধনপূর্বক পরমাক্মার সাক্ষাৎকার ও চরমে মোক্ষগ্রাপ্তি। | সমস্ত সংকার্ধ্যের মূল ধর্ম । শাস্ত্রের নিয়মপালিন, সদাঁচারের অনুষ্ঠান এবং পরমাত্মার গ্রীতিসম্পাদন দ্বারাই ধর্োপার্জন হয়।(১) | ভারতীয় আর্্যগণ এঁহিক স্ুখকে ক্ষণিক সুথ বলিয়া গণ্য করিয়াছেন। ইহ্া্দিগের মতে পারলৌকিক সুখ-সাঁধনই মনুয্য-দেহ-ধারণের মুখ্য অভিধেয়। তৎসাধন প্রবৃত্তি হইতে আক্মোৎকর্ষসম্পাদক বিষয়-বাঁসনাঁর ত্যাগ হইয়া থাকে । সাধা- রণের মনোরঞ্জন বিধানপূর্ববক শিক্ষা দিতে হইলে বর্ণিত বিষয় সরদ করিতে হয় । সরস বাক্য রূপক ও অতিশয়োক্তি অল- ্কারে অলঙ্কৃত হইয়া থাকে, সেইজন্য সর্ব জাতির ধর্মশাস্ত্ে (১) বেদঃ শ্থৃতিঃ সদাচারঃ শ্বস্য চ প্রিক্মাজনঃ। এতং চতূর্ধিধং প্রাঃ সাক্ষাৎ ধর্মরা লক্ষণম্‌॥ মনু ১২ শ্লো।২ অ। অধীত্য বিধিবন্ধেদান্‌ পুত্রাংশ্চোৎপাদয ধর্মতিঃ। ইস্ট চ শ্তিতে। বেরমনে! যোক্ষে নিবেশয়েৎ॥ ৩$। ও। মনু। ২৪৪ ভারতীয় আর্য্জাতির আদিম অবস্থা । অত্যুক্তি ও অদ্ভুত ঘটনা! লক্ষিত হয়। এক পুরাণের সহিত অপর পুরাণের যে অনৈক্য দেখা যাঁয়, তাহাও কল্পভেদে ও মধন্তরে ঘটিয়াছিল বলিতে হয় । (২) কোন ব্যক্তিরই বিষয়-বাঁসন! পরিত্যাগ করিবার ক্ষমতা ুহূর্তমাত্র বা সদা সদ্যই জন্মে না। শুক, সনাতন, সনন্দ, রব ও প্রহলাদাদি মহাত্মাদিগের সদৃশ জীবনুক্ত পুরুষেরা সদ্যই বিষয়-বাঁসনা-পরিশৃন্ত হইয়াছিলেন বটে, কিন্তু তদ্রপ পরমার্থ- পরায়ণ ব্যক্তির সংখ্য। লোকসমাজ্ধে অতিবিরল। ঈশ্বর-সাক্ষাঁৎকার দ্বারা জন্ম সার্থক করিতে হইলে ক্রমশঃ ধ্যান, ধারণা, প্রাণায়াম যোগে আত্মসংযমাদি করিতে হয়। (৩) আধ্যাত্মিক ব্যাপারে ব্যাপৃত হইতে হইলে প্রথমতঃ মনঃশুদ্ধি, দেহশুদ্ধি, বাঁকশুদ্ষি, আত্মশুদ্ধি, ও ইন্দ্িয়াদির সংযম বিধান করা নিতান্ত আবশ্তক। শুক্ধিক্রিয়া সম্পন্ন হইলে উপা- ষনার অধিকার জন্মে। উপাননার ভ্রম। উপাসনা-বিষয়ে একাগ্রতা জন্মিলে ধ্যানযোগ হয়। ধ্যান-যোগ দ্বারা ধারণা উপস্থিত হইয়া থাকে। বুদ্ধি স্থির পাপ (২) কচিৎ কচিৎ পুরাণেছু বিয়োধো যদি দৃশ্ঠতে | কজ্পভেদ।দিভিস্তত্র ব্যবস্থা সভভিগিষ্যতে ॥ কুর্মপুরাণ। (৩) যাবদ্বায়ঃ ছিতে। দেহে ভাবৎ জীবিতমুচাতে। মরণং তা নিষ্ক্কাত্তিস্ততে। বায়ুন্িবন্ধয়েখ! গ্রহযামল। প্রাণেনাপযায়মানেম বেখং বাহা সমুৎহজেং। যেন শজং ররগ্থাশ্চ নিক্না্সৈন চ চালয়েখ। যোগিযাজরক্ষা। ধর্ম | ২৪ হইলেই মন আর চঞ্চল থাকে না । মনের সুস্থিরতাই ইন্জ্রিয়- নংবমের প্রধান উপাযম়্। পরমাত্ায় মনঃসংযোগের নাম নিষ্ষামতা । নিফামতা হইলে ইন্দ্রিয়গণ বশীভূত হয়। ইন্দ্ির- দমনের নামই প্রকৃত দেহশুদ্ধি। শরীরের বাহৃ-মল-শুদ্ধির নাম কেবল শুদ্ধি নহে। অন্তঃশুদ্ধ ও বহিঃশুদ্ধ ভাবের লক্ষণকেই প্রকৃত শুদ্ধিশৰে নির্দেশ করা যাঁয়। যথাবিধি শোচক্রিয়!, পাদ- প্রন্মালন, দন্তধাবন, আচমন, ও স্নানাদি কার্ধ্য বহিঃশুদ্ধি ও দীর্ঘ জীবনের একমাত্র হেতু । (৪) এইরূপে সৎক্রিয়া'জন্য পুণ্য- সঞ্চয় দ্বার! (অণিমা, লঘিমা, প্রাপ্তি, প্রাকাম্য, মহিমা, ঈশিতী, বশিতা। ও কামাবসায়িতা রূপ) অষ্ট সিদ্ধি লাভ হইয়া থাকে। তপ্বারা জগজ্জয় হয়। কেহ কেহ বলিতে পারেন যে, কত কত শুদ্ধাত্বা মহাপুরুষ সিদ্ধকাম হয়েন নাই, কিন্তু কত শত অধার্দিক পামর ব্যক্তিও কুক্রিয়া করিয়াও পুত্রপৌত্রাদির সহিত স্থুথে কালযাপন করিয়া থাকে, সুতরাং পাপের বা পুণ্যের সাক্ষাৎ ফল দৃষ্ট হইতেছে না। নাক্ষাৎ শাস্তি দেখা বাউক বা না বাউক, পাপ পুণ্যের ফল পশলা পিপিপি পাশ সপিপাপা (৪) স্গানমূলাঃ ক্রিয়াঃ সর্ধবাঃ রতিম্বতাদিতা নৃণীম্‌। তক্মাৎ স্ন(নং নিষেবেত শ্রীপুষ্টুযারোগ্যবর্ধনম্‌ ॥ বাম্যং হি যাতনাদুঃখং নিত্যন্ন।য়ী ন পশ্ঠতি | নিতান্নানেন পৃজযান্তে যেইপি পাগকৃতো জনাঃ॥ মধ্স্নুক্ত। উপাবৃদ্বদ্য গাগেভে] যন্ত বাদে গুণৈঃ নহ। উপবাস: স বিজেয়ো ন শরীরবিশোষণম্‌॥ বশিষ্ঠ। শ্রকৃফত্কালহকারধৃত দায়ভাগটাকা। ২৪৬ ভারতীয় আঁরধ্যজাতির আদিম অবস্থা । অবশ্যই ফলিবে। পাঁপ প্রথমে সকলকেই জয় করে ও নব্ব- সৌভাগ্য দেখায়, অবশেষে সমূলে বিনাশ করে। পাপের ফল সেই পুরুষে না৷ ফলিলেও তদীয় পুত্রপৌন্রাদি অধস্তন পুরুষে নিশ্চয়ই থাকে । (৫) বাহার অন্তর্বাহ্ শুচি হয় নাই, সে ব্যক্তি উপাসনাক্রিয়ায় অধ্বিকারী হর না, ইহা পুর্ধেই উক্ত হইয়াছে। অন্তঃগুদ্ধি না হইলে কেবল উপবাপাদি বাহাঁড়ম্বরের দ্বারা লোকে শুদ্ধি লাভ করিতে পারে না। সত্য জ্যোতিতেই আত্মাকে পাপ হইতে পবিত্র রাখিতে হয়। সদসৎ কর্্মরফলেই লোকে সুখ ও দুঃখ (ভাগ করে। বর্মফল হইতে কাহারও পরিত্রাণ পাইবার উপায়ান্তর নাই। (৬) " নিক্চাম কার্যে মুক্তিনাধন হয়। সকাম কার্যে কালিক ফল লাভ হইয়া থাকে । সুতরাং সকাম কার্যের ক্ষয় হইলেই (৫) নাধর্্ণ্চরিতে। লে।কে দদাঃ ফলতি গোরিব। শনৈরাবর্ভমানন্থ কর্তমুলানি কৃন্ততি ॥ ১৭২ ॥ যদি নাত্মনি পুত্রেহু স চেৎ পুত্রেবু নগ্ুযু। নত্বেব তু কাতোহ্ধর্শঃ কর্তভবতি নিক্ষলঃ ॥ ১৭৩। অধর্শেগেধতে ভীবত্ততো ভদ্রাণি গশ্যতি । ততঃ সপত্বান জয়তি সমূলস্ক বিনগ্যাতি ॥ ১৭৪ ॥ ননু ৪ অ। বিনা কর্ম ন ভিন্তি ক্ষণাদ্ধমগি দেহিনঃ | | অনিচ্ছস্থোহপি বিবশ|ঃ কৃষ্যন্তে কন্মবাযুনা ॥ কর্ণ স্থমশ্মস্তি দুঃখদশ্বাস্তি কর্মৃণ। | জায়ন্তে চ প্রলীয়ন্তে বর্স্তে কর্মণো! বশাঃ ॥ ১১৪ । ১১৫। ১৪ উ। মহানির্বাণতন্্। (৬ পলি ধর্ম । ২৪৭ পূর্বাবস্থা জন্মে। নিষ্ষাম কার্যযের ফল অনন্তকালস্থায়ী। ইন্ভা- কেই নির্বিকল্প। তক ফল কহে। সকাম ক্রিয়ার ফলকে দক্ক- ল্লাক্সক বলে। এই কারণে মুমুক্ষু ব্যক্তির] মুক্তিলাভ-প্রত্যাশায় সমস্ত ফলই ঈশ্বরে সমপণ করেন। নিজ ভোগবাঁপনার জন্য রাখেন না। (৭) পঞ্চ মহাযজ্ছের ফল। ভারতীয় আধ্যগণ কেবল নিজের স্বার্থ সাধন করিয়া চি- তার্থ হয়েন না । ইহীর1 স্বকীয় ও পরকীয় ইহলৌকিক ও পারলৌকিক সুখসাধনের জন্ত সর্বদাই ব্যস্ত। গাহস্থ্য ধর্ম সম্পাদনে চুল্লী, পেষণী, উপস্কর, কওডনী ও বারিপাত্র, অর্থাৎ লা, শিলনো ড়া, সন্মার্নী, উছ্খল ও মুষল বা টেঁকী, এবং জলকলপ এই পঞ্চ শুনার প্রয়োগ জন্য গৃহস্থের জ্ঞানের অগোঢরে অহরহঃ যে সকল প্রাণীর বিনাশ সাধন হয়, তজ্জন্ঠ গৃহস্থের পাঁতক জন্মে; সেই পাতককে পঞ্চস্থনাজন্য পাতক কহে। এ প্রাত্যহিক পঞ্চ মহাপাঁতক প্রাত্য- (৭) কামাজ্মত] ন প্রশস্ত! ন চৈবেহান্ত্যক!মতা। কামে] হি বেদীধিগমঃ কর্মযোগশ্চ বৈদিক? ॥ ২। সম্ক্মূলঃ কামে বৈ যজ্ঞ; সন্কল্পদন্তবাঃ | ্রস্তা নিয়মধর্ম্মশ্চ সর্ব সন্কঈজা; সত ॥ ৩ ॥ অক[মদ্য ক্রিয়া! কাচিদ্শ্যতে নেহ করিচিৎ। যদ্যদ্ধি কুরুতে কিঞ্চিৎ তত্তৎ কামন্য চেষ্টিতমূ॥ ৪ | তেষু সমাগ্‌ বর্তমানে! গচ্ছত্যমরলোকতাম্‌ | যথাবস্কপ্পিতংশ্েহ সর্চান্‌ কামান সমন্মতে | ৫ ॥ মন্ু। ২অ। ২৪৮ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থ! হিক পঞ্চ মহাযজ্ঞ দ্বারা দূরীকৃত হয়। সেই পাঁচ মহাধজ্ঞ এই--দেবধজ্ঞ, খবিযজ্ঞ, পিতৃযজ্ঞ, ভূতষজ্ঞ ও নৃবজ্ঞ। দেবতা- গণ, অতিথি, খধিনমূহ, পিইলোকসমূহ ও প্রাণিবর্গ গৃহস্থের নিকট নিয়ত প্রাণধারণের আশা করেন, সুতরাং গৃহস্থকে 'অবশ্ঠ প্রত্যহ এ পঞ্চ মহাধজ্ঞ করিতে হয়। যে ব্যক্তি এই পঞ্চ মহাযজ্ঞ না করে, সে মহাঁপাতকী হইয়া নরকে বাদ করে। (৮) বথানিয়মে বেদাধ্যয়ন ও অধ্যাপন! দ্বারা খবিষজ্ঞ সমাধা হয়। যথাবিধানে হোম সম্পাদিত হইলে দ্রেবগণ তৃপ্ত হয়েন। বিবিপূর্বক শ্রাদ্ধক্রিয়া করিলে পিতলোকের অক্ষয় স্বর্গ লাভ হইয়া থাকে । অতুভ্ প্রাণিগণ ও অনাথ এবং আশ্রিত ব্যক্তিবর্কে অন্নপানীর় দান করিলে তাহাদিগের তৃপ্তি জন্মে । ইহাতেই সর্ব পাপ ক্ষয় হয়। (৯) ক্ষুধার্ত প্রাণিগণকে অন্নপানীয়াদি দ্রব্য প্রদান করিলে তাহাি গের জীবন রক্ষা হয়। জীবের তুষ্টিই খষি, দেব, পিতৃ, মনগুধা ও ভূতগণের তৃপ্তিনাধনের হেতু। ইট (৮) পন? হন! গৃহস্থন্য চুলী পেবখ্যগন্বর2। কণনী চোদবকুস্থণ্চ বধ্যতে যাল্ত বাহয়ন্‌ ॥ ৬৮ ॥ মনু | ৩ আ। তানাং ক্রদেণ সর্দান।ং নিষ্কৃত্যর্থং মহর্ষিভিঃ। পঞ্চ কৃপ্ত। মহাবজ্ঞাঃ প্রত্যহ্ং গৃহদেধিলাম্‌॥ ৬৯ ॥ মনু । ও অ। গঞ্চ বজ্ঞাংশ্চ যো! মোহান্ন করোতি গৃহাশ্রমী । তন্য নায়ং ন চ পরো লোকে ভবতিধর্মতঃ॥ ব্যাস। (৯) অধ্য।পনং ত্রঙ্গবন্তঃ পিতৃঘজ্ঞন্ত তর্পণমূ। হোগে। দৈবে। বলিভৌতে। হৃযল্লোহতিথিপুজনম্‌ (৭৭। মনু । ৩ম। ধর্ম । ২৪৯ হদীয় আশীর্ধাদে শুভাদৃষ্ট জন্মে। শুভাদুষ্টের ফলে মানবগণ গনকালে অক্ষয় স্বর্গ ভোগ করেন । এইটী ইহাদিগের স্থির পিদ্ধান্ত ও চিরবিশ্বাস। এই বিশ্বাসের বশবর্তী হুইয়াই আবর্ম্য- গণ শ্রাদ্ধ, তর্গণ, পুজা, হোম ও দানাদি কার্যে একান্ত সন্ুরক্ত । যেখানে এই অনুরাগের খর্দতা দেখা যাঁর, তথায় নাস্তিক্য-বুদ্ধির আবেশ ধরা গিয় থাকে । যে নকল লোকের সম্বন্ধে এই সকল ক্রিয়ার লোপ হই- ঘাছে তাহাদিগকে বৃষল (ধর্মত্রষ্ট) অর্থাত গ্লেচ্ছ, যবন, কিরীনত খনাদি শব্দে উল্লেখ কর! যায়; স্থৃতরাং সমগ্র বেদাধায়নে 'অদমর্থ হইলে বেদের একনেশ মাত্র অধ্যয়ন দ্বারা ত্রান্মণ্য রক্ষিত হইয়। থাঁকে | (১০) কেহ কেহ এরপ আপত্তি করিতে পাঁরেন বে, মুতো- দেশে ইহলোকে দান করিলে পরলোকে তাহা উপস্থিত হইতে পারে না, কিন্তু সেট তীহাদিগের বুঝিবার ভ্রম । কারণ, দেখ, ঈশ্বর সর্ধব্যাপক, প্রাণিমাত্র ঈশ্বরের অংশবিশেষ, জীবাস্মা গর" মাস্্া হইতেই উৎপন্ন ও তাহ! হইতে অবিশেষ এবং তীহাতেই লীন হয়। পরমাত্মাই ঈশ্বরস্বরূপ ও পরত্রহ্ষপদবাচ্য, তিনি সর্দব্যাপক। ধাহাঁর সর্বব্যাপকতা আছে, তাহার নিকট ভক্তিপূর্ববক যাহ! দেওয়া যায়, তাঁহ! সংক্ষেত্রে উপ্ত বীলবৎ মিনির ররর রান রা (১০) ন শুদ্বো বৃধলে। নাম বেদে] হি বৃষ উচ্যতে যস্য বিপ্রাস্য তেনালং স নৈ বুষল উচ্যতে ॥ তশ্মা্থবলভীতেন ত্রাহ্ধণেন গ্রযদ্ধতঃ। | একদেশোংপ্যধ্যেতবে]। যদি সর্ষে ন শকাতে ॥. যমঃ। ২৫০ ভারতীয় আর্জীতির আদিম অবস্থ!। অনন্ত গুণ প্রাপ্ত হয় এবং মৃত ব্যক্তি সজীববৎ স্থক্ম শরীরে সমু দায় গ্রহণ করেন। তদ্বারা তদীয় গ্রীতি সম্পাদিত হইবে ন| কেন? মন্ুষ্র প্রক্কৃতিতে ঈশ্বরের অবস্থা সম্যকরূপে প্রতি- ভাদিত হয়। যদিও আমরা তাহাকে প্রত্যক্ষ করিতে পারি না সত্য, তথাপি তিনি আমাদিগের হৃদয়ের বহিভূতি নহেন। জীবগণ স্বেচ্ছায় যখন প্রজাস্থষ্টির বশীভূত হয়, তখন রজো গুণা- ন্বিত। ঘথন তাহারা পালনতত্পর, তখন সন্বগুণাধুক্ত। যখন হিংসা প্রবৃত্ত, তখন তমোগুণশালী। এই গুত্রয় পর- স্পর সংযুক্ত, কেহ নিরপেক্ষ নহে, কদাঁচ অসংযুক্তভাবে থাকে না। মনুষ্য গ্রকৃতিতে ব্যক্তিবিশেষে যে গুণের আধিক্য দেখা যাঁয় তাহাকে তদগুণাক্রান্ত মানব বল! গিয়া থাকে | গুপ- ত্রয়্ের সাম্যভাবের নাম প্রকৃতি বা! মহাশক্তি। মহাশক্তি ত্রহ্ধ রিঞট শিব মুষ্ঠিভেদে ত্রিধা, সুতরাং প্রকৃতির অবস্থান্তরকেই রজঃ সত্ব 'ও তম£ গুণ শব্দে নির্দেশ করা যায়। প্রকৃতি ঈশ্ব- রের অঙ্শ্বরূপ ও তাহা হইতে অভিন্ন। এইরূপ জ্ঞান দ্বারা ঈশ্বরের সত্তা! অনুভূত হয়। সুতরাং জীবের তৃপ্রিলাধনে 'াহার প্রীতি জন্মে, এই নিমিত্তই মুতের সুথসাধন জন্য জীবের তুপ্রিাধন করা হয়। (১১) শখ পিপপপীপী শি স্পীপীশ শী িশাশটি শশী (১১) যথ। প্রাপ্থযাপকক্গেত্রী সর্গাদিষু গুণৈযু ত5। তথা দ সংজ্ঞামায়।তি বরদ্ষবিকুশিবাত্িক| ॥ ্রঙ্গত্ে সজতে লোকান্‌ ক্্রত্বে ন'হরত্যপি। বিষ্ুত্বেপি চোঁদাসীনঃ তিশ্বোহবস্থাঃ শ্বয়ংভূবঃ | রজে। ব্রঙ্গ।। তমো। রুদ্র, বিফ? সত্তবং জগৎপতি। অতএব ত্রয়ে! দেব1:) অতএব জ্রয়ে। গুণাঃ ॥ ধন্ম | .. ২৫১ আর্ধ্যগণ ঈশ্বরগ্রীতিকামনায় সর্ধপ্রকাঁর ধর্ম সমাধান করিয়া থাঁকেন। শ্ুদ্ধচিন্ত ব্যক্তি কেবল প্রণবমন্ত্র জপদ্ধারা সিদ্ধি লাভ করিতে পারেন। প্রণব বিশ্ব সংসারের সার বন্ধ, সমস্ত বেদের প্রাণ, সমুদয় জপ যজ্ঞের মূল ও জ্ঞানের নিদানম্বরূপ। (১২) সাত্বিক, রাঁজসিক, ও তামসিক ক্রিয়া । পরব্রন্ধের গ্রীতিসম্পাদনকার্ধ্য সত্যপৃত অহঞ্তারশূন্য পঞ্চ- নহাষজ্ঞ ব্যতীত হয় না । পঞ্চ মহাযজ্ঞরসিদ্ধির পূর্ণ ফল লাভ নানন করিলে স্বার্থত্যাগ করিতে হয়। সার্থশূন্যতাই সত্বগুণের কার্ধ্য। তজ্জন্তই এই জাতি নিজের পিতৃতর্পণ, শ্রান্ধ ও পুত্রাদির ' নান্দীমুখাদি কার্যে অশ্রে অন্তদীয় স্থখ ও তৃপ্তি সম্পাদন নিমিত্ত ব্যস্ত হইয়াছেন। তর্পণকালে আত্ম পর কাহাকেও পরিত্যাগ করেন না, এমন কি আব্রন্বস্তম্বপর্য্যস্ত কাহাঁকেও বিস্বৃত হৃয়েন না । যিনি স্বার্থ ত্যাগ করিয়াছেন, তাহাকে চিরকাল ম্মরণ করিতে ত্রুটি করিয়। থাকেন কি? পরলোক- গত ব্যক্তির গ্রাতি ইহাদিগের জাত্যতিমান নাই । ভীদ্ঘ ক্ষত্রিয় হইলেও তাঁহাকে পিভৃপিতামহের স্তায় জ্বান করিয়া যথা- অগ্ঠোন্ত মিধুনা হোতে অন্থোন্তাশ্রয়িণস্তথ। |. ক্ষণং নিয়োগে ন হোযাং ন তাজগ্তি পরল্পরষ্‌ ॥ বিষুপুরাণ। সত্বং রজন্তমশ্চৈব গুণত্রয়মুদাহতম্‌। সাম্যাবস্থিতিরেষাং হি প্রক্ৃতিঃ পরিকীর্ডিতা॥ মৎস্তপুরাণ। (১২) ও মিতোতৎ স্রয়ো বেদান্ত্য়ে! লোকান্ত্রয়োহগ্রয়ঃ। | বিষুক্মানন্তেতে খক্‌ লামানি বঙুধি চ॥... বারুপুরাণ। ২৫২ ভারতীয় আর্ধ্যঙতির আদিম অবস্থা । বিধানে তর্পণ করিয়া আপিতেছেন। নির্ব্িকল্লাত্মক শুদ্ধ ভাবগুলিই সন্বগুণের পরিচারক | অভিমানের কার্ধকে রজো. গুণের কাধ্য বা সঙ্কল্পাঝ্সক ভাব বলে। অদদ্বাসনার কাধ্যকে তমোগুণের কাধ্য কহ! যায়। অশরণ, অপহত, অগ্থিদগ্ধ, অপুত্রক, নিম্পিতৃক, নিরক্র, নিক্কিয়, ব্যক্তি প্রভৃতি ও নিক্রিয় জীবের তৃষ্ি ও সুখের জন্ত পিতৃকৃত্যের অগ্রেই তাহাদিগের তর্ণ ও পিগুদানের ব্যবস্থা দেখা যায়। তাহার অকরণে সঙ্কল্পিত ব্যক্তির পিওদান অসি হয়। সুতরাং স্বাতিলধিত ফলসিদ্ধির ব্যাঘাত জন্মে । দেব-। পৃজ| ও নান্দীমুখাদি কাধ্যে বন্ধুজন, সখিজন, জ্ঞাতিগণ, সর্ব. জাতীয় আবাল, বৃদ্ধ, বনিতা, সকলেই সন্মান পাইয়া থাকেন। সর্বপ্রাণীর সুখনম্পাদন দ্বার! পুত্রাদির অভ্যুদয় জন্মে । সুতরাং জীবগণের অবশ্তকর্তব্য কর্মের নাম নিত্য ক্রিয়া। ইহা! ত্রিবিধ, সান্তবিক, রাজসিক ও তামসিক | পরমপুরুঘার্থসাধক গুণের নাম সত্ব। ত্রিবর্গদাধক ভাবকে রজোগুণ কহা যায়। কুপ্রবৃত্তি- প্রবর্তক গুণকে তমোগুণ শবে নির্দেশ করা গিয়া থাকে ।-: ইহা! পূর্বে উক্ত হইয়াছে । ফলতঃ জীবের তৃপ্তিকর কার্ধ্যের উদ্যোগ ও অনুষ্ঠান কর! অবশ্তকর্তব্য । সত্বগুণের প্রভাবে আত্ম গ্রসন্নতাজনিত-সুখ-সন্মিলিত পরমানন্দ জন্মে। যে সংক্রিয়ায় পরমানন্দের সীম! নিবদ্ধ হয়, ও যশোলিগ্দা থাকে, তাহা রজোগুণের ব্যঞ্জক । তমোগুণপ্রভাবে দুক্ষিয়ায় আসক্তি হয়। (১৩) (১৩) বৎ কর্ম কৃত কুর্্বংস্চ করিষ্যংশ্মৈব লজ্জতি। তজ্জেয়ং বিছা! সর্বং তাদদং গুণলক্ষণম্‌ ॥ ৬৫ । আতিথ্য। খষিযজ্ঞ অর্থাৎ বেদাধায়নাদি। খধি শবের অর্থ বেদ, সুতরাং তাহার অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা দ্বারা তত্বজ্ঞান লাত হয়। অতিথি-দেবা দ্বারা আন্তরিক সুখ জন্মে। আতিথ্য-ক্রিয়ায় বৈশুখ্যহেত মন কলুষিত হয়, তদ্ধেতু পাপ জন্মে, তদ্বার! নরক- গ্রামী হইতে হয়। আতিথ্ের নাম নৃযজ্ঞ। অতিথি গৃহ হইতে অপূর্মনোরথ হইলে অতিথির পাপ গৃহস্থের প্রতি বর্তে, এবং গৃহস্থের যদি কিছু পুণ্য সম্বল থাকে, উহা! এ অতি- থির নিজস্ব হইয়। যায়। আ'ম্মবিভবান্থুমারে অতিথি-সেবা করিবার বিধান নির্দি আছে। শ্বশক্তি অনুসারে যথাবিধানে ভক্তিপূর্বক আতিথ্য- কাধ্য না করিলে পাপ জন্মে ও সমস্ত ক্রিয়া নিক্ষলা হয়। এই কারণে নির্ধন ব্যক্তিও মুষ্টীভিক্ষা দেওয়। একান্ত আবশ্তক । যেনান্মিন কর্মণ লোকে খ্যাতিমিচ্ছতি পুঞ্চলাম্‌। নচ শোচত্যনম্পত্ৌ তথ্বিজেয়ন্ধ রাজনম্‌ ॥ ৩৬ ॥ যত দর্বেবণেচ্ছতি জ্ঞাতুং বন্ন লজ্জতি চাচরন। যেন তুষা(ত চাত্সাদ্য তৎ বন্তগুণলক্ষণম্‌ ॥ ৩৭॥ তমদে। লক্ষণং কামে! রজনন্তর্থ উচাতে। সত্বস্য লক্ষণং ধর্মঃ শ্রেষ্ঠটমেযাং যখোত্তরম, ॥ ৩৮ ॥ হুখাত্যুদয়িকখৈব নৈঃশ্রেয়মিকমেব চ। ্রবৃত্বঞ্চ নিবৃত্বঞ্চ ছ্থিবিধং কর্ম বৈদিকম্‌ | ৮৮। .. ইহ চামুত্র ব।কামাং প্রবৃত্বং বর্ম বার্ত্যতে। নিষামং জানপূর্বনধ নিবৃতমুপধিশ/তে | ৮৯॥ মন্থ। ১২ অ। ২২. ৪ ২৫৪ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থ1। নিঃস্ব ব্যক্তির পক্ষেও অতিথির আগমনে স্নৃত বাক্য, আঁমন- প্রদান, পাঁনীয়'জলদান ও শ্রান্তিহর কার্য দ্বারা তদীয় তৃপ্তি, সম্পাদন করা উচিত, নচেৎ সে ব্যক্তির পক্ষে নরক-নিস্তারের আর উপায়ান্তর নাই। শরণ প্রাণীর ধঁহিক ও পারত্রিক তৃপ্তি ও সুখ সম্পাদন গাহস্থ্যধর্শের মুখ্য উদ্দেশ্য । ত্রাঙ্গণ অতিথির পক্ষে কদাঁচ আত্মপরিচয় দেওয়! কর্তব্য নহে। পরিচয় দিয়া আতিথ্যগ্রহণ করিলে তাহাকে বান্তাশী হইতে হয়। গৃহস্থের পক্ষেও অতিথির নামাদি জিজ্ঞাসা করা অকর্তব্য। ভিক্ষা-দানেও নামাদি জিজ্ঞাস! বিধেয় নহে । মুষ্টিমাত্র- গরিমিত ত গুলাদিদানের নাম ভিক্ষা, তাহার চতুগুণ দানের নাম অগ্রভিক্ষা। ষোড়শ গ্রাস পরিমিত তণুলাদি দানকে হস্তকাঁর ভিক্ষাশব্দে নির্দেশ করে। এইরূপে পরের ছুঃথ দুরকর! হয়। পরছুংখহরণপ্রবৃত্তিকে দয়া বলে। দয়া সমুদয় ধর্মের মূল। দয়ালু ব্যক্তির অসৎ কার্ষ্যে ইচ্ছা! জন্মে না। সাধারণ কথায় বলে, দয়ার অপেক্ষা ধর্ম-হিংলাৰ ল্য পাপ-_- আর নাই। এইরূপ সদিচ্ছা থাকাতেই জীবহিংদা নিবারিত হয়। অহিংস! পরম ধর্ম। অহিংসা হইতেই অসৎ কর্মে ইচ্ছার নিবৃত্তি ও সৎ কর্মে প্রবৃতি জন্মে । সৎপ্রবৃত্তি হইতেই মনুষ্য- গণ সুখলাভ করে । স্ুথই পুণের নিদান। অসৎ কার্যের প্রবৃত্তি হইতে ছুঃখজন্মে। ছুঃখই পাপের ফল। (১৪) শপ । ০৮ এসি (১৪) বন্য নজ্ঞায়তে নান নচ গোত্রং ন চস্থিতিঠ। অকন্মাৎ গৃহস্গায়াতি সোহতিথিঃ প্রোচাতে বুট্ধঃ ॥ সদাচার। কোন কুতর্কী পাঠক কহিবেন যে, আর্ধাগণের সমুদয় শান্্ের বচনের মহিত এঁক্য নাই। খধিগণের মতও বিভিন্ন, সুতরাং শান্তর অন্থুদারে চল| ভাঁর | কিন্তু সাধারণের ভ্রমনিরাশ জন্য খুষিগণ কহিয়াছেন যে, পিত ও পিতামহ প্রভৃতি মহাজন- বর্গ সদাচারক্রমে যে দমস্ত নৎ অনুষ্ঠান করিয়া আপিয়াঁছেন, সেই সকল ক্রিয়ার অনুষ্ঠান করিলে লোক কখন নিন্দনীয় হয় আপে ৮০৭৭১ ০ ওত ২০, .-০:4-০০াশী০৮ এ তশিশিলপী পাল পাটি নিশি নিশি শিশিশশাশ িশিপিপশাপিল পিপি এ িয়ে। বাঁ যদি বা দ্বেষো। মুর্খঃ পতিত এব বা। মংগ্রাপ্তে বৈশ্বদেবান্তে দোহতিথিঃ হ্বর্গসংক্রমঃ | (বিপ্রঃ মোহতিথিরিষ্যতে ইতি বাঁ শাতাতপঃ।) দেশং কালং ফুলং বিদ্যা পৃষ্ট। যোহন্ং প্রযচ্ছতি। ভো'জনং হস্তকারং বা! অগ্রং ভিক্ষামথাপি ব1। ভাদত্ব! নৈব ভোক্তব্যং যথাবিভবমাত্বনঃ ॥ গ্রাদপ্রমাণা ভিক্ষা প্যাদগ্রং গ্রামচত্ট্য়্‌। অগ্রািতৃপ্ত গং প্রাহহস্তকারং দ্বিজোত্বমাঃ | অতির্থিবস্ত তগ্নাশো! গৃহাৎ প্রতিনিবর্তে। ন তশ্বৈ দৃদ্ধতং দত! পুণ্যমাদায় গচ্ছতি ॥ আহিকতত্বধৃত মার্কগেয়পুরাণ। ন ভোজনার্থং শ্বে বিপ্রঃ কুলগোত্রে নিবেদয়েৎ। ভোজনার্থং হি তে শংসন্‌ বাস্তাশীত্যুচতে বুধৈ ॥ মনু ১০৯ ওঅ। ভিক্ষামপুযুদপাত্রং ব1 নতকৃতত্য বিধিপূর্র্বকম্‌ | বেদতত্ব্থবিছুষে ব্রাঙ্মণায়োপপাদয়েৎ | ৯৬॥ তৃণানি তৃূমিরদকং বাক চতুরথীচশৃনৃতা। এন্কান)পি তাং গহে নোচ্ছিদযন্তে করাচিন 18৭1 মন ৩ জ। ২৫৬ ভারতীয় আর্ধজাতির আদিম অবস্থা | না, বরং শ্রদ্ধার পাঁত্র হয়। যুক্তিমার্গানুনারে সদনুষ্ঠান করা কর্তব্য। পূর্নপুরুষদিগের ভুক্ষিয়ার অনুষ্ঠান করা পুণ্যজনক ও প্রশংসার কার্ধ্য নহে। সাঁধুদিগের আচরিত বাবহারের অন্ুমরণ করাই বিধেয়। সাধুজনের আচরিত স্বধর্মের অনুষ্ঠানে নিধনও শ্রেয়, তথাপি পরধন্মগ্রহণ কোনক্রমেই উচিত ও গ্রাহা নহে, উহ অতি ভরাবহ। মাতসর্ধ্যবিহীন ধার্মিক দ্বিজগণ রাগদ্বেষাদি- পরিশূন্য হইয়া থে নকল সদাচারের অনুষ্ঠান করিরাছেন ও যে সংক্রিয়া জাতি, কুল ও শ্রেণীর আচরিত ও ধর্মের অবিরুদ্ধ, তাহাই ধর্মসংজ্ঞায় অভিহিত হয়। আত্মজ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তির পক্ষে শান্ত্রোক্ত সদাচরণ করাই সাক্ষাৎ ধর্মোপাজ্জন। বে ্রিয়ানুষ্ঠান বিষয়ে ধর্্শাস্ত্রে সাক্ষাৎ বিধি বা নিষেধ নাই, তথায় মনের প্রীতিকর অথচ সাধুজনসেবিত সদাঁচরণ দ্বারা ধর্ম নির্ণয় করিতে হয়। ফেকার্য দ্বারা অন্তরাত্বার পরিতোষ নাজন্সে তাহ! ধন্ম বলিয়া গণ্য নহে। বেদ, স্মৃতি ও সদাঁচাঁর-. মূলক আত্ম প্রসন্নতাই সাক্ষাৎ ধর্ষের লক্ষণ (১৫) (১৫) যেন|স্ত পিতরে| যাত1 যেন যাতাঃ পিতামহী2। তেন যায়াং লতাং মার্গং তেন গচ্ছন্ন রিষাতে ।১৭৮॥ মন্ব। ৪ অ। বেদ: স্মৃতিঃ সদাচারঃ স্বম্ত চ প্রিয়মাত্বনঃ | এতৎ চতুর্ধিধং গরাহঃ সাক্ষাদ্ধর্মন্ত লক্ষণম ॥ ১২॥ মনু ।২ অ। বিদ্বপ্তিঃ সেবিত্তঃ নন্ভিরনিতামন্ধেষরাগিভিঃ | হদয়েনাভাগ্রজ্ঞাতে! ধো ধর্স্তহিবোধত ॥ ১1 মনু। ২ অ। সভ্ভিরাচরিতং যৎ স্যাঁৎ ধার্ডিকৈশ্চ দ্বিজাতিভিঃ। তদ্দেশকুলজাতীনামবিরুদ্ধং প্রকল্য়েৎ ॥ ৪৬ | মনু ।৮ অ। আঁচরঃ পরমে ধর্দঃ শ্রত্যুকঃ ম্মার্ড এব চ। উপামন! কেহ বলিবেন, সাঁকার ও নিরাঁকার উপাসনা দ্বার! আর্ধ্য- গণ মততৈধ দেখাইয়াছেন। সুতরাং প্রতিমা ও ঘটাদিতে ঈশ্বরের আবির্তীব হওয়া ও শ্বকপোলকষ্পিত প্রতিমার নিকট বর প্রার্থনা করা কিরূপে মঙ্গত হইতে পারে? তাহার উত্তর অন্ন কথায় হয় না। তবে স্থূল মীমাংসায় এইমাত্র বলা যায় যে, সাকার উপাসনা! ব্যতীত নিরাকার উপাসনায় অধিকার জন্মে না। ঈশ্বরের সর্বশক্তিত্ব ও সর্বব্যাপিত্ব স্বীকার করিয়া ভক্তিপূর্বক ভজনা করিলেই তিনি এমন বুদ্ধি দেন, যদ্দার সাকার ও নিরাকার উতয়প্রকার আরাধনাতেই দাধকের অধিকার জন্মে । (১৬) নিরাকার উপাপনার অভ্যাস করিতে হইলে অগ্রে সাকার- জ্ঞানের আবশ্যক | যে ব্যক্কি ঈশ্বরকে প্রীতিপূর্বক ভজন! তশ্মাদশ্রি্দা যুক্তে। নিতাং স্যাদাযুবান্‌ স্বিজঃ 0১১৮। মনু । ১ অ। ন যত্র সাক্ষাৎ বিধয়ো ন নিষেধ; শ্রুতৌ স্মৃতো। দেশাচারকুলাচারৈ স্তর ধর্দো নিরূপাতে ॥ স্বদাপুরাণ। . জেয়ান্‌ ধর্সে| বিগুণঃ গরধর্থাৎ স্বসৃতিতাং। হ্বধর্দে নিধনং গ্রেয়। রধর্থো ভয়াবহঃ ॥ ৩৫ ॥ ৩। ।গাবীতা | (১৬) তেযাং মততযুক্তানাং তাং রি ) ৃ সি বুদ্ধিযোগং তং যেন মাহুগযাস্তি তে _ভগবারদীতা। ২৫৮ ভারতীয় আর্ধ্যভ্(তির আদিম অবস্থা! । করে, ঈশ্বর তাহাকে এমন বুদ্ধি দেন যে, সে ব্যক্তি তাহাকে গাইতে সমর্থ হয়। যে ব্যন্ধি বৃক্ষের অবয়বাদি দৃষ্টি করে নাই, ফল পুষ্পের শোভ1 দর্শন ও গন্ধ আস্রাণ করে নাই, সে ব্ক্তিকি কদচি বৃক্ষের বীজ দেখিয়া ও গন্ধ পাঁইয়! সেই বৃক্ষের অবয়ব, ফল, রি ও শক্তির (প্রকৃতির) অস্কমান রনি সমর্থ হয়?_-কখনই না বালককে প্রথমে স্থুল স্থূল বিষয় দেখাইতে হয়, তৎপক্কে সুক্মু বিষয়ে অভিনিবেশ করান যাইতে পারে। তদ্রুপ প্রথমা ধিকারী বাক্তি স্থুললক্ষ্য হইয়া প্রতিমাঁতে ঈশ্বরের আরাধনা আরম্ভ করেন। তৎপরে অধিকার জন্মিলে নিরাকার ঈশ্বরো- পাসনায় রত হয়েন। | সাকার উপাসনা ব্যতীত কখনই নিরাকার উপাসনায় প্রবেশে অধিকার হয়না । দেখ, যেমন শবজ্ঞান করিতে হইলে আগ্রে অক্ষরপরি$য় করিতে হয়, অক্ষরপরিচয় ব্যতীত নিরাকার শব জ্ঞান জন্মে না। বণজ্ঞান জন্মিলে নিরাকার শবের জ্ঞান অনায়াসে লত্য হয়। যদি ব্গ অন্ধ ও মূর্ধাদির বর্ণ- জ্ঞান ব্যতীতও শবজ্ঞ।ন জন্মে, কিন্তু সেই জ্ঞান বর্ণজ্ঞানাধীঙ্গ না হইলেও বন্তজ্ঞানের সহকৃত জ্ঞান ব্যতীত আর কিছুই মহে। যেশব যেবস্তর প্রতিপাদ্য, অন্ধাদি নিরক্ষর ব্যক্তি বর্স সেই সকল বস্তকে তন্তৎ শবোর অভিধেয় মনে করে। সুতরাং উহারাঁ একটা বস্ত্রগ্রহ করিয়া শব্ধ উচ্চারণ করে । আধ্যজাতির পুজ। পার্বণ, শ্রাদ্ধ শান্তি ও শ্বন্ত্যয়নাদি জগ- তের হিতার্থ ও কর্কর্তীর মঙ্গল-উদ্দেশে অনুষ্ঠিত হইয়া থাকে । কি বৈদিক স্ততি, কি পৌরাণিক পূজা, কি তান্ত্রিক উপাসনা । ২৫৯ মন্ত্র, যাহাতেই দৃষ্টি-নিক্ষেপ করা যায়, তৎসমস্তই জীবের কল্যাণসাধক বলিয়া প্রতীতি জন্মে । (১৭) শুভজনক ব্যাপারে মনের গ্রফুল্লত। সম্পাদিত হয়। সগ্রণৰ গায়ত্রীজপ ও সন্ধ্যা-বন্দন] দ্বাৰা অহোরাত্রব্যাপক কায়িক, বাচিক ও মানসিক পাঁপ ক্ষয় হইয়া থাকে। গ্রাণায়াম দ্বার প্রাণবাযুর ট্স্ধ্য জন্মে, ইহাতেই দীর্ঘজীবন হয়। সন্ধা" মাজ্জনদ্বার। দেহশুদ্ধি হইয়া খাঁকে। পৃজা, জপ ও হোম দ্বার! চিত্তশুদ্ধি হয়, চিন্তশুদ্ধি হইলে পুজার কোন আড়ম্বর ও আয়োজ্ধন করিতে হয় না। ঈশ্বর-চিন্তন-বিরহে মৌনাবলম্বনূ করিয়! বৃথা কাঁলক্ষয় করা উচিত নহে। সর্বদ1 যন্ত্র জপ করা কর্তব্য। প্রাণায়ামাত্বক মানস-পূজা দ্বারাই সিদ্ধিলাভ হইয়া থাকে । (২৮) (১৭) খিয়ং মা কৃণু দেবেরু প্রিয়ং রাজহ মা কৃণু। প্রিয়ং সর্ধস্ত পণ্ভত উত শুদ্র উতাধ্য ॥ অথর্ধবেদমংহিত। | ১৯ ৬২। ২॥ মধু বাতা খতায়তে, মধু ক্ষরস্তি সিন্ধবঃ। মাধবীর্ন; নস্ত্বোষধীঃ ॥ মধু নক্তমুতো যনো, মধুমৎ পার্থিবং রক্কঃ। মধু দ্যোরস্ত নঃ পিতা ॥ মধুমান্‌ নে! বলস্পতিঃঃ মধুমী অস্ত শুর্যাঃ। মাধীর্গাবে। ভবস্ত নঃ॥ খথ্েদসংহিতা। ১1৬, ১৮। ১০২৩), (১৮) একাক্ষরং পরং বরদ্ধ প্রাণায়ামাঃ পরন্তগঃ | ৰ সাবিত্যান্ব গযং নাস্তি মৌনাৎ মত্যং বিশিষ্যতে | মু (২ আব ২৬০ ভারতীয় আর্ধ্জাতির আদিম অবস্থা। কেহ এরূপ আপত্তি করিতে পারেন যে, ঈশ্বর উপাসনার আগ্রে উপাঘক আত্মমস্তকে পুষ্প দেন, ইহা কি অসঙ্গত ও বিসদৃশ নহে? যে ব্যক্তি অবোধ, তাহাকে বুঝান ভার। ধাহাকে উপাসন করিতে হইবে, তৎসাযুজ্য প্রাপ্ত না হইলে, তদীয় অঙ্গ স্পর্শ কর সাধকের সাধ্যায়ত্ত হয় না। আপনাকে সমযোগ্য করিবার নিমিত্ত মস্তকস্থিত পরমাত্মার পূজা দ্বার] তাহার চৈতন্ত-সম্পাদন করিতে হয়। মানস-পৃজায়. পরমাত্মার পরিতোষ সম্পাদন হইলে, তাহাকে ঘটাদিতে বা মন্ত্াত্বুক যন্ত্রে সংস্থাপিত করিবার শক্তি জন্মে। তাহার শক্তি-প্রভাবেই তাহাকে সর্ধত্র প্রত/ক্ষ করিতে পারা যায়। পূজা সমাধা হইলে তাহাকে হৃদয়ে সংস্থাপিত করিতে হয়| সাকার ও নিরাকার । কেহ কহিবেন, প্রকৃতি ও পুরুষ ভেদে তারতীয় আর্ধয- ভ্বাতির উপাস্য দেবদেবী অসংখ্য । উপাসনার ক্রমও অসংখ্য, স্থতরাং স্থুলবুদ্ধি-জনের পক্ষে উপাসনা-কার্ধ্য অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার। কিন্তু আর্ধাগণ সে বিষয়ের সিদ্ধান্ত স্থির করিয়া, রাখিয়াছেন। যে ব্যক্তি যে উপায়েই বা পদ্ধতিক্রমেই উপা- ষনা করুক না কেন, ত্মাস্তরিক ভক্তি-সহকৃত উপাসনার প্রভাবে সে ব্যক্তি ঈশ্বরের সমীপে উপস্থিত হইতে পারে। যেমন নদী নকল নানাবিধ সরল ও কুটিল পথে গমন করিয়াও শেষে সকলেই সমুদ্রে পতিত হয়; তঙ্রপ বিবিধপথাবলম্বী হই- লেও চরমে পরম গতি ঈশ্বরের অনুগ্রহে কেহই বঞ্চিত থাকে সাকার ও নিরাকার । ২৬১ না। (১৯) যেমন মণিময় মালার সকল মণি এক সুত্রকে আশ্রয় করিয়া থাকে, সেইপ্রকার সমস্ত জগৎ সেই ঈশ্বরকে আশ্রয় করিয়া আছে । ব্রঙ্গা, বিষুঃ, শিব, ও মূলপ্রকৃতি মহাঁশক্তি মহা মায়ঃ ইহারা সকলেই একাঙ্গ, এক প্রাণ ও একীভূত । এইগুলি ঈশ্বরের উপাধিভেদ মাত্র, বস্তুতঃ বিভিন্ন অবয়ব নহে। পুরুষের প্রবর্তনায় গ্রক্কৃতি কার্ধ্য করেন, তাহাতেই ত্রহ্গাণ্ডের সৃষ্টি স্থিতি প্রলয় হয়। ূ পরব্রন্মের তেজাঁভাগের নাম বন্ধা । ত্রক্মতেজের গাভাবে অন্ঞানত| ও অন্ধকার দূর হঞ্স। ইহাকে চতুমুথও বলে) টতুমুখ বলিবার তাতপর্ধ্য এই যে, তিনি সর্ধত্র দৃষ্টি করিতে সমর্থ। ব্রহ্গতেজ হূর্যমগুল-মধ্যবর্তী হইয়া সদ সর্ধত্র বিরাজ করিতেছে; ইহাঁতেই ব্রহ্ধা্ড দেদীপ্যমান রহিয়াছে । তেজের প্রভাবেই সৃষ্টি হয়, স্থষ্টিবাপার ব্রহ্মার কায্য বলিয়! নির্দিষ্ট আছে। সুতরাং সৃষ্টিকার্যে ঈশ্বর ব্রহ্মার নামেই উপাস্য। (২০) (১৯) রুচীনাং বৈচিত্র্যাদৃজুকুটিলনানাপথযুষ।ং বৃণামেকো গম্যন্বমনি পয়সামর্ূব ইব॥. পুপ্পদন্ত। (২,) ব্রক্ষবিষুমহেশীদয। জড়াশ্চৈন প্রবীর্তিতাঃ। প্রকৃতিষ্চ বিনা দেবি সর্ব কার্ধ্যাক্ষম! ফ্রম ॥ কুজিকাতন্তর। একং দর্ধগতং ব্যোষ বহিরন্তর্ষথা! ঘটে । নিভ্যং নিরস্তরং বধ সর্ধভূতগণে তথা |. গর্গসংহিত। যথাকাপে হিতে| নিত)ং বযুঃ নর্ধধন্ধ বেগবান |... থা সর্ঝাণি ভৃতানি অধ্থামীত্যুপধাবয় |. ভগবদশীত। ৯ অ। ২৬২ ভারতীয় আর্য্যজাতির আদিম অবস্থা । বিষুর এই শবের বুাতপত্তি অনুমারে এই জানা যাঁয় যে, ধিনি সমুদয় সংসার ব্যাপিয়া আছেন তিনিই বিষু। তদন্ু- সারে আকাশকে বিষুণপাদ ব! বিষুর স্থান বলা যাঁয়। বিষ পাদ হইতে গঙ্গার উত্পন্তি। গঞ্গ। শিবের পত্রী । গঙ্গা বিষু- পাদোস্তব! হইয়া বন্গার কমগুলুতে বাদ করেন। তংপরে শিবের জটায় অধিষ্ঠানপুর্নক মর্ভ্যলোকে আগমন করিয়াছেন। এক্ষণে ইহা স্থির করা আবশ্তক যে, বিষুণ শব্দে কাহাকে বুৰায়। ঈশ্বরের যে শক্তি সমস্ত জগৎ ব্যাঁপিয়! অবস্থানপর্মক ব্রহ্মা শাসন করে, সেই শক্তির নাম ব্রিষু। বিষণ সহশ্রণীর্য সহত্র- চক্ষু ও সহত্্পা্দ, এবং ভূমি হইতে দশাঙ্ুল পরিমিত উর্ধে অব- স্বিত। ইহার তাত্পর্য্য এই যে, যিনি সহস্রমস্তক ও সহশ্রচক্ষু, তাহার অপ্রত্যক্ষ কিছুই নাই। ঘিনি যাহা করুন বাঁ ভাবুন, সমস্তই তাহার দৃষ্টিগোচর হইতেছে। (২১) সেই পরমত্রহ্ম ত্রিধামৃত্তি ত্রিশক্তি সহকারে জীবগণের নাভিপদ্মে হ্ৃৎপথে ও শিরঃস্থিত সহঅদল কমলে বাস করিতে- ছেন। মহাশক্তি জীবের সর্বাবয়বে বর্তমাম থাকেন। জীব- শরীর হইতে শক্তি অন্তর্থিত হইলেই ত্রিগুণাত্বক ত্রিদেবও সী পাশিস্পী শিট িশিকিিশিগিপিশিপিশ তিশা মত্ত; পরতরং নাগ্ভৎ কিঞিদস্তি ধনগ্রয়। ময়ি নর্বদিদং প্রোভ' হুত্রে মণিগ্ণা ইব ॥ ভগবদ্ীত]। ময়াধাক্ষেণ প্রকৃতিং লুয়তে সচরাচরম্‌। হেতুনানেন কৌন্তেয় জগন্ধিগরিবর্তৃতে ॥ তগবদ্গীতা। (২১) সহ্্ণীর্ধা পুকষ? নহশ্রাক্ষ: নহত্রপাঁৎ। ন তৃমিং সর্ববতো| বৃ! অত)ভিঠদশাঙ্গ।লম্‌। এ্রখেদদংহিতা। সাঁকার ও নিরাকাঁর। ২৬৩ তিরোহিত হয়েন। হৃদ বস্তর অভাব না হয় এই হেতুই দি- গণ অহরহঃ সন্ধ্যা ও গায়ত্রীর উপাসনা করেন | সন্ধ্যা ও গায়ত্রীর আরাধন! দ্বারা সর্ধপাপ ক্ষয় হয়। গয়ত্রীজপ ও সন্ধ্যার উপাসনা ব্যতীত কোঁন পূজায় অধিকার জন্মে না । এইনিমিত্ত স্ত্রী ও শূদ্রু জাতিকে দীক্ষিত করিয়া তান্থিক সন্ধ্যা, তান্ত্রিক গায়ত্রী ও বীজমন্ত্র শিক্ষ1! দিতে হয়। দশীমুল শব্ষে গরীব! হইতে ভ্রদেশ পর্য্যস্তকেও ধুঝায়। সুতরাং ঈশ্বর এই স্থান অতিক্রম করিয়। শিরঃস্থিত সহস্দল কমলে, আছেন। তিনি সহত্রপাদ অর্থাৎ তিনি সর্বত্র বিরাজমান। তিনি ভূমি হইতে দশান্গুলিপরিমিত স্থান অধিকার করিয়া উর্ধে অব- স্থান করেন। তিনি মুষ্টমাত্রপরিমেয় স্থানেও আপনাঁকে রাখিতে সমর্থ । ততকালে তিনি পরমাণুরূপী। তিনি কখনও বিরাটরূপী। তিনি কুর্ধ্যমগুপ-মধ্যবর্তী হইয়া আছেন। ব্রহ্মার ভ্বৎপদ্ধে তাহার চির আবাসম্থান। তিনি হিরগ্রয়- শরীর । তিনি শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্ম ধারী। ঈশ্বর সর্বাশক্বি- মান) তাহার এ সকল চিহ্ন ধারণ করিবার আরশ্ঠকতা কি? সে প্রয়োজন এই । আকাশ, কাল, জ্ঞান ও জীবন, এ সমস্তই তাহার অবয়ব, ইহাই স্পষ্ট প্রদর্শন জন্ত তৎচিহুত্বরূপ শঙ্খ, চক্র, গা ও পদ্ম ধারণ করিয়াছেন। আকাশের দ্যোতক শঙ্খ ) শঙ্ঘের কার্য শব করা) শবের আধার আকাশ। চক্র কালের হুচক। কালচক্রে মকলই পরিবর্তিত হইতেছে । কিছুই চিরস্থায়ী নছে। গদা, গদ ধাতুর অর্থ কথন অর্থাৎ জ্ঞান, ঈশ্বরোপাসন! দ্বার! জান-লাভ হইলে সুখ অম্মে। প্রাণীর হব ২৬৪ ভারতীয় আধ্যজাতির আদম অবস্থ। কমলে জীবাত্মার বাস। পরমাত্মা মন্তকোপরি সহঅদল কমলে অবস্থান করিতেছেন ) জীবাত্মা তাহাই চিন্তন করিতে করিতে তনীয় সঙ্গ গ্রহণ করিতে সমর্থ হইতে পারেন, ইহাই পদ্মধারণের ব্যঞ্জক। (২২) বিষুপাদ শবে আকাশকে বুঝায় । আকাশ হইতে জলের উৎপত্তি। ত্রিশ্বোত্া গঞ্গা ত্রিধামূর্তি হইয়! স্বর্গে মন্দাকিনী, পাতালে ভোগবতী ও মর্ডেযে অলকনন্দ। গঙ্গা নামে খ্যাত হইলেন । ইহাই কারণবারি, নারায়ণী ও পতিতপারনী। প্রকৃতি হইতে অভিন্ন। সুতরাং পরমপুরুষের অদ্ধাঞ্গ অর্থাৎ পত্রী। ৮২২) পৰংব্রক্ম পরং ধাম পবিত্রং পরমং ভবান্‌। পুরুষং শাঙ্বতং দিব্যমাদিদেষসজং বিভূঃ॥ জ্ঞেয়ং যৎ তৎ প্রবক্ষ্যামি যজজ্ঞাত্বামৃত মশ্সতে | অনাদিমৎ পরং ব্রহ্ম ন সত্তন্নাদছুচ্যতে ॥ সর্বতঃ পাপিপাদন্তং নর্বতোহক্ষিশিরোমুখম্‌। সর্বতঃ শ্রতিমল্লোকে নর্ধবমাবৃত) তিষ্ঠতি ॥ সব্বোন্দ্রয়গুণাভানং সর্বেক্রিয়বিবজ্জিতসূ | অদক্তং সর্বতৃষ্টেব নিগুণং গুণভোক্ত চ॥ হরিরস্তশ্চ তৃতানামচরং চরমেব চ। ুঙ্ত্বাত্বদবিজ্ঞেয়ং দুরস্থং চান্তিকে চ তৎ ॥ অবিভক্ত ভৃতেঘু বিভক্তমিষ চ্থিতমূ। ভূতভর্তচ তজ্জেযং গৃদিঝু প্র্বিফু চ। জ্যোতিষ্কঈসিতজ্যোতিস্তমসঃ পরমুচ্যতে। ভানং জেয়ং জানগমাং হি সর্ব তিঠিতম্‌॥ ভগবাদগীত|। ১৩। ১২-১৭। সাকার ও নিরাকার । ২৬৫ স্বামীর শিরঃস্থিত জটায় পত্ধীর কিপ্রকাঁরে অবস্থান করা স্ুসঙ্গত হয়? শিবের আটটা মূর্তি আছে। সেই আটটা মূর্তি এই-_সর্কমূর্তিই সাক্ষাৎ ক্ষিতিমূর্তি। ভবমুত্তিই প্রক্কৃত জলমৃষ্তি। কদ্মূর্তিই প্রত্যক্ষ অগ্নিমূর্তি | উ্রমুষ্তিই স্বয়ং বাযুমুত্তি। ভীম- মুর্তিই আকাশমৃত্তি হইতে অভিন্ন । পণুপতিমূর্তি ষমানমূর্তি (পরমাত্মস্বরূপ)। মহাদেবমুত্তি সোমস্বরূপ। ৬৪ ্্য- স্বরূপ। এই অষটমূর্তি ব্রহ্মাও-ব্যাপক। আকাশকে মহাদেবের কেশ শবেও নির্দেশ করে । মন্দী- কিনী আকাশে অবস্থান করিতেষ্টেন, সুতরাং শিবের জটায় অবস্থান করা অসঙ্গত হইল কি? শিৰের কপালে চন্ত্র ও অগ্নি থাকায় আপত্তি হইতে পারে। আকাশ যদিশিবের কপাল বল! হয়, তবে শিবের কপালে অগ্নি ও চন্দ্রের অবস্থিতির অসস্ভাবন1 কি? শিব ত্রিশৃলধারী; যিনি ত্রিতাপ (আধিভৌতিক, আধিদৈবিক ও আধ্যাত্মিক) নাশ করিতে সমর্থ, তাহার পক্ষে একপ অস্ত্রধারণ করা অবিধেয় নহে। তিনি ত্র্যদ্বক? যিনি ভূত, ভবিষ্যৎ ও বর্তমান দেখিতে পান, তীহাকে ত্রিনয়ন ভাবাই কর্তবা।. তিনি দিগম্বর ; যিনি অনন্ত ব্হ্ধাগুরূপী,ঠাহার বদন, দিক ব্যতীত অন্য কোন বস্তই হইতে পারে না) যেহেতু দিক্‌ নিত্য বন্ত। তিনি নরশিরে- ধারী) যিনি ক্ষিতিমূর্তিতে অবস্থিত, তাহার পক্ষে মৃত ব্যক্তির কপাল-ধারণ কোনক্রমেই অযোগ্য নহে) যেহেতু তাহার নিকট মৃত ও জীবিত প্রাণী উভয়ই সমান। তিনি শ্শানবাসী ; চি হার ুধা ও বিষে সমজ্ঞান, হার ঈলার রাস করায় দোষ তিনি বৃষবাহন বৃষ শবে এখানে বীড় নহে, বৃষ ২৩. ২৬৬ ভারতীয় আধ্যজাতির আদিম অবস্থা । ধর্মকে বুঝায়। যিনি ধর্মের উপরি আরোহণ করিয়া আছেন, তিনি বৃষারূঢ় ভগবান্‌। তিনি তিক্ষুক, যিনি সব্ধত্যাগী, তিনি অবস্তই ভক্তের নিকট তক্ভি-ভিক্ষা করেন। সর্শক্তিমতী সেই মহাশক্তির প্রীতি-ভিক্ষা করেন, কাজেই তিনি ভিক্ষুক । রুদ্র সংহারকারী, ষাহাতে সর্বশক্তি আছে, তিনি সংহার করিতেও সমর্থ । তিনি বিভূতিভূষণ; বিভূতি শব্দে ভম্ম মনে করিও না, ষড়েব্ধ্য মনে কর। সব্দশক্তিমতী নতীও ভিখারিণী, ত্রিনয়নী, কালী, দশতুজা, চতুভূজা, দিগণ্বরী, সিংহবাহিনী, কমলা, ভৈরবী, ছিন্নমন্ত। প্রভৃতি রূপভেদে নানামূর্তি হইয়া- ছেন, সুতরাং তিনি ভগবতী। সে নকলের ইতিহাস দেওয়া! এই পুস্তকের উদ্দেশ্য নহে । পাঠকের বোধসৌকর্ষ্যার্থে কতক গুলি রূপক ভঙ্গ করিয়া শাস্ত্রের সন্মান-বক্ষা। করাই মূল উদ্দেশ্য । ঈশ্বরের আকারাদি বর্ন কর! কাহারই সাধ্য নহে। তাহাকে পাইতে হইলে জ্ঞানযোগ ব্যতীত পাইবার উপায় নাই। জ্ঞানরূপ-কল্প-বৃক্ষের ফল.লাভ কর্শানুদারে হইয়া থাকে । উহার আকৃতি অনস্ত, ত্রহ্গাওব্যাপক মুল উর্ধে অব- স্থিত শাখা ও প্রশাখা সংসারের সর্ধত্র ব্যাপ্ত । বেদাদি শান্তর এই মহাবৃক্ষের পত্র, বিষয়াদি এই মহীরুহের প্রবাল অর্থাৎ মোহনকারী বস্ত। গুণানুসারেই ফল, পুষ্প ও পত্র পরিবদ্ধিত হয়। অর্থাৎ ফলান্ুলন্ধান করিতে গেলেই বিষয়ে লিপ্ত হইতে হয়। এই কারণেই বিষয়কে প্রবালাদি লোভ-. নীয় পদার্থের স্বব্ধপ বর্ণন করা হইয়াছে । (২৩) আপা ০ াপপশশিিিাপািটিটাটিতী পক (২৩) উ্ধমুলসধঃশাখ মং প্রাহরবযম। ২7 ছন্দাংসি বদ্য প্রাণি ধন্তং বেধবোিৎ ১ ॥ তপস্যা। 1 ২৬৭" বৃক্ষের মূল উর্ধে, শাখা প্রশাথা অধোদিকে) এবং ধর কল্প- পাঁদপ অক্ষয় বলিবার তাঁৎপর্ধ্য কি? সংসাররূপ তরু ভগবান্‌ হইতে বিনির্্ত হইয়াছে । স্থৃতরাং ইহার মূল ভগবান্‌। তিনি উদ্ধে অবস্থান করেন। তিনি সতাস্বরূপ, সত্য অক্ষয়। শাখা ও প্রশাথা অধোদিকে পরিব্যাপ্ত ) মন্ুষ্যাদি জীবগণই সেই সংসারবৃক্ষের শাখা ও গ্রশাখা। ইহারা কর্মান্ুদারে জন্ম হেতু অধঃপতিত হয়। সংকার্ধা করিলে বৃক্ষের মূল দৃষ্ট করিতে পারে। অসৎকার্ধ্য করিলে অধর্ম জন্য নরকভোগ করিতে হয় তপন্য।। স্বভিলধিত ইঞ্টদেবের পৃজা দ্বারা পরত্রন্ষের আরাধনা ও প্রীতি সম্পাদন হয়। আরাধ্য দেব বা দেবীর মূর্তি বিভিন্ন হইলেও সকল দেবতইই সেই পরতদ্ষের ও পরা প্রকৃতির বিভিন্ অবস্থা বিশেষ মাত্র। দ্বিজগণ উপাদনার আরস্তে প্রণব মন্ত্র, সপ ব্যান্ৃতি ও অঙ্গনাঁমে ব্যট্কারের জপ করিয়। গায়ত্রীর মরণ করেন। গায়ত্রীজপ সমাধা হইলে সন্ধ্যা বন্দন করেন । প্রণবমন্্ে পরমপুরুষ ও পরমী' প্রক্কৃতির শ্বরণ করা হয় । গায়ত্রী স্মরণ দ্বার বিখ্বমবিতার রূপ মনে ধারণ! হইয়া থাকে । তরি- কালীন নন্ধ্যা বদন দ্বারা পরম পুরুষ ও পরমা প্রক্কৃতির' তি সাক! অবস্থা রব ১ | তে ৃ আর হয | অধস্চো্ ত্য শাখ রথ বা। ন্‌ অধশ্চ পানামা ষ্টাসি বীজরালাত নু যল ২৬৮ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা | প্রাতঃকাঁলে যে মূর্তি চিন্তা করা যায় উহা বরহ্ষানীর মুর্তি; এই রূপটা রজোগুণাত্বিক শক্তি বা কুমারীসদৃশী প্ররৃতি। এই শক্তি দ্বার! পরা প্রকৃতির স্্টিকাধ্যের বিষয় চিন্তা করা হয়। মধ্যান্তকালীন সন্ধ্যার ধ্যান দ্বারা ইহা বোঁধ হয় যে, পর! গ্রকৃতি এই সময়ে পালনকার্য্যে রত; সুতরাং তীহাকে এই সময়ে বৈষ্ণবীনূপে ন্মরণ কর! গিয়া থাকে । পরা প্রকৃতির এই ূর্তিটা যুবতী রূপ বা. সত্বগুণাধিতাঁ শক্তি । ইনিই সাক্ষাৎ শ্রীদেবতা । সায়ংকালীন সন্ধ্যার বন্দন দ্বারা পর! প্রকৃতি ও পরব্রন্দের প্রলয়কালীন রৌদ্রা অর্থাৎ সংহারমূর্তি স্থৃতিপথে উদ্দিত হয়। উহ! রৌদ্রারূপা মহাকালীর জরতী বেশ। এই প্রকারে ঈশ্বরের ব্রিধামূর্তি ও ত্রিধা শক্তির স্কৃতি দ্বারা সংসারের ্ষ্টি স্থিতি ও প্রলয় এবং তৎকর্তার কাধ্যকলাঁপ সদাই মাঁনস- পটে দেদীপ্যমান হইতে থাকে । যথারীতি থাশক্তি সদ! গায়ত্রী জগ ও ত্রিকাঁলীন সন্ধ্যা বন্দন দ্বারা কায়িক বাচিক ও মানসিক পাপ ক্ষয় হইয়া থাকে । সুতরাং দেহ, মন ও আত্ম। পবিত্র হয়। এইরূপে আপনাকে সর্ধপ্রকারে সর্বদী পবিজ্র- ভাবে রাখিয়া! ভগবানের এরূপ চিন্তা! করাই তপদ্য!। অহরহঃ পরত্রহ্গের চিন্তা দ্বারা মনে পাপ জদ্ষিতে পায় না । গাঁপ থাকিলে ক্ষয় হয়। যাবতীয় মন্ত্র ও প্রণব যথাযোগ্যরূপে প্রয়োগ করিলে ইষ্সিত্তির পক্ষে কোন ব্যাঘাত জন্মে না। প্রত্যেক মন্ত্র বিনিয়োগসময়ে খধি,' ছনঃ, দেবতা ও কিনিমিত্ উনার প্রয়োগ অর্থাৎ ব্যবহার হইতেছে তাহা আগ্রে উচ্চারণ কর! নিতান্ত আবশ্যক। নতুবা এ মন্ত্রের কাঁধ্য সিদ্ধি হয় না। খষিশ্মরণ দ্বার] উতনাহ বদ্ধিত হয়।. ছন্দঃ্থৃতি দ্বার অবস্তর$- তপস্যা! ২৬৯ করণে আনন্দ জন্মে । দেবতার স্মরণে মনের একাগ্রতা উৎপন্ন হয়। প্রণব মনের প্রয়োগ মকল কর্ধের আদি ও অন্তে নিতান্ত আবশ্যক, কারণ, প্রণব সর্ধফলপ্রদু। ইহ! সকল জ্ঞানের সার, সকল মন্ত্রের সার, সকল দেবের সার, সকল ধর্মের সার এবং সর্বপাপক্ষয়কর ও ত্রিতাপহারক পরব্রন্ষপ্বরূপ। ইহ হইতেই সমুদয় অক্ষরের উৎপন্তি। ইহাই সকল অক্ষরের রক্ষক এবং ইহাতেই সমুদয় অক্ষর লীন হয়। তপস্যা বা উপাসনারূপ কার্ধ্য শারীরিক ও মানদিক শুদ্ধি সম্পাদনের প্রধান হেতু মনের একাগ্রতা ও ইন্রিয় সংযম না হইলে ভগবানের আরাধনা কাধ্য সমাধা হয় না। এইজন্ত অশৌচাবস্থায় উপাসনাকার্ধ্য করিতে নিষেধ আছে। কিন্তু অশোচান্তে ঈশ্বর স্মরণ ন! কঠিলে শারীরিক ও মানসিক নিত্য শৌচ জন্মে ন!। মন্ুষ্যগণ পবিভ্রতাবেই থাঁকুন বাঁ অপবিত্র ভাবেই থাকুন অথবা যে কোনরূপ অবস্থায় থাকুন না কেন, যদ্দি আন্তরিক শ্রদ্ধার সহিত একবার পরত্রন্মের নামোচ্চারণপুর্বক তাহার পাদপন্স শ্মরণ করেন, তাহ হইলেই তাহার অন্তর্বাস্থ শুচি হয় এবং পরমানন্দ ও নিত্য সুখ জন্মে | (২৪) | বথাকালে যথাবিধানে ভগবানের আরাঁধনা-রূপ নিত্য কর্ম সম্পর ন| করিলে প্রায়শ্চিত্তবিধানপূর্বক সেই সকল অবশ্যকর্তব্য কর্ম অশ্রে সম্পাদন করিতে হয়।, (২৪) অপবিত্রঃ গবিজ্রো বা র্তধাবস্থাং গতোহপি বাঁ। | হঃ শবরেৎ পুুরীকাঙ্ষং স বাহাস্যন্বরে শুটিং ॥.: বিতাধর্ঃ ২৭* ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । গুদ্ধিবিধান। তত্বজ্ঞান দ্বারা মনের শুদ্ধি সম্পাদন হয়। পরমার্থের জ্যোতি: হইতে মন যখন দুরবন্তী হইতে থাকে, তখনই ইহ। গ্রতিভাশূন্য হইয়া! থাকে । মনের স্বচ্ছতাই পবিত্রতার কারণ। মনের স্বচ্ছতা দুইটা কারণে কলুধিত হয়। প্রথম, আমোদ প্রমোদ নিবন্ধন, বিষয় বাসনায় একান্ত প্রবৃত্তি; অপর, প্রিয়- বিনাশ ও অঙ্গগনি হেতু চিত্তের একান্ত চাঞ্চল্য জন্মে। এই উভয়ের মধ্যে পুক্রাদির জননে আহ্লাদ সন্গিশ্রণে যে অশুচিত৷ জন্মে তাহাতেও কেহ কেহ পরমার্থ চিন্তন করেন । কিন্ত শোকাদি হেতৃক মনের মালিন্যাবস্থায় পরমার্থচিন্তনে অন্ু- রাগের খর্ধতা জন্বে। এইরূপ অবস্থায় মনের একা গ্রতা থাকে না। স্বুতরাং মন তৎকালে পরমার্থচিস্তনে নিতান্ত অপারগ। এইরূপ অবস্থা অশৌচশবে নির্দিষ্ট হয়। মালিন্য- মার্জন, পাতক হইতে পরিত্রাণ, কিংবা! পরমার্থচিন্তনে সমর্থ হওয়ার নাম শুদ্ধি। (২৫) পরম জ্ঞানীর মনে অনিত্য সখ দুঃখ অধিকক্ষণ স্থায়ী হয় না। স্ৃতরাং তাহার পক্ষে অশৌচ ক্ষণস্থায়ী। জ্ঞানবান্‌ ব্যক্তিরও সাংগারিক সখ ছুঃখ জনক কার্য হেতু সময়ে সময়ে মোহ জন্মে। সেই মোহান্বকাঁর যাবৎকাল জ্ঞানীর মনকে আচ্ছন্ন করিয়! রাখে তাবৎকাল তাহাকে অশ্ুচি কা যায়। অজ্ঞান ব্যক্তি সদাই বিষয়াসক্তচিত্ত। তাহার চিত্ত সুখ ছুঃখে এসপি শন (২৫) স্মরণ।চ্চন্তনাদ্বাপি শোধ্যতে যেন পাতৃকাৎ। তেন শুদ্ধিঃ সমাধ্য।ত| দেবীরুদ্রতনৌ হ্িতা॥ দেবীপুরাণ। প্রায়শ্চিত্ত | ২৭১ সদা মোহিত হইয়া থাকে । সুতরাং দে মনকে কখনই পবিত্র দেখিতে পায় না। এই হেতু সে সদাই অশুচি। এই সমু' দার পর্ধযালোচন! করিয়। খধিগণ জ্ঞানভেদে অশৌচ কালের তারতম্য করিয়াছেন । চারি জাতির মধ্যে ব্রাহ্মণ পরমার্থতত্বজ্ঞ ও সর্বাপেক্ষা বিষয়বাননাপরিশুন্ত এবং নির্মলচিন্ত। সুতরাং তাহার অন্তঃকরণ পরিশুদ্ধ। ক্ষত্রিয় আধ্যাত্মিক তত্বজ্ঞানে অপেক্ষারুত বীতম্পৃহ, বিষয়াসন্ত ও ক্রোধের বশীভূত । বৈগ্ত তদপেক্গ! বিষয়াসন্ত এবং পরমার্থতত্বজ্ঞানে বিশেষ সমর্থ নহে। বৈশ্তগণের মন ক্ষতিবৃদ্ধির ভাবনায় কলুষিত থাকে । স্ৃতরাং তাহাদের মন সদা পৃত নহে। অজ্ঞানতা হেতু শূদ্রজজাতির আত্ম প্রসন্নতার ব্যাঘাত জন্মে। তাহারা তন্নিমিন্ত আনন্দকালেও স্থখধ্বংসাশঙ্কায় মনকে একান্ত অপবিত্র করিয়া রাখেন ও শোৌকসমাচ্ছন্ব হয়েন। এই কাঁরণবশতঃ ব্রাহ্মণের অশৌচ যত অল্প, ক্ষত্রি- য়ের তদপেক্ষা অধিক, বৈশ্তের তদ্দপেক্ষা দীর্ঘ, ও শুপ্রের সব্ধা- পেক্ষা দীর্ঘকালে অশোচ নষ্ট হয়। শুচ ধাতুর অর্থ শোক। যে সকল ব্যক্তি স্থষ্টির প্রথমাবস্থায় শোক করিয়াছিলেন, তীহ।- বাই শূদ্র শব্দে পরিগণিত হইয়াছেন। | যে সকল আনন্দ ও শোকতাপাদি দীর্ঘকাল স্থায়ী হওয়া উচিত নহে, তথায় অশৌচের সক্কোচ দেখা যায়। প্রায়শ্চিত | হীন জাতিও তপস্য। দ্বারা উচ্চ হয়) উচ্চ জাতিও কর্তব্য কর্মের অকরণে হীনতা প্রাপ্ত হই! থাকে । হীনতা ও ছরিত্ ২৭২ ভারতীয় মর্ধ্জ।তির আদিম অবস্থা । ধ্বংসনাধক এবং পুণ্যজনক জ্ঞান ও ক্রিয়র নাম প্রকৃত তপস্য!। অসাধারণ তপন্যার নাম প্রায়শ্চিত্ত । তপদ্যাই সর্ধপাপের গ্রায়শ্চিন্তশ্বরূপ। সুতরাং পাপবিনাশসাধিক। নিশ্চয়াত্মিকা তপস্যা প্রায়শ্চিন্ত নামে অভিহিত হয়। কতকগুলি নির্দিষ্ট ক্রিয়ার অনুষ্ঠানেও পাপ দূর হয় সত্য; কিন্তু সে সমুদয় অনু- ষ্ানের প্রধান সহায় তপস্যা । তপদ্য। ব্যতীত কেবল ক্রিয়ার অনুষ্ঠানকে প্রায়শ্চিত্ত বলা যায় না। ত্রিবিধ কারণে পাপের উৎপত্তি হয়। (১ম) কর্তব্য কর্ধের অনুষ্ঠান না করিলে, (২) নিন্দিত কার্যের পরিষেবণে এবং (৩য়) ইন্্রির দমন না করিলে অধর্ম্ম হইয়া থাকে |. পাপক্ষয়- সাধিকা নিশ্চয়াম্বিকা তপস্যা দ্বারা মনের মালিন্য দূর হয়। মনোমালিন্য তিরোহিত হইলে লীবাম্মার পরমাস্মসাক্ষাৎকারে আর অনামর্থ্য থাকে না। পরমাত্মার সহিত জীবাস্মার অভিন্ন- জ্রানদম্পাদক ক্রিয়া ুরিতধ্বংদের নিদানস্বরূপ। ইহাই সামা- ন্যতঃ প্রীয়শ্চিত্তপদবাচ্য | (২) (১) তপোবীজ প্রভানৈস্ত তে গচ্ছস্তি যুগে যুগে। উৎকর্ষঞ্চাপকর্ষঞ্চ মনুষে ঘিহ জন্মতঃ ॥ ৪২।১* অ।মনু। ধিগ্বলং ক্ষত্রিয়বূলং ব্রন্মতেজে! বলং বলম্‌। একেন ব্রন্মদণ্ডেন সর্বাস্্রীণি হতাঁণি মে ॥ তদেতৎ প্রনমীক্ষ]াহং প্রসনেক্িয়মাননঃ। ভপো মহৎ সমাপথীস্তে ষথ্বৈ ব্রঙ্গাতবকারণম্‌ ॥ বশিষ্ঠ ও নিশ্বামিত্র সংবাদ, রানায়ণ। গ্রায়শ্িত্বং পাপন্ষয়মাত্রসাধনং কর । অগ্িরাঃ | প্রায়োনাম তপঃ প্রোক্তং চিত্তং নিশ্চয় উচ্যতে। | দ্বপোনিশ্য়নংযুক্কং প্রায়শ্িত্বমিতি শ্বতং | ঈশ্বরের মনুষ্যাবতার | ২৭৩ অহিসা, ইন্দ্িয়সংঘম ও পরোঁপকারই তপস্তার প্রধান অঙ্গ। ঈশ্বরোপাসনা ইহা'র মূল। ঈশ্বরের মনুষ্যাবতার | পরষেশ্বর নিরাঁকাঁর ও নিগুণ হইলেও তিনি সাঁকাঁর ও সর্গুণসমন্থিত, সর্বত্র বিরাজমান, সর্বদর্শা ও সর্বান্তর্ধামী। তিনি নিষ্ষিয়, মতা, তথাপি সমস্ত কাঁধ্যই তাহারই আয়ন্ত। তিনি সংসার হইতে নির্লিপ্ত, অথচ সংসার তাহাকেই আশ্রয় করিয়া আছে। তিনিই পুরুষস্থরূপ, তিনিই প্রক্কৃতি । (১) অথওড ব্রঙ্গাগডই তীহার বিরা্টমূর্তি। স্থাবর জঙ্গম সমস্ত বস্তই সেই বিশ্ববক্ষাণ্কর্তার ভিন্ন ভিন্ন অংশ মাত্র । সুতরাং সেই বিশ্বেশ্বর হইতে পরমাণু ও মহত্ব কিছুই পৃথক নহে, জড় ও জঁড়ের শক্তি, চৈতন্য, ইচ্ছা, মায়া, মন, প্রাণ ও জ্ঞান সমু নিশ্চয়গংযুক্তং পাপক্ষয়নাধনত্বেন নিশ্চিতমিত্যর্ঘঃ | পাপকারণমুক্তং যাজ্ববক্ষ্যেন। বিহিতস্ত ননুষ্ঠানান্নিন্দিতস্ত চ সেবনাৎ। অনিগ্রহচ্চেনদিয়াণাং নরঃ পতনমিচ্ছতি ॥ (১) অপরের়মিতক্বন্ত।ং গ্রকৃতিং বিদ্ধি মে পরাষ্‌ |. বীজতুভাং মহাবাছে। বয়েদং ধার্যতে জগৎ।॥ ৭ অ।৫€ প্লে এতদেহানীনি ভূতাবি সর্বাণীত্যপধারয়) হাজার নাত ৭ অংঞযো। রড জাযারার। ২৭৪ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । ভ্বায়ই তাঁহারই ছ্যতির বিকাঁশ মাত্র । অতএব আমরা বে বস্ততে ব! প্রাণীতে অলৌকিক শক্তি, অলৌকিক চৈতন্য, অলৌকিক জ্যোঁতিঃ, অলৌকিক মমতা, অলৌকিক মনস্থিত। ও অতি মহা প্রাণত। দেখিতে পাই, তাহাঁতেই ঈশ্বরের আঁবি- ভাব জ্ঞান করিয়া থাকি । সেই বস্তকে পরমেশ্বর বোধে তদ্‌- গত চিত্তে ভক্তিভাবে জনা করি। (২) মনুষ্যগণ তাহাই সিদ্ধকাম হয়েন। নিরাকার জ্ঞানে আরাধনা করা সিদ্ধসাধকের চরম উদ্দেস্তয হইলেও অজ্ঞান ব্যক্তির পক্ষে সাঁকাঁর উপাসনাই প্রশস্ত ও ফলপ্রদ। বিশেষতঃ জগতের স্থষ্টি, স্থিতি ও প্রলয় উদ্দেশে বিশ্বেশ্বর কখন্‌ কি কার্যে লিপ্ত থাকেন, তাহার ইয়ত্তা কর! মনুষ্য-বুদ্ধির অগোঁচর। তিনি যখন সকল বস্ততেই বিরাজিত, সর্বত্র বিদ্যমান ও সর্ধকালস্থায়ী, তখন তিনি সংসারের স্থিতি- নিমিত্ত জীবের কল্যাণবাপনায় একট সামান্য বস্তুতে বা প্রাণীতে আবিভূতি হইয়া অসীম শক্তি গ্রকাশপূর্বক কোন বিষয়ের স্থষ্টি, কোন বিষয় রক্ষা ও কোন বিষয় ধ্বংস করেন। এই কারণে আমরণ মৎস্য, কৃর্শা, বরাঁহ, নৃসিংহ, বামন, পরশু- রাম, রাম, কৃষ্ণ বুদ্ধ, কন্ধী, ব্যাস, অর্জুন, শঙ্করাঁচার্ধ্য ও চৈতন্য €২) যদ্যদ্বিতৃতিমৎ সত্বং শ্ীমদুর্জিতমেব ব। ততদেবাবগচ্ছ ত্বং মম তেজোহংশনন্তবঃ ॥ ১০ অ।৪১প্লো। অথব1 বছদৈতেন কিং জ্ঞাতেন তবাজ্জুন। : বিষ্টভ্যাহমিদং বৃৎষেকাংশেন হিতে! অগৎধ ॥ ১* অ। ৪২ মনো | গ্রীসন্তগব্দর্গীতা | ঈশ্বরের মনুষ্যাবতাঁর। ২৭৫ ্রভৃতিকে ঈশ্বরের অবতার বলিয়া মান্য ও পুজা করিয়! থাকি। বস্তগত, ব্যক্তিগত ব। জাতিগত বিভিন্নত| অনুসারে দোষ গুণের বিচারে প্রবৃত্ত হই না। শ্রণী শক্তি ও অলৌকিক বিভূতি দেখিলেই ঈশ্বর বোঁধ করিয়া থাকি । এবং তাহার মানুযো- চিত ক্রিয়াকলাপ পর্যালোচন। করিয়! তাঁহাকে মন্ত্য, নশ্বর) সাদি, সাস্ত, সাহঙ্কর, সকাম ও জক্রিয় পুরুষ বলিয়া ঈশ্বর হইতে পৃথক জ্ঞান করি না। যিনি দবৈধ জ্ঞান করেন, তিনিই নিক্ষলমনোরথ হয়েন। কারণ) সমুদয় বস্তই তাহাতেই লীন হয়। যেমন মহাদঘুদ্ের তরঙ্গষমালা মহাসমুদ্রের অংশ বিশেষ, বন্ততঃ ভিন্ন নহে, তজ্জপ সমুদয় অবতারেই ও সমুদয় প্রকক- তিতেই অভেদরূপে ঈশ্বরত্ব দেখিতে পাই। (৩) স্থতরাং সীতা, রুষ্সিণী ও রা প্রস্তি প্রক্কৃতিতে মূল প্রক্কতি মহাশক্তি, মহা- লক্ষী ও মহামায়ার আবেশ ও ঈশ্বরের মর্ত্যে আবির্তাবের বিষয়ে আর কোন লন্দেহ থাকে না। ঈশ্বর কি ভক্তবিশেষকে তাহার বিশবমূর্তি দেখাইয়া কর্তব্য কর্মের উপদেশ দিতে পারেন না, অবশ্য পারেন। তিনি সকল- রূপে সর্বপ্রকারে সর্ব বস্ততে আবিষ্ট হইয়া উপদেশ দেন। যেহেতু তিনি স্জাতীয় ও বিজাতীয় ভেদরহিত পরম পুরুষ ও পরম প্রকৃতি । যখন সংসারের স্থিতি-বিপর্য্যয় ও অধর আোত অধিক হ তত্কালেই তিনি লোকস্থিতি রক্ষার জন্য ও ধর্ম" 0 যো ্াং গত রা র্ রঃ গ্চতি। : ছাহং ন আসামি দচ দে ন পণ বিঃ | ৩ যো। রি ২৭৬ ভারতীয় আর্ধ্যজাঁতির আদিম অবস্থা । সংস্থাপন নিমিন্ত প্রত্যেক যুগে আবিস্ৃতি হইয়| থাঁকেন। (৪) সুতরাং অনন্তকাল মধো অসংখ্য অবতার দেখা যাঁয়। কেহ কহিতে পারেন যে, ঈশ্বরের জীবরূপে আবির্ভাব হওয়া! গল্প- মাত্র । অতীত ঘটনাবলী সময়ে সময়ে অতিরঞ্ভিত হইয় থাঁকে, ্থতরাং দকলগুলি বিশ্বাসযোগ্য হয় না। বস্ততঃ সকল বস্তু, সকল দৃশ্য ও সকল ঘটন| সকলের ভাগ্যে সকল সময়ে প্রত্যক্ষ কর! সহজ ও সাধ্যায়ন্ত হয় না । স্থৃতরাঁং বিশ্বস্ত ব্যক্তির কথায় বিশ্বান করিতে হয়, নচেৎ উপাঁয়ান্তর নাই। সেই কারণে আর্য্যের শাস্ত্রের প্রমাণকে অবিশ্বাস করিতে কদাচ সাহসী হয়েন নাই। স্থলবিশেষে বিভিন্ন মত হইলেও যুগান্তর বিষয় মনে করিয়া তাহার মীমাংসা ও সামগ্জসা করিয়। থাঁকেন। অবতারগুলিকে অনিত্য জ্ঞান করেন না। যে অবতার যে যুগে অবতীর্ণ হইয়াছেন, আবার সেই যুগে তন্রপে আবি হইবেন, কোন ব্যতিক্রম ঘটিবে ন1। ঃ ঈশ্বর সাধু পুরুষে অনুগ্রহ এবং অসাধু পুরুষে নিগ্রহ দেখান। নিগ্রহ দ্বারা পাপীর পাপ-শান্তি হন়্। পণপনিমুক্ত (৪) যদ! যদ! হি বর্ধবস্ত প্রানির্ভবতি ভারত । অস্ুখানধর্মন্ত তদাআনং কঙ্গাম্তহম্‌॥ ৪ অ।৭ সো! . পরিত্রাধার নাধুনং বিন।শায় চ ছুক্কতাম্‌। ধর্মনংস্থাপনার্ধায় নস্তবমি যুগে যুগে ॥ ৪ অ ৮ প্লো। জন্ম কর্ম চ মে দিব্যমেবং যে! বেত তত্বতত। ত্য! লহ পুনর্জন্ম নৈতি মামেতি সৌঁহজ্জুন | ৪ অন ঙ্লে। ঞমন্তগ বদ্গীতা। বলি উপুজা।.. ২৭ হইলে সেও তীহাঁর চরণপ্রান্তে স্থান পাইতে অনধিকারী থাকে' না। পাপীর যথার্থ দণ্ড হইলেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত হইয়া থাকে। প্রায়শ্চিন্তই জীবের পরিত্রাণের একমাত্র উপায়। এই জন্যই রাবণ, কংস, শিশুপাল, ছুর্য্যোধনাদি ছক স্তগণ মনুষ্য- রূপী ঈশ্বরের নিকট দণ্ডিত হইয়া অবশেষে পরিত্বাণ পাইয়া- ছেন। ঈশ্বরের সালোক্য, সাযৃজ্্য, সারূপ্য ও মার্টি লা তি অনারাদলত্য ও সুখের বস্ত। ঈশ্বর জীবরূপে আবিভূতি হইয়া মন্থুযাগণকে এই উপদেশ দিক়্াছেন ষে, তাহাকে বিনি যে রূপে, যে অবস্থায়, যে ভাবে ভঙ্গনা করুন না কেন, তিনি তাঁহাকে সেই ভাবে অন্থগ্রহ করেন। তাহাকে শক্র জ্ঞান করিলে তিনি শত্রন্ূপে তাহাকে বিনাশ করিয়! অবশেষে তাহার প্রত্যঙ্ষীভূত হয়েন। পাঁপের দণ্ড বিধানপূর্বক মোক্ষপদ প্রদানে বৈমুখ্য দেখান ন1। তের পক্ষে ত কোন কথাই'নাই | বলি ও পা । রা নাস্তিকগণ ইহ! বলিতে পারেন যে, ভারতীয় আর্গণের পৃজোপহার,উপাননার ক্রম, জগ, হো ও য্জের অনুষ্ঠান) সমুং দায়ই কাযসনিক্ ও বালকক্কত ক্রীড়ামাত্র ? বস্তুতঃ স্থূল দৃষ্টিতে দেখিলে ইহা! অবস্তই স্বীকার করিতে হয়, যে ঈশ্বরের অঙগন্- মূলে ্য নাও প রথ ী নহে, তাহার পুরা ও জল পরমেখর কেরির র্‌ 0 ৃ আগমন, করের | তিধীর ২৭৮ ভারতীয় আর্ধ্যজতির আদিম অবস্থ!। বর ধারণ করেন। এই কারণেই ভক্তের প্রদত্ত বলি তাহার নিকট তৎকাঁলে অপর্য্যাপ্ত। পুঁজ সমাধা হইলে তিনি ভক্তের হৃদয়ে মহাবিরাটমুর্তি ধারণ করিয়া অবস্থান করিতে থাকেন। বীজ ও বৃক্ষ ইহার উদাহরণস্বরূপ । ভগবন্তক্ত ও সাধকের আস্তরিক শ্রন্ধায় প্রদণ্ত অগুমাত্ দ্রব্য আরাধ্য দেব ও দেবীর উদ্দেশে নিবেদিত হইবামাত্র তদী্ কপাঁকটাক্ষপাঁতে অনন্তপ্রণ প্রাপ্ত হয়। সুতরাং তদীয় কৃপায় অণুত্বের মহ সম্পাদিত হইয়া থাকে । (2 আত্ম! ও পরমাত্মা ৷ ভগবান শ্রীককষ্ স্বয়ং কহিয়াছেন যে, আত্মার ধ্বংস নাইন জীবাস্। পরমাস্থার ছায়াস্বরূপ বা পরর্রদ্গের অংশবিশেষ |, শরীরের নাশ হয়, অর্থাৎ পঞ্চভুতের পঞ্চচগ্মাবয়বে মিশিয়া, যায় (১) ঘটাকাশ যেরূপ মহাকাশের অংশমাত্র, জীবাত্াও সেইপ্রকার পরর্রন্মের অংশমাত্র ও উহা! হইতে অভিন্ন। উহা নিত্য ও অবিনশ্বর । (২) (১) হস্ত! চেন্নাতে হস্তং হতশ্চেম্মন্যতে হতম্‌। উতৌ তৌ নবিজ্বানীতো| নায়ং হস্ধি--ন হনযতে ॥ কঃ কেন হদ্যতে হস্বং জন্তঃ ক কেন রক্ষ্যতে। হস্তি রক্ষতি চেবাঝা 1 হাসৎ সাধু সমাচর ॥ বিজ্পুরাণ রাদবাক! | (২) নৈনং ছিনস্তি শঙ্্রাণি নৈনং দহতি গাঁবকঃ, নচৈনং রেদয়গ্্যাপো ন শোষাতি মারত;॥ ২ ॥ ২৩ শ্লোক 1 | ,.. জীমস্গবদগীতা। গৃজা। ব্রক্ষাণ্ডে যে সকল ই্রব্য আছে, তৎসমুদাঁয়ই ঈশ্বরের |, তাহার বস্তু তাহাকে নিবেদন করিয়া দেওয়ার নাম পুজ]।. আত্মনমর্পণের নাম মহাঁপুজী। খাঁহার মূর্তি জগন্ময়, তাহার, তৃপ্তিনাধনকাধ্য কি সামান্য ভোজ্য দ্রব্য ও সামান্ত বস্ত্রা. লঙ্কারে সম্পাদিত হইতে পারে? কদাচ নহে। তবে কেন লোকে নানা উপহারে ঈশ্বরকে মনুষ্যবৎ পুঁজ! করে? তাহার আকারেরও কল্পনা হইতে পারে ন1। সাকার-উপাসকেরা ঈশ্ব- রকে আত্মবৎ সেব। করেন। আও্ার পরিতোষ জন্য যাহা যাহা | আবন্ঠক, তংসমূদায়ই মূর্তিগান্‌ বিগ্রহের সেবার প্রয়োজনীয় রোধ করিয়! উৎদর্থ করিয়। থাকেন। সুতরাং আত্ম গ্রসাদের নিমিত্ত যাহ! আবশ্বক, তৎসমুদয় দ্রব্য ও ক্রিয়া দ্বারা প্রত্যহ, ও প্রতিক্ষণে দেবমূর্তির (সেবা করিতে হয়। নতুবা কিছুতেই. মনের তৃপ্তি জন্মে না। পরমেশ্বর পরমাত্মরূপী, ত্তাহার আহার, নিদ্র! ওবিশ্লাস বাসনাদি কিছুই থাকিবার মন্তাবনা নাই সত্(৩),, (৩) লাকারমনৃতং বিদ্ধি নিরাকারস্ত নিম্চলম্‌। এততবে।পদেশেন ন পুনর্তবসন্তবঃ ॥.. গর্গনংহিত|1... মনসা কলিত। মু্তিনূ্ণাং চেও যুকিনাধনী |... স্বপ্নলন্ধেন রাজোন রাজানো মানবান্তদ। ॥ ১১৮ | শিলা ধারা িমর্াবীন্বব্ধ:। রিশ্নতত্তপস| জানং বিন মোক্ষংৰ, বা ছে 1,১১৯... অহানির্জাগতঘ। ১৪ টা 1.1 ্বমেব দা সুরা তং খাভাধকিখ্রপিণ মিযাকারাণি সাঁধায বং ধতি। 8 ২৮০ ভারতীয় আর্যজাতির আদিম অবস্থা । তথাপি কেন তাহার মূর্তি কল্পনা করিয়া, তাহার স্নান, ভোজন, শয়ন ও বিলাসের ইচ্ছা থাক সম্তাবন। জ্ঞান করিয়া, স্বকীয় পিতা মাতা ব! পুভ্র কন্াাদি জ্ঞানে তীহার সেবা করা হয়? ংসারিক ব্যক্তি সর্বদাই নিজের স্থখ ও আঁ্মপরিবাঁরবর্গের হিতসাধন জন্যই বাতিব্যস্ত; এরূপ অবস্থায় ঈশ্বর-চিন্তার ব্যাঘাত হইবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা । কি জানি, যদি ঈশ্বর-চিন্তন- ব্যাপার ও অবশ্ঠকর্তব্য পঞ্চ মহাঁষজ্ঞের ব্যাঘাত ঘটে, এই বিবেচনায় সমস্ত গৃহস্থকেই উপাদ্য-দেবতেদে শাঁলগ্রাম শিলা বা লিঙ্গমূত্তি অথবা কোন দেববিগ্রহের সেবা করিতে হয়। এঁ সকল মুর্তিই নিত্য ও কর্তব্য কর্শের স্মারক। ষে গৃহস্থের আবাসে দেবমূর্তি নাই, তথায় উপাসনা-কার্ধ্যের নিত্যতা, নুশৃঙ্খলত ও পবিত্রতার ক্রু হইবার সম্ভাবনা । যে গৃহস্থের আবাঁসে দেবমূর্তির যথাবিধানে সেব! হয়, সে গৃহস্থের পিতা মাতার সেবা, অতিথি-সেবা ও অন্যাগত ব্যক্কির সম্মান অতি ভক্তিপুর্ববকই সম্পাদিত হইয়া! থাকে । তথায় অতিথি, অভ্যা- গত, জশরণ,আস্মীয়জন ও প্রাণিবর্গ কেহই অতৃপ্ত থাকেন না। পিতা মাতাই সাক্ষাৎ দেবতা, সাক্ষাৎ ধর্ম, প্রত্যক্ষ স্বর্গ ও মূর্তিমতী তপস্যা । জনক জননীর তৃপ্তিসাধন হইলে সমস্ত দেবদেবীর গ্রীতি সম্পাদন কর! হয়। (৪) সত্তামান্তং নির্বিশেষং অবাগ্রনসগোচরম্‌। . অসতভ্রিলোকীসন্তাণং স্বরূপং বন্ধণঃ স্ৃতস্‌ | ৭ ্লো। ৩উ। ৷ (৪) পিতা ধর্থঃ পিতা সব্গঃ পিতা হি পরমং তপঃ। পিতরি পীতিমাপননে শীতে সরধাদেবতাঃ |... নিজ্যাধ্ই। আরাধনার ফল। ঈশ্বরে ভক্তিমান্‌ থাকা, ভ্ঞাননিষ্ঠ হওয়া, ও সুখে কালযাঁপন করিয়া তাহার চরণোপাস্তে আশ্রয় গ্রহণ করিয়া মুক্তিলাভ করাই মন্ুষ্ের মানুষতার চরম উদ্দেশ্য । আরাধন' দ্বারা মন্ুষ্যের পশুত্ব দূর হয় ও মনুষ্যত্ব জন্বে। এই সমদয় কামম! সিদ্ধ করিতে হইলে আত্মপ্রসন্নতা থাকা আবশ্যক । আত্ম প্রসাদই ততৃজ্ঞানলাভের মূল। অহিং- সাই মনন্তষ্টির হেতু) ভক্তিই মমুদর় পুজার নিদান; আত্মপম- পর্ণই মুক্তির মূলকাঁরণ। পিতৃতক্ক, মাতৃভক্ক, দেবপরায়ণ ও সংকিয়াশালী ও দয়ানু ব্যজিবর্গই সংসারে ধন্য ও সার্থকজন্মা। আত্ম প্রন্নতাই নুণস্বরূপ স্বর্গের মূল, আত্মগ্লানিই ছুঃখ- স্বরূপ নরকের নিদান ইহ! মনে রাখিয়। অনর্থক চিন্তা বা পর- খিরীবাদকীর্তুন মন ও রসনা হইতে দূর করা নিতান্ত কর্তব্য। অর্দত্যকথন সনুগাগের হেতু । তত্বজ ব্রাহ্মণের অবমাননা ও দানকিয়ার প্রশংসা কীর্তন করা কদাঢ বিধেয় নহে, উহা পাপের কারণ; তন্বারা সমস্ত পুণ্য, যন্ত, তপস্যা ও দান বিফল হয়। প্রতিক্ষণে ভ্রমশঃ ধর্মসঞ্চয় করা অবশ্য কর্তব্য। পরকালে গরলোকে ধর্ম ব্যতীত মংসারের 'কোন বস্ত বা ব্যক্তি কাহারও সহায়তা করে না বা | নঙ্ী হয় ন|। অত্ধর্শই সর্বত্র সর্বকালে সকলের একমাত্র মহায়। (৫) (৫) বজোংনৃতেন ক্ষতি জগত ি্াৎ। ৯ আহি প্রাগবাদেন বান গরিবীর্রনাং।১৯+7 ২৮২ ভারতীয় আর্ধ্যজাতির আদিম অবস্থা । প্রার্থনা । পূজা সমাধা হইলে প্রার্থনা ক্রিয়া আরম্ত হইয়! থাকে, প্রার্থনার নাম স্তব। বিস্ববিধাতক শ্বরূপাখ্যানকে কবচ বলে। প্রত্যেক মন্ত্রেরই খষি, ছন্দঃ, দেবতা, প্রক্কোজন, অভিধেয় ও সম্বন্ধ জ্ঞাত হইয়া ক্রিয়ার অনুষ্ঠান করিতে হয়। যথাবিধানে এইগুলি পরিজ্ঞাত ও প্রয়োজিত ন। হইলে ফলসিদ্ধির ব্যাঘাত জন্মে। বিদ্ববিঘাতনপূর্ধ্বক পুণ্যসঞ্চয় দ্বারা মুক্তিলাভ করাই আর্ধ্য- জাতির জীবনের চরম উদ্দেশ । সংসারের শাস্তিবিধানই সমস্ত ক্রিয়াকাণ্ডের মুখ্য প্রয়োজন । শ্রুতি, স্বৃতি, পুরাণ, তন্ত্র ও মন্ত্রাদি সমুদায়ই এই বাঁক্যের পোষকত! করিবে ও স্বপক্ষে সাক্ষ্য দিবে। ইঞ্টমন্ত্, উপাস্য দেবতা ও গুরু, এই তিনকে অভিন্ন জ্ঞানে একীভূত করিয়া আরাধন1 করিতে হয়, নচেৎ সিঞ্জিলাভ হয় ধর্মং শনৈঃ সঞ্চিনুয়াদলীকমিব পুত্তিক। পরলোকনহায়ার্থং সর্্বভূতান্যপীড়য়ন্‌ ॥ ১৩৮ ॥ ন চামুত্র সহায়ার্থং পিত। মাতা চ তিষ্উতঃ। ন পুত্রদারং ন জতিঃ ধর্স্তিষ্টভি কেবলম্‌॥ ১৩৯ ॥ একঃ প্রজায়তে জন্তরেক এব প্রলীয়তে । একো হনুভূঙ্ক্তে হকৃতমেক এব চ ছুন্ভভম্‌ ॥ ১৪*। মনু । তর্থ। মনঃপ্রীতিকরঃ স্বর্গ নরকত্তদ্ধিপর্যযয়ত। নরকন্বর্গমংজে বৈ পাপপুণে দ্বিজোত্বম ॥ ৪২ প্লোক। ৬ অ। বিষুপুরাণ দ্িতীয়াংশ। গ্রসাদ-গ্রহণ | ২৮৩ না। গুরু পরমাত্বা বাঁ পরব্রদ্ের স্বরূপ, দেবত| জীবাস্মা- সদৃশ) মগ্্ তেঙ্গোরূপা মুলগ্রক্কৃতি মহাবিদ্যা স্বরূপ । গুরুর অবস্থান-স্থান মন্তক, ইষ্টদেবের আবাদস্থান হৃদয়া- কাশ বা হৃৎপদ্ম, মহাবিদ্যার বাসস্থান জিহ্ব! । মন, প্রাণ, বাক্য এই তিনের একভাবে পরমাতআ্মার উপা- সনা করিতে হয়। পার্থক্যভাবে কখনই সিদ্ধিলাভ হয় না। (৬) এইরূপ মননই অচ্ছিদ্রীবধারণ ও চরম প্রার্থনা। প্রনাদ-গ্রহণ। অশন, বসন ও পানীয়, ইহার কোন বস্তই ঈশ্বরে অনি- বেদিত রাখিয়া ভোজন, পরিধান ও পান করিবার আদেশ নাই। সমুদয় বন্তই ঈশ্বরের গ্রীতিকামনায় তদুদ্দেশে বেদপারগ ্রাঙ্ণে সম্প্রদান কর! গিয়া থাকে, ইহাতেই তত্বজ্ঞের সম্মাননা হয়, ত্বারা ঈশ্বরের প্রীতি সম্পাদিত হইয়া থাকে ) ও দত্তবস্তর অনন্ত গুণ জন্মে। ভোজ্য বস্ত দেখিয়! মনের স্প্রীতি না জন্মিলে তাহা ভৌন্ধন করিবার বিধি নাই। অন্নকে আয়ু ও বীর্যের বর্ধক মনে করিয়া পরমাহলাদে পূজ। করিতে হুয়। যে অন্ন দেখিয়। মনের অগ্রীতি জন্মে তাহা আয়র নাশক, এ মন্ত্রাণ। দেবত। প্রোস্তা দেবস্ধ। গুররূপিমী। 1. অভেদেন-যজেদাস্তব তস্ মিদ্ধিরহুত্বম। ॥ হ॥ . গুরুং শিরদি সঞিন্ত্য দেবতাং হাযাুজে । রসনায়াং মূলবিদ্যাং তেজোরপাং চিনবে ১ অগা: হেলসানাসমেবীভূষং বিচিবয়েং । ১১৬৪... অনি * *উদ্নার । ২৮৪ ভারতীয় আর্ধজ।তির আদিম অবস্থ]। উহ! কদাঁচ ভোজ্য নহে। অনিবেদিত ভোঙ্গ্য বস্তুর ভোজন বিষা ও মৃত্র তগ্ষণ করা হয়। শরীর, দেহ, আম্মা ও অন্ন, এ সমুদারই বর্ধন্বরূপ, এইহেতু অন্নকে সাক্ষাৎ বিষুরজ্ঞানে পৃজ। করিয়া উহা! তছুদ্দেশে নিবেদনপুন্নক ভোজন করিতে হয়। তিনিই ভোক্তা! ও আযুফর। সত্যন্বরূপ সেই বিষণ যে বস্ ভোজন না করেন তাহাই অজীর্দতা ও অপরিণতি প্রাপ্ত হয়। বিষু দেবমাত্রের উপলক্ষণ, হরিই সকল যজ্ঞের ঈশ্বর। বথ! “সর্বযন্রেশ্বরোহরি:।৮ ততপ্রপাদানই পবিত্র ও আরোগ্যজনক। ভোজ্য বস্তু এককালে নিঃশেষরূপে ভোজন কর! বিধেষ় নহে। প্রসাদান্ন সকল প্রাণীর শ্রীতি ও সুখ প্রদ ; পিশীলিকাদি ক্ষুদ্র প্রাণিগণ ভোজনপাত্রাবশিষ্ট বস্ত দ্বারা জীবন ধারণ করে। যেব্যক্তি ভোজনপাত্রে কিছুই অবশিষ্ট না রাখে, সে প্রত্যেক জন্মেই ক্ষুৎপিপাপায় ক্লেশ পায়। (৭) স্পট সপ ৭) পুজয়েদশনং নিত্য মদযাচ্যেবমকুতসয়ন। ৃষ্টা! হযে;ৎ প্রসীদেচ্চ প্রীত) ননদেচ্চি সর্্বণঃ | ৫৪ ॥ পুজিতং হাশনং নিত]ং বলমুক্জধ্ং যচ্ছতি। | অপৃজিতত্ত তত্ত,জঞমুভয়ং নাশয়েদিদম্‌ |. মন্তু। ২161৫ হবিষান ্রাহ্মপানাং প্রাস্তং গৃহিণাং সদা। নারারণোচ্ছিইমিষ্টমনিবেদমক্ষ্য কম্‌ | অন্গং বিষ্ঠা জলং মুদ্ং হ্ধিফোরনিবেদনম। বিশরং সব্বপাপোক্তমন্তর্চ হরিবাসরে ॥. একাদশীতন্থ।, শিঝুঃ লমত্তদেহদেহী জধানভুতো ভগবান্‌ যথৈকঃ। মত্যেন তেনারমশেষমেতযারোগ]দং মে পরিণামযেনু ॥ ব্রহ্মনিরূগণ। উগবদগীতার মতে পরত্রন্গ ব্হ্মাওড হইতে বিশেষ বিভিন্ন । বরঙ্মাণ্ের দুইটা অবস্থা আছে। এক অবস্থার নাম ক্ষর, অপর অবস্থার নাম অক্ষর । ক্ষর জগৎকে জড় জগৎ বলে । চেতন শক্তিকে অক্ষর জগৎ অর্থাৎ কুট্থ ক্ষেব্রজ্র জীব। জীবই কার্ধ্যাকার্ধোর ভোক্তা । এই-ক্ষর ও অক্ষর জগৎ হইতে যিনি বিভিন্ন, তিনিই পরমাত্ব। বা পত্ব্রঙ্গ। তিনিই সর্ধনিয়ন্তা, সর্ব- সাক্ষী ও সর্ধপ্রাণীর হৃদয়ে অবস্থিত। শ্থুতরাং তিনি জগৎ হইতে পৃথক্‌ হইয়াও পৃথক নহেন। কারণ, পরমাত্মা সর্ব- ব্যাগী ও সর্বপালক। পরমাত্বাই পুরুযোত্বম নামে খ্যাত। পরত্রন্ধ সংস্বরূপ, স্ব গ্নকাশশ্বরূপ, সত্যন্বরূপ, জ্ঞানস্বরূপ, চিতস্বরূপ, আননদম্বরূপ, জ্যোতিংস্বরূ্প, নির্বিকার, নিরাধার, নিরাকুল, নির্বিশেষ, নির্ভঁণ, সর্বসাক্ষী, সর্বাত্মক, ভ্তানগমা, বন্বরূপ, বাক্যমনের অতীত, অথচ এই বিশ্ব তাহীতেই অব- স্থিত। ঈশ্বর কল্পতরু; তাঁহার নিকট যাহ প্রার্থন! কর! যায়, সমুদ্ায়ই তাহার সাধনা দ্বারা পাওয়া যায়। (৮) .. বিজু! তৈবান্ধং পরিণামন্ট বৈ যথা সতোন তেন বৈ মুদ্ং জীর্যাতবরমিদং যথ| | বিষুপুরাগ। ভুক্ত গীত্বা চ যঃ কশ্ছিৎ শুন্তং পান্রং নমুংকজে« স পুনঃ কুৎপিপাসার্তোতধেজ্শ্সনি জন্মনি |. বহিপুরাণ। (৮) স্বাবিমৌ পুরুযৌ লোকে ক্ষরশ্টাক্ষর এব চ। ক্ষ সর্বাণি ভূতানি টো গাতে।, ॥ 5৪ ঃফো। ১৫ গু রি. উত্তমঃ পৃরষত্বপ্তঃ পরমানু হত; | 2 যে োকতমাবশ্ত বিভা বায ঈখযঃ। ১ ১ঙ। ২৮৬ ভারতীয় আঁর্্যজাতির আদিম অবস্থা । মনুষ্য-দেহে ও মনুষ্য'মনে তিনি সর্বদা বিরাজ করিতে- ছেন। তিনি সর্নাক্ষী ও মর্ধান্ত্যামী। অতএব পাপানু- ্ান দ্বারা মন, প্রাণ ও দেহ অপবিত্র করা কদাপি উচিত নহে। পরম পুরুষ পরমাত্ার চিন্তন দ্বারাই জীবন সার্থক কর! কর্তব্য। সর্বভূতে সমদর্শী ন! হইলে পরক্রন্ষকে লাভ করা যাঁয় না। ইহাই তত্বঙ্ঞানের সার মীমাংসা । (৯) কাননে রই রা রাররাগানিিযালাজাতজারা রন যস্মাৎ ক্ষরমতীতোইয়দক্ষরাদপি চোত্তম:। অতোইম্মিন্টেকে বেদে ৮ প্রথিতঃ পুরুষোত্তমঃ ॥ ১৮1 &। গীতা । জ্বেয়ং ভবতি ত্বঙ্গ নকৃত্িশ্বময়ং পরম্‌ | | খা নৎ তৎন্বরূণেণ লক্ষণৈর্ব। মহেখ্বরি ॥ ৬ | সত্ব'মান্রং নির্র্ধিশেষমবাঙ্মননগোঁচরম্‌ | অদভ্রিলোকীনন্তাণং ম্বরূপং ব্রহ্মলক্ষণং | ৭ ॥ নস এক এব সন্্রপঃ সত্যোহদ্বৈতপরাত্পরঃ। স্বগরুকাণঃ সদাপূর্ণঃ নচ্চিদানন্দ লক্ষণ ॥ ৩৪ ॥ নির্বরবিকারে। নিরাধারে! নির্দবিশেষো নিরাকুলঃ। গুণাতীতঃ সব্বনাক্ষী সব্বা| নর্ধদৃগ্িভূঃ ॥ ৩৫ | মহানির্যাণতন্ত্। ২ উল্লান। | (৯) সসর্ধায্মনি সম্পচ্যেৎ নষ্টাসচ্চ নমাহিতঃ। সর্ধং হানি সম্পশ্টে্গাধর্শে কুরুতে মনঃ ॥ ১১ ॥ রা দেবতাঃ সর্ব্বাঃ সর্ধ্বগাত্মষ্ট নস্থিতম.। সা হি জনয়ত্যেঘাং কর্দাযৌগং শরীরিণাম, | ১২। মনু ।১২ অ। এবং হঃ সর্কাভূতেষু পণ্ঠতটা স্বানমাঝন!। ্‌ ম সর্্বসমতাসেত্য ব্রক্মাতেতি পন্নং পদধ, | ১২৫ | . মন্ু।২অ। শুভাশুভ লগ্রের ফল। জগ্মনক্ষত্র মারে মন্ুষ্যের শুভাদৃষ্ট ও ঢ্রদৃষ্ট ঘটিয়! থাকে__ ভারতীয় আধ্যগণের ইহা স্থির বিশ্বাম ও সিদ্ধান্ত । তদনুসারে ইহারা সন্তানের জনন-সময় সুক্ষানুসথক্রূপে নির্ণয় করিয়া থাকেন। লগ্ন স্থির করিতে পারিলেই জাত সন্তানের ভবিষা শুভাশুভ নির্ধারণ করিতে আর কেহই অসমর্থ থাকেন না। জন্ম-পত্রিকায় যে নকল ঘটনার উল্লেখ থাকে, তাহ! প্রায়ই ফলে। অপরিজ্ঞাত করণবশতঃ কদ্মাচিং কোন স্থলে ব্যভি- চার দেখা যায় বলিয়া অবিশ্বাস কর! যাইতে পারে না। যে সময়ে লোকের সন্তান গ্রস্ত হয়, তৎকাঁলে যে গ্রহ যে রাশিতে অবস্থান করিতেছে, তাহাদিগের সেই সেই রাশিতে তোগ জন্ত ভূমিষ্ট সন্তানের শুভাগুত হয়। অস্তত- লগ্নে জন্মিলে জাত সন্তানের দুরদৃষ্ট সম্ভব, শুভলগ্নে জম্মিলে শুভাদৃষ্ট হয়। জন্মকালীন চন্দ্র ও নক্ষত্র শুদ্ধ থাকিলে গাপ- গ্রহের তুক্তিবলেও তান অপুভ জন্মিতে পায় না। কিন্ত নর তারা শুদ্ধ না থাকিলে উুভগ্রহের তুক্িবলেও গুভাদৃ জন্মে না। এই সমস্ত কারণে জন্মলগ্র, জন্মরাশি ও জন্ম- নক্ষত্রের গ্রাধান্য স্বীকারপূর্কক জাত সন্তানের ভাবী গুভাশুত্ব ও নুখ দুঃখ গণন1 কর। হয়। (১৭) (১০) লগ্রপ্রকরণে বশিষ্ঠং1 | বদোদেতি তদা লগাং রাপিঃ স্যারদহঃভগাধ। উদয়াৎ নগদে রালৌ রবেরস্ং বিভ্বুধাঃ ২৮৮ ভারতীয় আর্য্যজাতির আদিম অবস্থা । এক্ষণে এই তর্ক হইতে পারে যে, ভূমিষ্ঠ বালক বালিকার সহিত গ্রহনক্ষত্রাদির ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ কি? গ্রহগণ জড় পদার্থ, বিশেষতঃ তাহারা আকাশের যে স্থানে আছে, তথা হইতে তাহাদিগের দৃষ্টি দ্বারা মানবের শুভাণুভ ঘটনার সম্ভাবনা! কি? পাঠক, তুমি অবশ্ঠ শুনিয়াছ যে, পূর্ণিমা ও অমাবস্যায় শরীর প্রকৃত সুস্থ থাকে না। কিছু নাকিছু মন্দীভূত হয়। তাহা হয় কেন? অবশ্ঠ বলিতে হইবে যে, তৎকালে চন্দ্র হুর্যের আকর্ষণে পৃথিবী সরস হয়। তজ্জন্ঠ মানব-দেহের শোণিত গাঢ় থাকে না, জলীয় পরমাণুতে বিশিষ্টরূপ মিশ্রিত হয়। সুতরাং অগ্নিমান্দ্য ঘটে। যদি একটা গ্রহের আকর্ষণে একটা দৃষ্ট অভ পরিজ্ঞাত হওয়! যাইতে পারে, তবে বনুতর গ্রহ ও নক্ষত্রের আকর্ষণে অক্ঞাতপূর্ব শুভাগুভ ঘটনাবলী কেন না সম্ভবিতে পারে? কেনই বা বিশ্বাস না হইবে? ভারতীয় আধ্যজাতি গ্রহ, উপগ্রহ ও নক্ষত্রার্দির মাধ্যা কর্ষণ বিলক্ষণ অবগত ছিলেন। কোন্‌ গ্রহের কত শক্তি ও সেই বলানুদারে কোন্‌ গ্রহ কাহাকে অতিক্রম করে, ও কোন্‌ গ্রহ ক্ষেপ্রপ্রকরণে গর্গঃ |... কুজ শুক্ুবৃধেন্বরুসৌ ম্যশুক্তাবনীড়্বাস্‌। জীব।কিভ[নুজেজযান।ং ক্ষেত্রাণি হারজাদয়ঃ ॥ গ্রহের বলাবল বিষয়ে বশিষ্ঠ। স্ে্চে হিঃ শ্রেক্ঠবল। ভবস্তি মুলজিকোণে শ্বগৃহে চ মধযাঃ। ইঞ্টেক্ষিত। মিত্রগৃছে চ তারা বীধ্যং কণীর্ঘঃ সমুপ(বহস্তি ॥ পরিপূর্ণবল। হছে দীচে নীচবলে! গ্রহ) .. শুভাশুভ লগ্নের ফল। ২৮৯ কাহার পশ্চাদত্বী হয় এবং কে কাহাকে গ্রা করে বা কাহার উত্ত্গী হয় তাহা তাহারা বিলক্ষণ জানিতেন। (১১) _ মাধ্যাকর্ষণের বলে যে গ্রহ যাহার সম্মুখীন হইবে বা গশ্টা- দ্ধাবিত হইবে, তাহা স্থিরতররূপে নির্ধারিত হইয়াছে। কোন্‌ গ্রহের কি শক্তি ও কতদিন ভোগকাল, ইহা অতি সুনররূপে নিরূপিত হইয়াছে বলিয়াই ভারতী আধ্যগণের কল বিষয়েই তিথি নক্ষত্রাদির অবস্থান ও গতির হাস বৃদ্ধি অন্নুধারে শুভা- ওভ নিশ্যয় করা যায়। আর্চ্যেরা মঙ্গলজনক কাধ্যে শুভ-) গ্রহের শুভদুষ্ি প্রার্থন! ও পাপগ্রহের শান্তি কাঁমন! করেন। (১২) রবি, গুরু, রাহ, কেতু ও শনির মাধ্যাকর্ষণ ও তাদুশ অন্য শক্তি অপেক্ষান্কৃত অধিক, গ্ৃতরাং ইহাদিগের অবস্থানের দুরত্ব (১১) গ্রহাণ।ং ভোগন্ির্ণয়ে নারদ: | রবিরমদং নিপানাথঃ দপাদদিবসন্য়ম্‌। পক্ষত্রয়ং ভূমিগুতো বুধোইষটাদশবাসরান্‌ ॥ বর্ষমেকং স্রাচাঘ্যা্টাবিংশদিনং ভূ শনি; দার্ঘদযং বরং দ্ব্তানুঃ দার্ধরৎসরম্‌॥ (১২) গ্রহভোগ্রকথনে গর্গত। ূ জন্মরাশৌ শুভঃ মৃধা রিষষ্ঠদশভাগগঃ | দ্বিগঞন বগোইগাষ্টশ্রয়োদশদিনাৎ গরঃ॥ গ্রহগোচরে শুভাগুভফলম,। তত্র বশিষঠঃ। কেতৃপরবতৌদমনদগতযঃ ষষ্ট শুভাঃ রা তে চ তৌচ দমে চর পুনঃ সপতযা। জীব নপ্তদবন্ধিগঞ্চমগতো বুখেধু দো: মার টা গজ; যড়শসতবরজমিতরে বরো পানে শা ২৫. ২৯০ ভারতীয় আর্য্যজাঁতির আদিম অবস্থা । নৈকট্য হেতু গতির বিশেষ তাঁরত্য হইয়া থাঁকে। সেই কারণেই পৃথিবীর নিকটস্থ গ্রহের দ্বার! মন্ুষ্যশরীরের শু্র- শোণিতের হ্বাসবৃদ্ধি হয়, এবং গুণের ইতরবিশেষ হইয়। থাকে । শুভগ্রহের ফলে জীবের সত্বগুণ ও সৌম্যমুত্তি, শুভাঁশুভ-মিশ্র গ্রহের ফলে রজোগুণ ও কমনীয়াকৃতি, এবং অশুত্রগ্রহ ও কুলগ্নের ফলে তমোগুগ* ও রৌদ্ররূপ হয়। ন্ুতরাং ইহা অবশ্তই স্বীকার করিতে হইবে থে, গ্রহগণের নিয়ত মাধ্যা কর্ষণ হেতু গতির লঘুতা, গুরুতা, দূরতা ও সামীপ্য সম্বন্ধ ঘটে। তাহাতেই মন্ষ্যের শারীরিক ও মানসিক বলবী্ধ্য বদ্ধিত হয় ও সুথ ছুঃখ জন্মে। (১৩) গ্রকৃতলগ্না্থপারে লিখিত জন্মপত্রিকার ফল পরীক্ষা কর, অবগ্ঠই গ্রহগণের ভোগফলের দ্বারা ভূমিষ্ঠ সন্তানের গুভাস্তভ স্থির হইবে। একটা প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেখ। জাত বালক অমুক লগ্নে জন্মিলে পে শূত্রবর্ণ, অমুক লগ্ে জন্মিলে বৈশ্যবর্ণ, অমুক লগ্গে জন্মিলে ক্ষত্রিয়বর্ণ, এবং অমুক লগ্নে জন্মিলে ব্রাহ্মণ বর্ণ হয়। ব্রাঙ্গণবর্ণ গৌর, ক্ষিয়বর্ণ লোহিত, বৈশ্যবর্ণ শ্যামল, ও শূদ্রবর্ণ কৃ ॥ পরীক্ষায় নিশ্চয় মিলিবে। রাক্ষগণ, দেবগ্রণ (১৩) অতিচারনিয়মে বাঁৎভ্তায়ন?। . যত্রাতিচারগে। জীবঃ পূর্বরাশিং ন গচ্ছতি। ুণ্বুবংসরো জেয়ে। গহিতঃ সর্বববর্ধবহথ ॥ গ্রহাণ।ং গোচরে শুভাশুভফলকথনম,। দিনকররুধিরৌ প্রবেশকালে ইুরুভূগুজে। ভবননা মধাযাতে।। রবিহৃতশশিনৌ বিনির্গমস্তৌ শশতনয়ং ফলদ সর্ব্ধকালম,॥ শুভাশুভ লগ্নের ফল। ২৯১ ও মন্ুষাগণ। গণ-মিলন কর, বিভিন্ন গণের মিলনে যে ফল ফলে লিখিত আছে, তাহার ব্যতিক্রম দেখা যাইবে না। (১৪) গ্রহগণের উচ্চতা ও নীচতা অনুসারে দেহের পারিগাট্য হইয়৷ থাকে। তাহার প্রত্যক্ষ প্রমাণ 'এই যে, অমুক গ্রহ অমক স্থানে থাকিলে জাত বালক স্থস্থ, অসুস্থ, সুখী, অসুখী, | ন্ থপ্জ, বধির, বাতুল, জড় নিরিক্ত্িয় ও মৃক হয়। _ ইত্বি ভারতীয় আর্য্যজাতির আদিম অবস্থার উপক্রমণিকা সমাপ্ত। (১৪) রাশি অনুদারে জাতি বা বর্ণ নির্ণয় বিষয়ে_-গর্থ। কর্ষিমীনালয় বিপ্রাঃ ক্ষত্রাঃ নিহাজধন্থিনঃ। বেশ্যা; গোমুগকন্যা* শৃদ্রা; যুগ্বতুলাঘট$ ॥ নাক্ষত্রিকগণমেলকথনে অ্গন্ত্যঃ। ২২ ৩৪ ৫ ৬ ৭ & ৯ ১ $১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ দূ মা রাম দমা দিন্দু রারা ম দূ দ র দরে। ৭৭১৮ ১৯ ২৭ ২১ ২২ ৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ | হু রেরাম ম দ|রারি মা মে দং গণমির্যঃ। নঙন্ান্ধ দেখ।, ০০